নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিশুদ্ধ কোন মানব নই, তুমি তোমার মত করে শুদ্ধ করে নিও আমায়।

ডার্ক ম্যান

...

ডার্ক ম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৯৫ সালে প্রফেসর ইউনুসকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন লেখক আহমদ ছফা

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৩

১৯৯৫ সালে দেশে তত্বাবধায়াক সরকার নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ, জামায়াত, জাতীয় পাটি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো। সেসময় রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রফেসর ইউনুসকে প্রধান করে একটা ফর্মূলা দেওয়ার চেষ্টা করছিল পশ্চিমা দূতাবাসগুলো। ব্রাত্য রাইসুর সাথে এক সাক্ষাৎকারে লেখক আহমদ ছফা এ বিষয় নিয়ে কথা বলেন বিস্তারিত।
আহমদ ছফা বলেছিলেন,
প্রফেসর ইউনূসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রেসিডেন্ট করার কথা হচ্ছে। প্রফেসর ইউনূসের আন্তর্জাতিক খ্যাতি, তিনি যেন ক্রমাগত ম্যাজিক দেখিয়ে যাচ্ছেন এবং দৈনিক একটা করে পুরস্কার পাচ্ছেন। প্রফেসর ইউনূসের ভাগ্যে তথা বাংলাদেশের ভাগ্যে প্রতিদিন একটা করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আসছে, এবং এইবার বেইজিং নারী সম্মেলনে প্রমাণ করা হল যে ইউনূস সাহেব একটা 'মহা নারী'। বাংলাদেশের দুইটি ক্ষেত্রে তিনি প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছেন। এক, বিদেশি আস্থা অর্জন করা এবং তাদের কাছ থেকে অর্থ আনা, দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের গরিব জনগণকে একটা ধনতান্ত্রিক উৎপাদন প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসা। নিউইয়র্কের কোন একটা অর্গানাইজেশন তাঁকে "সেইন্ট অব দ্যা পুওর" বলেছে। কিন্তু এই সেইন্ট শতকরা বিশ পার্সেন্ট সুদ খায় এবং সেটা যখন কিস্তিতে কিস্তিতে নেয় তখন বত্রিশ পার্সেন্ট-এ ওঠে। অর্থাৎ বোঝা গেল যে এই সেইন্ট সেইন্ট বটে, কিন্তু সেইন্টনেসের মাঝখানে একটা কুসীদজীবী ইহুদিত্ব আছে। এরকম একজন লোক, বিদেশি অর্থে যাঁর এই অবস্থা তাঁকে দেশের কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান করার কথা ভাবা এটা খুবই অন্যায়। বিদেশিরা অনেক কিছুই চাইছে। অনেক কিছুই আমাদের করতে হচ্ছে। কিন্তু বিদেশিরা চাইছে বলে তাঁকে কেয়ারটেকার প্রধান করা-নীতিগতভাবে একজন লোকও যদি এর প্রতিবাদ করে আমি সেই ব্যক্তি। বিদেশি টাকার ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল কোন ব্যক্তি এই দেশের কোন কল্যাণ করতে পারে না। তার বদলে হাসিনা খালেদার যতই দুঃশাসন হোক সেটাও আমি মেনে নিতে রাজি আছি।


ঈর্ষা থেকে বললেও ক্ষতি নেই। সত্যি বলছি কিনা, ন্যায্য কথা বলছি কিনা সেটাই বড় কথা। ইউনূস সাহেবের জন্য আমি গর্ববোধও করি। আমাদের অনেক কিছুই নেই। অন্ততপক্ষে আমরা ফিল করতে চাই আমাদের পলিটিক্যাল স্ট্রাগলটা। একজন হাইকোর্টের বিচারক, এমনকী কূটকৌশলী ফয়েজকেও মেনে নিতে রাজি হব, ইউনূসকে না। গ্রামীণ গরিবদের শ্রমশক্তিকে দেশের ধনীরা কখনো ধনতন্ত্রের সঙ্গে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক পুঁজির সঙ্গে যুক্ত করতে পারেনি। অর্থাৎ এরা প্রাক-পুঁজি রিলেশানের মধ্যে থেকে গিয়েছিল। ইউনূস সাহেব এটাকে একটা পুঁজিবাদী শেপের মধ্যে নিয়ে এসেছেন। ইউনূস সাহেবের কৃতিত্ব এটাই। এজন্যই আমেরিকা তথা পশ্চিমা দেশগুলো তাঁকে এভাবে অনর্গল পুরস্কার দিয়ে যাচ্ছে।

তথ্যসূত্র : আহমদ ছফা'র সাক্ষাৎকারসমূহ

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: তারপরও যে ড. ইউনুস আজ একটা ইন্টেরিম সরকারের প্রধান, তার প্রধান দায় স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ভুলের কারণেই তাঁর পতন ঘটেছে

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আহমদ ছফা রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে কঠিন সব কথা বলেছেন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৬

রবিন.হুড বলেছেন: দেশের কি হবে? দেশের কথা ভাবার লোকের বড় অভাব।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: নিজের কথা ভাবে যারা , তারাই সফল ।

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ছফার ছাত্র সলিমুল্লাহকে নিয়ে কিছু বলেন!

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: সলিমুল্লাহ স্যারকে নিয়ে কিছু বলার স্পর্ধা আমার নাই

৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯

জেনারেশন৭১ বলেছেন:



আমরা গর্ববোধ করে যে, আমাদের ১ জন মাত্র নোবেল পেয়েছে; তবে, ইউনুস আমেরিকার সৃষ্টি।

এরপরে নোবেল আনবে কোমলমতিদের থেকে কয়েকজন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫২

ডার্ক ম্যান বলেছেন: দুনিয়াতে অনেক বিতর্কিত ব্যক্তি কিন্তু নোবেল পেয়েছেন

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গাজী সাহেবকে নোবেল দেওয়া হোক। গাজী সাহেব কোমলমতিদের নোবেলের কথা বলছেন আমি গাজী সাহেবরে কথা বলছি।

৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২২

পবন সরকার বলেছেন: আহমেদ ছফার অনেক লেখাই পড়েছি। অনেক বিচক্ষণ মানুষ ছিলেন।

৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:২৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ইউনূস স্যারতো গ্রামীণ ব্যাংক দাঁড় করাতে পেরেছে কিন্তু বাঙালীরা কোন ব্যাংক দাঁড় করাতে না পারলেও ধ্বসিয়ে দিতে পারে ঠিকই। সুদ নিয়ে অনেক কথা বলা হলেও কেউই বলছে না যে পুরো বাংলাদেশের ব্যাকিং ব্যবস্থা ও তার মানুষগুলোও সুদখোর। অনেকেইতো সুদের টাকায় সংসার চালায় সেটা নিয়ে অবশ্য কোন কথা বলতে শুনিনি কখনো।

ছফা যাদের নিয়ে মন্তব্য করেছেন, তারা সবাই ছফার চেয়ে অনেক বড় মাপের মানুষ, বিভিন্ন দিক থেকে। বলতে বা লিখতে পয়সা লাগে না কিন্তু যে কোন অর্জন করতে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়। জীবনে ব্যর্থ আর নুন আনতে পানতা ফুরানোর মানুষগুলোই মূলত বসে বসে অন্যের সমালোচনা করে, সফল মানুষ অবশ্য ওসবে কান না দিয়ে তার নিজ কাজে ব্যস্ত থাকে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.