নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেনিআসহকলা

সবাইকে শুভেচ্ছা।

শফিক আলম

মানুষকে বিশ্বাস করতে চাই এবং বিশ্বাস রেখেই কাজ করতে চাই।বাস্তবের ভিতরে বসবাস করতে ভালবাসি। কল্পনা করতে ভাল লাগে, কিন্তু বাস্তবকে ভুলে নয়। সততা বলতে আংশিক বুঝি না, পুরোটাই বুঝতে চাই। প্রকৃতির মাঝে শান্তি এবং স্বস্তি দু\\\'টোই খুজে পাই। নারীর প্রতি আকর্ষন আছে তবে উন্মাদনা নেই। বয়সকে অনেক ক্ষেত্রেই বাধা মনে করি না। লিখতে ভালবাসি, কবিতা-গল্প, যা কিছু। চারটে বই প্রকাশ করেছি নিজ উদ্যোগে। প্রতিভা নেই, শখ আছে। অনেক কিছুই করতে ইচ্ছে করে, পারি না কেন বুঝি না।

শফিক আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরতালকে আমরা এখনও কেন হরতাল বলি!

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

হরতালকে আমরা কেন এখনও হরতাল বলি? বিশেষ করে রাজনীতিবিদেরা? হলতাল হচ্ছে জনগনের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহনে সবকিছু বন্ধ রাখা অথবা ব্যক্তিস্বাধীনতা বিবেচনায় যার খুশি বন্ধ রাখবেন, যা আমরা সবাই কম-বেশি জানি। কিন্তু হরতালে জ্বালাও-পোড়াও, ভাংচুর, মানুষ হত্যা এসব আসলো কি করে! যদি কেউ বলে এসব হরতালের অংশ তা'হলে বলবো তিনি জ্ঞানপাপী অথবা সুযোগ সন্ধানী এবং হরতালের নামে, সোজা কথায়, সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। হরতাল একটি সংবিধানিক অধিকার এবং তার একটি certain definition আছে। কিন্তু সন্ত্রাস হচ্ছে একটি বেআইনি কর্মকান্ড এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং তারও একটি certain definition আছে। "যে কর্মকান্ড সাধারন মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধন করে অথবা ক্ষতিসাধন করতে উদ্যত হয়, এমনকি সাধারন মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করে, তাই সন্ত্রা।" তাই যদি হয় তা'হলে আমরা কি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি না? এইসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আমাদের প্রতিদিনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যহত করছে, ভীতিসংকুল করে তুলছে। যে কোনও সভ্য রাষ্ট্র জনগনের জানমালের নিরাপত্তা বিবেচনায় এইসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সমুলেই উৎপাটন করবে সন্দেহ নেই এবং আমাদেরও তাই করা উচিত। কিন্তু আমরা ব্যর্থ হচ্ছি সাংবিধানিক অধিকারের দোহাই দিয়ে। কোন রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠি এখন আমাদের দেশে আর হরতালের ঘোষনা না দিয়ে সরাসরি বললেই পারে, 'দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ....দিন জ্বালাও-পোড়াও এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হবে।' একটি সাংবিধানিক অধিকারকে পুঁজি করে কোন রাজনৈতিক দলের অধিকার নেই স্বার্থ হাসিলের জন্য সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার। এরপরও যদি তারা বিরত হতে না চায়, তা'হলে সংবিধান থেকে হরতাল বাতিল করা হোক। কারন এখন আমরা ধরে নিতে পারি 'হরতাল' তার স্বাভাবিক/প্রকৃত অর্থ/গঠন (natural form) হারিয়েছে। কোন বস্তু বা বিধান যদি তার নিজস্ব গুনাগুন বর্জিত হয়ে ভিন্ন চরিত্র ধারন করে তখন আর তাকে পূর্বের নামে ডাকা যায় না। এই ব্যাপারটিতে যত তারাতারি দৃষ্টি দেওয়া যাবে ততই আমাদের মঙ্গল। নইলে আমরা জীবনের কঠিন হিসাব দিনের পর দিন গুনতেই থাকবো এবং খেলতে খেলতে একদিন আমরা অন্ধকারে হারিয়ে যাবো। আমরা আমাদের এই দেশে এক জাতি হয়েও এ পর্যন্ত যে ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংগঠিত হতে দেখেছি বা দেখছি তা সম্ভবতঃ আফ্রিকার বিভিন্ন উপজাতি বা গোষ্ঠির মধ্যে সহিংস সন্ত্রাসকেও হার মানাবে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২

মোঃ নাহিদ শামস্‌ বলেছেন: আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। আমি নিজেও এই বিষয় নিয়ে একটি লেখা লিখেছিলাম, যেখানে আমি হরতালের সংজ্ঞা তুলে ধরেছি এবং আমাদের দেশে হরতাল বলতে আসলে কি বোঝানো হয় সেটি বিশ্লেষণ করেছি।
হরতাল ধীরে ধীরে একটি সংবিধান স্বীকৃত সন্ত্রাসে পরিণত হচ্ছে। এ দেশে আসলেই কেউ স্বেচ্ছায় হরতাল পালন করে না। জনগণকে একরকম জোর করেই হরতাল পালন করানো হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমার প্রস্তাব হচ্ছে- তাঁরা নিজেরাই হরতাল পালন করুক! কাজ না করে ঘরে বসে থাকুক! খামোকা সাধারণ মানুষকে এর মধ্যে টানছে কেন! আমরা এসবের সাতেও নেই, পাঁচেও নেই!

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

শফিক আলম বলেছেন: ধন্যবাদ সহমতের জন্য। হরতাল ধীরে ধীরে একটি সংবিধান স্বীকৃত সন্ত্রাসে পরিণত হচ্ছে, সন্দেহ নেই। এ ব্যাপারে আমাদের সবারই সোচ্চার হওয়া উচিত।

৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন:
হরতাল মানে শনিবার সন্ধ্যার পর গাড়ি ভাংচুর আর রবিবার রাস্তায় আতংকিত মানুষের অফিস এবং বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে গমন । পিকেটাররা সম্ভবতঃ হিজরী সিস্টেমের দিন-রাতের হিসাব ফলো করে ।

৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

এন ইউ এমিল বলেছেন: হলতাল হচ্ছে জনগনের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহনে সবকিছু বন্ধ রাখা অথবা ব্যক্তিস্বাধীনতা বিবেচনায় যার খুশি বন্ধ রাখবেন

হরতালের ডেফিনেশন এমন আমিতো একেবারেই জানতাম না, :( :( :(

৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

শফিক আলম বলেছেন: হরতাল ডাকা হলে যদি দেখা যায় ব্যাপক ভাবে দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে বা কেউ গাড়ি বের করেনি রাস্তায়, তা'হলে ধরে নিতে হবে হরতাল সফল হয়েছে। আর তা যদি না হয় তা'হলে ধরে নিতে হবে হরতাল সফল হয় নি বা আংশিক সফল হয়েছে। অর্থাৎ জনগন হরতালের উদ্দেশ্যের সঙ্গে একমত কিংবা একমত নয়। তবে এখানে কোন জবরদস্তি থাকবে না। কারন হরতাল পালন করা না করা আমার ব্যক্তিস্বাধীনতার ব্যাপার। কারন 'আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো' এটা যদি সত্য হয়, তা'হলে হরতাল পালন করা না করাও আমার অধিকার। এটাই গনতন্ত্র। তাই নয় কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.