নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা প্রায় হই হই করছে । শিতের দিন । দিনের আয়ু তাই এমনিতেই কম । জামাল সাহেবের কাছে মনে হয় রাতটার বুঝি খুব বেশি তারা থাকে দিনে আলোটুকু ঢেকে ফেলে নিজের রাজত্ব কামেয় করতে । হালকা বাতাস বইছে । ঠান্ডা হামাগুড়ি দিয়ে একটু একটু করে এগিয়ে আসছে শিকারী নেকড়ের মতো । সোয়েটারের উষ্ণতা বেদ করে শরীরের হাড়ে পৌঁছে যাবে সেই ঠাণ্ডা পরশ ।
জামাল সাহেব বসে আছেন গুলশান লেকের পারে । ঈদের ছুটি চলছে । লোক সমাগম তাই কম । বিষণ্ণ বর্ধনে বসে থাকতে খুব একটা খারাপ লাগছে না ।
তাছাড়া নিজের এক রুমের বাসাটা ছাড়া যাওয়ার মতো তেমন কোন জায়গা নেই । হঠাৎ করে নিজেকে আরও বেশি নি:সঙ্গ মনে হয় । দিনের আলোটুকু মুছে যেতে যেতে এক সময় লেকের ময়লা পানিতে টুক করে হারিয়ে যায় । জামাল সাহেব মনে মনে ভাবেন
এবার উঠতে হবে । কিন্তু তবুও কোন কিছুর মোহে তিনি বসে থাকেন । প্যান্টের পকেট হাতরে সিগারেটের প্যাকেট আর দিয়াশলাই বের করে আনেন । জামাল সাহেব এমনিতে সিগারেট খান না । সিগারেটের গন্ধ তার একেবারে সহ্য হয় না । তবুও পকেটে সিগারেটের প্যাকেট আর দিয়াশলাই রাখেন ।
হাতে সিগারেট নিয়ে তিনি সন্ধ্যার অন্ধকারে চুপচাপ বসে থাকেন। দুএকটা মশা কানের কাছে ভন ভন করছে । জামাল সাহেব সেটা সেটা গাহ্য করেন না ।
তিনি যেখানে বসে আছে তার পেছনেই পায়ে চলার ছোট একটা রাস্তা । রাস্তার ও পাশে সরু সরু গাছের বাগান বা পার্ক । কিছুক্ষণ আগেও সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বেশ কয়েক জোড়া ছেলে মেয়ে বসে ছিল । কখন যে তারা উঠে গেছে তিনি টেরও পাননি ।
হাতের না জ্বালান সিগারেটটা ফেলে দিয়ে উঠতে গিয়ে জামাল সাহেব আবারও বসে পরেন । সিগারেটর দিকে শূন্য দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকেন । তারপর ফুস করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলেন । বুকের ভেতরটা কেমন ফাকা ফাকা লাগে । অনেকটা অনিচ্ছা সত্যেও ঠোটে সিগারেট চেপে ধরে দিয়াশলাই থেকে কাঠি বের করে এক ঘষায় আগুন জ্বালান । তারপর আগুনটার দিকে এমন ভাবে তাকান যেন জীবনে এই প্রথম আগুন দেখছেন । আগুন যখন কাঠির শেষ মাথায় ঠিক তখন সিগারেট জ্বালাবার চেষ্ঠা করেন । কিন্তু সিগারেট জ্বলে উঠার আগেই বাতাসে তা নিভে যায় । তিনি আবারও কাঠি জ্বালান । কিন্তু এবারেও ব্যর্থ হন । রাগ চেপে যায় । দু'হাতের আঙুলগুলো কাপতে শুরু করে । আরও কয়েক বারের চেষ্টাতে সিগারেট জ্বলে উঠে । জামাল সাহেব র্দীঘ একটা টান দেন ।
সিগারেট ধোয়া ফুসফুসের পুরোটা দখল করে নেয় । কিন্তু ধোয়া ছাড়ার সময় তা নাকে মুখে উঠে যায় । তিনি কাশতে শুরু করেন । কাশতে কাশতে চোখে পানি চলে আসে । কাশিটা থেমে আসতেই থুক করে এক দলা থুতু ফেলে আবার সিগারেটে টান দেন । এবারও খুক খুক কারে কাশি উঠে । কিন্তু সেটা প্রথম বারের মতো অতো জড়াল নয় । জামাল সাহেব কাশি নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্ঠা চালান । ঠিক সে সময় পেছন থেকে একটা মেয়েলি কণ্ঠ খিল খিল করে হেসে উঠে । জামাল সাহেব চমকে উঠে খুক খুক করে কাশতে কাশতে পেছনে তাকান । কিন্তু অন্ধকারে কাউকে দেখতে পান না । অন্ধকারটা বেশ জমিয়ে বসেছে । জামাল সাহেব মনে মনে ঠিক করেন সিগারেটা শেষ করেই উঠে পরবেন । জায়গাটা সন্ধ্যার পরে এমনিতেই ভাল না । এতোক্ষন বসে থাকাটা হয়তো ঠিক হয়নি । সিগারেট টান দিতেই আবারও কাশি উঠে । সেই সঙ্গে পেছন থেকে হাসির শব্দ ভেসে আসে । পেছন ফিরে তিনি ভাল করে দেখার চেষ্ঠা করেন কে হাসে । কিন্তু অন্ধকার ভাল করে দেখা যায় না । হঠাৎ দেখেন একটি মেয়ে হেটে তার দিকে এগিয়ে আসছে । তিনি ভেতরে ভেতরে বেশ শক্ত হয়ে যান । উনি বেশ ভাল করেই জানেন এই সময় কোন মেয়েরা পুরুষের দিকে এগিয়ে আসে । মেয়েটা জামাল সাহেবের পাশে এসে পা লম্বা করে বসে পরে । তারপর বলে, কি সিগারেট খাওয়া শিখছেন বুঝি ? দিন তো আমাকে একটু আগুন দিন, আপনাকে দেখাচ্ছি কি করে সিগারেট খেতে হয় । জামাল সাহেব অনিচ্ছা সত্যেও হাতের সিগারেটটা মেয়েটির দিকে এগিয়ে দেন । অন্ধকারে মেয়েটির মুখ ভাল করে দেখা যায় না । পরনে কালো রং এর সালোয়ার কামিজ । চুল পেছনে বাধা ।
বারে, আপনার মুখেরটা খাব বুঝি ? প্যাকেট থেকে সিগারেট দিন । সিগারেট আছে নিশ্চয়ই ? মেয়েটা আবার ও খিল খিল করে হেসে উঠে । জামাল সাহেব পকেট থেকে সিগারেট এর প্যাকেট বের করে একটা সিগারেট মেয়েটির দিকে এগিয়ে দেয় । মেয়েটা জামাল সাহেবের হাত থেকে সিগারেটটা এমন ভাবে নেয় যেন তার হাত জামাল সাহেবের হাতে না লাগে । তারপর দারুণ দক্ষতায় জামাল সাহেবের সিগারেট থেকে নিজের সিগারেট আগুন জ্বালিয়ে ফুস করে এক দলা ধোয়া ছেড়ে খিল খিল করে হেসে উঠে । জামাল সাহেব মেয়েটার মুখের আদল দেখতে চেস্ঠা করেন । কিন্তু পরিষ্কার বুঝতে পারেন না । ক্যামন রহস্যময় মনে হয় । জামাল সাহেব চুপচাপ নিজের সিগারেটে টান দেন । এবং কাশি ছাড়া ধোয়া ছাড়েন । মেয়েটা তা দেখে বলে উঠে, সব কিছুতেই পাটনার লাগে বুঝেছেন । এই যে দেখুন, আমাকে আপনি সিগারেট খাওয়ার পাটনার হিসাবে পাওয়ার পর আপনার কাশি বন্ধ হয়ে গেছে । বলে মেয়েটি আবারও খিল খিল করে হেসে উঠে ।
জামাল সাহেব কিছু বলেন না ।
কি আমাকে ভয় পাচ্ছেন ? তিনি আড় চোখে মেয়েটির দিকে তাকান । বয়স আন্ধায করার চেষ্টা করেন । প্যান্টের বা পকেটে রাখা ছুরিটা চেপে দেখেন ঠিক আছে কিনা । বেশ কয়েক বছর যাবত ছুরিটা তার সঙ্গী । যদিও কখন ও কোন কাজে আসেনি ।
কি আমাকে ভয় করছে ? মেয়েটি এবার জামাল সাহেবের বাহু ধরে নাড়া দিয়ে জিজ্ঞেস করে ।
না , ভয় কিসের ? জামাল সাহেব ছোট করে উত্তর দেন ।
মুখে না বলছেন ঠিকই, কিন্তু দেখে তো মনে হচ্ছে আপনি ভয় পাচ্ছেন । ভাবছেন, আমি বুঝি দু’নম্বর মেয়ে মানুষ । আপনার সব কিছু হাতিয়ে নিমু । আমার সঙ্গে কয়েকজন ছিনতাই কারি আছে । তারা পেছন থেকে আমাদের ফলো করছে । বিশেষ সময়ে এসে উপস্থিত হয়ে আপনার সবকিছু কেড়ে নিয়ে ন্যাংটা করে ছেড়ে দেবে । বলে মেয়েটা আবারও খিল খিল করে হেসে উঠে ।
জামাল সাহেব বুঝতে পারছেন এবার ওনার চলে যাওয়া দরকার । কিন্তু উঠতে পারেন না । মাঠি যেন চুম্ভুকের মতো টেনে ওনাকে বসিয়ে রেখেছে । হু হু করে ঠাণ্ডা বাতাস বইছে অথচ তিনি ঘামছেন ।
কি হলো কথা বলছেন না কেন ? মেয়েটি এক মুখ ধোয়া ছাড়তে ছাড়তে জিজ্ঞাসা করে ।
কি বলবো ? জামাল সাহেব লেকের পানির দিকে তাকিয়ে উত্তর দেয় ।
এ্যই যে, জিজ্ঞেস করলাম না আমাকে ভয় পাচ্ছেন কিনা ?
- না, পাচ্ছিনা । জামাল সাহেব মেয়েটির দিকে না তাকিয়েই বলেন ।
- ভয় না পেলেই ভাল । মানুষ হয়ে গেছে আজকাল ভীতুর ডিম । যে মারে সেও ভয় পায় আবার যে মরে সেও ভয় পায় । বলেই মেয়েটি খিল খিল করে হেসে উঠে । যেন খুব মজার কথা বলে ফেলেছে । আমার নাম রাখছিলেন আমার দাদি ? আমি নাকি জন্মের পরেই খুব হাসতে ছিলাম । সেই হাসি নাকি বন্ধ হয় নাই । আচ্ছা বলেন তো দেখি, আমার নাম কি ? বলতে পারলে আপনারে এক প্যাকেট বেনসন কিনা দিমু ।
জামাল সাহেব একটু চিন্তা করে বলে, তোমার না হাসি ।
মেয়েটি আবারও হেসে উঠে বলে না , হলও না । আবার চেষ্টা করেন ।
তাহলে, খুশি ?
না এবারও হলও না । মেয়েটি খিল খিল করে হাসছে । হঠাৎ সন্ধ্যার অন্ধকারটি একটি অর্থ খুঁজে পান তিনি । নিজেকে আর একা মনে হয় না । মনে হয় এ মেয়েটি যেন তার অনেক কালের পরিচিত । মেয়েটিকে অনেক আপন মনে হয় । কতো বছর কোন মেয়ের সঙ্গে এভাবে একান্তে কথা বলা হয় তার । হঠাৎ মনে পরে যায় রেহানার কথা । সে কত বছর আগের কথা । দশ , পনেরো , বিশ ? কত বছর হল । সদ্য কলেজে র্ভতি হওয়া যুবক তখন তিনি । চাচাতো বোন রেহানা তখন ক্লাস টেনে পড়ে । ম্যাটিক পরীক্ষা দেবে । দুপুরে তাদের বাসায় আসতো অঙ্কটা বুঝে নেওয়ার জন্য । এক দুপুর বেলা মা ঘুমিয়ে ছিলেন । বাসায় আর কেউ ছিল না । বাহিরে অঝর ধারায় বৃষ্টি ঝরছিল । জামাল রেহানার হাতে হাত রাখে । রেহানা বড় বড় চোখ করে তার দিকে তাকিয়ে থাকে । জামাল - জিজ্ঞেস করে , কিরে আমারে ভালবাসিস ? রেহানা মাথা উঁচু নিচু করে । হ্যাঁ বলে । তা হলে এদিকে আয় বলে জামাল রেহানাকে কাছে টেনে নেয় । দু’হাতে জড়িয়ে ধরে । ওর কাঁধে পিঠে মুখ ঘষতে থাকে । রেহানা বাধা দেয় না । জামাল রেহানার উরুতে চাপ দেয় । রেহানা নেতিয়ে পরে । জামালের হুস থাকেনা । নিজের কোমরের নিন্ম অংশ রেহানার কোমরের সঙ্গে চেপে রাখে । যেন অসুর খেলে উঠে শরীরের ভেতর । রেহানাকে দেয়ালের সঙ্গে ঠেকিয়ে । জামাল রেহানার কাঁধে মুখ ঘষতে থাকে । তাতে রেহানার নরম শরীর আরো নেতিয়ে পরে । এক সময় টের পায় শরীর ভেতর থেকে কি যেন বের হয়ে যায় । পুরো শরীর কেপে কেপে উঠে । রেহানাও টের পায় সে কাঁপন । জামালকে দু হাত দিয়ে শক্ত জড়িয়ে ধরে । জামাল নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায় ।
সে রাতেই বাবা জামালকে ঘুম থেকে টেনে তুলে পেটাতে থাকেন । হারামজাদা, জানোয়ার কোথাকার । বংশের মুখে চুনকালি মাখবি । বের হ আমার বাড়ি থেকে । টেনে হেছড়ে জামালকে বাড়ি থেকে বেড় করে দেন । জামাল লজ্জায়, ঘেন্নায় ছুটতে থাকে তো ছুটতেই থাকে । সেই যে বাড়ি ছাড়া হলো আর বাড়ি যায়নি । আজ ত্রিশ বছর হল । কিন্তু সে ঘটনা জামাল আজও ভুলতে পারে না । দু:স্বপ্ন হয়ে তারা করে ফেরে ।
( দুই )
এই যে শুনছেন ? মেয়েটি জামাল সাহেবের গা ঘেঁষে বসেছে । মেয়েটার কুনই জামাল সাহেবের কোমরের চেপে আছে । জামাল সাহেবের শরীর একটু একটু করে গরম হয়ে উঠে । অন্যকিছু একটা জীবিত হয়ে উঠে ।
হুম । জামাল সাহেব চমকে উঠে বলেন ।
বলতে পারলেন না তো, আমার নাম কি ?
না , পারছি না । বলতে পারছি না ।
ঠিক আছে, আমিই বলতেছি । আমার নাম হচ্ছে গিয়ে কান্না । বলেন, এই নাম কি কারো হয় ? জন্মের সময় হেসেছিলাম বলে আমার নাকি কানতে কানতে জীবন যাইব । তাই আমার দাদি আমার এই নাম রাখছিল ।
আপনার কি হইছে ? বলে মেয়েটা জামাল সাহেবের উরুতে চাপ দেয় । জামাল সাহেব নড়ে চড়ে বসেন । কি শরম পাইছেন ? শুনেন আমি ভাল মেয়ে । পেটের দায়ে রাস্তায় গুড়ি । চলেন আপনারে আমার বাসায় নিয়া যাই । ভয় নাই, ভদ্রলোকের বাসা । ঘণ্টা খানেক এর মধ্যে ফিরা আসতে পারবেন । মেয়েটি এবার জামাল সাহেবের উরুতে আলতো করে হাত ঘষছে । জামাল সাহেব আবারও সরে বসেন ।
ভয় নাই । আমার কোন রোগ টোগ নাই । চাইলে কনডমও ব্যবহার করতে পারেন । না চাইলে নাই । বলেই মেয়েটি জামাল সাহেবের উরুর নিচে হাত ঢুকিয়ে দেয় । জামাল সাহেব মূর্তির মতো জমে যান । চল্লিশ বছরের এ শরীরটা আর কখনও এভাবে জেগে উঠেনি । মেয়েটার দক্ষ হাত জামাল সাহেবকে কাবু থেকে কাবু করে ফেলে । জামাল সাহেব মেয়েটার মুখটা হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখেন । মেয়েটা বলে - চলেন পার্কের ভেতর দিয়ে বসি । জামাল সাহেব উঠে দাড়ান । মেয়েটা জামাল সাহেবকে নিয়ে পার্কে ঢুকে । বেশ কিছুটা ভেতরে ঢুকে একটা বড় গাছের আড়ালে দাড়িয়ে জামাল সাহেবকে মেয়েটা বুকে টেনে নেয় । জামাল সাহেব আবার তার অতীতে ফিরে যান । হঠাৎ রেহানার শরীরের গন্ধ নাকে এসে লাগে । জামাল সাহেব মেয়েটাকে শরীরের সঙ্গে চেয়ে ধরেন তারপর পাগলের মতো মেয়েটার কাঁধে, বুকে মুখ ঘষতে ঘষতে বলতে থাকেন । রেহানা আমার রেহানা । মেয়েটা বলে, এ্যই, কি করেন ,কি করেন,আস্তে আস্তে । জামাল সাহেবের ভেতরের অসুর ছুটে চলে । নিজের কোমর মেয়েটার কোমরের সঙ্গে ঘষতে থাকেন । মেয়েটা বলে এভাবে না । এভাবে না । জামাল সাহেব শুনেন না সে কথা । এক সময় শরীর ভেতরটা কেপে কেপে উঠে । জামাল সাহেবের উত্তেজনা কমে আসে । সঙ্গে সঙ্গে একরাশ ভীতি জামাল সাহেবকে চেপে ধরে । কাল সকালেই নিশ্চয়ই সবাই যেনে যাবে । অফিসের বস্ নিশ্চই ছি, ছি করবে । অফিস থেকে বের করে দেবেন । জামাল সাহেব বা পকেট থেকে ছুরিটা বের করে আনেন । আশে পাশে তাকিয়ে দেখেন কোথাও কেউ নেই । তারপর অন্ধকারে হনহন করে হাটতে থাকেন । মেয়েটি নেতিয়ে পড়ে থাকে নির্জন পার্কে ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মানুষের জীবনের ত্রুটি শুরু হয় সেই বয়ঃসন্ধিকাল থেকে যা কোন দিনও ভাল হয় না , জামাল সাহেবও তেমন একটি ত্রুটি দ্বারা আক্রান্ত । আমার ধারণা সামুতে গল্প কবিতা খুব একটা কেউ পড়ে না । কষ্ট করে গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ । মন্তব্যের জন্যও ধন্যবাদ ।
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১১
মুদ্দাকির বলেছেন:
এক সাইকোর জন্ম দিলেন নাকি ? সিরিজ ? না শেষ ?
১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: হা হা হা ...নতুন সাইকো , মজা পেলাম , মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
যোগী বলেছেন:
প্রাপ্ত বয়স্ক গল্প কিছুটা পড়লাম, বাকিটা পরে এসে পড়ব।
ভাল জিনিশ একবারে পড়তে নাই।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভালটা আগে আগে পড়ে ফেলতে হয় । তা না হলে পরে হয়তো আর পড়া না ও হতে পারে । শুভ শিগ্রম । ভাল থাকুন ।
৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩১
বিজ্ঞান মনস্ক বলেছেন: রেহানাও টের পায় সে কাঁপন । জামালকে দু হাত দিয়ে শক্ত জড়িয়ে ধরে । জামাল নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায় ।
সে রাতেই বাবা জামালকে ঘুম থেকে টেনে তুলে পেটাতে থাকে-----এইখানটাতে বুঝিনি । আর সবকিছু ভাল লেগেছে
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো । জামাল সাহেবের কি মানসিক সমসসাও আছে একটু ?
ভালো থাকবেন