নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেভ দ্যা পেরেন্টস

আমি অনেক কথাই বলতে চাই তার মধ্যে অন্যতম হলো সেভ দ্যা পেরেন্টস। সেভ দ্যা চিলড্রেন এর মতো সেভ দ্যা পেরেন্টস এরও যে প্রয়োজনীয়তা আছে আমি তা 'ই আমার ব্লগের মাধ্যমে বুঝাতে চাই।

নজরুল ইসলাম বিডি

নজরুল ইসলাম বিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৎ কর্মই কেড়ে নিল এক পিতার জীবন।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

স্থানীয় মাদক ব্যবসায় বাধা ও জমির মালিকানা নিয়ে পারিবারিক বিরোধ—এই দুই কারণকে সামনে রেখে সিআইডি'র অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল করিম খান (৬৯) হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অন্যদিকে ফজলুল করিমের মেয়ে ফারজানা করিমের স্বামী চৌধুরী মকিম উদ্দিন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। রামপুরা থানা পুলিশ নিহত ফজলুল করিম খানের গাড়ি চালক লিটনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।



ফজলুল করিম খান কর্মজীবনে যেসব আলোচিত মামলা তদন্ত করেছেন এবং যেসব কুখ্যাত আসামি গ্রেফতার করেছিলেন সেসব বিষয় নিয়েও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। এ তালিকায় প্রথমেই রাখা হয়েছে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের। ডিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, হত্যার সময় খুনিরা হেঁটে এসেছিল। এমনকি তারা পালিয়ে যাওয়ার সময়ও কোন গাড়ি ব্যবহার করেছে বলে জানা যায়নি। এতে ধারণা করা হচ্ছে, খুনিরা স্থানীয় অর্থাত্ রামপুরা এলাকার।



নিহত পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন পশ্চিম রামপুরার ওয়াপদা রোডের বাসিন্দা। রামপুরা মসজিদ কমিটির সভাপতিও ছিলেন তিনি। এজন্য তিনি ওই এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিলেন। মাদকমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা সরবরাহ করেছিলেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। রামপুরার বিভিন্ন অলি-গলিতে জমজমাট মাদক ব্যবসা চলে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়েছিলেন। মাদক ব্যবসায়ী ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্যও সরবরাহ করেছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তার প্রকাশ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ঐ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ফজলুল করিম খানকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামপুরা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই তালিকা মোতাবেক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া নিহত কর্মকর্তার গ্রামের বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধিতাকারী বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ও চাকরিজীবনে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের বিষয়েও খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।



ফজলুল করিমের মেয়ে ফারজানা করিম অভিযোগ করেছেন, গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রামকৃষ্ণদীতে জমি নিয়ে তার বাবার সঙ্গে তার চাচাতো ভাইদের বিরোধ ছিল। এর জের ধরে তার বাবাকে হত্যা করা হতে পারে বলে সন্দেহ করেন তিনি। তবে ফারজানার স্বামী হাইকোর্টের আইনজীবী চৌধুরী মকিম উদ্দিন বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকলেও, সেটাই হত্যার কারণ বলে তিনি মনে করছেন না।



নিহত ফজলুল করিম খান চাকরি জীবনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগে কর্মরত অবস্থায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর মামলা তদন্ত করেছিলেন ও আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি করেন। বিশেষ করে কালিগঞ্জের কুখ্যাত ডাকাত মুকিমগাজী, পুরনো ঢাকার তনাই মোল্লা এবং সিরাজদিখান, লৌহজং, মাওয়া, মেঘনা নদী এলাকার কুখ্যাত অনেক ডাকাত দলকে তিনি কঠোর হস্তে দমন করেন। ১৯৮৮ সালে মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের ওয়াপদা শাখায় সুড়ঙ্গ কেটে ভল্ট ভেঙ্গে প্রায় ৪০ লাখ টাকা লুটের ঘটনাটিও তদন্ত করেছিলেন ফজলুল করিম খান। তিনি তদন্ত করে এই টাকা উদ্ধার ও চুরির সঙ্গে জড়িত ৮ জনকে গ্রেফতার করেন। ঐ বছরে এ্যালিফ্যান্ট রোডে শীতল ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ডাকাতির ঘটনাটিও তিনি তদন্ত করেন এবং ডাকাতদের গ্রেফতার করেন। ২০০৪ সালের ২০ এপ্রিলে তিনি অবসরে যান। এক বছর এলপিআরে থাকার পর তত্কালীন সরকার তাকে আরো এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়। ২০০৫ সালে বারিধারায় সিদ্ধেশ্বরী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সাবেরা বেগম ও তার মেয়ে জবাইয়ের ঘটনাটিও তিনি তদন্ত করেন। ২০০৬ সালে তিনি অবসরে চলে যান। অবসরে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি সিআইডি'র এডিশনাল এসপি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।



বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিম রামপুরার ৭৫/২, বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসীরা স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফজলুল করিম খানকে গুলি করে হত্যা করে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.