নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার জন্যে শিক্ষা। আমার জন্যে তো বটেই। নিজে আগে শিক্ষা নিয়ে আরেকজনের মাঝে তা ছড়িয়ে দেওয়া...এটাই থাকবে আমার লেখাগুলোর উদ্দেশ্য।
একটা কুকুরের দিকে তাকিয়ে আছি অনেকক্ষণ ধরে। কুকুরটা রাস্তার কোণে দাঁড়িয়ে আছে। পাশ দিয়ে মানুষজন হেঁটে চলে যাচ্ছে। কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। মাথা একবার ডান দিকে ঘোরায়, আবার বাম দিকে। একবার সামনে রাস্তার ওপারেও চেয়ে দেখলো। হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগলো মনে। এই যে সে তাকিয়ে তাকিয়ে মানুষ দেখছে, তার মনে কি কোন ভাবোদয় হয়? ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে কুকুরের মনোস্তত্ব বা জীবন নিয়ে কোন এপিসোড দেখেছি বলে মনে পড়ে না।
কুকুরটা কি আজ সকালে কিছু খেয়েছে? তার কপালে কি জুটেছে আজ? রাস্তার পাশের কোন ডাস্টবিনে হয়তো মানুষের ফেলে দেওয়া পাউরুটির বাইরের অংশ তার অপেক্ষায় ছিলো। আমার ছোট ভাই পাউরুটির বাইরের অংশ ফেলে দেয়।
এই রকম শত মানুষের ফেলে দেওয়া পাঊরুটির অংশ হয়তো কুকুরের ভাগ্যে জোটে প্রতিদিন। সকালবেলা কোন রেস্টুরেন্টের আশে-পাশে গিয়ে থাকলে মানুষের ফেলে দেওয়া নেহারীর হাড্ডিও জুটতে পারে। আহা, নেহারী! অনেক দিন খাওয়া হয়নি! বাসার বাবুর্চিকে বলে দিলে সে হয়তো বানিয়ে নিতো। দিবো নাকি নেহারী'র অর্ডার? নাহ, থাক। আজ বেশি দেরী হয়ে গেছে। একটু আগেই মাত্র বেশ করে পুরি খেয়েছি।
একটু আনমনা হয়ে গিয়েছিলাম। আবারো, জানালার বাইরে দিয়ে তাকালাম। ইচ্ছে ছিলো কুকুরের পেটের দিকে তাকিয়ে আন্দাজ করা আজ সকালে সে খেয়েছে কি খায়নি। ব্যাটাকে আগের জায়গায় দেখতে পেলাম না। নিশ্চয় রাস্তা পার হয়ে অপরদিকে কোন অজানা পথে হেঁটে চলে গেছে।
আজ দুপুরের ঘুম ভাঙতে ভাঙতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো। আমার স্টাডি রুমের বড় জানালা দিয়ে রাস্তা দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের বিল্ডিংটার পাশেই একটা বিরাট মাঠ। মাঠ আর বিল্ডিঙ্গের মাঝে একটা রাস্তা। সেই রাস্তার দু'পাশে ফুটপাত। ঐ ফুটপাথের মাথাতেই দাঁড়িয়ে থাকা কুকুরটাকে এতোক্ষণ ধরে পর্যবেক্ষণ করছিলাম।
খাবার আগের ঔষধ এইমাত্র দিয়ে গেলেন বৌ। ২টি বড়ি একসাথে খেয়ে ফেললাম পানি দিয়ে। খুব ক্ষিধে পেয়েছে। আধো আধো ঘুমেও চোখ জড়িয়ে যাচ্ছে। সেটার প্রভাবে কি না একটা হাই তুললাম। চেয়ার থেকে উঠে খাওয়ার রুমের দিকে রওনা দিতে হবে। তারপর, টাইটসে একটা ঘুম। যেতে ইচ্ছে করছে না। পাশের একটি দোকান থেকে একটা গান ভেসে আসছে। অনুপ জালোটা'র গাওয়া নজরুলের একটি গান! সেদিকে কান পাতলাম-
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৩
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: চলে গেলো তো! দেওয়ার সময় পেলাম না।
ধন্যবাদ।
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনিই সেই বিরাট শিশু, খেলছে্ন আনমনে?
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৫
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন:
নিত্যকে কপি করার সাধ্য কার!
আমি হয়তো তাঁর প্রতিচ্ছবি। কিন্তু, ছবি কি সব সময় তার মালিকের সব কিছু প্রকাশ করতে পারে?
ধন্যবাদ।
৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৪
আখেনাটেন বলেছেন: আমার বেশ প্রিয় একটি গান।
ভাঙ্গিছ গড়িছ নীতি ক্ষণে ক্ষণে,
নিরজনে প্রভূ, নিরজনে, খেলিছ।
ধন্যবাদ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১০
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: মালিকের এই নীতি ভাঙ্গা-গড়া খেলা'র রহস্যটা তিনি নিজেই জানেন। এই খেলায় কেউ শরীক হতে পারে না।
ভালো থাকুন চিরন্তন।
প্লাসে কৃতজ্ঞতা।
৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৪
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: জার্মান শেফার্ড কুত্তাদের ক্ষিদা লাগে না।সামনে বিরিয়ানী,কাচ্চি থাকার পরেও এরা জাউ খায়।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১১
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: তথ্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:০০
এমজেডএফ বলেছেন:
আশেপাশে, সামনে-পিছনে এত কিছু থাকতে রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুরের খাবার নিয়ে চিন্তা করার জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই। খাদ্যের অভাবে কোনো বেওয়ারিশ কুকুর মারা গেছে কখনো শুনি নাই। তবে খাদ্যের অভাবে ছিন্নমূল মানুষ মারা গেছে পত্রিকায় পড়েছি। কুকুরের খাবারের কথা চিন্তা করে কেউ দার্শনিক হয়েছে কিনা জানিনা, তবে মানুষের খাবারের কথা চিন্তা করে অনেকেই দানবীর ও সমাজ হিতৈষী নেতা হয়েছেন।
"তারকা রবি শশী খেলনা তব, হে উদাসী,
পড়িয়া আছে রাঙ্ পায়ের কাছে রাশি রাশি।
নিত্য তুমি, হে উদার
সুখে দুখে অবিকার,
হাসিছ খেলিছ তুমি আপন মনে।।"
আমাদের মতো ছোট শিশুরা আপন মনে হাসলে-খেললে মানুষে পাগল বলবে!
শরীরের প্রতি যত্ন নেবেন, আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪৬
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: বেওয়ারিশ কুকুর ভুখা থাকা বা মারা যাওয়া মানব জাতির জন্যে খুব লজ্জার ব্যাপার বলে মনে করি। এ দিকটায় লক্ষ্য রাখা উচিৎ। আমার এক বন্ধু তা রাখে। মাঝে মাঝে তাকে ঈর্ষা হয়।
আমরা ছোট শিশু। তাই, অন্যেরা পাগল ভাবতেই পারে। কিন্তু, যারা পাগল ভাববে, তারাও তো ছোট শিশু! শিশুদের দাঁড়াতে শিখাবে কে?
শুভ কামনার জন্যে অনএক ধ্ন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: কুকুর খেয়েছিল কি খায়নি। এত কাহিনিতে যাওয়ার দরকার কি?
এক পেকেট তেহারি কিনে দেন। ঝামেলা শেষ।