নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার আছে অনেক কিছু, শিক্ষা নিবে কতজন?

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition)

সবার জন্যে শিক্ষা। আমার জন্যে তো বটেই। নিজে আগে শিক্ষা নিয়ে আরেকজনের মাঝে তা ছড়িয়ে দেওয়া...এটাই থাকবে আমার লেখাগুলোর উদ্দেশ্য।

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইয়াযীদের উপর অভিসম্পাত করার দরকার নেই, তবে তার জন্যে দোয়াও করা উচিৎ হবে না [কিছু সাক্ষ্য প্রমাণ]

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪১

হযরত হাসান বসরী (রহ)-কে বিদ্রুপ করে একবার বলা হয়ঃ 'আপনি তো উমাইয়া বংশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কোন আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন না। তাহলে কি আপনি সিরিয়াবাসীদের (মানে উমাইয়াদের) অপর সন্তুষ্ট?'

জবাবে তিনি বললেনঃ 'সিরিয়াবাসীদের উপর আমি সন্তুষ্ট থাকবো? আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন। তারা কি রাসূলুল্লাহ'র হেরেমকে হালাল করেনি? তিন দিন ধরে সেখানকার অধিবাসীদের পাইকারী ভাবে হত্যা করেনি? তাদের নিবতী ও কিবতী সৈন্যদেরকে সেখানে যা খুশী করার পাইকারী অনুমতি দেয়নি? তারা শরীফ দীনদার মহিলাদের ওপরও আক্রমন চালিয়েছে, কারোর সম্ভ্রম বিনষ্ট করা থেকেই তারা নিবৃত্ত হয়নি। অতঃপর ক্বাবা শরীফের ওপর আক্রমন চালিয়েছে প্রস্তর খন্ড বর্ষন করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তার উপর (ইয়াযিদের উপর) আল্লাহর লানত হোক, তার পরিণতি হোক নিকৃষ্ট।' [আল বেদায়া, ৮ম খন্ড, পৃষ্ঠা- ২২৩]

মহানবী (সাঃ) বলেছেনঃ

'যে কোন ব্যক্তি মদীনার সাথে মন্দ কাজের ইচ্ছা করবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামের আগুনে শিশার মতো গলিয়ে দেবেন।'

'যে ব্যক্তি মদীনাবাসীকে যুলুমে আতংকগ্রস্থ করবে, আল্লাহ তাকে আতংকগ্রস্থ করবেন; তার উপর আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাকূল এবং মানুষের অভিসম্পাত। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তার কাছ থেকে তার পাপের প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে কিছু গ্রহণ করবেন না।'

[বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ এবং মুসনাদে আহমাদ]

অথচ, ইয়াযিদের পাঠানো বাহিনী তা-ই করেছিলো। শুধু তা-ই নয়, সেই বাহিনী পবিত্র ক্বাবা শরীফের উপর পাথর বর্ষন করে। যার ফলে, ক্বাবার একটি দেয়াল ভেঙে পরে।

ইয়াযিদের বাহিনী শুধু মহানবী (সাঃ)-এর নাতী হযরত হুসেইন (রাঃ)-কে হত্যা করেনি, হযরত হাসান বসরী (রহঃ) বর্ণিত কাজও করেছিলো।

তাই, ইয়াযীদের উপর লানতের স্বপক্ষে যেসব বিখ্যাত আলীম, তাঁরা হচ্ছেন- ইবনে জাওযী, কাযী আবু ইয়ালা, আল্লামা তাফতাযানী এবং আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতী।

আর যারা বিপক্ষে, তাঁদের মধ্যে ইমাম গাযালী এবং ইমাম তাইমিয়া প্রমুখ।

বিখ্যাত আলেমদের মধ্যে যেহেতু মতদ্বৈধতা আছে এ নিয়ে, সেহেতু ইয়াযিদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের অন্যায় কাজকে অন্যায় বলে ক্ষান্ত হতে হবে, তাদেরকে অভিসম্পাত করা যাবে না।

কিন্তু, এর অর্থ এই নয় যে, ইয়াযীদের তারীফ করতে হবে। তাকে রাদিয়াল্লাহু আনহু অর্থাৎ আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট থাকুন এই কথা বলা উচিৎ হবে না।

আর, তাকে খলিফা মানার ব্যাপারে দ্বিমত পোষন করেছেন, হযরত ওমর ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ)। তাই, আমাদেরকেও তাকে খলিফা মানা উচিৎ না।








মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম নিয়ে আমার কোনো পড়াশোনা নেই।
আমি শুধু জানি, মিথ্যা বলা যাবে না, সৎ জীবন যাপন করতে হবে আর মানুষের উপকার করতে হবে।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০২

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: আমিও কিছু কিছু পড়ার চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.