নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবদুল গাফফার চৌধুরীর মূর্খতার প্রমাণ কাবা ঘরে রক্ষিত দেব দেবির নামসহ ..

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

গাফফার চাচা অর্থাৎ আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখা পড়ি ক্লাস নাইন থেকে । তখন তিনি দৈনিক ইত্তেফাকে লিখতেন । নিউইয়র্ক বসে তিনি লিখতেন ইত্তেফাকে তা ছাপাত এবং আমি মূর্খ সেগুলো পড়তাম । ভাবতাম লোকটা কতো না জ্ঞানী । বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার কি অগাধ বিশ্বাস, কি ভক্তি ! দেশের প্রতি কি তার টান । টানটান উত্তেজনা নিয়ে তার কলাম পড়তাম ।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু পরিবর্তন হয় । মানুষের শরীরে পরিবর্তন আসে পরিবর্তন আসে মনে ও মগজে । কাদামাটির মনটা শক্ত হতে হতে ইটপাথরের মতো শক্ত হয়ে যায় । পরিপক্বতা আসে চিন্তা চেতনায় । আমারও সেইসব পরিবর্তনের ঋতু অতিক্রম করার পর গাফফার চৌধুরীর লেখাগুলো একসময় মনে হয়েছে খড়কুটা কিংবা ভুষি । একই প্যাঁচাল একই টাইপের গান একই বস্তাপচা সংলাপ আলাপ । যেখানে একটু খেয়াল করলেই দোদুল্যমান লেজুড় দেখা যায় । এরপর গাফফার চৌধুরীর লেখা আর পড়া হয়নি । সেটা ও বছর ১৫ হবে । আমার প্রিয় মানুষের তালিকা খুব দীর্ঘ নয় সেই তালিকাটা ছোট হতে হতে এক সময় খুবই ছোট হয়ে যায় । এখন সেখানে টিকে আছেন শুধু মুকুল ভাই ।

যা বলতে চাইছিলাম, একসময়ের প্রিয় গাফফার চাচার কিছু বক্তব্য প্রকাশ পাওয়ার পর বারবারই ভাবছিলাম এমন কথা উনি বললেন কি ভাবে ? একজন জ্ঞানী মানুষের পক্ষে এভাবে মূর্খের মতো বক্তব্য দেওয়া কিছুতেই সম্ভব নয় । লোকটা নিজেকে আর লুকিয়ে রাখতে পারলো না । নিজের জ্ঞানের পরিচয় দিয়েই দিল । আল্লাহ্‌ নাম নিয়ে উনি যা বলেছেন, তাতে বোঝা যায় ইসলাম সম্পর্কে ওনার জ্ঞান শূন্যের কোঠায় । কোরআনে বনিত আল্লাহর নামগুলো সম্পর্কে উনি বলেছেন , এগুলো নাকি কাফেরদের দেবতাদের নাম । কাবাকে রক্ষিত দেব দেবীদের নাকি এইসব নামগুলো ছিল । গাফফার চাচা আপনাকে বলছি - সেসময় কাবাতে যে সব মূর্তিগুলো ছিল সেগুলোর নাম ছিল, লাত , মানাত, হুবাল, অবগাল ,দুল খালসা,এল্লাহ, উজ্জা, মালা কবেল, নেব, নের্গাল,সিন সুয়া, নুহা, সুয়া, রুভা ইত্যাদি । এই দেবদেবীদের নামের সঙ্গে কি আল্লাহর কোন নামের মিল খুজে পাওয়া যায় ? যায় না । অর্থাৎ আপনি মিথ্যা বলেছেন । ভাল মতো পড়াগুনা করে কিছু বলেননি । মুখে যা এসেছে বলে দিয়েছেন । আপনি মানুসিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছেন । ভেবেছিলেন এদেশের মানুষজন সব ক্লাস নাইনের ছাত্র । তারা আপনার সব কথা মেনে নিবে । লতিফ সিদ্দিকির কথায় তো কিছুটা লজিক ছিল আপনার কথা বার্তা বা বক্তব্যগুলো হয়েছে হিংসুটে মূর্খ রমণীর মতো যে ঝগড়ার সময় কি বলে তা নিজেও জানে না ।

আমি আপনাকে মূর্খদের সর্দার বলতে বাধ্য হচ্ছি । মহান আল্লাহকে সেই সময়কার কাফের মুশরিকরাও আল্লাহ্‌ই বলে ডাকতো । তারা ও বিশ্বাস করতো আল্লাহ্‌ একজন । শুধু মুসলমানদের সঙ্গে তাদের পার্থক্য ছিল তারা শুধু আল্লাহ্‌ পাশাপাশি আরো দেবতাদের পূজা অর্চনা করতো । কিন্তু মুহাম্মদ স : বলেছেন আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কোন ইল্লাহ নাই । আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কেউ ইবাদতের যোগ্য নয় । আল্লাহর এই গুণবাচক নামগুলো এসেছে কোরআনে ।

আপনি মুসলমান নারীদের পর্দা নিয়ে কথা বলেছেন, আমি আপনার মানস দৃষ্টি উন্মোচনের জন্য বলছি - পর্দা শুধু মুসলমান নারী বা পুরুষের জন্য নয় । এটা অন্যান্য ধর্মের নারীরাও পালন করে । যেমন আহলে কিতাব ইহুদি রমণী, পেনসিলভানিয়ার আমিষ গোত্রের মেয়েরা, ক্রিস্টিন নান এরা সবাই বোরখা পরে পর্দা দিয়ে চলে । অথচ আপনি শুধু মুসলমান নারীদের বোরখা বা পর্দা নিয়ে কথা বলেছেন । ইসলামে পর্দার কথা বলা হয়েছে, আল্লাহ কুরআনে রমনীদের চাদর দিয়ে মুখে ঢেকে বাহিরে যেতে বলেছেন । সেটা নারীদের নিরাপত্তার জন্যই বলা হয়েছে । ( অন্য ধর্মের কিছু নারীর ছবি দিলাম আশা করি এরপর আর বললেন না পর্দা শুধু মসুলমান নারীদের জন্য )


আরো অনেক কিছু বলতে বা লিখতে পারি কিন্তু ইচ্ছে করছে না , কেননা পাগলের কথার প্রতিবাদ করে কি করবো । আপনার বয়স হয়েছে, মাথা এলোমেলো হয়ে গেছে হয়তো । চিন্তা চেতনা নষ্ট হয়ে গেছে । সবই বয়সের দোষ । আপনার হয়তো চিকিৎসার দরকার । চিকিৎসা নিন সুস্থ হয়ে উঠুন । এই বয়সে রসূল হবার স্বপ্ন দেখবেন না । আসমানি কিতাব ছাড়া রসূল হওয়া যায় না । এটা বোধ হয় আপনি জানেন । আপন এখন যা লিখেন সেগুলো দিয়ে কেউ তাদের বাচ্চাদের টয়লেটও পরিষ্কার করবে না । সূতরাং বিশ্রাম নিন, চিকিৎসা নিন সুস্থ হয়ে উঠুন । ফেসবুকে আপনার সর্ম্পকে কি একটা লেখা খুব গুরছে । মুকুল ভাই বেচে থাকলে যাচাই করে নিতাম ।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আপনার কথা বার্তা বা বক্তব্যগুলো হয়েছে হিংসুটে মূর্খ রমণীর মতো যে ঝগড়ার সময় কি বলে তা নিজেও জানে না ...সহমত!

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২

এ আর ১৫ বলেছেন:
Currently 3.67/512345
গড় রেটিং: 3.7/5 (6 টি ভোট গৃহিত হয়েছে)

আপডেট : ০৭-০৫-২০১৫
নিউ ইয়র্কে কি বলেছেন গাফফার চৌধুরী?
নিউ ইয়র্কে কি বলেছেন গাফফার চৌধুরী?
নিউইয়র্ক, ৪ জুলাই- গত শুক্রবার (৩ জুলাই) বিকেলে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘বাংলাদেশ : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মহান একুশে গানের রচয়িতা বিশিষ্ট কলামিষ্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী বক্তব্য রাখেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

আব্দুল গাফফার চৌধুরী বক্তব্যের শুরুতে বাংলা ভাষার উৎপত্তি, এর ব্যবহার, হাজার বছর আগে ও পরে বিভিন্ন সময়ে বাংলা ভাষা বর্জনের ইতিকথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানী শাসকরাই শুধু নয়, অনেক আগে ভারত বর্ষের ব্রাহ্মণরা বাংলা ভাষাকে দমন করার চেষ্টা করেছিল। বৌদ্ধরা চর্যাপদকে রক্ষা করেছিল। ব্রাহ্মণদের নিপীড়ণ-নির্যাতনে বৌদ্ধরা বিভিন্ন সময়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। বৃটিশ আমলেও বাংলা ভাষার ব্যবহারকে পরিহার করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল।

তিনি বলেন, অনেক ভাষার শব্দ এসে মিশে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে। কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর অনেক কবিতায় আরবী ও ফার্সি শব্দ ব্যবহার করেছেন। এজন্য তাঁকে সমালোচনাও সহ্য করতে হয়েছে। এমনকি রবীন্দ্রনাথও নজরুলের সমালোচনা করেছেন। রবীন্দ্রনাথ চলিত বাংলার চেয়ে সাধু বাংলার প্রতি সমর্থন করেছিলেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের মুখের কথাই আজ বাংলা ভাষার সম্ভার। এই ভাষা বাংলাদেশ থেকে কখনও হারিয়ে যাবে না।

অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষার বিবর্তনের কথা বলতে গিয়ে গাফফার চৌধুরী বলেন, আল্লাহর যে ৯৯টি নাম রয়েছে এগুলো আরব জনগোষ্ঠীর ইসলামপূর্ব দেবতাদের নাম থেকে এডাপ্ট করা। একসময় এ নামগুলো কাফেররা ব্যবহার করতো। এগুলো আরবী নাম। ইসলাম কায়েম হওয়ার পরও তা পরিবর্তন করা হয়নি! তিনি প্রশ্ন রাখেন, 'কাফেরদের মধ্য থেকে যারা মুসলমান হয়েছিল পরবর্তীতে কি তাদের নাম পরিবর্তন করা হয়েছিলো? তবে কেন বাংলা নামকে হিন্দুদের বলে দূরে ঠেলে দেয়ার প্রবণতাটা আমাদের মাঝে কাজ করে?'

গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘আমি কিছুদিন মাদ্রাসায় পড়েছি। আমি আমার জানার ধারণা থেকে বলছি। এখন যে ইসলাম প্রচার বা চর্চা হচ্ছে, তা বাড়াবাড়ি ছাড়া কিছুই নয়।’ তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি হাদিস সংগ্রহকারী আবু হুরায়রা নামের অর্থ হচ্ছে বিড়ালের বাবা। আবু বকর নামের অর্থ হচ্ছে গাভীর বাবা। সমগ্র আরব জাহানে এ নাম দু'টি কেউ না রাখলেও বাংলাদেশে এসব নামের লোক প্রচুর পাওয়া যায়। আমাদের দেশে নাম রাখা হয় অর্থ না জেনেই। ভাষা একটি জাতির নিজস্ব সংস্কৃতি। এখানে ধর্ম টেনে আনা কেন?

তিনি প্রশ্ন করেন- মক্কা শরীফের গেটগুলোর নাম বাদশা’র পরিবারের সদস্যদের নামে। কেন? নারীদের কাবা শরীফে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না কেন? মদীনায় রওজা শরীফে নারীদের ঢুকতে দেয়া হয় না কেন? সৌদি আরব নামটিও এক বাদশার নামে। আল্লাহ বা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর নামে কেন এই রাষ্ট্রের নামকরণ হয়নি?

- See more at: Click This LinkSee the detail

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

রিফাত সিকদার বলেছেন: ভালো হয়েছে খুব :)

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: আগা চৌ এর মাথা নষ্ট :
আবু বকর মানে নাকি ছাগলের বাপ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ইসলাম আজ প্রশ্নের মূর্খে এটা হচ্ছে আমাদের অজ্ঞতা আর লোভ লালসার কারণে

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:১৮

গরল বলেছেন: বাংলায় বলছে তো এই জন্য বুঝে নাই মোমিন বান্দারা, আরবীতে বললে সবাই বুঝত। তাহলে আর এত চিল্লাপাল্লা করত না।

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভাই কি বললেন বুঝতে পারলাম না ।

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

এ আর ১৫ বলেছেন: আচ্ছা বলুন তো আল্লাহ শব্দটির উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে ?? দাবি করা হয় ইসলামের আগের যুগে আরবের লোকেরা চন্দ্র দেবতার পুজা কোরতো ?? আচ্ছা বলুন তো আরবের মানুষেরা চন্দ্র দেবতাকে কি নামে ডাকতো ??? বিস্তারিত দেখুন নিচের লিংক
Origin of the word Allah
See this

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:০৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আল্লাহ নামের ইতিহাস :
আল্লাহ" শব্দটি আরবি "আল" (বাংলায় যার অর্থ সুনির্দিষ্ট বা একমাত্র) এবং "ইলাহ" (বাংলায় যার অর্থ সৃষ্টিকর্তা) শব্দদ্বয়ের সম্মিলিত রূপ, যার অর্থ দাড়ায় "একমাত্র আললাহ" বা "একক আললাহ"
ইসলাম-পূর্ব আরব
ইসলাম-পূর্ব আরবে,মক্কাবাসী পৌত্তলিকরা আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা দেবতা হিসেবে ধারনা করতো, এবং খুব সম্ভবতঃ সবচেয়ে শক্তিশালী দেবতা হিসেবে।[১৩] কিন্তু একক এবং অদ্বিতীয় ঐশ্বরিক শক্তি হিসেবে নয়। বরং পৃথিবী-সৃষ্টিকারী এবং বৃষ্টি-দানকারী স্বত্তা হিসেবে। আল্লাহর প্রকৃত স্বরূপ তাদের ধারনায় খুব পরিষ্কার ছিল না।[৪] তাদের ধারনা ছিলো যে, আল্লাহর আরো সঙ্গী-সাথী আছে, যাদেরকে তারা অধীনস্থ দেবতা হিসেবে পূজা করতো। তারা আরো ধারনা করতো যে, আল্লাহর সঙ্গে জ্বিনজাতির আত্মীয়তা-ধরনের কোনো সম্পর্ক আছে[১৪] তারা আল্লাহর পূত্র আছে বলেও সাব্যস্থ করেছিলো [১৫] এবং তত্কালীন আঞ্চলিক দেবতা লা'ত, উজ্জা, মানাতকে তারা আল্লাহর কন্যা সাব্যস্থ করেছিলো [১৬]। খুব সম্ভবতঃ, মক্কার আরবরা আল্লাহকে ফেরেশতা বা স্বর্গীয় দূত হিসেবে ধারনা করতো।[১৭][১৮] যার কারনে বিপদগ্রস্থ অবস্থায় তারা আল্লাহ ডাকতো।[১৮][১৯] এমনকি নিজেদের নামকরনেও তারা আব্দুল্লাহ(অর্থাৎ, আল্লাহর বান্দা বা গোলাম) শব্দটি ব্যবহার করতো। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মুহাম্মাদ(স.) এর পিতার নাম ছিলো ʿAbd-Allāh(عبدالله ) আব্দুল্লাহ'[১৮]।

খ্রিস্টধর্ম
আসিরিয়ান খ্রিস্টানদের ভাষায়, ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার জন্য আরামাইক শব্দ হলো ʼĔlāhā, বা en:Alaha। খিস্টান এবং ইহুদিরা সহ আব্রাহামীয় সকল ধর্মের আরবী-ভাষী লোকই, ঈশ্বরকে বুঝাতে আল্লাহ শব্দ ব্যবহার করে থাকে।[৩] বর্তমান যুগের আরবী-ভাষী খ্রিস্টানদের ব্যবহারের জন্য ঈশ্বরকে ইঙ্গিত করতে আল্লাহ ব্যতীত উপযোগী অন্য কোনো শব্দই নেই।[৯] (এমনকি আরবী-বংশোদ্ভুত মাল্টাবাসী, যাদের অধিকাংশই রোমান ক্যথলিক, ঈশ্বরকে বুঝাতে Alla(আল্লা) শব্দ ব্যবহার করে)। তবে আরব খিস্টানরা অনেক সময়ই তাদের ত্রিত্ত্ববাদ অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তা বুঝাতে Allāh al-ʾabالله الأب(

ইহুদীধর্ম
যেহেতু আরবী এবং হিব্রু খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত সেমিটিক ভাষা, এটি বহুল প্রচলিত মতামত যে, আল্লাহ(আরবী শব্দমূল: ইলাহ) এবং বাইবেলে বর্ণিত ইলোহিম এর আদিশব্দ একই। ইহুদি ধর্মগ্রন্থে, ইলোহিম শব্দকে ঈশ্বরের(ইহুদি মতানুযায়ী যাকে ইয়াওহে বা জেহোবা বলা হয়) একটি বর্ণনামূলক নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আবার একই সাথে শব্দটিকে পৌত্তলিকদের দেবতাদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়েছে।

পাদটিকা : একটি বিষয় খুব ভাল করে দেখুন আমি আমার লেখায় আল্লাহ্ নামটি হযরত আদম আ: এর সময় থেকেই প্রচলিত আছে এবং সেটি একক সত্বা হিসাবে । কিন্তু বিভিন্ন সময় ইসলাম বিকৃতির ফলে আল্লাহ নামের অপব্যাখ্যা হয়েছে ।

৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

যোগী বলেছেন:
"ইসলামে পর্দার কথা বলা হয়েছে, আল্লাহ কুরআনে চাদর দিয়ে মুখে ঢেকে বাহিরে যেতে বলেছেন ।"

শুধু জানতে চাচ্ছি এই কথাটা কী সত্যি?

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:১২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: জি সত্য, পবিত্র কুরআনে মুসলিম নারীদের - শরীরের ঊর্ধ্ব অংশ চাদর দ্বারা এমন ভাবে ঢেকে বাহিরে যেতে বলা হয়েছে যেন শরীরের উপড়ের অংশ বোঝা না যায় । এবং সেটা নারীদের নিরাপত্তার জন্যই বলা হয়েছে । শুধু মুসলিম নারী নয় যে কোন ধর্মেই শালীন পোশাকের কথা বলা হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস ।

৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

ইকবাল হোসাইন সুমন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লিখাটির জন্য।

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:১৩

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ । সে কোন অসত্যের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে ।

৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

এ আর ১৫ বলেছেন: [link|http://www.somewhereinblog.net/blog/mehedipk/30052275#c10993217|AGC is correct or not

This is counter opinion . Kindly read the above link

১০| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

এ আর ১৫ বলেছেন: Abdul Gaffer is correct or not

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভাই আপনার লিংকে গিয়ে লেখাটি পড়েছি । কিছু কিছু জায়গাতে উনি সঠিক বলেছেন কিন্তু মূল্য জায়গায় যুক্তি দূর্বল । গফফার সাহেবের উচিত অন্তত একটা মূর্তির নাম নিদিষ্ট করে বলা সেটার নামের সঙ্গ আল্লাহর নাম মিলে ।

১১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৪০

বাংলার জামিনদার বলেছেন: মৎস মারতে নামছে কিছু ধান্দাবাজ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভাই আমি যা বিশ্বাস করি তা লিখি । আপনার পছন্দ না ও হতে পারে তাই বলে ধান্দাবাজ বলা কি ঠিক হলো ?

১২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:১৪

রামন বলেছেন: হজরত মুহাম্মদ সা. নবুয়াত প্রাপ্তির পর প্রথম যখন কাবা শরীফে প্রবেশ করেন তখন সেখানে ৩৬০টি মূর্তি ছিল৷ আপনি কেবল ১৭টি মূর্তির নাম বলেছেন বাকি ৩৪৩টি নাম উল্লেখ করেননি না বা কোন লিংক সরবরাহ করেননি। এখন যেহেতু চৌধুরী সাহেবকে মুর্খ বলে ঘোষণা দিলেন সুতরাং আপনার উচিত হবে বাকি ৩৪৩টি মূর্তির নাম প্রকাশ করা। আর যদি ব্যর্থ হন তাহলে উপর দিকে থু থু ফেললে যা হয় আপনার বেলায় তাই হবে৷ ধন্যবাদ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ । আমি পৌত্তলিক যুগে কাবায় রক্ষিত, প্রধান প্রধান মূর্তিগুলোর নাম উল্লেখ করেছি । আপনি কি আপনার বাবার নাম জিজ্ঞাসা করলে বাবার নাম রেখে অন্য লোকের নাম বলবেন ? বলবেন না । আমি যে নামগুলো উল্লেখ করেছি সেগুলো ছিল সেই পৌত্তলিক যুগের প্রধান প্রধান মূতির নাম এসব মুতির পুজারিরা বিশ্বাস করতো এবারই তাদের নিয়ন্ত্রন করে । এখানে একটি নামের সঙ্গেও আল্লাহর ৯৯টি নাম মিল নেই । মুসলমানরা নিশ্চই এতো বোকা না যে, প্রধান প্রধান মূর্তির নাম বাদ দিয়ে ছোটখাট মুর্তির নামে আল্লাহর নাম রাখবে ? রাখবে না । গফফার সাহেবের ও উচিত ওনার বক্তব্যের প্রমাণস্বরুপ দলিল হাজির করা ।

ইসলাম-পূর্ব আরবে,মক্কাবাসী পৌত্তলিকরা আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা দেবতা হিসেবে ধারনা করতো, এবং খুব সম্ভবতঃ সবচেয়ে শক্তিশালী দেবতা হিসেবে। কিন্তু একক এবং অদ্বিতীয় ঐশ্বরিক শক্তি হিসেবে নয়। বরং পৃথিবী-সৃষ্টিকারী এবং বৃষ্টি-দানকারী স্বত্তা হিসেবে। আপনি চাইলে ছোট বড় বাকি ৩৪৩টি মূর্তির নামও প্রকাশ করা সম্ভব । ইসিতাসের পথে হাটতে হবে । গফফার সাহেব কি বলেছেন সেটি পড়ুন তিনি বলেছেন, আল্লাহর গুন বাচক নাম সমূ্হ নিয়ে ।

১৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:১৯

যোগী বলেছেন:
আরে উজবুক তোর কাছে জানতে চেয়েছি আল্লাহর কুরআনে চাদর দিয়ে মুখে ঢাকতে বলা হয়েছে কিনা।
পিছলাবিনা মুখ ঢাকার ব্যাপারে কী বলা হয়েছে সেটা বল।

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মাইন্ড ইয়োর ল্যাগুয়েজ । আমি ও খারাপ ভাষায় কথা বলতে পারি এমন ভাষায় কথা কমু তোর বাপে আরেক বার চিন্তা করবো তোর জন্ম দিবো কিনা । সুতরাং সাবধান । সবাই কিন্তু এক না ।

১৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪০

যোগী বলেছেন: দৌড়ের উপ্রে থাক তোরে আর ধর্ম নিয়ে কথা বলটে হবে না।

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আমি রোজা । মানুষের শিক্ষা শুরু হয় তার পরিবার থেকে । ভাষাই বলে দেয় কার জন্ম কোথায়? কোন পরিবেশে সে মানুষ হয়েছে । পতিতার ঘরেও সন্তান জন্মায় আবার শিক্ষকের ঘরেও জন্মায় ভাষাই বলে দেয় কার জন্ম কোথায় কার পরিচয় কি । আর কি কিছু বলার দরকার আছে ?

১৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫

যোগী বলেছেন: তুই রোজা তোরে ছাইড়া দিলাম। ভাল করে ধর্ম জেনে তারপর কথা বলতে আসিস।

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: তুই আমারে কি ছাড়বি শুকুর কর যে রোজা দেখে বেচে গেলি ।

১৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আগাচৌর অবৈধ চামচারা দেখি লুঙ্গি কাছা দিয়ে নামছে। যুক্তির আলোর ছটায় আন্ধা হয়ে গালাগালি আর হুমকি তাই তোকারি শূরু করেছে।

তাতেই প্রমাণ হয়েছে তাদের যুক্তির ভান্ড খালী। আমি সামান্য অন্য এঙ্গেলে দেখানো চেষ্টা করেছি তার মূর্খতাকে!!!! চাইলে ঘুরে আসতে পারেন।

আল্লাহর নাম নিয়ে আগাচৌর ধৃষ্ঠতা! মূর্খতা, কেবলই ভীমরতি! নাকি কেবলই অর্থলিপ্সা!!!!!!!!!!!!!!! নাকি বিকারগ্রস্থের উন্মাদনা???

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মূর্খদের হাতিয়ার হচ্ছে গালি তারা সেটার ব্যবহারই করবে এটাই স্বাভাবিক । জাস্ট ইগনর দেম । আপনার লেখাটি পড়লাম খুব ভাল লিখেছেন ।

১৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

এ আর ১৫ বলেছেন: কুরানের ৯৯ আল্লাহর নামগুলো প্রাক ইসলামের যুগে কাফেরদের দেবতাদেরও একই নাম ছিল। যা ড. জাকির নায়েক বহুভাবেই বুঝিয়েছেন।
যেমন, হিন্দুদের ব্রম্মা অর্থ সৃষ্টিকর্তা, যার আরবী হয় খালিক, মানে আল্লাহর নাম। বিষ্ণু মানে পালনকারী যার আরবি হল রব, মানে আল্লাহর নাম। এমনকি আল্লাহ শব্দটিও ইসলাম আসার কয়েক হাজার বছর আগে থেকে ব্যবহার হয়ে আসছিল, কোরানে আল্লাহ শব্দটিও প্রথম নয়, উদাহরণ: রসূল (সা:) এর পিতার নাম আবদুল্লাহ, মানে আব্দুল + আল্লাহ। রসুলের জন্মেরও আগে তার মৃত্যু হয়

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৫৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: জাকির নায়েক বোকার স্বর্গে বাস করছেন নতুবা কোন চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত । মহাভারত এবং গীতা হচ্ছে বাল্মীকি এবং কালিদাস রচিত কল্প কাহানী বাস্তবে সঙ্গে এর কোন মিল নেই । এখন জাকির নায়েক মিল খুঁজে বের করছেন । সত্যি লোকটার জন্য দু:খ হয় । খুজলে দেখা যাবে উনি কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ওলামায়ে কিরামদেরকে জনসাধরণের কাছে ‎সন্দেহান্বিত ও হেয় প্রতিপন্ন করার অপ-প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। নিম্নে তার ভ্রান্তিপূর্ণ ‎কিছু আলোচনার উদাহরণ দেয়া হলো।‎

এক- আকিদা সর্ম্পকে ডাঃ জাকির নায়ক সাহেবের কয়েকটি মন্তব্য:‎

আক্বিদা- অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়! তাতে সমান্য পদস্খলন অনেক সময় ঈমানের জন্য ‎আশঙ্কাজনক হয়ে দাঁড়ায়। এই আক্বিদা সর্ম্পকে ডাঃ জাকির নায়ক সাহেবের মন্তব্য- ‎


(ক) ‘বিষ্ণু’ও ‘ব্রাহ্মম’বলে আল্লাহ তা‘য়ালাকে ডাকা বৈধ?!

ডাক্তার সাহেব এক প্রোগ্রামে বলেন,‎
“আল্লাহ তা‘য়ালাকে হিন্দুদের উপাস্যদের নামে ডাকা বৈধ,যেমন ‘বিষ্ণু অর্থ রব‎এবং ‘ব্রাহ্মণ’অর্থ খালিক তথা সৃষ্টিকর্তা। তবে শর্ত হল এই বিশ্বাস রাখা যাবে না যে, বিষ্ণুর ‎চারটি হাত রয়েছে এবং পাখির উপর আরোহিত”। (জাকির নায়েক প্রণীত “ইসলাম আওর আলমী আখওয়াত”-৩৩}
অথচ অনারবী সে সকল শব্দ দ্বারাই কেবল এক মাত্র আল্লাহ তা‘য়ালাকে ডাকা যায়, যা ‎‎কেবল মাত্র আল্লাহ তা‘য়ালার জন্যই নির্দিষ্ট। তা ব্যতীত অন্য কোন শব্দ দ্বারা জায়েজ নয়।

তাহলে‎বিষ্ণু,ব্রাহ্মণ যা হিন্দুদের প্রতীক তা দ্বারা আল্লাহকে ডাকা কিভাবে বৈধ হতে পারে?‎

‎(খ) আল্লাহ তা‘য়ালার কালাম (কুরআন শরিফ) কিরূপ? তা বিজ্ঞান ও টেকনোলজী দ্বারা প্রমাণ ‎করা জরুরি?!

ডাক্তর সাহেব এক প্রোগ্রামে বলেন,মানুষ মনে করে এ পবিত্র গ্রন্থটিই আল্লাহ ‎তা‘য়ালার কালাম (বাণী)। কিন্তু যদি আপনি জানতে চান যে, কোনটি প্রকৃত আল্লাহর কিতাব তাহলে ‎আপনাকে সর্বশেষ পরীক্ষা তথা‘আধুনিক বিজ্ঞান ও টেকনোলজী’দ্বারা তা প্রমাণ করাতে ‎হবে। যদি তা আধুনিক বিজ্ঞান সমর্থন করে তাহলে ধরে নিতে হবে তা আল্লাহর ‎কিতাব ‎। (আল জাওয়াবু আলা সালাসিনা যাওয়াবান আলা আন জাকিরুল হিন্দ ওয়া আসহাবু ফিকরিহী মুনহারিফীনা দ্বালালান লিশ শায়েখ ইয়াহইয়া আল হাজুরী}

এ কথা দ্বারা ডাক্তার সাহেবের পবিত্র কুরআন সর্ম্পকে গুমরাহীমূলক নির্ভীকতা ও চিন্তার বিপথগামীতা ‎এবং অধুনিক বিজ্ঞানের প্রতি অতিভক্তির বিপদজনক মনোভাব প্রমাণিত হয়। তিনি প্রতিনিয়ত ‎পরিবর্তনশীল অধুনিক বিজ্ঞানের গবেষণাকে আসমানী কিতাব বিশেষত আল্লাহ তা‘য়ালার ‎পবিত্র কালাম ‘কুরআন’মজিদের সততা প্রমাণের মানদণ্ড সাব্যস্ত করেছেন। অথচ কুরআন ‎মজিদ আল্লাহ তা‘য়ালার কালাম বা বাণী হওয়ার বড় প্রমাণ তার ‘ই‘জাজ’তথা তার রচনাশৈলী ও বর্ণনাভঙ্গী। যার উপমা দিতে মানুষ অক্ষম। এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘য়ালা কুরআনের বিভিন্ন স্থানে চ্যাল্যাঞ্জ ঘোষণা ‎করেছেন। ‎


(গ) ফাতওয়া দেয়ার অধিকার সকলের রয়েছে?!
ডাঃ জাকির নায়ক সাহেব এক স্থানে বলেন,‘যে কোন মানুষের ফতোয়া দেয়ার অধিকার রয়েছে’‎কারণ ফতোয়া দেয়া মানে অভিমত ব্যক্ত করা ‎। {প্রাগুক্ত}
এখানে ডাঃ জাকির নায়েক ফাতওয়া দেওয়ার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আল্লামা ইবনুল কায়্যিম রহ.-এর ভাষ্যমতে,মুফতি ‎আল্লাহ তা‘য়ালার বিধান বর্ণনায় মহান রাব্বুল আলামীনের ভাষ্যকার ও স্থলাভিষিক্ত হয়ে স্বাক্ষরের যিম্মাদার ‎হয়ে থাকেন। ‎

لم تصلح مرتبة التبليغ بالرواية والفتيا إلا لمن اتصف بالعلم والصدق فيكون عالما بما بلغ صادقا فيه ويكون مع ذلك حسن الطريقة مرضي السيرة عدلا في أقواله وأفعاله متشابه السر والعلانية في مدخله ومخرجه وأحواله وإذا كان منصب التوقيع عن الملوك بالمحل الذي لا ينكر فضله ولا يجهل قدره وهو من أعلى المراتب السنيات فكيف بمنصب التوقيع عن رب الأرض والسموات، فحقيق بمن أقيم في هذا المنصب أن يعد له عدته وأن يتأهب له أهبته وأن يعلم قدر المقام الذي أقيم فيه (اعلام الموقعين-1/91)

[অর্থ: হাদীস বর্ণনা এবং ফাতওয়া দেওয়ার যোগ্য কেবল আলেমও সত্যবাদীদের। সুতরাং সে হবে আলেম, সাথে সাথে সত্যাবাদীতা। এবং যার বাহ্যিক অভ্যান্তরিণ অবস্থা হবে সৌন্দর্যমন্ডিত। কথাবার্তা ও কর্মে হবে ন্যায়পরায়ণ। যার প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য ও বাহ্যিক ও অভ্যন্তরিণ অবস্থা হবে সমান সুন্দর। যখন রাজ্যের বাদশাহ হওয়ার পদটিকে এমন মর্যাদা দেয়া হয়ে যে, এর পদর্যাদাকে কেউ অস্বিকার করে না, আর এটাতো সবচে’ উঁচু পর্যায়ের পদ, সুতরাং আসমান জমিনের রবের প্রতিনিধিত্বের পদটি কতটা মর্যাদাপূর্ণ হবে?

প্রকৃত বিষয় হলযাকে এ স্থানে অধিষ্ঠিত করা হবে, তাকে অভিজ্ঞ, দক্ষ এবং স্বীয় পদমর্যাদা সম্পর্কে হতে হবে পূর্ণ ওয়াকিফহাল। {ইলামুল মুআক্বিয়ীন-১/৯১}]

ডাক্তার সাহেব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে “স্বীয় অভিমত”বলে একটি সাধারণ শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার মাধ্যমে ‎শুধু নিজের জন্য নয় বরং অভিজ্ঞ ও অনভিজ্ঞ সকলের জন্য ফতোয়ার দ্বার উন্মুক্ত করে ‎দিলেন। আর তিনি পবিত্র কুরআনের এআয়াত- فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ (43)

অর্থ: যদি তোমরা না জেনে থাক তাহলে জ্ঞানীদের কাছ থেকে জেনে নাও {সূরা নাহল-৪৩, সূরা আম্বিয়া-৭}

সেই সাথে রাসুলুল্লাহ ‎সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিম্নের হাদিসটি সম্পূর্ণরূপে ভুলে গেলেন;من افتى بغيرعلم كان إثمه على من أفتاه
‎(অর্থাৎ যে ব্যক্তি পূর্ণ জ্ঞানী হওয়া ছাড়া (অশুদ্ধ) ফতোয়া দেয় ঐ (অশুদ্ধ) ফতোয়ার গুনাহ ‎ফতোয়া প্রদানকারীর উপরই বর্তাবে। ‎(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৬৫৯৩, বাবু তাফসিরিল কুরআন আন রাসূলিল্লাহ অধ্যায়।


দুই- তাফসীরে- মনগড়া ব্যাখ্যা তথা অর্থবিকৃতি :‎

কুরআন মজিদের তাফসীরের বিষয়টি খুবই সুক্ষ্ম। কেননা মুফাসসির আয়াত থেকে আল্লাহ ‎তা‘য়ালার উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট করেন যে,আল্লাহ তা‘য়ালা এই অর্থই বুঝিয়েছেন। তাই অযোগ্য ‎‎লোকদের এ বিষয়ে পা রাখা অত্যন্ত বিপদজনক। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে-من قال في القرآن برأيه فأصاب فقد أخطأ
অর্থ: যে ব্যক্তি কুরআনের তাফসীর কেবল নিজের জ্ঞান দিয়ে করে, তাহলে সে ঘটনাচক্রে সঠিক বললেও তাকে ভুলকারী সাব্যস্ত করা হবে। ‎‎(তিরমিযি শরিফ-হাদীস নং-২৯৫২)

অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, ومن قال في القرآن برأيه فليتبوأ مقعده من النار

অনুবাদ-যে ব্যক্তি স্বীয় যুক্তি দিয়ে কুরআনের তাফসীর করে সে তার আবাস জাহান্নামকে বানিয়ে নিল। {সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২৯৫১}

তাই মুফাসসিরের জন্য বেশ কিছু শর্তাবলী রয়েছে।

যেমন, ‎


১- কুরআনের সকল আয়াতের উপর দৃষ্টি থাকতে হবে।‎
‎২- হাদীসের ব্যাপারে থাকতে হবে অগাধ পান্ডিত্ব।
‎৩. আরবী ভাষা ও ব্যকরণ তথা নাহু,ছরফ,ইশতিক্বাক্ব,এবং অলঙ্কার শাস্ত্রে ‎রাখতে হবে গভীর পাণ্ডিত্য।
ডাক্তার সাহেবের মধ্যে এ সকল শর্তের একটিও যথাযথভাবে পাওয়া যায় না। তার না আছে আরবী ‎ভাষা ও আরবী ব্যকরণ সর্ম্পকে যথাযথ পারঙ্গমতা।‎
না আছে হাদিস ভাণ্ডারের উপরকোন সুগভীর পড়াশোনা।‎
আর আরবী সাহিত্য ও অলঙ্কার শাস্ত্রেও নন তেমন জ্ঞানী। (এ কথাগুলো নিম্নের উদাহরণ দ্বারা স্পষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ)‎
অপরদিকে তাফসীরের ক্ষেত্রে বিপদগামী হওয়ার যত উপকরণ হতে পারে,সবকটিই তার ‎মধ্যে বিদ্যমান,যেমন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম,সাহাবায়ে কিরাম ও ‎তাবেয়ীন থেকে বর্ণিত তাফসীর থেকে বিমুখিতা,কালের চিন্তনে প্রভাবিত হওয়া, এবং পবিত্র ‎কুরআনের বিষয়বস্তুকে ভুল বুঝা ইত্যাদি। তাই তিনি ‎‎দশের অধিক আয়াতকে স্বীয় অজ্ঞতা চর্চার ক্ষেত্র বানিয়েছেন। নিম্নে তার কিছু উদাহরণ দেয়া গেল। ‎



প্রথম আয়াত:‎

১৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার মন্তব্য -- গফফার সাহেবের উচিত অন্তত একটা মূর্তির নাম নিদিষ্ট করে বলা সেটার নামের সঙ্গ আল্লাহর নাম মিলে ।---- কেন স্বং আল্লাহর নাম কাফেরদের চন্দ্র দেবতার নাম থেকে নেওয়া হয় নি ??

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভুল বললেন আল্লাহ্ নামটি হযরত আদম র: সময় থেকেই প্রচলিত ছিল । আল্লাহ নামের ইতিহাস :
আল্লাহ" শব্দটি আরবি "আল" (বাংলায় যার অর্থ সুনির্দিষ্ট বা একমাত্র) এবং "ইলাহ" (বাংলায় যার অর্থ সৃষ্টিকর্তা) শব্দদ্বয়ের সম্মিলিত রূপ, যার অর্থ দাড়ায় "একমাত্র আললাহ" বা "একক আললাহ"
ইসলাম-পূর্ব আরব
ইসলাম-পূর্ব আরবে,মক্কাবাসী পৌত্তলিকরা আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা দেবতা হিসেবে ধারনা করতো, এবং খুব সম্ভবতঃ সবচেয়ে শক্তিশালী দেবতা হিসেবে।[১৩] কিন্তু একক এবং অদ্বিতীয় ঐশ্বরিক শক্তি হিসেবে নয়। বরং পৃথিবী-সৃষ্টিকারী এবং বৃষ্টি-দানকারী স্বত্তা হিসেবে। আল্লাহর প্রকৃত স্বরূপ তাদের ধারনায় খুব পরিষ্কার ছিল না।[৪] তাদের ধারনা ছিলো যে, আল্লাহর আরো সঙ্গী-সাথী আছে, যাদেরকে তারা অধীনস্থ দেবতা হিসেবে পূজা করতো। তারা আরো ধারনা করতো যে, আল্লাহর সঙ্গে জ্বিনজাতির আত্মীয়তা-ধরনের কোনো সম্পর্ক আছে[১৪] তারা আল্লাহর পূত্র আছে বলেও সাব্যস্থ করেছিলো [১৫] এবং তত্কালীন আঞ্চলিক দেবতা লা'ত, উজ্জা, মানাতকে তারা আল্লাহর কন্যা সাব্যস্থ করেছিলো [১৬]। খুব সম্ভবতঃ, মক্কার আরবরা আল্লাহকে ফেরেশতা বা স্বর্গীয় দূত হিসেবে ধারনা করতো।[১৭][১৮] যার কারনে বিপদগ্রস্থ অবস্থায় তারা আল্লাহ ডাকতো।[১৮][১৯] এমনকি নিজেদের নামকরনেও তারা আব্দুল্লাহ(অর্থাৎ, আল্লাহর বান্দা বা গোলাম) শব্দটি ব্যবহার করতো। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মুহাম্মাদ(স.) এর পিতার নাম ছিলো ʿAbd-Allāh(عبدالله ) আব্দুল্লাহ'[১৮]।

খ্রিস্টধর্ম
আসিরিয়ান খ্রিস্টানদের ভাষায়, ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার জন্য আরামাইক শব্দ হলো ʼĔlāhā, বা en:Alaha। খিস্টান এবং ইহুদিরা সহ আব্রাহামীয় সকল ধর্মের আরবী-ভাষী লোকই, ঈশ্বরকে বুঝাতে আল্লাহ শব্দ ব্যবহার করে থাকে।[৩] বর্তমান যুগের আরবী-ভাষী খ্রিস্টানদের ব্যবহারের জন্য ঈশ্বরকে ইঙ্গিত করতে আল্লাহ ব্যতীত উপযোগী অন্য কোনো শব্দই নেই।[৯] (এমনকি আরবী-বংশোদ্ভুত মাল্টাবাসী, যাদের অধিকাংশই রোমান ক্যথলিক, ঈশ্বরকে বুঝাতে Alla(আল্লা) শব্দ ব্যবহার করে)। তবে আরব খিস্টানরা অনেক সময়ই তাদের ত্রিত্ত্ববাদ অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তা বুঝাতে Allāh al-ʾabالله الأب(

ইহুদীধর্ম
যেহেতু আরবী এবং হিব্রু খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত সেমিটিক ভাষা, এটি বহুল প্রচলিত মতামত যে, আল্লাহ(আরবী শব্দমূল: ইলাহ) এবং বাইবেলে বর্ণিত ইলোহিম এর আদিশব্দ একই। ইহুদি ধর্মগ্রন্থে, ইলোহিম শব্দকে ঈশ্বরের(ইহুদি মতানুযায়ী যাকে ইয়াওহে বা জেহোবা বলা হয়) একটি বর্ণনামূলক নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আবার একই সাথে শব্দটিকে পৌত্তলিকদের দেবতাদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়েছে।

পাদটিকা : একটি বিষয় খুব ভাল করে দেখুন আমি আমার লেখায় আল্লাহ্ নামটি হযরত আদম আ: এর সময় থেকেই প্রচলিত আছে এবং সেটি একক সত্বা হিসাবে । কিন্তু বিভিন্ন সময় ইসলাম বিকৃতির ফলে আল্লাহ নামের অপব্যাখ্যা হয়েছে ।

১৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

এ আর ১৫ বলেছেন: গাফ্ফার চৌধুরী পর্দা নিয়ে মন্তব্য করেছে -- মাথার ভেইল যাকে আমরা হিজাব বলি এবং মুখ ঢাকার নিকাব পরার জন্য কোরানের কোথায় নির্দেশ আছে ? এই গুলোতো মরুময় আরবের ট্রেডিশন এই গুলোতো ধর্মীয় বাধ্যকতা নয় ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এগুলো আবরেব পোষাক হলেও আল্লাহ পর্দার কথা বলেছেন নারী এবং পুরুষ উভয়কে । কোরআনে শরীরের ঊর্ধ্ব অংশ চাদর দ্বারা এমন ভাবে ঢেকে বাহিরে যেতে বলা হয়েছে যেন শরীরের উপড়ের অংশ বোঝা না যায় । এবং সেটা নারীদের নিরাপত্তার জন্যই বলা হয়েছে । শুধু মুসলিম নারী নয় যে কোন ধর্মেই শালীন পোশাকের কথা বলা হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস ।

২০| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চৌধুরী সাহেবের ঝুলিতে মহান একুশের গানটি ছাড়া আমি আর কোন কৃতিত্ব দেখিনা ।
ওই একটা গান ধুয়ে ধুয়েই তিনি আজীবন খেয়ে গেলেন ।
তবে উনার বিগত ৫০ বছরের মূর্খতার নমুনা দেখে আমার যথেষ্ট সন্দেহ হয় , গান টা উনার লিখা কিনা !

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সত্যিই উনি নিজেকে মূর্হতে অনেক নিচে নামিয়ে ফেললেন ......।

২১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪

এ আর ১৫ বলেছেন: হযরত আদম (আ) আরবী ভাষায় কথা বলতো এই তথ্য কোথায় পেয়েছেন ? যদি বলা হোয়েও থাকে তবে আমাদের নবীর জন্মের পুর্বে আরবের লোকেরা চন্দ্র দেবতার পুজা কোরতো যাকে সবচেয়ে ক্ষমতাবান দেবতা বলে বিশ্বাষ কোরতো এবং আল্লাহ নামে ডাকত । আমাদের নবী জন্মের পর থেকে ঐ নাম শুনে এসেছে এবং এই নাম ইসলাম ধর্মে স্রষ্টার নাম হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে। আল্লাহর সব গুন বা ক্ষমতা গুলোকে ভিজিয়াল রুপ দিয়ে পত্তৌলিক রা পুজা করতো এবং এখনও করে । আল্লাহর যে ৯৯ টা গুনাবলি আছে তা অন্য ধর্ম গুলো ও বিশ্বাষ করে এবং পত্তৌলিকরা ভিজুয়াল রুপ দিয়ে পুজা করে ।

২২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

২৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

মুরাদ খান বলেছেন: আপনার কথা বার্তা বা বক্তব্যগুলো হয়েছে হিংসুটে মূর্খ রমণীর মতো যে ঝগড়ার সময় কি বলে তা নিজেও জানে না ... ১০০% ঠিক

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৫৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ । এটা আমার আক্ষেপের কথা । আমি অবাক হয়ে যাই উনি একজন জ্ঞানী মানুষ হয়ে এভাবে মন্তব্য করলেন কি করে ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.