![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুটি কয়েক এনজিও ছাড়া আমাদের দেশের প্রায় সবগুলো এনজিও মনে হয় কাজের চেয়ে শত গুণ বেশি কথাবার্তা বলে।
গত কিছুদিন আগে একটা স্থানীয় এনজিও এর প্রতিনিধিত্ব করতে বারিধারায় ইংল্যান্ড ভিত্তিক একটি এনজিও Shiree এর একটি প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম। এই প্রোগ্রামে ওরা ওদের ‘নতুন’ প্রজেক্ট “Manifesto for the extreme poor” এর বিভিন্ন খুঁটিনাটি সম্পর্কে আমাদের অবহিত করল। এরপর যেহেতু ওদের কোন youth group নেই তাই Oxfam সহ উপস্থিত অন্যান্য এনজিও গুলোর কাছে পরামর্শ ও সহযোগিতা চাইল। তাদের ভাষ্যমতে তাদের এই ‘নতুন’ প্রজেক্টটা শুরু হয়েছে ২০১০ সালে। বাজেট কয়েক শতকোটি টাকা। দেশের কম-বেশি ১৫-১৬ টি জেলা রয়েছে ওদের প্রজেক্টের আওতায়। ছয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য নিয়ে ওরা কাজ করে যাচ্ছে। তবে গত তিন বছরে ওরা কি কি কাজ করেছে তা জানতে চাইলে ওরা এর কোন সদুত্তর দিতে পারে নি। তবে আমাদের সন্তুষ্ট করতে বিশাল এক ব্যাখ্যা দিয়েছে, যা এখন আর মনে নেই। তবে তিন বছর ব্যাপী ওরা যেই কাজ গুলো করেছে তা হলঃ
>একটি অতীব সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করা।
>ফেইসবুকে একটি দৃষ্টিনন্দন পেইজ তৈরি করা।
>দেশের দরিদ্র ও বঞ্ছিত জনগুষ্টিদের দুর্দশা ও সমস্যা নিয়ে খুবই ভাল মানের ডকুমেন্টারি তৈরি করা। আর সেইগুলো ওই ফেইসবুক পেইজে share করা।
> আর মাঝে মাঝে Oxfam, অন্যান্য কিছু এনজিও ও গুণীজন দের সাথে মিটিং করা।
> একটি FM Radio চ্যানেলে এই নিয়ে প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করা।
ওদের কথা অনুযায়ী ওদের প্রাইমারী টার্গেট হল এই প্রজেক্টটা নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনটা তৈরি করা। তারপর ওরা ফিল্ডওয়ার্কে নামবে। লোক দেখানো আর কি!!!
১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮
সালমান ফার্সী বলেছেন: 'আমি এই ,সেই করবো, এই করলে এই হবে, অমুক করলে তমুক হবে..!! আর ভালো কিছু প্রেজেন্টেশন,, আর সঙ্গে রয়েছে আমাদের নেটওয়ার্ক এেতো বড়।'
ভাল বলেছে।
২| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
সেফানুয়েল বলেছেন: তবে সব এনজিও যে ধান্ধাবাজ তা বলা যাবে না। বলতে পারেন এই ধান্ধাবাজদের কে তৈরী করছে? আমি একটি এনজিও তে কাজ করি। গত মার্চ মাসে গেলাম ইউএন ও অফিসে প্রত্যয়ন পত্র নেওয়ার জন্য । কিন্তু ২ মাস ঘুরিয়ে জুন প্রথম সপ্তাহে পেলাম প্রত্যয়ন পত্র। কেন? কারণ টা খুব সোজা। যদি আমরা তাদের চাহিদা মতো ৫০০০ টাকা ঘুষ দিতাম তাহলে দুই মাসের জায়গায় ২ দিনের মধ্যে তা পেয়ে যেতাম। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করায় আমাদের কি হয়রানি!!!
এনজিও সমূহ যদি সাধারণ প্রত্যয়ন পত্র পাওয়ার জন্য এত হয়রানি হতে হয় তাহলে তাদের প্রজেক্ট চালানোর অর্থ সমূহ এনজিও ব্যুরো থেকে ছাড়িয়ে আনতে তাহলে কত টাকা খরচ হয়? এনজিও ব্যুরোর কর্মকর্তাদের অর্থ চাহিদা সম্পর্কে কোন ধারনা আছে আপনার? ধরে নিলাম আপনার একটি খুব ভালো সেবা সংস্থা আছে। সেবা মূলক কাজের জন্য আপনার সংস্থার খুব সুনাম আছে। বাইরের ডোনারের টাকা আনতে হলে আপনাকে এই এনজিও ব্যুরোর মাধ্যমেই যেতে হবে যেখানে রাঘব বোয়ালেরা হা বসে আছে আপনি কষ্ট করে টাকা আনবেন আর তারা বসে বসে সেই টাকার নির্দিষ্ট % খাওয়ার জন্য। অতীতে আপনার কাজের যতই সুনাম থাকুক তা ১০০%নিশ্চিত থাকেন তা কোন কাজে লাগবে না। তাদের চাহিদা মিটিয়ে তারপর যা থাকবে তা হলো আপনার প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য। এতে আপনার প্রজেক্ট সাসটেইন হোক বা না হোক এব্যাপারে কারও মাথা ব্যাথা নেই। এত সব কিছুর পর প্রতি মাসে ডিসি অফিসে যান গত মাসের কাজের হিসাব দেওয়ার জন্য ।
এই যদি হয় পরিস্থিতি তাহলে কেন এনজিও সমূহ তাদের অস্তিত্ব সংকটে ভূগবে না? কেন তারা দুনম্বরী করবে না? এরকম অনেক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে এনজিও সমূহকে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। এটাই চরম বাস্তবতা। অপরদিকে আপনি কর্মসংস্থান তৈরী করছেন এই বিষয় টা কেউ মাথায় রাখে না।
১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২৫
সালমান ফার্সী বলেছেন: ভাই দুর্নীতি দেশের এ টু জেড সব জায়গায়ই আছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে হয়ত এনজিও গুলোর ও কিছুটা দুর্নীতি গ্রস্থ হয়ে যাওয়ার যোক্তিকতা বিবেচনা করা যায়। কিন্তু আমি ওই দিকে যাচ্ছি না। আমার প্রশ্ন, যত টাকাই বাজেট হোক না কেন তা দিয়েই প্রকৃত লক্ষ্যের দিকে যাওয়াটাই জরুরী। কিন্তু এরা এখন পর্যন্ত ওদের ছয়টি লক্ষ্যের সাথে সম্পৃক্ত কোন কাজই করে নি বা করতে পারে নি। যা করেছে তা কেবল ইন্টারনেট ও মিডিয়ার মাধ্যমে প্রজেক্টের প্রচারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু যাদের জন্য এই প্রজেক্ট সেই অতি দরিদ্রদের জন্য কিছুই করে নি। তবে এই জায়গাতেও আসলে ওরা ব্যর্থ, কারণ তিন বছর পরও ওদের ফেইসবুক পেইজের লাইক সংখ্যা মাত্র ১০৮!!!
আর আমি আগেই স্বীকার করেছি কিছু ভাল এন জি ও অবশ্যই আছে, যাদের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৬
নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: সিমিও ঐ মাইয়াটার নাম যেন কি? বাংলাদেশের প্রথম নারী দেখেছি যে নাভিতে অলংকার পড়ে...! সেই স্মার্ট ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করছে,,,,ব্যাপক স্টাইল. তবে তার যে বাচ্চা আছে তারও অনেক বড়, দেখে বোঝা যায় না.....!!
যাক এবার আসল কথায় আছি,,,,,, এনজিওদের প্রধান কাজ হলো,,,আমি এই ,সেই করবো, এই করলে এই হবে, অমুক করলে তমুক হবে..!! আর ভালো কিছু প্রেজেন্টেশন,, আর সঙ্গে রয়েছে আমাদের নেটওয়ার্ক এেতো বড় যে, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পার হয়ে আটলান্টিক পর্যন্ত বিস্তৃত.............!! সবই ভোগাজ, ধান্ধাবাজ!!