নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সন্যাসীর স্বপ্ন

শিক্ষা যেখানে অসম্পূর্ণ, জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

সন্যাসী

পরিবর্তন চাই- আপদমস্তক পরিবর্তন চাই। কুঠারাঘাত দিয়ে হলেও ভাঙতে চাই স্থবিরতার শৃঙ্খল।।

সন্যাসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়াশিংটন পোস্টে খালেদা জিয়ার লেখা বিষয়ক আলোচনায় ঈশ্বর ও নারদ

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৫

নারদ হো হো করে হাসতে হাসতে ঈশ্বরের দরবারে ঢুঁকলেন। তার হাতে একটি প্রিন্টেড কাগজ। ঈশ্বর রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভলিউম কমিয়ে ভুরু কুঁচকে তাকালেন। নারদ হাসি থামিয়ে হাতের কাগজটিকে ঈশ্বরের দিকে বাড়িয়ে বললেন- মহামান্য ঈশ্বর, নিন পড়ুন।



ঈশ্বর কাগজটি নিয়ে পড়া শুরু করলেন- "ZIA: The thank...thank...thankless role in saving democracy in Bangladesh." কোনরকমে শিরোণামটি পড়ে বিরক্তিসহকারে নারদের দিকে তাকালেন। "নারদ, অভিধান আনো।"



নারদঃ থাক, ঈশ্বর। স্বর্গের অভিধান এত বড়ো যে তা বহন করার যোগ্যতা কেবল জাম্বুমানই রাখে। ব্যাটাকে এই মুহূর্তে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে। বাকিটা আর পড়তে হবে না। স্বর্গে দাঁতের চিকিৎসক নেই, এই বুড়ো বয়সে......



ঈশ্বর তবুও চোখ বুলাতে লাগলেন। মাঝে মাঝেই তিনি ভুরু কুঁচকাচ্ছিলেন। নারদ ঈশ্বরের দিকে তাকিয়ে একটু একটু হাসছিল। পড়ার মাঝখানে থেমে ঈশ্বর বললেন- মর্ত্যের মানুষরা লিখতে গিয়ে এত্ত কঠিন ভাষা ব্যবহার করে! কে লিখেছে এসব?



নারদঃ লেখার শেষে তার পরিচয় দেয়া আছে, মহামান্য ঈশ্বর।



ঈশ্বর পড়লেন- Begum Khaleda Zia is former prime minister of Bangladesh and current leader of the opposition. ঈশ্বর আবার ভুরু কুঁচকালেন- নারদ, এই মহিলাকে তো আমি চিনি। কিছুদিন আগে সং-সদ টিভিতে তাকে বক্তৃতা দিতে দেখেছিলাম। এই লেখাটি সম্পর্কেই তিনি কথা বলছিলেন, এবং তিনি অস্বীকার করেছিলেন যে তিনি এটা লেখেননি। তা এই মহিলার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী?



নারদঃ মহামান্য, উনি ম্যাট্রিক ফেল। ম্যাট্রিকে মোট তিন বিষয়ে পাশ করেছিলেন, যার মধ্যে সর্বোচ্চ মার্কস উর্দুতে।



ঈশ্বরঃ মাই গুডনেস! তিনি এরকম লিখলেন কী করে? তিনি ঠিকই বলেছেন তিনি এটা লেখেননি। কারণ উর্দুতে সর্বোচ্চ মার্কস পাওয়া একজন ম্যাট্রিক ফেল মানুষ এটা কিছুতেই লিখতে পারেন না।



নারদঃ মহামান্য, আপনি বাঙালির প্রতিভার কথা ভুলে গেলেন? আপনার প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কি কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিলো? আপনার অন্যতম প্রিয় কবি নজরুলের কথাও ভুলে গেলেন?



রবীন্দ্রনাথের কথা উঠতেই ঈশ্বর আবার অন্যমনষ্ক হয়ে গেলেন। যেন শ্রদ্ধায় নত হয়ে গেলেন বাঙালির প্রতিভার কাছে। নারদকে বললেন- নারদ, তুমি এখন যাও। আমি গান শুনব, কেবলই গান শুনব। আজ এই বৃষ্টিমুখর দিনে আমি কেবলই রবির গান শুনব। নারদের প্রস্থান। ঈশ্বর ভলিউম বাড়িয়ে দিলেন। সেখানে বাজছে- ''আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণধুলার তলে/ সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে........."

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এটিও পড়ুন
Click This Link

২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ... বাঙালি অমিত প্রতিভাধর। বিশেষ করে ভুলে যাবার ক্ষেত্রে।

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

রেনেসা বলেছেন: আপনি আমার অনুসারিত ব্লগারদের একজন।

লেখা ভাল লাগে। বিষয়ের সুক্ষ্মতা আর সুক্ষ্ম বিষয় সব কিছুই সুন্দর করে উপস্থাপন করার অসাধারণ গুন।


আগামীতে এর চেয়ে ভাল লেখা পাব বলে আশা রাখি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.