নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার জন্যে শিক্ষা। আমার জন্যে তো বটেই। নিজে আগে শিক্ষা নিয়ে আরেকজনের মাঝে তা ছড়িয়ে দেওয়া...এটাই থাকবে আমার লেখাগুলোর উদ্দেশ্য।
খারাপ ভালো'র মিশেলেই আমাদের এই জীবন। ছোট্ট এই জীবনের প্রতিটি ক্ষণই আমাদের নানান পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। সেগুলো'র কোন কোনটা কঠিন আর ক্ষতিকরও বটে। সেই পরিস্থিতিগুলো সামাল দিতে গিয়ে আমাদেরকেও কঠিন হতে হয় মাঝে মাঝে। কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলায় আমাদের সেই কঠিনত্ত কখনো সমস্যার সমাধান বয়ে আনে, আবার কখনো তা করে তুলে আরো কঠিন। আমাদের সেই কঠিনত্ত স্থায়ী ভাবে দাগ কেটে যায় নিজ সত্ত্বায়।
কিন্ত, কখনো কখনো তো এমনও হয়, আমাদের বিনয়, নম্র ব্যবহার অনেক খারাপ পরিস্থিতিকে সামলাতে সাহায্য করে। তবু কেন আমরা সেই বিনয়তা ছেড়ে দিয়ে কঠিন পথটাই বেছে নিই?
আকাশ হতে যখন তুষার কণা ঝড়ে পড়ে, কখনো তা লক্ষ্য করেছেন কি? তুষার গলে পড়ার সময় কণাগুলো যখন একে একে অপরকে আলিঙ্গন করে পরিস্কার করে দেয় গায়ে লেগে থাকা ধুলো-ময়লা, আমাদের নিজ সত্ত্বার মাঝেই বেঁচে থাকা ভালোগুলো দিয়ে কি মন্দ কাজের আঁচরে দাগ কেটে যাওয়া সত্ত্বার ক্ষতগুলোকে মুছে ফেলা যায় না?
যখনই তা সম্ভব হয়, আমরা হয়ে উঠি সেই জীব যাকে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ নিজ সৃষ্টির সেরা বলে ভূষিত করেছেন। আমরা হয়ে উঠি সেই মানব-মানবী, যার কষ্টি পাথর স্বরূপ সংসর্গে চারপাশের সমাজ হয়ে উঠে আলোকিত।
আর, যখন আমরা নিজ মন্দত্বকে ভালোত্ব দিয়ে মুছে দিতে না পারি, আমরা কি সৃষ্টি'র অধমে পরিণত হই না? সেজন্যেই কি শেখ জালালুদ্দিন রুমি বলেছেন, ''গলে পড়া তুষার হও। নিজ সত্ত্বাকে দিয়ে নিজেকে ধুয়ে ফেলো''?
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৪
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: সমাজের অংশ হিসেবে নিজেকে আগে পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে, ভাইটি! 'আমাকে' নিয়েই তো সমাজ। সমাজের আগে নিজের 'আমিত্ব'-কে পরখ করে দেখতে হবে।
ধন্যবাদ।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: প্রত্যেক মানুষের একটা নিজস্ব সত্ত্বা ও জগত আছে যা গোটা পৃথিবী থেকে অনেক অনেক বড়। মূলত এটিই তার আসল বিচরণ ক্ষেত্র। নিজেকে জানা, পর্যালোচনা, সমালোচনা, সর্বোপরি নিজেকে উপলব্ধি করার বিষয়। আপন সত্ত্বাকে পরিপূর্ণ হৃদয়ঙ্গম করার মাধ্যমেই প্রকৃতিপ্রদত্ত শিক্ষার সারমর্ম অনুধাবন করা সম্ভব।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪২
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: প্রকৃতি নামক শিক্ষক আমাদের অনেক কিছুই জানাতে চায়, আমরা অনেকেই তা বুঝি না, বুঝবার চেষ্টাও হয়তো করি না! শেখ রুমী হয়তো বুঝতেন। সেজন্যেই হয়তো তিনি গ্রেটদের অন্তর্ভূক্ত হতে পেরেছিলেম।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৮
মা.হাসান বলেছেন: গোনাহের দ্বারা মানুষের অন্তরে কালো দাগ পড়ে, পড়তে পড়তে একসময় অন্তর এত কলো হয়ে যায় যে খারপ কাজ করার দ্বারা তার কোন অনুশোচনা হয় না। স্রষ্টার স্মরণ দ্বারা কালো দাগ দূর হয়। হাদিসে এরকম কিছু আছে।
রুমির এ কবিতাটা পড়া হয় নি, অথবা পড়লে ভুলে গিয়েছি।
পোস্ট ভালো লেগেছে, আল্লাহ তৌফিক দিন ভালো কাজে লেগে থাকার।
শুভেচ্ছা রইলো।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫০
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: শয়তান বড়ই আজব চিজ। আমাদেরকে নিয়ে খেলা করে।
তবে, আল্লাহ এও বলেছেন যে- আমরা যদি ভালো কাজের নিয়ত করি, তাহলে সে কাজের সাহায্যার্থে একজন ফেরেশতা নিয়োগ করে দেন।
কিন্তু, ভালো কাজের সাথে সাথে আমাদের অন্তরকে সফেদ রাখাটা জরুরী।
সুন্দর কমেন্টের জন্যে শুভেচ্ছা সারাক্ষণ।
৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৩৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গলে পড়া তুষারকে দেখো, নরম হওয়া তারই কাছে শেখো! চমৎকার কথা। পোস্টে ভালোলাগা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: এই সমাজটাই তো খারাপ। খারাপ সমাজে ভালো থাকা যায় না।