![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেঁচে থাকার চেষ্টায় ব্যস্ত আছি.......
মধ্যরাতের সাদা সাদা নরম জোছনা নিজের জায়গা নিয়ে ঝগড়া শুরু করেছে নিয়ন লাম্প পোস্টের হলুদ আলোর সাথে । মানুষের মুগ্ধতা কাড়ার প্রতিযোগিতায় লাম্পপোস্ট সবসময়েই পিছনের সারির একজন , কিন্তু তার এলাকায় পথের বুকটা সে একাই দখল করে রাখে । আর জোছনা, এমনকি শেষমেশ পড়ে থাকা ধুলোবালির স্পর্শও চায় প্রবলভাবে । আমি দুটি অহংকারি আলোর মিলমিশ যুদ্ধ দেখি অতি সন্তর্পণে । তাই যখন কেউ আমার পাশে এসে দাঁড়ায় আমি খেয়ালও করি না । হঠাৎ পাশে তাকিয়ে চমকে উঠে বলি, তুমি কে? সারা শরীরে অসংখ্য দুর্বোধ্য শব্দের জোড়াতালি দেওয়া একজন, খুব খেয়াল করে তাকানোর পরেও যার কোনও শব্দই ধরা যায় না, অদ্ভুত এক ঘোর লাগা কণ্ঠস্বরে সে বলে, আমি ভালোবাসার গল্প ।
পূর্বকথা অথবা আমার পরিচয়
আমি কলম । শুধু একটুকু বললে আমার পরিচয় অসম্পূর্ণ থেকে যায় । আমি লেখক আদনান শাহরিয়ারের কলম । হয়তো আপনারা তার নাম শুনেছেন অথবা শুনেননি । তারপরেও আমি একজনের লেখকের কলম হতে পেরে গর্বিত । যদিও আজকাল সেই গর্ব অনেকখানিই ম্লান । বেশ অনেকদিন যাবত লেখক সাহেব কিছু লিখতে পারছেন না । তিনি খাতা নিয়ে বসেন, কিছুক্ষণ কাগজে কলম ঘষাঘষি করেন তারপর মাথা নিচু করে বসে থাকেন দীর্ঘক্ষণ । তিনি কিছু লিখতে পারেন না, একেবারেই পারেন না । বাহিরে তিনি বলছেন, বড় লিখা আসছে কিন্তু ঘরে এসে নিস্ফল আক্রোশে পাতার পর পাতা ছিঁড়ে যাচ্ছেন , আর আমাকে ছুড়ে মারছেন অনেক দূরে । কোনোদিন নিজেকে সামলাতে না পেরে খারাপ ব্যবহার করছেন সবার সাথে, কখনও হাঁটাহাঁটি করে নির্ঘুম কাটিয়ে দিচ্ছেন সারাটা সময়। বিড়বিড় করে কি যেনও বলেন নিজের সাথেই। কিছুটা পাগলামি, কিছুটা আত্মহত্যা প্রবণতা দেখে কেমন ভয় লাগে আজকাল। আজও দীর্ঘক্ষণ চুপচাপ কাগজ নিয়ে বসে থাকার পর হঠাৎ করেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন তিনি । তারপর কি এক বিষণ্ণতায় দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঘুমিয়ে পড়লেন টেবিলের উপরেই । তা দেখে কি যে কষ্ট হলো আমার তা বলার নেই । হাসছেন ?? কলমের আর কি কষ্ট ভেবে ?? লেখক মাত্রই জানেন তার কলম আসলে কতটা সংবেদনশীল । আমি রাস্তায় নেমে আসি । খুঁজে খুঁজে দেখবো আজ সারারাত । কোনও পথ মানুষের কাঁথার তলায় কিংবা হাওয়াহীন দুর্গম গলিতে কোনও অবহেলিত গল্প পড়ে রয় !
অতঃপর ভালোবাসার গল্প
বহুকাল পর দেখা পাওয়া বনলতা সেনের মতো অন্ধকার আমার গভীরে । ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর পদক্ষেপ পিছন ফেলে দেয় চেনা পথের শেষ চিহ্নগুলোও । আমার পাশে চুপচাপ হেঁটে যাচ্ছে , ভালোবাসার গল্প । আমি তার দিকে তাকিয়ে বলি, কই আমাকে গল্প দিবে না?? সে হাসে, বলে চাইছ না তো । আমি তো তোমার জন্যই পথে নেমে আসেছি এক তারা ঝরা কালের পর । আমি বলি, তাই বুঝি ?? আমার অন্তর্গত আবেগ আদ্র হয় । সে বলে, হ্যাঁ তাই , আমার জন্ম হয় সময়ের দায়ভারে । তারপর অপেক্ষা করি একদিন কারও মাঝে বিলীন হবার । ভালোবাসার গল্প আমার দিকে তাকায়, তারপর যেনও ডিমের সাদার মতো উজ্জ্বল কণ্ঠে বলল , আমি জড়িয়ে যাবো তোমার পরোতে পরোতে । আমিও সমুদ্রস্বরে বলি, তবে তাই হোক । এইবার ম্লান হেসে ভালোবাসার গল্প বলে, কিন্তু মনে রেখো তোমাকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে গল্পের শেষে । আমি তখন মুক্তির নেশায় বুঁদ, বলি, দিবো । তুমি শুরু করো । ভালোবাসার গল্প আমার শরীরে হেলান দেয় , প্রথম শব্দটি অপূর্ব কোমলতায় ঝরে যায় তার আবছায়া আবয়ব থেকে ।
গল্পের শুরু
“এই পাড়ার চৌকিদারকে চেনো ?? হ্যা চেনো নিশ্চয়ই । না চেনার কথা নয়, তার তো অনেক সুনাম । রোগা পাতলা হলে কি হবে বড় ভয়ঙ্কর তার সাহস । তার বাঁশির আওয়াজ পড়ার পর কোনও চোর কিংবা হাইজ্যাকার পালাতে পেরেছে এমন রেকর্ড নেই । তার ভয়ে গত ১৩ বছর এই পাড়ায় কোনও অঘটন হয়নি রাতের বেলা । তার বাঁশির আওয়াজ শুনে নিশ্চিন্তে ঘুমায় মানুষ” । আমি অবাক হয়ে ভালো বাসার গল্পের দিকে তাকাই । একেকটা লাইন ঝরে যাচ্ছে আর যেনও সে শিশিরের গায়ে প্রথম রোদের মতো মেলে দিচ্ছে ডানা । ভালোবাসার গল্প হঠাৎ থেমে যায় । রাস্তা থেকে এক টুকরো জোনাকি নিয়ে বলে, এইভাবে আমাকে দেখো না । আমি বললাম, কেনও ?? সে বলে, যত আমাকে জানবে দেখবে তোমার পরীক্ষা তত কঠিন হবে ।
২
“চৌকিদার এতো সাহসি কিন্তু ভীষণ একা । সারা রাত ক্লান্তিকর আর একঘেয়ে হেঁটে বেড়ানোর পর রোজ ভোরে এক বেঞ্চের উপর শুয়ে পড়ার তার মনে হতো বহুদূরে রেখে আসা এক মেয়ের কথা । অনেককাল আগেই হারিয়ে গেছে সে হারিয়ে যাওয়ার নিয়মে। আর কষ্ট পোষার নিয়মে সে থেকে গেছে বুকের খুব গহীনে । তারপরে ঘুম ভাঙ্গার পর কিংবা গভীর রাতে বের হবার আগে চৌকিদারের মনে হতো কেউ যদি অপেক্ষায় থাকতো তার । কি বিস্ময় ! আমরা সবাই জানি আমরা সবাই একা তবুও অপেক্ষা করি সেই একাকীত্বর নির্বাসনের যাবার “ । ঘুরে ঘুরে আবার ফিরে আসি সেই নিয়ন বাতিটার কাছে । জোছনা বুঝি তার অধিকার হারিয়ে হলুদ আলোর গা ঘেঁসে শুয়ে পড়েছে এখানে । আমি কান পাতি কোনও রাত জাগা পাখির ডাক শুনবো বলে । ভালোবাসার গল্প তখনও বলে চলেছে, “ হঠাৎ একদিন এই পাড়ায় এক নতুন মেয়ে আসলো । শ্যামবর্ণ , চুপচাপ মেয়েটি নিন্মবিত্তর ক্লান্তি টেনে রাখে চোখের কোণায় । থমকে দাঁড়ায় চৌকিদার । তার নির্লজ্জ পা আটকে থাকে । কোথায় যেনও বহুদিন আগের এক চাপা বেদনার ঘ্রান আবার জেগে ওঠে । অমন চেয়ে থাকতে দেখে মেয়েটা ভয় পেয়ে যায় । চলে যায় ঘরের ভিতর । চৌকিদার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে তার পথ ধরে” । আমি কোনও পাখির ডাক শুনতে পাই না । আশ্চর্য এই শহরে কি কোনও রাত জাগা পাখি নেই ??
৩
তোমার গল্পের শুরুটা সুন্দর, বলি আমি , নিঃসঙ্গ এক চৌকিদার এক রহস্যময় নারী , তারপর ??
আমরা হেঁটে চলেছি নিঃশব্দের সীমানা পেরিয়ে । কোনও ধুলোকনাও বুঝি জেনে গেছে হাওয়ার দলে ভেসে যাওয়া ছাড়া কারও কোথাও কোনও গতিপথ নেই । দীর্ঘশ্বাস জেনে গেছে এই ঘুমন্ত শহর পিছনে ফিরে তাকাতে জানে না । “ চৌকিদার মাঝে মাঝেই উঠোনের সামনে এসে দাঁড়ায় । স্রেফ তাকিয়ে থাকা অথবা এক ঝলক যদি তার দেখা পাই তারই অপেক্ষা । হয়তো এই নির্বিষ চেয়ে থাকার কারনেই একদিন মেয়েটার ভয় ভাঙ্গল । তারও পরের একদিন সে চৌকিদারকে ডেকে বলে, কিছু বলবেন?? চৌকিদারের গলা শুকিয়ে যায় । কোনোদিন তো ভাবেনি কি বলবে! শেষমেশ বলে, পানি খাবো । মেয়েটা পানি এনে দেয় । তারপরের দিন আবার । তারপরের পরের দিনটিও তাই । এক গ্লাস পানি পান করতে আসা একজন চৌকিদার আর পানির গ্লাস হাতে এক অবুঝ মেয়ে” । ভালোবাসার গল্প থেমে নিঃশ্বাস নেয় । আমি এসে বসি ঘাসের উপর । একমনে যে ঘাস ছায়াপথ পাড়ি দিবে বলে লুকিয়ে রাখে ঘাসফুল, তার প্রিয়তম গুপ্তধন । “ অথচ চৌকিদার মেয়েটাকে কত কিছুই না বলতে চায় । সেই যে একবার স্রেফ বাঁশি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরেছিল নন্দু চোরার উপরে কিংবা প্রতিটা রাতে দেওয়ালের ওপাশে জমে থাকা গোপনতম কল্পকথা । অথবা একদিন কোনওকিছু মুঠোয় না পুরে বহুদূর হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন । কিন্তু তার সামনে আসলে শুধু পানি ছাড়া আর কিছুই বলতে পারে না । মেয়েটাও তো জিজ্ঞেস করতে পারতো কিছু । কিন্তু সেও যেনও অপেক্ষায় আছে । একদিন সাহস করে চৌকিদার জিজ্ঞেস করেই বসলো, বাসায় কেউ নাই?? মেয়েটি মাথা না তুলেই জবাব দিলো, আমার স্বামী ঘুমায় । থমকে গেলো চৌকিদার” ।
৪
থমকে গেলাম আমিও । চোখ না ফেরানো সৌন্দর্য নিয়ে বসে আছে ভালোবাসার গল্প । একটু আগের ধূসর সেই গল্পটিকে এখন মধ্যযৌবনা শব্দস্রোত । আমার বুকের ভিতর খাঁ খাঁ করে ওঠে । সব ভালোবাসার গভীরতায় এতো বেশি হাহাকার কেনও থাকে?? আচ্ছা চৌকিদারও কি অনুভব করেছিলো সেই প্রবিনতম অনুভূতি ?? ভালোবাসার গল্পকে বলতেই সে বলল, “হ্যাঁ করেছিলো । আর তাইতো সে চারদিন আর ওইমুখো হয়নি । কি আশ্চর্য ! চারদিন পর যখন সবকিছু তুচ্ছ জ্ঞান করে আবার ফিরে এলো সেই পথে, মেয়েটি প্রথমবারের মতো খুব নরম সুরে জিজ্ঞেস করলো, এই কয়দিন কই ছিলেন ?? আহ মেয়েটা যদি জানতো এমন প্রশ্নেও কতটা বদলায় ঝড়ের গতিপথ । তারপর আবার সেই সেই পুরনো নিয়ম । এক তৃষ্ণার্ত চৌকিদার যার প্রকৃত তৃষ্ণা গুমরে যায় বোবা শব্দে আর একজন পানি হাতে অপেক্ষা করা নারী যার অপেক্ষা কিসের তা জানাই হয়না কোনও শব্দগুচ্ছের । তবুও দুটি দৃষ্টি এক হয় , তবুও কিছুক্ষণ অবসর মেলে সব না পাওয়া থেকে পালাবার । একদিন চৌকিদার কই থেকে যেনও একটা শিউলি ফুলের মালা নিয়ে আসলো । দেখেই ভয়ে দৌড় দিলো মেয়েটি । বিস্মিত চৌকিদার দীর্ঘ অপেক্ষার পর ফেলে দিলো ঝরা তারার মতো নিস্পাপ মালাখানি” ।
৫
“পরের দিন মেয়েকে পানির গ্লাস হাতে অপেক্ষা করতে দেখে অবাক হয় চৌকিদার । এর আগে কখনও আগেই অপেক্ষা করতে দেখেনি সে মেয়েটিকে । মেয়েটি জিজ্ঞেস করে, কাল আপনি ফুল এনেছিলেন কেনও ?
- আপনি প্রতিদিন আমাকে পানি পান করান, তাই ভেবেছিলাম আপনাকে কিছু দেই ।
- আমি ভয় পেয়েছিলাম ।
- কেনও ??
- এর আগে কেউ আমাকে কখনও কিছু দেয়নি তো !
অতঃপর নীরবতা । হয়তো অনেক কিছুই বলার ছিল অথবা কোনও কিছুই বলার ছিল না । আবার মেয়েটিই বলে, কি করলেন সেই ফুলগুলা ?? চৌকিদার বলল, ফেলে দিয়েছি । শুনে একটু কি মন খারাপ হলো মেয়েটার” ?? মন খারাপ তো হলো আমার । এই বুক উদাস শেষ রাতের ঠাণ্ডা বাতাস , হইচইয়ের তলানিতে জমে থাকা নিখাদ নীরবতা আর পাশে এই জীবনের শ্রেষ্ঠতম গল্প । এমন রাত আর কি আসবে এই জীবনে ?? আমার কেবলই কান্না পায় । “ সারাদিন কোনও কিছুতে মন বসে না চৌকিদারের । কেবলই মনে হয় একটুকি মন খারাপ হয়েছিলো মেয়েটার ?? যদি নাই হয় তবে কেনও ম্লান হল তার মুখ ?? একসময় রাত আসে । কাজে নেমে পড়ে চৌকিদার । তার শেষ রাতের বাঁশির শব্দে নিশ্চিন্তে ঘুমায় মানুষ । হঠাৎ ঘুম ঘুম চোখে, যখন ফিকে হয়ে নেমে এসেছে রাতের পর্দা, চৌকিদার আবিষ্কার করে একজন মানুষ খুব সন্তর্পণে চুরি করতে যাচ্ছে কোথাও । চৌকিদার এগিয়ে যায় । হঠাৎ লাম্প পোস্টের আলোয় সে আবিষ্কার করে লোকটার মুখ। সেই মেয়েটির স্বামী । থমকে যায় চৌকিদার” ।
৬
জিজ্ঞাসা করি, তারপর ?? ভালোবাসার গল্প সামনে ইঙ্গিত করে । আমি তাকাই । দেখি, চৌকিদার স্থির দাঁড়িয়ে আছে আর তার সামনে খুব সন্তর্পণে স্থির সেই চোর । আমি আশেপাশে তাকাই অবাক হয়ে । সবকিছুই আসলে থমকে আছে , ক্ষণিকের জন্য থেমে আছে মহাকাল । ভালোবাসার গল্প আমার দিকে তাকায়, বলে, বিদায় দাও । আমি বলি, কেনও??
- এই গল্পের শেষ লাইন বলার পরেই তো আমি হারিয়ে যাবো । আমার স্থান হবে তোমার লেখকের খাতায় ।
- তা হোক , কিন্তু তুমি কেনও আমার সাথে থাকবে না ?
- থাকবো না কারন অসমাপ্ত গল্পই শুধু কারও ব্যক্তিগত সম্পদ হতে পারে । থাকবো না কারন গল্প শেষ হলে সে আর কারও একার থাকে না , সে সকলের হয়ে যায় ।
- যদি না হতে দেই ??
- তাহলে গল্পের শেষ লাইন তুমি শুনতে পারবে না ।
- কেনও??
- এটাই নিয়ম । হয় তোমাকে শেষ লাইন শুনে লেখকের কাছে ফিরে যেতে হবে নয়তো এই অসমাপ্ত গল্পকে নিয়ে এভাবেই ঘুরতে হবে পথে কিংবা প্রান্তরে ।
- আর কোনও পথ নেই ??
- না এটাই আমাদের জীবনচক্র । সব গল্পের একি পরিণতি । এর বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই ।
৭
প্রচণ্ড কষ্টে আমার সবকিছু নিঃসাড় হয়ে যেতে চায় । কেনও আমি এই গল্প শুনতে এলাম । কেনও এতো এভাবে সব বেঁধে যায় নিয়মের কাঁটাতারে ? ভালোবাসার গল্প আমার দিক তাকিয়ে নরম হাসে, বলে, বলেছিলাম না গল্পের শেষে কঠিন একটা পরীক্ষা দিতে হবে ?? আমি দেখি ফ্যাকাসে একটা চাঁদ ঝুলে আছে বুড়ো আকাশে, স্থির বাতাসে কিছু ধুলকনা এখনও নিজেকে খুঁজে বেড়ায় , শেষ প্রহরের পবিত্রতা তারাদের অস্ফুট আলোয়, সামনে দাঁড়ানো এক নিঃসঙ্গ চৌকিদার আর ভীরু পায়ের চোর, তারপরেও মনে হয় আমার মতো একা কেউ নেই এই চরাচরে, এতো একা কেউ ছিলও না কোনওকালে ।
উপসংহার
১
আদনান শাহরিয়ার লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নামলেন । এইমাত্র ঘুমের ঘরে এক অসাধারন গল্পের আইডিয়া এসেছে মাথায় । এক নিঃসঙ্গ চৌকিদারের সাথে এক চোরের বউ এর বিচিত্র সম্পর্ক নিয়ে কাহিনি । শরীরটা কোনোমতে চেয়ারের উপরে রেখেই টেনে নিলেন কাগজ আর কলম । কলমের ক্লান্তি আর সব হারানোর অবয়ব চোখেই পড়লো না তার । একটানে লিখে যেতে শুরু করলেন পাতার পর পাতা । লিখার আনন্দে তিনি বিভোর । এই জগতে যেনও আর কেউ নেই, কিছু নেই । আবার লিখতে পারার আনন্দ আর কোনও কিছুতে নেই । কাগজের উপর কলমের খসখসে শব্দ রোমাঞ্চ জাগাচ্ছে শরীরের শিরা উপশিরায় । আহ বেঁচে থাকা এতো আনন্দের !
২
সেই চৌকিদারের গল্প ছাপা হয়েছে অনেক জায়গায় । গল্পের জীবনচক্র অনুসারে তা পৌঁছে গেছে পাঠকের কাছে । আর আমি, সেই পুরনো কলম, কালি ফুরাবার পর পড়ে আছি এক ঠাণ্ডা ভেজা স্যাঁতসেঁতে আলোছায়ায় । কখনও ক্ষীণ ধুলোকে আশ্রয় দিয়ে, কখনও মাকড়শার জালে নিজেকে বেঁধে অপেক্ষা করি একদিন গলে যাবো বলে । মাঝে মাঝে লেখকের কথা মনে পড়ে । একদিন তার যে আনন্দের সাথী হয়েছিলাম সে কথা ভাবলেই অদ্ভুত তৃপ্তিময় মনে হয় এই জীবন । কখনও কখনও সে ভালোবাসার গল্পের কথাও ভাবি । গল্পচক্রের নিয়মে আমাদের আর দেখা হয়নি কোনোদিন । তবুও তার কথা মনে পড়লে নিজেকে পালিয়ে নিয়ে বেড়াই । তীব্র বিষণ্ণতায় অসংলগ্ন ভাবনাগুলো খুঁজে বের করে ঠিক ভুলের অবশেষ ! অনেককিছু পাওয়ার জন্য একদিন যাদের হারিয়ে যেতে দেই , সব পাওয়ার পর সেইসব হারিয়ে যাওয়ার জন্যই মন পোড়ায় কেনও কে জানে !
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আমার নিজেরও এই লাইনগুলো অনেক পছন্দ হয়েছে । অনেক ধন্যবাদ জানবেন আর কৃতজ্ঞতা পাঠের জন্য !
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সিরিয়াসলি ভিন্নধর্মী !
আপনার উপস্থাপনা আর লেখনী ভিন্নমাত্রা দিয়েছে !
এমন পোষ্ট কয়েকবার পড়ার নিয়ম !
ফ্রি হয়ে আবার আসবো !
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: তাই?? অনেক ভালো লাগছে আপনার মন্তব্য পড়ে । গ্রহনযোগ্যতার মূল্যই আলাদা । ভালো থাকবেন । ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা !
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: বিস্ময়ে আবারও মুগ্ধ হলাম, প্রিয় শাহরিয়ারের গল্প পড়ে । ছোট্ট সরল একটা গল্প- কিন্তু কি চমৎকার তার প্রকাশভঙ্গি !! কখনো গল্পকারের অন্তর্গত ভাবনারাশি, কখনো গল্প লেখার কলমের আত্মকথন এবং সব কিছুর মুলে এক নিঃসঙ্গ চৌকিদারের সাথে এক চোরের বউ এর বিচিত্র প্রেম-রসায়ন ।
মুগ্ধপাঠ! অবাক ভাললাগা!
+++
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ছোট্ট কথাতেও কি চমৎকার প্রকাশভঙ্গী ! ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাইয়া । আপনাদের উৎসাহের কারণেই লিখার সাহস পাচ্ছি !
৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪০
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: সত্যি চমৎকার লিখেছেন!!!!!!!!!!!!!!!
মুগ্ধপাঠ!!!!!!!!
প্রিয়তে........
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ । প্রিয়তে নেওয়ায় কৃতজ্ঞতা । চেষ্টা করেছি কিছু আলাদা করা যায় কিনা ! ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগছে আমারও !
৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অসাধারণ প্রকাশভঙ্গি। মুগ্ধ হলাম লেখক।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৯
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ । অনেক শুভেচ্ছা জানবেন !
৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: কেউ ভাল লেখে, কেউ অসাধারন; আবার কেউ অদ্ভুত লেখে, মাঝেমাঝে কেউ চমৎকার লেখে, কিন্তু আপনার এই লেখাটা ও আগে একটা লেখা পড়েছিলাম; এগুলো পড়ে মনে হয়েছে আপনি "জাদুকরী লেখা লেখেন"। লেখার মাধ্যমে যে কয়জন ব্লগার সম্মোহিত করে আপনি তাদের একজন। জাদুকরী লেখা, সত্যি!!
আপনার কি কোন গল্পের বই বা উপন্যাস বের হয়েছে ?
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২১
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: না ভাই । এতদিন বন্ধুদের জন্য লিখতাম , ওদের উৎসাহেই সাহস করে গত মাস থেকে ব্লগে লিখা শুরু করেছি । বই বের করার সাহস এখনও করে উঠিনি।
যত প্রশংসা করেছেন আমি তার কতটুকু যোগ্য জানি না কিন্তু আপনার মন্তব্য নিশ্চয়ই আমাকে অনুপ্রানিত করেছে, বাড়িয়ে দিয়েছে দায়িত্ববোধ ।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন । ভালো থাকবেন ।
৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভিন্নধর্মী উপস্থাপনা !
মুগ্ধপাঠ!
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: চেষ্টা করেছি একটু আলাদা করার । ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে । ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা । ভালো থাকবেন !
৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভিন্নধর্মী উপস্থাপনাটা অনেক ভালো লাগল। খুব চমৎকার লিখেছেন।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া । পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা । ভালো থাকবেন এবং দোয়া করবেন ।
৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চমৎকার লেখনী ! প্রিয়তে নিলাম এবং ফেসবুকে শেয়ার দিলাম ।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনারা এইভাবে গ্রহন করছেন বলেই আমি লিখার সাহস করছি । প্রিয় আর শেয়ারের জন্য কৃতজ্ঞতা । ভালো থাকবেন ।
১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দারুণ!!!
প্রকাশ করার টাইপটা অসাধারণ লেগেছে।
++++++++++++++
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: অসম্ভব ধন্যবাদ । পাঠ ও অনুভূতি জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা । ভালো থাকবেন সবসময় ।
১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার কাব্যিক উপস্থাপনা মোহগ্রস্থ করে রাখলো। +++++
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া । অনেক কৃতজ্ঞতা । ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে । আশা করি আস্তে আস্তে আমার অলসতা কমবে । ভালো থাকবেন প্রিয় গল্পকার !
১২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
ভিয়েনাস বলেছেন: আমি দেখি ফ্যাকাসে একটা চাঁদ ঝুলে আছে বুড়ো আকাশে, স্থির বাতাসে কিছু ধুলকনা এখনও নিজেকে খুঁজে বেড়ায় , শেষ প্রহরের পবিত্রতা তারাদের অস্ফুট আলোয়, সামনে দাঁড়ানো এক নিঃসঙ্গ চৌকিদার আর ভীরু পায়ের চোর, তারপরেও মনে হয় আমার মতো একা কেউ নেই এই চরাচরে, এতো একা কেউ ছিলও না কোনওকালে । হয়তো প্রথম কমেন্ট রিপিট করলাম, তাতে কি ভালো লাগাটাই মুখ্য........
কি অদ্ভূত সুন্দর করে লিখছেন। গল্পের ভিন্নতা চোখে পড়ার মতো। অসাধারন লাগলো। মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
লেখাটা সময় করে আবারো পড়বো
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: হোক না পুনরাবৃত্তি , ভালো লাগা তো শেষপর্যন্ত ভালো লাগাই । অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা । আবার যতবার আসবেন সব বারের জন্যই স্বাগতম । ভালো থাকবেন ।
১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৭
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: চমৎকার লাগলো
শুভ কামনা
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৯
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: অনেকখানি কৃতজ্ঞতা । সাথে অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কলমের গল্পের প্রেমে পড়া...কি চমৎকার ভাবনা! আর এত সুন্দর তার প্রকাশ। মুগ্ধ!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । একই সাথে কৃতজ্ঞতা জানবেন । ভালো থাকবেন আর চমৎকার সব লিখা উপহার দিবেন এই কামনা ।
১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: কী অসাধারণ একটা লেখা! আপনার হাতে দেখছি জাদুর কলম!
ভীষন রকম মুগ্ধপাঠ, ইদানীং গদ্য পড়ে এরকম তৃপ্তি পাইনি বললেই চলে!
অনেকগুলো জায়গা থেকেই কোট করবার মত বেশ কিছু ইন্দ্রজাল শব্দমালা আছে!
পোস্ট প্রিয়তে নিয়ে যাচ্ছি!
শুভকামনা!
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ঠিক জাদুর কলম না, জাদুর কি বোর্ড বলা যায় !!!! কলম তো বোধহয় জাদুঘরেই চলে যাবে । হাহাহাহা !!!
যাই হোক, ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগছে । আপনাদের উৎসাহেই লিখার চেষ্টা করে যাচ্ছি ।
অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
১৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৭
বোকামন বলেছেন:
প্রতিটা লেখাই লেখক যত্ন করে লিখেন তবে এই গল্পটির পরতে পরতে সে যত্নের ছাপ স্পষ্ট দেখতে পেলুম। খুব ভালো। মুক্ত গদ্যের স্বাদও পেলুম।
আপনি চমৎকার লিখেন, আগেও বলেছি :-)
শুভকামনা রইলো লেখালেখি রাজ্যের মুক্ত আকাশে আপনার কলম পাখি হয়ে উড়ুক ...
সালাম নিবেন।
ধন্যবাদ
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ওয়ালাইকুম আসসালাম । খুব চমৎকার করে বলেছেন তো ! দোয়া রাখবেন । কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ ।
ভালো থাকবেন , শুভেচ্ছা ।
১৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: বাহ! ভিন্নরকম
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ !
১৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৪
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
দারুন!
আপনি তো চমৎকার লিখেন।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ , পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা !
১৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
শায়মা বলেছেন: বাহ ভাইয়া!!!
অনেককিছু পাওয়ার জন্য একদিন যাদের হারিয়ে যেতে দেই , সব পাওয়ার পর সেইসব হারিয়ে যাওয়ার জন্যই মন পোড়ায় কেনও কে জানে !
কলমের মনের ব্যাথা!!!
কলমটার ছবি তুলে দাও !!!
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: প্রযুক্তির থাবায় কলম তো হারিয়ে গেছে, এখন আছে কি বোর্ড ! ছবি আপলোড হয়না আমার ।
ধন্যবাদ ।
২০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
আজমান আন্দালিব বলেছেন: গল্পকারকে অনুসরণে নিলাম আরও সুন্দর সুন্দর গল্প পড়ার আশায়।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানবেন । আপনার প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা থাকবে সবসময় ।
২১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: প্রিয় আদনান শাহরিয়ার, আপনি অনেক ভালো লিখেছেন। মুগ্ধ হলাম, এক কথায়! গল্পের ফাঁকে কলমের জীবন। অভিনব এবং ক্রিয়েটিভ।
ভালো কথা, মোটেই মনে হয় নি যে আপনি কিছু না লিখতে পেরে এটি লিখেছেন! অতএব....
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আমার মাঝে মাঝে এমন হয়, খুব লিখতে ইচ্ছে করছে কিন্তু সব গুছিয়ে লিখে ফেলবো এমন হয়না । কয়েকদিন আগেও লিখতে পারছিলাম না । গভীর রাতে চৌকিদারের বাঁশির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যেতো । আমি কিবোর্ড নিয়ে বসতাম কিন্তু কিছুই লিখতাম না । শুধু মাথায় একটা শব্দই ঘুরতো, চৌকিদারের বাঁশি । একদিন ভাবলাম, এই যে আমার না লিখতে পারা কলম তার সাথে যদি কোনোদিন চৌকিদারের বাঁশির সাথে দেখা হয়ে যায় তাহলে কেমন হতো । তারপর ৬/৭ দিন টানা এই লাইনে চিন্তা করার পর শেষে এসে এই গল্প দাঁড়িয়েছে ।
যাই হোক, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা । এইভাবে উৎসাহ দেন বলেই লিখার সাহস করে উঠি ।
২২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: এত গভীর ভাবে মানুষ কিভাবে লেখে তা আমার ধারণার বাইরে।অসাধারণ লিখেছেন।অসম্ভব ভাল লাগল!!!
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আরেকজন গল্পকারের কাছে থেকে এমন মন্তব্য পেলে উৎসাহ বাড়ে নিঃসন্দেহে ! ধন্যবাদ , কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
২৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কখনো গল্পকারের অন্তর্গত ভাবনারাশি, কখনো গল্প লেখার কলমের আত্মকথন এবং সব কিছুর মুলে এক নিঃসঙ্গ চৌকিদারের সাথে এক চোরের বউ এর বিচিত্র প্রেম-রসায়ন ।[/sb
- মামুন ভাইয়ের বলার পর আর বলার কিছু থাকল না , আমি কেবল মুগ্ধতা
জানাতেই লগিন করলাম ।
অনেককিছু পাওয়ার জন্য একদিন যাদের হারিয়ে যেতে দেই , সব পাওয়ার পর সেইসব হারিয়ে যাওয়ার জন্যই মন পোড়ায় কেনও কে জানে
- কথাটা খুব ভাবব্যঞ্জক ।
আমি ভেবে রেখেছিলাম একদিন শুধু আপনার সব লিখা পড়ব , আজ হল সেই দিন ।
ভাল থাকুন প্রিয় শাহরিয়ার ভাই
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: প্রিয় গল্পকারের এমন মন্তব্য আমাকে আপ্লুত করলো । অনেক কৃতজ্ঞতা । ভালো থাকবেন আপনিও ।
২৪| ১১ ই মে, ২০১৪ রাত ১:০৮
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ইউনিক থিম। চমৎকার গল্প।
প্রিয়তে।
+++
১১ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৩
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার কল্ল্যানে গল্পটা আবার দেখা হলো । ভালো লাগলো আমারও ।
অনেক ধন্যবাদ । পাঠে কৃতজ্ঞতা । শুভেচ্ছা জানবেন । ভালো থাকবেন ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬
খেয়া ঘাট বলেছেন: আমি দেখি ফ্যাকাসে একটা চাঁদ ঝুলে আছে বুড়ো আকাশে, স্থির বাতাসে কিছু ধুলকনা এখনও নিজেকে খুঁজে বেড়ায় , শেষ প্রহরের পবিত্রতা তারাদের অস্ফুট আলোয়, সামনে দাঁড়ানো এক নিঃসঙ্গ চৌকিদার আর ভীরু পায়ের চোর, তারপরেও মনে হয় আমার মতো একা কেউ নেই এই চরাচরে, এতো একা কেউ ছিলও না কোনওকালে ।
দারুন মুগ্ধ হলাম।