নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী উত্তাল আন্দোলন । আমি তখন ক্লাস সেভেন এর ছাত্র । রাসেল শিশু কিশোর পরিষদ এর ৪৮ নম্বর ওয়াড সভাপতি । প্রায়ই ৩২ এ নন্মরে যাই । শেখ হাসিনাকে নিজের নেত্রী মনে করি । সারাদিন মহল্লায় মহল্লায় ,রাস্তায় রাস্তায় স্লোগান দেই, চিকা মারি, গোলাম আযম রাজাকার এই মূর্হুতে বাংলা ছাড় । কিংবা ফারুক-রশিদ ভাই ভাই এক দঁড়িতে ফাসি চাই ।
যতোটুকু জানি বুঝি- গনতন্ত্র হচ্ছে জনগনের ভোটে নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা । আর স্বৈরাচার হচ্ছে এরশাদ , কিংবা জিয়া । কেননা এর দুজন জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসেননি । বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় এসেছিলেন ।
আমাদের বোঝান হলে, রাস্ট্রিয় শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা দরকার যাতে করে আর কোন স্বৈরাচার আর ক্ষমতা দখল করতে না পারে । তাই হ্যা না ভোটের মাধ্যমে রাস্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রী শাসিত শাসন ব্যবস্থা করা হলো । তাই গন ভোটের আয়োজন । খালেদা জিয়া আর হাসিনা আপার সে কি মিল তখন । গলায় গলায় ভাব । ভাবি আর ননদ সর্ম্পক । মানুষের মধ্যে সেকি উত্তেজনা নির্বাচন নিয়ে । ভোটার না হয়েও সেই প্রথম ভোট দিলাম । তাও একটা না চার পাচটা । গনতন্ত্রের যাত্রা বলে কথা ।
সেই গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলো – বিএনপি নেত্রী বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় বসলেন । প্রধানমন্ত্রী হলেন । আর আমার নেত্রী শেখ হাসিনা খুব সম্ভব তিনটি আসনে নির্বাচন করে দু’টোতে হেরে গোপাল গঞ্জের আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে কোন রকম মুখ রক্ষা করলেন । আমার তো মনে আছে রাগে দু:খে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চেয়ে ছিলেন । আমার তখন সে কি কষ্ট । স্কুলের গন্ডি পার না হলেও রাজনীতির গন্ডি অনেকটা পার হয়ে গিয়েছিলাম ।
আবশ্য এর পরের নির্বাচন আমার দল ক্ষমতায় এসছিল । তবে সে ক্ষেত্রে নেত্রীর একটা জিনিষ খুব কাজে দিয়েছিল । জনগনের উদ্দেশ্যে একটি বক্তিতায়
তিনি মাথায় হেজাব পরে কেঁদে কেঁদে জনগনের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আমাকে একটি বার সুযোগ দিন, আমার পরিবার এদেশের জন্য জীবন দিয়েছে, আমাকে আপনারা একটি বার সুযোগ দিন ।
এদেশের মানুষ অনেক আবেগ প্রবন । গনতন্ত্র রক্ষা নয় শেখ হাসিনার প্রতি সহানুভুতি প্রকাশের জন্য একচাটিয়া ভোটে দিয়ে প্রথম আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় বসায় । এর পরের পথ অনেক কঠিন জটিল আর সংঘাতময় । অনেক প্রাণ ক্ষয়, অনেক স্বার্থের খেলা । আমার শিশু মন এতো জটিলতা বুঝেনি । বুঝতে চায়ওনি । পড়াশুনায় মন দিলাম । পড়াশুনা তো করতে হবে ।
চোখের সামনে অনেককে আঙুল ফুলে কলা গাছ নয় তাল গাছ হয়ে যেতে দেখলাম । চর দখলের মতো বাড়ি দখল করে বসল । সাংবাদিক পেটানো থেকে শুরু করে অনেক কিছু । কিন্তু গোলাম আযম এর ফাসিতো দূরের কথা বিচার শুরুও হলো না । শুধু মাত্র অজন ছিল, জাহানারা ঈমামের একটি আন্দোলন । জনতার আদালত ।
জনগন ও বড় নিস্ঠুর পরের নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে আর পাত্তা দিল না । নেত্রী আবারও পদত্যাগ করতে চাইলেন । এরপরের নির্বাচনে উনি বেশ সর্তক । ঢাকার কোন আসন থেকে হারার ভয়েও নির্বাচন করলেন না । নেত্রী হেরে গেলে দলের কর্মীদের মন বল ভেঙ্গে যায় ।
নির্বাচনের ফলাফলে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় এসে গনতন্ত্র কি ভুলে গেল । জামাত আর ছাত্রদলের তান্ডব । সেই সঙ্গে হাওয়া ভবনের দোহাই দিয়ে নানান চাদাবাজির ঘটনা ,নাসির উদ্দিন পিন্টু নামক এক টোকাই এর চাদা বাজিতে জনগন অতিস্ঠ হয়ে উঠল । বোমা হামলা,রাজাকারদের হুক্কার, গাড়িতে জাতিয় পতাকার ব্যবহার আর অত্যাচারে জনগনের মন তাতিয়ে উঠল ।
আমার নেত্রীর আবারও জনগনের সঙ্গে প্রতিজ্ঞা এবার ক্ষমতায় গেলে রাজাকারদের বিচার করবোই করবো । ব্যস আর যায় কোথায় বাঙালী মনবোলার জাতি পাঁচ বছর পূর্বের কথা ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র রাজাকারদের বিচারের ইস্যুতে আওয়ামীলীগকে ভোটে ভোটারণ্য করে ক্ষমতায় বসালাম । এবার আওয়ামীলীগ কিন্তু তার কথা রাখল রাজাকারদের বিচার হলো বা হচ্ছে । ধন্যবাদ আওয়ামীলীগ ।
এই একটি কথা রাখার জন্য শেয়ার বাজার কেলেন্কারী , পদ্মাসেতু দূনীতি , হলমাকের কেলেন্কারী সব কিছু ভুলে গেলাম বা মাপ করে দিলাম । কিন্তু দশম সংসদ নির্বাচনে যা হলো তা মাপ করি কি করে, জনগন বিহীন একটি নির্বাচন ! এ আক্ষেপ যে, থেকেই যায় । গনতান্ত্রীক দেশে জনগনের ভোটে নির্বাচিত সরকার নেই । আছে সেই স্বৈরাচার । এ আক্ষেপ যে থেকেই যায় !!!!
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ , অনেক আক্ষেপ থেকে লেখা তো তাই বুঝি ভাল হয়েছে ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: Comotkar likhecen .