নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
রমজান শুরু হতে চলেছে । আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি । ধর্ম প্রাণ মুসলমানদের মধ্যে ইতিমধ্যে তোর জোর শুরু হয়ে গেছে ্ মাসগুলোর মধ্যে সব চাইতে উত্তর মাস হচ্ছে রমজান । কিন্তু এই রমজান মাস আসলেই আমার ভেতরে অন্য রকমের এক তিক্ততা শুরু হয়ে যায় । বিরক্ত হয়ে যাই । সেটি রমজান আসছে তার জন্য নয় । বরং রমজান চলে গেলে আমার কষ্ট হয় । তিক্ততা বিরক্তি আসে এ দেশের মসজিদে মসজিদে তারাবি নামাজের নামে কোরআন খতমের নামে হুজুর এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটির বাণিজ্য দেখে । আল্লাহ্ বলেছেন , তোমরা আমার কোরআনকে নামমাত্র মূলে বিক্রি করো না । অথচ এখন তাই হচ্ছে, হুজুরের কোরআন পড়িয়ে অর্থ নিচ্ছেন । তা ও আবার দর দাম করে । কম অর্থ দিলে পড়াতে অস্বীকার করেন । এমন নজির আছে ভুঁড়ি ভুঁড়ি । তারাবির পরে যারা বেশি অর্থদেন তারা হুজুরের আর কমিটির প্রিয় ব্যক্তি হয়ে যান । তারা হুজুরের গায়ে গা ঘেসে বসার সুযোগ পান । সত্যিই কষ্টের বিষয় । ইসলামকে এরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে ? আহ্ তারা যদি তা বুঝতো !
সবার ই জীবন পরিচালনার জন্য অর্থের প্রয়োজন রয়েছে । হুজুররাও তো মানুষ তাদের ও মৌলিক চাহিদা রয়েছে । কোরআন শিক্ষা দিয়ে যদি অর্থ গ্রহণ করেন তাতে আমার আপত্তি নেই । সেটা জীবন পরিচালনার দোহাই দিয়ে মেনে নেওয়া যায় । কিন্তু রমজান মাসে তারাবি নামাজ পড়িয়ে । মুসল্লিদের কাছ থেকে টাকা তোলাটা আমার কাছে গ্রহণ যোগ্য বলে মনে হয় না । প্রতিটি মসজিদে ইমামসহ সকল খাদেমগনের বেতন নির্ধারিত আছে । রমজান মাসে তাদের বোনাস দেওয়া যেতে পারে সঙ্গে বকশিসও দেওয়া যেতে পারে । কিন্তু তাই বলে, কুরআন খতম করে চাদর বিছিয়ে অর্থ আদায় কিছুতেই গ্রহণ যোগ্য নয় । এদের কাছে আসলেই কি কুরআনের মূল্য আছে । নতুবা এরা কুরআনের মূল্য সর্ম্পকে অয়াকিবহাল নন ।
এবার আসি এদেশের মুনফা খোর ব্যবসায়ীদের বিষয়ে । এরা স্পষ্ট জাহান্নামের যাত্রী । রমজান মাসে মানুষের খরচের পাল্লা বেড়ে যায় । কেনা-কাটাও তাই তুঙ্গে পৌঁছে । কিন্তু এদেশের ব্যবসায়ীরা রমজান মাসে এক টাকার জিনিস একশ টাকা বিক্রি করে । খাদ্য দ্রব্য মজুদ করে কৃত্রিম মূল্য বৃদ্ধি করে দ্বিগুণ, তিনগুণ দামে বিক্রি করে । অসহায় দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষগুলোর যন্ত্রনা চুড়ান্তে পৌছৈ । মুনফার নামে লুট করা টাকা থেকে লোক দেখানো জাকাতের টাকা দিতে গিয়ে পদদলিত করে মানুষ ঠেলে দেয় মৃত্যুর দিকে । অথচ রমজান মানুষের কষ্ট লাগব করার কথা বলে , মানুষের কষ্ঠ অনুভব করার কথা বলে । ত্যাগের কথা বলে ।
একজন মুসলমান হিসাবে তাই এগুলো আর সহ্য হয় না । তাই রমজান এলে তিক্ততা চলে আসে । রমজান মাসে আমার মসজিদে গিয়ে তারাবি পড়তে হচ্ছে করে না । রমজান মাসে আমার কেনা কাটা করতে ইচ্ছে করে না । কিন্তু তবুও করতে হয় । জীবন তো চালাতে হবে নাকি ?
২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: তাই তো হওয়া উচিত ভাই ।
২| ২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:০২
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: যদিও আমি পরকালে বিশ্বাসী ন, তারপরো আমার কাছে মনে হয় সমাজে প্রত্যেকের ভালোভাবে খেয়ে-পরে থাকার অধিকার আছে। হুজুরদের ইনকাম খুবই সীমিত। রমজান মাসেই তারা কিছু টাকা রোজগারের সুযোগ পান, বছরে এই একবারই সুযোগ তাদের। রমজানে এভাবে টাকা নেয়ায় আপত্তিকর কিছুতো দেখিনা আমি। এমন যদি হতো, তারা অনেক টাকা বেতন পান, তখন বলা যেত এটা দৃস্টিকটু আচরন।
২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:০১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ইবাদতের ভেতর অর্থ চিন্তা ঢুকে গেলে ইবাদত নষ্ঠ হয়ে যায় । তখন ইবাদত আর ইবাদত থাকে না ।
৩| ০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:০২
হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: রমজান মাসে বোনাস না পেলে তো চাকুরি জিবিরা মারামারি করে । যায় হক , আমি অনেক মানুষকে চিনি যারা তারাবারি ফ্রি পড়ান । হাদিসের কথা যখন বললেন ,পেট পুরে ইফতার করাও হাদিস মোতাবেক ঠিক না । অন্যের দোষ দিয়ে লাভ কি যখন নিজেই নানা দোষে দোষি ।
৪| ০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:১৮
ভয়ংকর বিশু বলেছেন: সংযম শুরু হয়ে যাবে ৪০০ টাকা কেজির জিলাপি আর ৫০০ টাকা কেজির হালিম দিয়ে।
১৫ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: দারুণ বলেছেন, আমাদের সংযম দেখে রোজাও সংযমে চলে যায় ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫
মোঃমোজাম হক বলেছেন: অথচ সৌদি আরবে শুরু হয়ে গিয়েছে সবকিছুতেই ডিসকাউন্ট