নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামস সুমন(LBB)

সামস সুমন(LBB) › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামস সুমনের বাংলা ব্লগঃ

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

একটু সময় নষ্ট করে পড়ার অনুরোধ থাকলো।
বুদ্ধিজীবী হত্যার সাতকাহন
সামস সুমন
৭/১/১৬

১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১:
ওরা অসংখ্য বুদ্ধিজীবী খুন করে ধ্বংস করতে চেয়েছিলো আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনা, জাতীয় ঐক্যবোধ, জাতিগত সমৃদ্ধির ভবিষ্যত।

এরপর প্রতিবছর এই দিনটিতে ঘৃণা ভরে ধিক্কার জানাই তাদের সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে , দিবস টিকে স্বরণ করি বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে।

তারপর,
প্রতিবছর কতোগুলো বুদ্ধিজীবী খুন হলো, তা বুঝতেও পারলাম না। শাসনযন্ত্রে অনুপযুক্তদের বসিয়ে, মান্ধাতার আমলের শিক্ষা আইন চালু রেখে, শিক্ষা ক্ষেত্রে ছাড়পোকার মতো কোচিং, প্রাইভেট ব্যবস্থা চালু রাখার সুব্যবস্থা রেখে মেধাগুলোকে কি নির্মমভাবে খুন হতে হয়েছে তা যদি উপলব্ধি করা যেত, প্রতিটা দিন বুদ্ধিজীবী দিবস হয়ে যেত।

এতো জনসম্পদ নিয়ে তাই আমার দেশ স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরেও আজ এরকম ভগ্নাবস্থায়। অন্যের টেকনোলজির মুখাপেক্ষী।

কারণ মেধাগুলো তো অঙ্কুরেই খুন হয়। খুন হয় জন্মের পর পরেই.... অভিভাবকের ডাক্তার বানানোর ইচ্ছার মধ্যদিয়ে একজন ভবিষ্যতের সনামধন্য আর্টিস্ট এর মৃত্যু হয়।

মৃত্যু হয় প্রাইমারী তে টাকার মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া অনুপুযুক্ত শিক্ষিকার প্রহারে, যে কিনা নিজেই এস.এস.সি টুকু পাশ করেছিলেন বই বের করা নকলের জোরে।

এরপর মৃত্যু হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে টাকার বিনিময়ে শিক্ষার কষাঘাতে। অনুপযুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার করে রাখা শিক্ষা বাণিজ্যের যাতাকলে পরে অসংখ্য মেধাবীর। এখানে ত্রুটিটুকু বোঝার পরেও না বোঝার ভান করে এড়িয়ে যাওয়ার যে প্রবণতা সেটার দায় এড়িয়ে যেতে পারেনা সরকার ব্যবস্থা। সবাই এর পৃষ্ঠপোষক, না হলে যে নির্বাচনে এই শিক্ষা বাণিজ্যের সাথে জড়িয়ে থাকা বৃহত জনগোষ্ঠীর সমর্থন পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। আর তাই নিরবে চোখ খোলা রেখেই ঘুমাতে হয় তাদের।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে তো জাতির সূর্যসন্তানদের উত্থানের রাজত্য। তাদের রাজনীতি করার কথা দেশিয় স্বার্থে, কোন অনিয়মের বিরুদ্ধে, দেশের জাগ্রত বিবেক হিসেবে। কিন্তু অপরাজনীতি তাদের সেদিক থেকে বিতারিত করে মোহাবিষ্ট করে ভাবি ক্ষমতার দিকে। যার দরুন মেধাবীগুলো, জাগ্রত বিবেক গুলোর সর্বশেষ মৃত্যু অভিযান শেষ হয়। এই সর্বশেষ ধাপটি পর্যন্ত যারা এড়িয়ে আসতে পারে তারা পরে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের মেধার, সততার অবমুল্যায়ন শেষে চেতনা আর বিবেক এর জলানজলি দিতে বাধ্য হয়।

আমার দেশ এরপর কর্মস্থলে যাদের পায়, তারা আসলে দূর্নীতিগ্রস্থ, অমেধাবীর আখরা। দেশপ্রেম, জাতিগত চেতনার ঊর্ধ্বে থাকে তাদের স্বার্থপরতা, বিবেকহীনতা।

ফলে তাদের সেই স্বার্থান্বেষী মনোভাবের কারনে সচল থাকে মেধাবী হত্যার এই দীর্ঘ শৃংখল।

সর্বশেষ পদক্ষেপটি চালু হয়েছে গত কয়েকটি বছরে। প্রশ্ন ফাঁস, পরীক্ষা হলে শিক্ষকদের অসাভাবিক আচরন, নকলের স্বর্গরাজ্য, কোচিং বাণিজ্যে বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার্থী শুণ্যতা, নাম মাত্র বিদ্যালয় গুলোর দাড়িয়ে থাকা আমার দেশের মেধাবীগুলোকে এ+ সার্টিফাইড নাম মাত্র শিক্ষিত জাতি কিন্তু মূলত সুশিক্ষা, চেতনা, বিবেকহীন জাতি হিসেবে পরিচিত হওয়ার এক অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

এমন একদিন আসবে যেদিন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গর্ব করে বলার মতো অবদান রাখার বাংলাদেশী খুজেও পাওয়া যাবেনা।

সেদিন আর বেশি দূরে নয়। আর ১০ টা বছর, অপেক্ষা করেন। আসছে সেই দূর্দিন।

[লেখাটি শেয়ার করার অনুরোধ করছি]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.