নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আছি শূণ্যতার পূর্ণতায় এবং পূর্ণতার শূণ্যতায়। সকলের উপরে শান্তি বর্ষিত হোক।

তাহেরা সেহেলী

আমি আছি শূণ্যতার পূর্ণতায় এবং পূর্ণতার শূণ্যতায়। সকলের উপরে শান্তি বর্ষিত হোক।

তাহেরা সেহেলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমিষ যখন মানুষ

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫০

গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় টের পেলাম গায়ে কিছু একটা বহাল তবিয়তে হেঁটে চলেছে, একটু পরেই বুঝতে পারলাম একজন না, আরও আছে। একদিন সকালে ঘুম ভেঙ্গে দেখলাম হাতের আঙ্গুলে, এবং কব্জির ধারে কয়েক জায়গায় চামড়া ভেদ করে খানিক খানিক মাংস নাই। কোন দুই রাতে অনুভব করি, খুব ধীরে গাল বেয়ে কে যেনো কর্ম যজ্ঞ চালায়, ঘুম ঘোরেই চিমটি দিয়ে ধরে মোবাইলের উপর রেখে ডিসপ্লে লাইট অন করে দেখি চুলের পোকা, এরা আমাকে ধরলে একদম ত্যক্ত বিরক্ত করে ছাড়ে, সেইজন্য মরিয়া হয়ে তাড়াতে ব্যস্ত হয়ে যাই। কেশবতী না হওয়ায় যেনো আরও বেশি সুড়সুড় লাগে মাথার তালুতে, কিন্তু যাদের অনেক কেশ তাদের কাছেই তো থাকতে পারে, ওখানে মনে হয় তেমন সুবিধে হয়না রক্ত পানে; সবাই নিজেদের সুবিধার জন্যে দুস্থদের উপর অত্যাচার করে কেনো বাপু(প্রশ্ন আসে মনে)!?

আমার ঘর বসতি পোকামাকড়ের সাথে। গতকাল রাতে ফড়ফড়ানি আওয়াজ শুনে চোখ দু'খানা মেলে দেখলাম যে, ইয়াহ বড় এক তেলাপোকা আমাকে ধরবে বলে উড়ে উড়ে সুবিধা করার চেষ্টা করছে, কিন্তু আমিতো মশারি টাঙিয়ে নিয়েছি। দু'জনের অবস্থান মশারির ভেতরে আর বাহিরে, ভেতর থেকেই দিলাম থাবা বাইরে, সটকে পড়লো বলে বেঁচে গেলো। আমি নিজেও ভয় পায় এদের, তার থেকে বেশি লাগে ঘেন্না।

আচ্ছা! এদের এতো খাবার থাকতে কেনো 'মানুষ আমিষ' লাগে বুঝিনা, হতে পারে এরকম যে- মানুষের জন্যে তো কত পদের আমিষ আছে কিন্তু প্রিয় হচ্ছে, গরুর গোশত; ঠিক সেরকম ওদের প্রিয় 'মনুষ্য মাংস'।

কত অদ্ভুত! মানুষ জীবিত অবস্থায় কত শক্তিশালী, সবকিছুতে তাঁবেদারি কিন্তু প্রান স্থানান্তরিত হওয়ার সাথে সাথেই পোকামাকড় তাঁদের ভোজনকারী।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে, আপনি অনেকদিন ধরে লেখালেখির সাথে জড়িত।

২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৬

তাহেরা সেহেলী বলেছেন: আপনার মন্তব্যে সম্মানিত বোধ করছি।
ধন্যবাদ জনাব!

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩১

কামাল১৮ বলেছেন: কবরে কিচুক্ষণ পরেই ফেরেস্তা এসে নানান প্রশ্ন করে গুরজু মারে।এসব কি তবে গালগল্প।কোন ভিত্তি নাই।

২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৮

তাহেরা সেহেলী বলেছেন: জীবিত মানুষের বাস্তব জীবনের কথা লিখেছি।
দয়া করে আরও একটু সময় নিয়ে, মনোযোগ দিয়ে পড়বেন জনাব।
ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বাহ্ খুব ভালো হয়েছে লিখাটা ।

আপনার লিখার স্বকীয়তার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি , গল্পের বক্তা তো মৃত তো একদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখলো কী করে হাতের আঙুলে ও কব্জির ধারে মাংস নেই ?

হ্যাঁ যদি একটা বৈচিত্র্য আনতে এই কাজ হয় তবে আমার প্রশ্ন অমূলক হয়ে যায় ।

দারুণ লিখেছেন , চালিয়ে যান পোস্টে লাইক রৈল !!

২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৯

তাহেরা সেহেলী বলেছেন: অনন্ত অসীম কৃতজ্ঞতা জনাব!
উল্লেখিত ব্যক্তিটা জীবিত। এবং বাস্তব ঘটনার অভিজ্ঞতা থেকেই লেখা।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি কি বলতে চেয়েছেন?

২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২২

তাহেরা সেহেলী বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব।
বাস্তব এবং ঘটমান অভিজ্ঞতা থেকে লেখার চেষ্টা করেছি।

না বুঝাতে পারলে আমি ব্যর্থ☹️ আরো একবার পড়ার অনুরোধ করছি।

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭

বিজন রয় বলেছেন: আমিষ যখন মানুষ.............. কথাটার অর্থ বুঝি নাই।

২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৩

তাহেরা সেহেলী বলেছেন: বিজনরয় ধন্যবাদ জনাব।
জানেন তো, যেকোন ভোগ্য যোগ্য গোশতকে আমিষ বলে।
সকল জীব ই কারো না কারো আমিষ। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।

৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৯

নতুন বলেছেন: কিছু মানুষ যখন অন্য মানুষকে খাদ্য হিসেবে দেখে বোঝাতে চেয়েছেন?

বোঝাটা বেশ কস্ট কর । :|

২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৬

তাহেরা সেহেলী বলেছেন: শুধুমাত্র মানুষ না, ইকটু চিন্তা করে দেখুন মানুষ শেষ পর্যন্ত কীট পতঙ্গের আমিষ হয়।
প্রতিটা জীব ই কারো না কারো খোরাক।

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২

নতুন বলেছেন: আসলে দুনিয়ার সবকিছুই গাছের খোরাক মাত্র।

গাছেরাই মানুষ এবং অন্য প্রানীদের পালন করে এবং এই প্রানীগুলি মারা গেলে তাদের নির্জাস গাছেরাই খায়...

আসলে দুনিয়ার আদী বাসী হইলো বৃক্ষরাজী এরাই সব কিছু নিয়ন্ত্রন করে... :|

২৫ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭

তাহেরা সেহেলী বলেছেন: বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে মৃতদেহে ২৪ ঘন্টা পর তার শরীরের ভিতরে এমন পোকার উৎপত্তি হয়, যা পায়ুদ্বার দিয়ে বেরোতে থাকে।

তখন এমন দুর্গন্ধ ছড়ায় যা সহ্য করা অসম্ভব। আর ঐ দুর্গন্ধ পোকার সমগোত্রীয় পোকাদের নিমন্ত্রণ দেয়।
দুর্গন্ধ পেয়ে সমস্ত পোকা-মাকড়, বিছে মানুষের মৃতদেহের দিকে যাত্রা শুরু করে আর সবাই মিলে মানুষের মাংস
খাওয়া শুরু করে দেয়। কবরস্থ করার তিনদিন পরে সবচেয়ে প্রথমে নাকের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে এবং পচন ধরে যায়।

৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৪

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে মৃতদেহকে কবর দেওয়ার ঠিক ২৪ ঘন্টা পর তার শরীরের ভিতরে এমন পোকার উৎপত্তি হয় যা পায়ুদ্বার দিয়ে বেরোতে থাকে।

এটা সম্ভবত ভুল তথ্য। কোন বিজ্ঞানের দৃস্টিতে ঠিক ২৪ ঘন্টা করে পোকার উৎপত্তি হয়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.