নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব সেবাই প্রকৃত ধর্ম

আসাদবেস্ট

মানুষের উপকার করার মধ্যেই প্রকৃত সার্থকতা নিহীত

আসাদবেস্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

পানির অপচয় রোধ করি : বৈশ্বিক পানি সঙ্কট নিরসনে নিজের অবস্থান থেকে অবদান রাখি

১১ ই মে, ২০২০ রাত ৩:৫০

নিচের বালতিটি ৩০ লিটার পানি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন। পরীক্ষা করে দেখলাম একবার ট্যাপ ছেড়ে ওযু করতে গেলে প্রায় এক তৃতীয়াংশের একটু কম বা প্রায় ৮ লিটার পানির প্রয়োজন হয়। সে হিসাবে দৈনিক ৫ বারে ৪০ লিটার পানির প্রয়োজন হচ্ছে। সেই হিসেবে ৫ জনের একটি পরিবারে দিনে একবারেই লাগে ২০০ লিটার পানি।

আবার নিচের মগটি ১.৫ লিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। ট্যাপ না ছেড়ে এক মগ পানি নিয়ে মোটামুটি ওযু সম্পন্ন হয়ে যায়। সে হিসেবে ৫ জনের পরিবারে দৈনিক পানি লাগবে মাত্র ৩৭.৫লিটার। তাহলে শুধু এক পরিবারই দৈনিক ১৬২ লিটার পানির অপচয় রোধ করলো।

আবার করোনা প্রতিরোধে বারবার ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধৌত করতে উপদেশ দেয়া হয়েছে। এবার আপনি ট্যাপ ছেড়ে ২০ সেকন্ড ধরে হাত ধৌত করলে আপনার লাগবে ২-৫ লিটার পানি। এ প্রক্রিয়ায় বার বার হাত ধৌত করলে আপনার দৈনিক প্রয়োজন হবে প্রায় ২০-৩০ লিটার পানি। সেই হিসেবে ৫ জনের একটি পরিবারে দৈনিক প্রয়োজন প্রায় ১০০ লিটার পানি। কিন্তু আপনি হাত ধৌত করা বন্ধ করতে পারবেন না, কেননা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে হাত ধৌত করার বিকল্প নেই।

একজন সচেতন ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে ২০ সেকেণ্ড ধরে হাত ধৌত করার সময় পানির ট্যাপ বন্ধ রাখুন। আবার ওযু করার সময় ট্যাপ না ছেড়ে মগ বা বালতি থেকে পানি নিয়ে ওযু করুন। তাহলে আপনার পরিবারই শুধু ওযু এবং হাত ধৌত করার সময় প্রায় ২০০ লিটার পানির অপচয় রোধ করতে পারবে।

হাদীসে পানির অপচয় সম্পর্কে কঠোরভাবে হুশিয়ারী করা হয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, এক লোক বললেন, ওযুতে আমি কতটুকু পানি খরচ করতে পারি? তিনি উত্তরে বললেন, এক মুদ্দ (আধুনিক হিসাবে প্রায় ১ লিটার) সমপরিমাণ । তিনি আবার বললেন গোসলের জন্য কি পরিমাণ পানি ব্যবহার করতে পারি? তিনি উত্তরে বললেন, এক‘সা পরিমান (প্রায় ৪ লিটার )। লোকটি তখন বলল, এতটুকু আমার জন্য যথেষ্ঠ নয়। একথা শুনে তিনি (তাকে সর্তকতামূলক তিরস্কার করে) বললেন, তোমার চেয়ে উত্তম যিনি, (রাসুল ﷺ ) তার জন্য এতটুকু পানি যথেষ্ট ছিল। (মুসনাদে আহমদ হাদিস নং ২৬৩২)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল ‘আস (রা) থেকে বর্ণিত, নবী ﷺ একবার সা’আদ (রা) এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি ওযু করছিলেন। রাসুল ﷺ বললেন, সা’আদ এ কি অপচয় করছ? তিনি বললেন, ওযুতে কি অপচয় হয়? রাসুল ﷺ বললেন, হ্যা, হয়। এমনকি তুমি প্রবাহমান নদীর পাশে বসে করলেও। (মুসনাদে আহমদ হাদিস নং ৭০৮৩)।

আসুন আমরা পানির অপচয় রোধ করে বিশ্বব্যাপী আসন্ন পানির সঙ্কট নিরসনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যতটুকু পারি অবদান রাখি।
আর যদি তা করতে সক্ষম না হই তাহলে তৃতীয় ছবির মতো একদিন যখন অনেক দূর থেকে পানি নিয়ে আসার প্রয়োজন পড়বে তখন ঠিকই আমরা প্রতিটি ফোটা পানির মূল্য দিবো!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:২৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পানির অপর নাম জীবন। অপচয় রোধ করা দরকার ।

২| ১১ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু পানি না। সকল খাদ্যের অপরচয় বন্ধ করতে হবে।
আমি কোনো কিছুর অপচয় করি না।

৩| ১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

নতুন বলেছেন: পানি আমাদের দেশে সহজ লভ্য বলে আমরা বুঝিনা।

খাদ্যের অপচয়ও আরেকটা জিনিস সমাজে অনেকেই করছে।

একদানা চাল উতপাদনে কত কস্ট, সময়, টাকা খরচ হয়? আমরা প্রতি বার খাবার সময়ই কিছু ভাত অনেকে ফেলে দেয়। নিজে কেনার সামথ` থাকলেই নস্ট করার অধিকার নেই। আমি নস্ট না করে কম কিনলে অন্যে সেটা কিনে নিতে পারতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.