নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার জন্যে শিক্ষা। আমার জন্যে তো বটেই। নিজে আগে শিক্ষা নিয়ে আরেকজনের মাঝে তা ছড়িয়ে দেওয়া...এটাই থাকবে আমার লেখাগুলোর উদ্দেশ্য।
আমি যখন পৃথিবী’র সবচেয়ে বড় ছাপাখানা আর, আর, ডোনেলি’র ম্যানুফেকচারিং ডিপার্টমেন্টে চাকরী করতাম, আমি মনে-প্রাণে সেই প্রতিষ্ঠানের একজন প্ল্যান্ট পরিচালক হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, তা না হয়ে আমি শেষ পর্যন্ত যা হতে পারলাম তা হচ্ছে- একটি ছোট্ট, ব্যক্তি-মালিকানাধীন কোম্পানী’র ম্যানুফেকচারিং অপারেশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক। আমার খুব ইচ্ছে ছিলো কোন পেপারে বা বইয়ে একটি ছোট গল্প প্রকাশ পাবে। এজন্যে আমি বছরের পর বছর সাধনা করেছি। কিন্তু বিধি বাম! এই ইচ্ছার সবচেয়ে কাছাকাছি যা করতে পেরেছি তা হচ্ছে......আসলে, আমার এই ইচ্ছা কখনোই পূর্ণ হয়নি। (পিছু ফিরে এখন অতীতে ডুব মেরেছি, মাঝে মাঝে তা তো করাই লাগে)! আমার নামের সাথে ডজন খানেক ব্যর্থতার কাহিনী ট্যাগ করা। কোন কিছু করার আমার পূর্বের সকল চেষ্টা অসফলতায় পরিণত হয়েছে, বারে বারে।
তার চেয়েও খারাপ ব্যাপার হচ্ছে, আমি আমার জীবনের লক্ষ্যগুলোকে হাত থেকে ছুটে যেতে দিয়েছি সেগুলোকে ছোঁয়ার কোন চেষ্টা না করেই। আমি সেগুলোকে নিয়ে চিন্তা করেছি, সেগুলো নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি, কল্পনাও করেছি কিভাবে ঐ লক্ষ্যগুলোকে অর্জন করা যায়...কিন্তু, ঐ পর্যন্তই! কখনোই আমি কিভাবে অভিষ্ট সেই লক্ষ্যে পৌছা যায় তা চেষ্টাও করিনি।
উপরে উল্লেখিত দু’টি পরিস্থিতিতেই, আমি নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে করতেই অনেকটা সময় ব্যয় করে ফেলেছি। আমি এতো দিন জেনে এসেছি, সফলতা মানেই সকল সময়ে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকা। আর এভাবেই আমি কোন কিছু কাজে পরিণত করার আগে সর্বোচ্চ মনোস্তাত্তিক প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা সবাই-ই জীবনের কিছু সময়ে কোন না কোন অনুপ্রেরণার বিদ্যুৎ ঝলকে আলোকিত হয়েছি, সেটা শরীর চর্চা হোক কি ফ্রেঞ্চ ভাষা শেখা – আর আমরা এটাও জানি যে সেই তাড়না কখনোই কাজে পরিণত হয়নি।
আমি এতোদিন কুটিল এক কল্পনার রাজ্যে ভেসে বেড়াচ্ছিলাম। আমি ভেবেছিলাম যে, মোটিভেশন হচ্ছে কোন বিরক্তিকর শিক্ষা পদ্ধতি শুরু করার পূর্বশর্ত – আমাকে কাজে ঝাপিয়ে পড়তে একটি অগ্নিস্ফুলিংগ খুবই জরুরী। আসলে কিন্তু, মোটিভেশন একটি কাজের ফলাফল ছাড়া আর কিছুই নয়। মোটিভেশন হচ্ছে সেই আগুন যা তখনই জ্বলা শুরু করে যখন থেকে তুমি নিজে নিজে চেষ্টা কর আর শরীর-মনকে কষ্ট দিতে দিতে সেই আগুনকে অস্তিত্বে নিয়ে আসো, আর তা তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে থাকে যখন সে তোমাকে সফলতার সাথে সামনে এগিয়ে যেতে দেখে। মোটিভেশনের পরিপূর্ণ দেখা পাওয়াও কিন্তু চাট্টিখানি ব্যাপার নয়! ওটার আসার অপেক্ষা করার সমস্যা হচ্ছে- তা প্রায় কখনোই তোমার যতটুকু প্রয়োজন সে অনুপাতে দেখা দেয় না।
এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, মাঝে মাঝেই মোটিভেশন একটা হাতুরীর মতো আঘাত করে সামনে এসে দাঁড়ায়। যদিও, কয়েক মিনিট কিংবা ঘণ্টা পেরুলেই, তা কোথায় যেন উবে যায়, তখন তোমার উদ্যম আংশিক ভাবে হলেও স্তিমিত হয়ে পড়ে। কারণ, ‘মোটিভেশনের বজ্রপাত’ চিনি খেয়ে উত্তেজিত হওয়ার মতোই- এটা খেতে মজা, কিন্তু, অনবরত সেই মজা পেয়ে যাওয়া অসম্ভব একটি ব্যাপার। আর, মোটিভেশনের চিনি খেয়ে উত্তেজিত হওয়ার পরে তোমার চিত্ত যখন শান্ত হয়ে আসবে, তখনকার অবস্থা তো আরো খারাপ। রক্ত গরম করে দেওয়া বক্তৃতা, অনুপ্রেরণাদায়ক উক্তি আর আগুন হাতে নিয়ে খেলা করার চ্যালেঞ্জ মনের মাঝে তোমাকে পর্বত চূড়ার উপর বিজয়ীর বেসে দু’হাত তোলার ছবি এঁকে দিতে পারে, কিন্তু, এর প্রভাব ক্ষণস্থায়ী। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেই বিজয়ী বেসের আভাটি চলে গেলেই, তুমি এই ভয় নিয়ে নিজেকে ঐ একই পর্বতের পাদদেশে আবিস্কার করবে যে- তোমাকে আবারো ঐ খাড়া পর্বতটি বেয়ে উঠতে হবে।
তাই, তুমি বসে বসে ভাবতে থাকবে, মুখ গোমড়া করবে, কামনা করে করে হয়রান হয়ে যাবে আর মাঝে মাঝে কোন কিছু করার ইচ্ছা প্রকাশ করবে, এমনকি হয়তো টনি রবিনসের পরের সেমিনার শোনার জন্যে কিছু টাকা জমিয়ে ফেলার চিন্তাও করে বসবে…… যদিও তোমার পক্ষে সেটাও খুব কঠিন হয়ে যাবে।
================
মূলঃ দ্যা মোটিভেশন মিথ- জেফ হ্যাডেন
========================
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: মোটিভেশন আসলে আসে কোন কাজ সফল ভাবে সম্পাদন করার পর, আগে নয়। অথচ, আমরা তা আগে দেওয়ার চেষ্টা করি।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০৫
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মোটিভেশন শুধুই একটা লাঠি।সম্পূর্ণ মরুভূমি নিজেকেই অতিক্রম করতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: মোটিভেশনে তখনই কাজ হয়, যখন আপনি তা বুকের মধ্যে ধারন করবেন। সাধারনত ছেলে মেয়েরা কান দিয়ে শূনে, দুই একদিন লাফালাফি করে। তারপর সব ভুলে যায়।