নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সর্ব স্তরের মানুষ ১লা বৈশাখ উদযাপন করেতে রমনা বটমূলে আসেনা । চারু কলার বিকট বিকট সব সৃষ্টি দেখলে ভয় লাগে । অনেকে বটমূলের অনুষ্ঠানের কথা শুনে হাসে ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪



প্রতিটি জাতীর নিজস্ব কিছু রীতি নীতি থাকে সে সবের সাথে কোন কিছু জুড়ে দেওয়া যায় না সে চেষ্টা করাও উচিত ও নয় । অথচ আমাদের দেশে আশির দশক থেকে আঙুল ফুলে কলা গাছ হওয়া কিছু মানুষ বাংলা সংস্কৃতির সাথে পান্তা ইলিশ জুড়ে দিয়েছে তারও আবার গরম ভাতে পানি ঢেলে সেই পান্তা বানানো হয় । রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখ উদযাপন সে রকমই একটা ব্যাপার । গ্রামের বাজারে ঔষধ বিক্রি করার আগে দেখবেন , একজন গান বাজনা শুরু করে । ধীরে ধীরে সেখানে লোকজন জমে যায় । ছায়ানটের মেয়েদের গান বাজনার শব্দও রমনায় মানুষের উপস্থিতির একটা কারণ । এ ছাড়া চারু কলার বিকট বিকট সব সৃষ্টি দেখলে ভয় না পেয়ে উপায় থাকে না । সর্ব স্তরের মানুষ ১লা বৈশাখ উদযাপন করেতে রমনা বটমূলে আসে না । অনেকে বটমূলের অনুষ্ঠানের কথা শুনে হাসে । কেননা গ্রামের মানুষ অপদেবতা, শয়তানকে তারাবার জন্য পুজা করে , দোয়া দরুদ পড়ে । আর শহরে বিকট বিকট মূর্তি বানিয়ে নাচানাচি করে ।
বাংলার গ্রামের লোকেরা যে যার ঘরে নিজেদের মতো বাংলা বছরের ১ম দিনটিকে উপভোগ করে । এর মধ্যে ইলিশ মাছ ঢুকিয়ে দিয়েছে কিছু খুচরা মুনফা লোভী মৌসুমি ব্যবসায়ী । তারা ১লা বৈশাখের দিন রমনা আর টিএসসির আশে পাশে দোকান দিয়ে ব্যবসা পেতে বসে ।

বাংলায় একটি কথা আছে, এক তো নাচুনি বুড়ি তার উপরে দে ঢোলে বারি । সদ্য মধ্যবিত্ত থেকে ধনী হওয়ার পথে শ্রেণীটির কিছু অংশ ১লা বৈশাখের দিন ইলিশ পান্তা খেয়ে বাঙালী সাজে । রং ঢং করে সময় কাটাবার জন্যই রমনা বটমূলে উকি ঝুঁকি মারে । বাঙালী উৎসব প্রিয় জাতী । তাতে কোন সন্দেহ নাই । সনাতন ধর্মের অনুসারীদের বারো মাসে তেরো পূজা লেগেই থাকে । প্রতিটি পূজাই এক একটি উৎসব । মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব দুটি । এছাড়াও সবে বরাত,সবে কদর । খৃষ্টানদের বড় দিন । বৌদ্ধদের মাঘী পূর্ণিমা, সাঁওতাল,চাকমা,মারমা যাদেরকে আমরা উপজাতি বলে গণ্য করি তাদের অনুষ্ঠান গুলোও বাঙালী সংস্কৃতির অংশ বিশেষ বলে গণ্য হয়ে আসছে ।

১লা বৈশাখের দিন মূলত গ্রামাঞ্চলের মানুষ নতুন ধানের পায়েস,নানা মিষ্টান্ন, পিঠা পুলি , ফল মুল এসব সহকারে একটু ভাল মন্দ খাওয়া দাওয়া করার চেষ্টা করে । এটা সেই আকবরি বা তার আগ থেকেই চলে আসছে । নানা শ্রেণীর মানুষ নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে ১লা বৈশাখ উদযাপন করে । যেমন ব্যবসায়ীরা হাল খাতার আয়োজন করে । কৃষকেরা নতুন কেনা হাল দিয়ে চাষাবাদ শুরু করে । গৃ্হিনী আর ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা নতুন জামা কাপর পরে ঘুরে বেড়ায় । সবই বছরের ১ম দিনটিকে একটু অন্যরকম করে পালন জন্যই করে থাকে । অনেকে বিশ্বাস করে বছরের প্রথম দিনটি ভাল গেলে সারা বছর ভাল যাবে ।

কপি পেষ্ট করে সব কিছু চলে না অথচ বাংলা সংস্কৃতির নামে তাই করার চেষ্টা করা হচ্ছে অনেক দিন থেকে । এখন সময় এসেছে এসব বন্ধ করার । উৎসবের উশৃঙ্খলাতা মেনে নেওয়া ঠিক নয় । এতো মঙ্গলের চেয়ে অমঙ্গল বয়ে আনে বেশি । আনন্দ করা নিষেধ নয় তবে সেটা করতে হবে সুশৃঙ্খল ভাবে । উদ্ভট উদ্ভট সাজে সং সেজে ঢং করলে কারো কারো ঢোলে বারি পরে তারাই তখন অঘটন ঘটিয়ে ফেলে গত বছর তাই হয়েছে ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

মোঃ জিয়াউল এসহাক জিয়াস বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.