নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি প্রচলিত অর্থে কোন লেখক নই তবে লেখালেখিটাকে অন্তর থেকে ভালোবাসি। তাই ভালোবাসার টানেই মাঝে মাঝে সমাজ, সংস্কৃতি এবং প্রযু্ক্তি নিয়ে দু’এক লাইন লেখার চেষ্টা করি।

সানিম মাহবীর ফাহাদ

নিজেকে এখনও ঠিক মতো জানতে পারিনি।

সানিম মাহবীর ফাহাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শপিংমলে পলায়মান বাংলার সংস্কৃতি, জাতি আজ ঝুলন্ত পরগাছা

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৪

আমরা যে কতোটা সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার সেটা আমাদের দেশের শপিংমলগুলোতে ঘুরলেই বুঝা যায়। ভারতীয় সিরিয়ালগুলোর চরিত্র এখন শপিংমলগুলোর অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়ায়। গত কয়েক বছরে ভারতে সিরিয়ালগুলোতে নায়িকাদের নাম কিংবা তাদের গায়ের পোশাক অনুসারে বাংলাদেশের ফ্যাশন হাউসগুলো সরগরম হয়ে গেছে। আর আশ্চর্য হলেও সত্য সেই আমদানী করা ফ্যাশনে নিজেদের হালনাগাদ করতে না পারলে অকাতরে প্রাণ দিয়ে দিচ্ছে আমাদের দেশের মেয়েরা কিংবা গৃহবধুরা। গত বছরেও পত্রিকার সংবাদে এসেছিলো ‌‘পাখি ড্রেস’ কিনে না দেওয়ায় গ্রহবধুর হাতে স্বামী খুন। বছর ঘুরতে না ঘরতেই আজকের পত্রিকায় দেখলাম কিরণমালা ড্রেস না কিনতে পেরে কিশোরীর আত্বহত্যা। এসব ঠেকাতে যে বাবা-মা কিংবা বাধ্য স্বামী তাদের সন্তান কিংবা বউকে হাসিমুখে পাখি ড্রেস, কিরণমালা কিংবা সানি লিয়ন ড্রেস কিনে দিচ্ছে তারা কি জানে যে ঐ সমস্ত ড্রেস উক্ত তারকাদের সাথে মানানসই হলেও আমাদের সাংস্কৃতির সাথে কতোটা সামঞ্জস্যপূর্ণ? আজ এসবের বিরুদ্ধে বলার মতো কোন সুযোগ খুঁজে পাওয়া যায় না। আমার বোন, মেয়ে, বউ কিংবা শালীকা নেই বলেই আজ হয়তো এতো আনন্দে মনের কথাগুলো বলতে পারছি। কিন্তু ‌আজ যদি আমার বোন, মেয়ে, বউ কিংবা শালীকা থাকতো তাহলে এই পোস্ট করার পরেই তাদের মেজাজ ঠান্ডা করার জন্য ফায়ার সার্ভিসে কল দিতে হতো।

একটি জাতির নিজস্ব সাংস্কৃতি তাদের জন্য সবচেয়ে বড় সম্পদ। কিন্তু আমরা সে সম্পদ হারিয়ে আজ পরগাছার মতো ভারতের সংস্কৃতিতে নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছি। যদিও বলা হয়ে থাকে, আমরা যা তাই আমাদের সাংস্কৃতি। কিন্তু আজকাল বলতে হয়, ভারতের সিরিয়াল যা তাই আমাদের সংস্কৃতি। তবে ভারতীয় সিরিয়ালগুলো আমাদের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে শুধু আমাদের নিজেদের দেশের কিছু মানুষদের জন্য। কিছুদিন আগে কোন এক চিত্র নায়িকার ইন্টারভিউ দেখলাম। সেখানে তার প্রিয় খাবার শুটকি মাছ আর আলু ভর্তা হলেও প্রিয় নায়ক সালমান খান কিংবা আমির খান, প্রিয় ছবি কুছ কুছ হুতা হায়! আর অবসরে তারা হিন্দি সিরিয়াল দেখে সময় কাটায়। আমরা যাদের দেখলে অনুপ্রাণিত হবো তারায় যদি এমন অবস্থায় থাকে তাহলে আমরা যাবো কোথায়? কোন হোটেলে খেতে যাবার পরে যদি শুনা যায় যে, সেই হোটেল এর মালিক পাশের হোটেলে খেতে গেছে তাহলে সেখানে খাবার জন্য আগ্রহী খাদক কয়জন থাকবে সেটা আপনারাই হিসাব করে বলুন.....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.