![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিবর্তন চাই- আপদমস্তক পরিবর্তন চাই। কুঠারাঘাত দিয়ে হলেও ভাঙতে চাই স্থবিরতার শৃঙ্খল।।
রাজিব ভাইয়ের মৃত্যুতে আমি এতই মুষড়ে পড়েছিলাম যে আমি কী করব, কী করা উচিত; কী বলব বা কী বলা উচিত ভেবে পাচ্ছিলাম না। ফেসবুক-ব্লগে রাজিব ভাইয়ের নাস্তিকতা নিয়ে জামাতসহ অনেকের প্রচার-প্রচারণা-উত্তেজনা দেখেছি। রাজিব ভাইয়ের নাস্তিকতা চর্চা নিয়ে অনেক ডিফেন্সও প্রত্যক্ষ করেছি। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই।
ধর্ম চর্চা কি মানুষের জন্মগত প্রাপ্ত? আমি বলব- না। ধর্ম বা ঈশ্বর একটি জ্ঞান; অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান। একটি শিশু জন্মের মাধ্যমে কোন ধর্মপ্রাপ্ত হয় না; কোন ঈশ্বর-জ্ঞানও প্রাপ্ত হয় না। পরিবারে তার বাবা-মা-প্রতিবেশী-আত্মীয়-স্বজন-বন্ধু-বান্ধব সর্বোপরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিশুটি ধর্ম বা ঈশ্বরজ্ঞান লাভ করে। সে জ্ঞান লাভ করার পূর্বে কিন্তু একটি শিশু নাস্তিকই (যদি ঈশ্বর-জ্ঞানহীনতাকে নাস্তিকতা বলি)।
একটি শিশু যখন একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে তখন সে ক্রমে ইসলাম ধর্ম-জ্ঞান প্রাপ্ত হয় এবং শিশুটি মুসলমান হয়। তেমনি একটি শিশু হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করলে সে ক্রমে হিন্দু ধর্ম-জ্ঞান প্রাপ্ত হয় এবং শিশুটি হিন্দু হয়। সব ধর্মানুসারীদের ক্ষেত্রেই এমনটাই হয়। রাজিব ভাইয়ের সাথে বিভিন্ন সময়ে কথা বলে যা জেনেছিলাম- তাঁর বাবা ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে রাজিব ভাইকে কখনোই তেমন উৎসাহিত করেননি। রাজিব ভাইয়ের নাস্তিকতা অনেকটাই পরিবার থেকে প্রাপ্ত, যা অনেকটা আমার ছেলের মতই।
যদিও ধর্ম বিষয়টি মুখস্থ করার কোন বিষয় নয়, ধর্ম পুরোপুরিই একটি জ্ঞান; যে জ্ঞান কোনভাবেই মুখস্থ-জ্ঞান হওয়া উচিত নয়; আমাদের সমাজ ও পরিবার ধর্মকে মুখস্থ-জ্ঞান হিসেবেই বিবেচনা করে আসছে। এজন্যই একজন মুসলমানের সন্তান মুসলমান হয়, হিন্দুর সন্তান হিন্দু হয়। আমাদের সমাজের প্রচলিত ধারানুসারে ধর্ম নির্ধারণ করে দেয় পরিবার ও পরিবারলব্ধ জ্ঞান, কোনক্রমেই তার স্বশিক্ষালব্ধ জ্ঞান নয়।
এজন্যই স্বশিক্ষিত ব্যক্তিরা যখন আবিষ্কার করে যে তাঁর ধর্মটি কোনক্রমেই তাঁর নিজস্ব শিক্ষালব্ধ জ্ঞান নয়, পুরোই পরিবার আরোপিত ধর্ম তখন অনেকেই তাঁর নিজ ধর্ম পালন থেকে বিরত থাকেন।
পরিবার আরোপিত ধর্মটি সবসময়ই কিছু সংকীর্ন ধ্যান-ধারণা পোষণ করে থাকে, স্বশিক্ষিত ব্যক্তিটি সে সংকীর্ণতার উর্ধে উঠে বৈশ্বিক মানবিক ধর্মের ধারক হতে চান। সে পথে চলতে গিয়ে কেউ কেউ একেবারেই নীরব থাকেন, তার পরিবারের ধর্মটির সংকীর্ণতাকে সংশোধনের কথা চিন্তা করেন না; কেউ কেউ সরব হয়ে তার পারিবারিক ধর্মটির সংকীর্ণতাকে সংশোধনের চেষ্টা করেন। রাজিব ভাই ছিলেন দ্বিতীয় দলের।
রাজিব ভাই বা অন্য নাস্তিকদের বেশিরভাগই সবধরণের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব থাকেন বা থাকতে দেখি (আমি এখানে মূলত নাস্তিকদের সংখ্যানুপাতে বেশি থাকার ব্যাপারটাকে বুঝিয়েছি)। নাস্তিকদের স্বশিক্ষা ও বৈশ্বিক-মানবিক প্রেম তাঁকে অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীরব থাকতে দেয় না।
কিন্তু কোন নাস্তিকই হিংস্রতাকে লালন করেন না, রাজিব ভাইও করতেন না। নাস্তিকরা সবসময়েই বলে থাকে কলমের জবাব কলম দিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীলদের কলম কখনোই ধারালো হয় না, তাই তাদের অস্ত্রের আশ্রয় নিতে হয়। যার নিষ্ঠুর উদাহরণ হয়ে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হলেন আমাদের রাজিব ভাই।
রাজিব ভাইকে যে তাঁর লেখার জন্য হত্যা করা হয়েছে এমন নয়। তাকে হত্যা করা হয়েছে শাহবাগ আন্দোলনকে বিভক্ত করার জন্য, তাদের অপপ্রচারকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। রাজিব ভাইয়ের যে ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ আছে এটা আমি জানতামই না, কোনদিন শেয়ার করতেও দেখিনি। রাজিব ভাইকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে শাহবাগের আন্দোলনকারীদের বিভাজিত করার যে প্রচেষ্টা ওরা করতে চেয়েছিল মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রকৃত মানুষের কাছে মানুষের পরিচয় কেবল মানুষ- হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, আস্তিক-নাস্তিক নয়। প্রকৃত মানুষের কাছে- "মানুষের চেয়ে বড় কিছু নেই, নহে কিছু মহীয়ান।"
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
আবদুল্লাহ আল জাফর মালেক বলেছেন: "যারা থাবা বাবা'কে হত্যার সঙ্গে আস্তিক নাস্তিকের প্রশ্ন টানছেন তাদের যুক্তিমতে ১৯৭১ সালে হিন্দুদের হত্যা করাও জায়েজ। এই লোকগুলি আপনার আমার ভিড়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকা জামাতশিবির। শাহবাগে আজকে রাজিবের জানাজায় জনসমুদ্র প্রমাণ করেছে জনগণ সকল যুদ্ধাপরাধীদের সাথে প্রজন্মস্কোয়ারের সহযোদ্ধার হত্যাকারীদেরও ফাঁসী চায়। ধর্মে বিশ্বাস অবিশ্বাস সেখানে অবান্তর প্রশ্ন"
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: প্রকৃত মানুষের কাছে মানুষের পরিচয় কেবল মানুষ- হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, আস্তিক-নাস্তিক নয়। প্রকৃত মানুষের কাছে- "মানুষের চেয়ে বড় কিছু নেই, নহে কিছু মহীয়ান।"
..........আমি ও তাই বলি ।
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
বহুভুজ বলেছেন: নাস্তিক হলেই হত্যা করতে হবে কেনো? আস্তিকরা নাস্তিকদের বর্জন করলেইতো ল্যাঠা চুকে গেল!
৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
প্র ভা ষ ক বলেছেন: সে নাস্তিক ছিলো...
অথচ এর প্রতিদানে সে কি পেলো দেখো > কয়েক লক্ষ মানুষের উপস্থিতি-তে জানাজা, একাধিক 'গায়েবানা' জানাজা, একাধিক জানাজা, রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, ১৯৭১-এর মুক্তিযোদ্ধা-দের দেয়া 'গার্ড অফ অনার'... আরো কত কি!!!...
আল্লাহ-তো তাইলে নাস্তিক-গো লগেই আছেন!!!...
৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
বাংলাদেশি বাংগালী। বলেছেন: acip morle o tar janaja hobe.
৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২১
আয়রন ম্যান বলেছেন: নাস্তিক আস্তিক যাই হোক না কেন---------
রাজিবের হত্যাকারীদের বিচার চাই
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
শোয়াইব আহেমদ বলেছেন: কিন্তু নাস্তিকতা যে মানুষকে চটি লেখক বানায় তা এই প্রথম দেখলাম। যদিও নাস্তিক গন এখন আর তাকে নিজেদের দলের বলে স্বীকার করছে না।