![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবি বা লেখক হয়ে অর্থ কামানো আমার জন্য একদম নিষিদ্ধ!!!
তখন বয়স ১০ কি ১২ হবে। আমরা বন্ধুরা মিলে মহাস্থানগড় দেখতে যাব। আমাদের এই ভ্রমণ টা ছিল একটা স্মরনীয় ভ্রমন! আমাদের থেকে একটু বয়সে বড় ছিল চঞ্চল নামে এক ভাইয়া। মুলত উনিই এই ভ্রমণের মুল পরিকল্পনাকারী। যেমন কথা তেমনি কাজ, শুরু হলো অর্থ যোগাড়ের পালা। কি ভাবে আমরা যাব, বাস ভাড়া কিভাবে ম্যানাজ করবো, দুপুরের খাবার ইত্যাদি নিয়ে চল্লো অনেক আলোচনা। এক সময় ঠিক করলাম উপজেলা পরিষদের যত বাল্ব আছে তা সবাই চুরি করে সেটা বিক্রি করে মহাস্থানগড় ভ্রমনে যাব। যেই না ভাবা ঠিক তখনি কাজ শুরু! আমরা প্রথমে যিনি আমাদের এই বাল্ব গুলো কিনবেন সেই দোকানীর সাথে আগে থেকেই কথা ঠিক করে নিলাম, এরপর আমাদের মিশন শুরু হল। আমাদের প্রায় সব বন্ধুদের বাসা ছিল উপজেলা পরিষদ এলাকায়। তাই সন্ধ্যার পর পরই আমরা এই বাল্ব চুরির মহাউৎসবে মেতে উঠতাম। একে একে প্রায় সমস্ত এলাকার বাল্ব চুরি হতে লাগলো। চুরির মাত্রাটা এমন পযার্য়ে গিয়ে দাড়ালো যে আমাদের এক সহযোগী চোর বন্ধু সুমন ওর বাসার বাল্ব পর্যন্ত চুরি হতে রেহাই পেল না! একদিন সুমনের বাসার সামনে আমরা দাড়িযে গল্প করছিলাম, দেখি বাসার নিচে একটা বাল্ব চকচক করছিল, যেদিন ওর বাসার বাল্ব চুরি করবো সেদিন ও আমাদের সাথেই ছিল, ওকে আমরা কি যেনো একটা কাজে বাসা যেতে বললাম, ও বাসায় যাওয়া আর আমাদের কার্য সম্পাদন সর্ম্পুন! যাই হোক এখন আমাদের হাতে প্রচুর বাল্ব! আমরা এইবার সেগুলো নিয়ে ওই দোকানীর কাছে গিয়ে বিক্রি করে সোজা মহাস্থানগড় ভ্রমনে বের হলাম। বাসায় কাউকে না বলে আমাদের জীবনের প্রথম ভ্রমন শুরু হল! মহাস্থান গিয়ে আমরা সবাই এক সাথে থাকতাম কারন কেউ যদি হারিয়ে যাই তবে একা বাড়ী ফিরতে পারবো না। সেই বাল্ব চুরির টাকায় জীবনের প্রথম কোন ঐতিহাসিক স্থান মহাস্থানগড় ঘুরে বাসায় ফিরলাম। যারা গিয়েছিলাম আজও তাদের হৃদয়ে সেই ভ্রমন ইতিহাস হয়েই রয়েছে! সেই ছেলেবেলার বন্ধুরা আমার আজ কত বড় হয়েছে! কেউ দেশে, বিদেশে তাদের নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। হায় রে নানা রংযের দিন, হায় রে আমার ছেলেবেলা! তোকে আর হীরার দামেও ফেরত পাব না!!!
©somewhere in net ltd.