নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিপজিশন

অতি ক্ষুদ্র পতঙ্গেরও অপূর্ব জীবন।

সালমান ফার্সী

চিন্তিত।

সালমান ফার্সী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাধিক আসনে নির্বাচন ও জনপ্রতিনিধিত্ব এবং সংরক্ষিত আসনের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ফলাফল

০৩ রা মে, ২০১৩ সকাল ৭:৪২

গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচনের মূল উদ্দেশই হল আইনসভায় ঐ নির্বাচনী এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা। আমাদের দেশের সংসদীয় নির্বাচন ব্যবস্থার বেশ কয়েকটি জায়গাই এই উদ্দেশ্যের স্পষ্ট বিরোধী। এর মধ্যে একটি হল একজন প্রার্থীর ‘একাধিক’ আসনে নির্বাচন করার ব্যবস্থা (সংবিধানের ৭১(২) অনুচ্ছেদ)।



এই বহু আসনে নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদে শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলেরই প্রতিনিধিত্ব করা সম্ভব, জনপ্রতিনিধিত্ব করা সম্ভব নয়। কারণ, বেশির ভাগ সময় দেখা যায় বড় বড় নামকরা প্রার্থীরা ২ টি থেকে ৫ টি আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন, এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্বাচিতও হন। পরবর্তীতে আবার ৩০ দিনের মধ্যে তাদেরকে একটি আসন রেখে বাকি আসনগুলো ছেড়ে দিতে হয়। ফলে ঐ আসনে আবার উপনির্বাচনের আয়োজন করতে হয়। যা একইসাথে ব্যয় সাপেক্ষ এবং ত্রুটিপূর্ণ একটি ব্যবস্থা।



এই বহু আসনে নির্বাচনের পিছনে যেই যুক্তি গুলো পাই, তা হলঃ



---বড় প্রার্থীরা কোন ভাবেই নির্বাচনে হারার ঝুকি নিতে চান না। একাধিক আসনে নির্বাচনের মাধ্যমে তারা আসলে নিশ্চিত করতে চান যে তারা অন্তত একটি আসনে নির্বাচিত হচ্ছেন। বলে রাখা ভাল মন্ত্রীপরিষদের মোট সদস্য সংখ্যার অনধিক এক দশমাংশ সদস্য নেয়া যায় সংসদ সদস্যদের বাহির থেকে (সংবিধানের ৫৬(২) অনুচ্ছেদ)।



---দলীয় প্রধানদের একাধিক আসনে প্রতিদ্ধন্ধিতার কারণ হল যে, প্রধানমন্ত্রী হতে হলে তাকে অবশ্যই ‘সংসদ সদস্য’ হতে হবে (সংবিধানের ৫৬(৩) অনুচ্ছেদ)। তাই দুই নেত্রীই চান, যে ভাবেই হোক একটি আসন আমার চাই।



আচ্ছা ভাবুন তঃ



---যেই রাজনীতিবিদ তার নিজের আসনে নির্বাচনে পরাজিত হয় সে কিভাবে অন্য একটা নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করবে। এটা অস্বাভাবিক। এর মাধ্যমে শুধু রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করা সম্ভব হয়, জনগনের প্রতিনিধিত্ব করা সম্ভব হয় না। কিন্তু হায় আমাদের দেশের রাজনীতিবিদেরা শুধুমাত্র তাদের দলের রাজনীতির জন্যই এই অস্বাভাবিক পদ্ধতিটা চালু রেখেছেন।



---এই ব্যপারটা নিয়ে অন্য ভাবেও চিন্থা করা যায়, ৩-৫ টা আসনে নির্বাচন করে যিনি একটি আসনে জয়ী হলেন তাকে আপনি কিভাবে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বলবেন। কারণ তিনি ত আসলে জয়ী নন, তিনি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। তিনি ১ টি আসনে জিতেছেন আর ২ টি আসনে হেরেছেন। তার ভোট ১-২।



---শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীত্ব নিশ্চিত করার জন্যও যদি এই পদ্ধতি চালু রাখা হয় তাহলেও এই ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ। কেননা ২ বা ৩ টি আসনে হেরে একটি আসনে জয় লাভ করা নেতা বা নেত্রী কখনই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নয়।



তাছাড়া কয়েকদিন আগে ‘ইতিহাস সৃষ্টি করার জন্য’ (নারীকে স্পিকার করে ইতিহাস সৃষ্টি করলাম ১লা মে ২০১৩ তারিখের দৈনিক প্রথমআলো ২য় পৃষ্ঠা) সংবিধানের ৭৪ অনুচ্ছেদের ‘সংসদ সদস্য’ শব্দের ফাকা গলিয়ে যেইভাবে একজন ‘মনোনীত সংসদ সদস্য’ কে (অনির্বাচিত এবং জনপ্রতিনিধি নন) স্পীকার বানানো হল সেই ভাবে ত প্রধানমন্ত্রীও বানানো সম্ভব। এই ব্যপারে গত ১লা মে ২০১৩ তারিখের দৈনিক প্রথমআলোয় লেখা মিজানুর রহমান খানের কলামটা পড়তে পারেন।সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি উপহাস



আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি কখনও যদি এমন হয় যে দলের নেত্রী নির্বাচনে তার আসনে হারলেন, তাহলে এই রকম টাই হবে। প্রথমে তাকে দলীয় মনোনয়নে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য বানানো হবে এবং পরে প্রধানমন্ত্রী। কারণ ৭৪ অনুচ্ছেদের মত ৫৬(৩) অনুচ্ছেদেও শুধুমাত্র ‘সংসদ সদস্য’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি কি নির্বাচিত সংসদ সদস্য হবেন না মনোনীত সংসদ সদস্য হলেও চলবে, এই ব্যপারে এখানেও কিছু বলা নেই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৩ সকাল ৮:০২

জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: সেটাই যদি হয় মওদুদ সাহেবরা জীবন্ত লাশ হয়ে যাচ্ছে না ?

২| ০৩ রা মে, ২০১৩ সকাল ৮:১২

সালমান ফার্সী বলেছেন: একটা মধ্যস্থতা অবশ্য মেনে নেয়া যায়, এই ভাবে যে, একজন প্রার্থী সর্বমোট ২ টি আসনে নির্বাচন করতে পারবেন এবং তার মধ্যে অবশ্যই একটি হবে তার নিজের আসন মানে তিনি যেই নির্বাচনী এলাকার ভোটার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.