নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষে সেতু নির্মাণ শিল্পীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হোক, যদি তা না করা হয় তবে তা হবে তাদেরকে বঞ্চিত করা

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

আপনাকে যদি প্রশ্ন করি, বলুন তো তাজমহল কে নির্মাণ করেছেন ? কিংবা বলুন তো আইফেল টাওয়ার কে নির্মাণ করেছেন ? আপনি হয়তো চোখ বন্ধ করে বলে দিবেন বা একটু সময় নিয়েও বলে দিতে পারবেন । কিন্তু যদি প্রশ্ন করি, তাজমহল বা আইফেল টাওয়ার বানিয়েছে এমন কয়েকজন শ্রমিকের নাম বলুন তো ? আপনি বলতে পারবেন না । শুধু আপনি কেন খুব সম্ভব কেউই পারবে না । এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা পরে করছি । চলুন একটু ঘুরে আসি পদ্মা সেতু থেকে ।



শুরু হয়ে গেছে পদ্মা সেতুর মূল কাজ । নদী শাসনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করলেন পদ্মা সেতুর মূল কাজের । আশা করা যায় সকল কাজ নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে । পদ্মা সেতুটি হলে দক্ষিণ অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার যে উন্নতি ঘটবে তা বলে শেষ করা যাবে না । শুধু মাত্র এই সেতুটির কল্যাণে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে । এসব সবার জানা আমি এ বিষয়ে কিছু বলার জন্য ও এ পোষ্ট লিখছি না । এরশাদের আমল থেকে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে অনেক সেতু, কাল বাট, রাস্তা ঘাট করা হয়েছে । এবং হচ্ছে । ছোট বেলায় পড়েছি, একটি দেশের রাস্তা ঘাট যতো উন্নত সে দেশটি তরো উন্নত । আমাদের দেশ ও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এটা আমাদের গর্বের বিষয় ।

শত সহস্র শ্রমিক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে খেয়ে না খেয়ে দেশের সেবায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে । তাদের অবদানের কথা বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না । কাজের বিনিময়ে তারা মজুরি পায় তাতে কোন সন্দেহ নাই । আমাদের দেশে নির্মাণ কাজে বড় কোন ধরনের দুর্ঘটনার কথা ও শোনা যায় না । এটাও আমাদের গর্বের বিষয় । সব কিছু ঠিক থাকলে নির্ধারিত সময়েই সকল কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় । কাজ শেষ তো শ্রমিকদের ছুটি । যে যার বাড়িতে চলে যায় কেউ নতুন পেশা বেছে নেয় কেউ হয়ে পরে বেকার । আমরাও তাদের কথা ভুলে যাই । তাদের ঘাম রক্ত জড়ানো সেতু , ইমারত বা পুল কাল বাটের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের কথা স্মরণ ও করি না । করার কথাও নয় । তাজ মহল দেখে আমরা সম্রাট শাহজাহান-মমতাজের প্রেমের কথা চিন্তা করি একবারও ভাবি না যে শ্রমিকেরা বা প্রকৌশলীরা এটা নিখুঁত ভাবে তৈরি করেছে তাদের কথা । যদি সম্রাট শ্রমিকদের নাম লিখে রাখার ব্যবস্থা করতেন তা হলে তাদেরকেও মানুষ স্মরণ করতো শ্রদ্ধার সাথে । তাদের বংশধরেরা গর্ব বোধ করতো এই ভেবে যে , তাদের পূর্ব পুরুষেরা তাজমহল নির্মাণে কাজ করেছেন । তাতে তাজমহল বা সম্রাটের সম্মান বা জ্যোতি একটুও ম্লান হতো না ।

আমি এই পোষ্ট লিখছি, এ কারণে যে, অতীতে কি হয়েছে বা হয়নি সেটি ভেবে লাভ নেই, পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে যে সকল শ্রমিক, প্রকৌশলীরা জড়িত যাদের দিনরাত নিরলস পরিশ্রমে একটু একটু করে তৈরি হচ্ছে পদ্মা সেতু তাদের নাম পদ্মা সেতুর নির্মাণ শেষে সেতুর গায়ে অফিসিয়ালি ভাবে টানিয়ে দেওয়া হোক বা লিখে রাখা হোক । এতে করে শ্রমিক,প্রকৌশলীদের রাষ্ট্রীয় ভাবে সম্মান দেওয়া হবে বলে আমি মনে করি । শ্রমিকের শ্রমের মূল্য কখনও অর্থ দিয়ে পরিশোধ করা যায় না । আশা করি বিষয়টি নিয়ে সবাই একটু ভেবে দেখবেন । সরকারের ছোট্র একটি উদ্যোগে নির্মাণ মান অনেক বেড়ে যাবে বলে আমি মনে করি ।
অনেকে হয়তো বলবেন, এমনটা বিশ্বের কোথাও করে না । আমি বলবো, বিশ্বের কেউ করে না দেখে আমরা ও যে করবো না তা হতে পারে না । আমরা শুরু করলে সারা বিশ্ব আমাদের ফলো করবে ।


মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

মিথুন আহমেদ বলেছেন: আইডিয়া খারাপ না । কিন্তু হাজার হাজার শ্রমিকের নাম ঠিকঠাক ভাবে লিপিবদ্ধ করে সেগুলোকে অফিসিয়ালি সেতুর গায়ে টানিয়ে দেওয়া যাবে কি?

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: শুধু প্রয়োজন, ছোট একটি মনিটর আর একটি অটো সফটওয়ার ডিভাইস মনিটরে শ্রমিকদের নাম ভাসতে থাকবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.