নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
মানুষ নিজেকে পরিশুদ্ধ করার প্রয়োজনে ধর্ম কর্ম করে । নিজের ভেতর থেকে জেগে উঠা পাপ বোধ পরকালের শাস্তির প্রতি ভয় থেকে রেহাই পাবার জন্যই মানুষ ধর্মের দিকে ঝুঁকে পরে । সারা জীবন পাপের স্রোতে জীবন অতিবাহিত করে মধ্যবিত্ত পুরুষেরা শেষ বয়সে দাড়ি,টুপি টুপি লাগিয়ে মসজিদে মসজিদে দৌড়ায় । সকাল বিকাল খোদার সামনে উঠ বস করে । সামথ্যবান হলে নিজেরাই মসজিদ মন্দির বানিয়ে দেয় । খোদা সন্তুষ্ট তো সব সন্তুষ্ট । খোদার জন্য ঘর বানিয়ে দিলে তার চেয়ে আর কে বেশি খুশি হবে ? তাই বানাও খোদার জন্য ঘর । লোকে এসে ইবাদত করবে । তাতে সোয়াব ও মিলবে নামও মিলবে । নিয়োগকৃত হুজুরেরা সকাল বিকাল দোয়া করবে তাতেই মসজিদ নির্মাতা চোদ্দ গুষ্টি সহ বেহেস্তে যাবে । মরার পরে কে কোথায় যায় সেটা তো আর দেখা যায় না । তবে অনুমান করা যায় । সৎ কর্মে স্বর্গবাস । অসৎ কর্মে নরক ।
ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের শহর ঈমানদারের শহর বলা হয় না কেন ?
ঢাকা শহরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য মসজিদ, মন্দির । এমন কোন গলি নাই এমন কোন মোড় নাই যেখানে মসজিদ বা মন্দির নাই । এর মধ্যে রয়েছে আবার এসি, নন এসি মসজিদ । সবই মুসল্লিদের জন্য । মাজারের কথা না হয় বাদই দিলাম । আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ঢাকা শহরে এতো মসজিদ, এতো মন্দির কেন ? আমি তো এমন অনেক মসজিদ দেখেছি যেখানে নামাজের সময় দু'ই কাতারের বেশি লোক হয় না । তবুও মসজিদ থাকতে হবে । না হলে ইজ্জতে লাগে ।
মসজিদ আল্লাহ্'র ঘর । ইবাদতের জায়গা । ঢাকা শহরে যতো মসজিদ রয়েছে ততো কি ইমানদার আছে ? যদি থাকতো তা হলে দেশে একটা লোকও গরিব থাকতো না । মানুষ ভিক্ষা করতো না । জেলখানাগুলো থাকতো শূণ্য ।
মহল্লায় মহল্লায় মসজিদের কল্যাণে হুজুরদের শরীর যেমন তেল চকচক করে ঠিক তেমনি ঠাকুরদের শরীরও চকচক করে । তবুও মসজিদ একতলা থেকে তিন তলা হয় । তিন থেকে বেড়ে হয় পাঁচ তলা হয় । গরীব কিন্তু সেই গরীবই থাকে । অভুক্ত অভুক্তই থাকে । তাতে কার কি আসে যায় । রাতে মসজিদে বড় বড় তালা মেরে হুজুরেরা চলে যায় বিশ্রামের খোজে । বিবি বাচ্চা নিয়া আরাম করে । খোদার ঘরে তালে লাগে । খোদা নিজের ঘর নিজে পাহারা দেয় না । এতো সময় নাই খোদার । বড্ড ব্যস্ত সে । কি হাস্য কর তাই না ।
এক মসজিদের হুজুর আবার অন্য মসজিদের হুজুররে দেখতে পারে না যেমন পারে না মন্দিরের ঠাকুরেরা । মুসল্লিরা আবার নাক উচা সব মসজিদে বা মন্দিরে নামাজ পড়ে, পূজা করে শান্তি পায় না । তাদের আবার মনের শান্তি লাগে । ভাও লাগে । ঠাকুর বা হুজুরের সু দৃষ্টি লাগে । মসজিদে দুনীয়া দারির আলাম নিষেধ হলেও তাও চলে মসজিদ, মন্দিরে । মানে ধর্মের নামে সেই দলাদলি পাড়াপারি । এক কমিটির সাথে অন্য কর্মিটির মারামারি দেন দরবার, বিচার সালিস কোন কিছু বাদ নাই । খোদা কিন্তু নীরব । তিনি কোন শব্দ করে না । কোন দলও বেছে নেন না ।
আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, ঢাকা শহরে এতো মসজিদ মন্দিরের কোন প্রয়োজন নাই । সব গুটিয়ে ফেলুন বা ভেঙ্গে ফেলুন । তার পরিবর্তে প্রতিটি পাড়ায় বা মহল্লায় একটি বড় মসজিদ নির্মাণ করা হোক । সেখানে সবাই গিয়ে নামাজ পরবে । তখন দেখা যাবে কে কতো বড় মুসল্লি । এছাড়া একটি নিদিষ্ট দুরুত্বে দুরুত্বে জায়গার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক যেন সবাই সেখানে গিয়ে নামাজ পড়তে পারে, ইবাদত করতে পারে । সে জায়গার দায়িত্বে থাকবে রাষ্ট্র ।
অবস্থা এমন আমি সৎ থাকি বা না থাকি, ভাল কাজ করি বা না করি মসজিদে যাই বা না যাই মোড়ে মোড়ে মসজিদ, মন্দির লাগবেই । সত্যি বলতে, এই মসজিদ মন্দিরের নামে চলে এক ধরনের প্রতারণা । এরা খোদারে নিয়া ব্যবসা করে,দান গ্রহনের নামে ভিক্ষা করে । এসব বন্ধ হওয়া দরকার । আল্লাহ যেদিন ধরবে সেদিন আর শেষ রক্ষা হবে না । প্রতিটি জিনিষের হিসাব দিতে হবে । এদের কারো ইমানের ঠিক নাই । তার প্রমাণ হচ্ছে, ধর্মের নামে দলাদলী একদল বলে তারা ঠিক অন্যদল বলে ভুল । ছি । ঘেন্না লাগে এসব দেখলে । এদের পেছনে নামাজ হয় বলে আমার মনে হয় না ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল বলেছেন । আমিও এটাই বলেছি । অভুক্ত অন্ন দেওয়া , বিপদ গ্রস্তকে সাহায্য করা হচ্ছে সব চেয়ে বড় ধর্মীয় কাজ । সেটাই করতে হবে । মসজিদ নয় মানুষ গড়তে হবে ।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯
রানার ব্লগ বলেছেন: মসজিদ আছে সমস্যা কি !! ?? আরো হোক , ভরে যাক, আমার মত পাপী লকের পাপ কিছু কমবে কি না জানি না তবে কিছু মানুষের অন্নসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। ওলিতে গলিতে অজানা মসজিদের নাম ভাঙিয়ে যারা নির্লজ্জের মত চান্দাবাজি করতেছে, এদের পরিবাররা বেঁচে যাবে । লক্ষ লক্ষ লোক প্রতি শুক্রবারে জুম্মায় কোটি কোটি টাকা দান করছেন এতে মসজিদের উন্নয়ন হোক বা নাহোক কিছু বেশরম মানুষের বাড়তি ইনকাম তো হবে, এর লাভও আছে, কিছু সরকারি লোকের গুস খাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। কারন আমার দেখা মতে মসজিদের সভাপতি বা কোষাদাক্ষো সরকারি কর্মকর্তারাই বেশি হন (আমার দেখার ভুলও হতে পারে), এখন নামাজে গিয়ে দ্রত নামাজ শেষ করে বের হয়ে যাই, শুক্রবার তো আরো তারাতারি। কারন নামাজ শেষে সভাপতি বা কোষাদাক্ষের নাতিদীর্ঘ ভাষণ থাকে দান সম্পর্কিত। অথচ সভাপতি বা কোষাদাক্ষোরাই ইচ্ছা করলে অর্থাৎ তাদের হাত একটু ঝাড়লে মসজিদের উন্নয়ন হয়ে আর বেশি থেকে যাবে এতে তার বিলাশবহুল রুটি রুজির কোন ব্যঘাত ঘটবে না। কিন্তু এমন তো আর হয় না।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: তোমরা আমার আয়াতকে নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি করো না ...........
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭
এই সুমন এই বলেছেন: লেখা পড়ে মনে হলো ধর্মের ব্যপারে অনেক কনফিউসড। ধর্মের ব্যপারে মোটামুটি জানে এমন কারো সাথে আলাপ করে কনফিউসন দূর করতে পারেন ইচ্ছা থাকলে। এই জন্য কোনো হুজুরের/ ঠাকুরের কাছে জেতে হবে না। তবে "আমি অনেক জানি, অনেক বুঝি" এই মানসিকতা বর্জন করতে হবে তার আগে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: কনফিউসড হবার কিছু নাই । সহজ সরল ভাষায় বলেছি ধর্ম নিয়ে ধান্ধা বন্ধ হোক । বন্ধ না করলে এ জগতে রুজি রুটি মিললেও পর জগত কিন্তু বাঁশ ।
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০
বাংলার জামিনদার বলেছেন: আরে ভাই ধান্দার কাছে সবাই আন্ধা। আর মসজিদ নিয়া করলে তো পেট ও ভরে আবার সওয়াবও হয়(যদিও সওয়াবের ব্যাপারটা হয় কিনা সিউর না)।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সওয়াবের ব্যাপারটা হয় সিউর না দেখেই তো ব্যবসা জমে যায়
৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ঈমানের চাইতে আমল বেশী হলে যা হয় আর কী! আর আমাদের দেশে, পরের জমি দখলের একটা চমৎকার স্থাপনা হল মসজিদ!
৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩
গোধুলী রঙ বলেছেন: শুধু শুক্কুর বারের নামাজের জন্য ৫-৬ তলা মসজিদ!! আমাদের বাড্ডার দিককার একটা মসজিদের কথা বলি- মোট ৬ তলা, প্রতি ফ্লোরে ২০০্ প্লাস মুসুল্লি নামাজ পড়তে পারে। প্রতি তলাতে ৪টা করে এসি। শুক্কুরবারে শুধু পুরো মসজিদ ভরে রাস্তায় লোক চলে যায়। রমজানের তারাবীতে প্রথম ৫-৮ দিন তিন তলা পর্যন্ত ভরলেও ১০ তারিখের পর তা এশার সাধারণ জামাতের সমান হয়ে যায়, দেড় ফ্লোর।
ঢাকা শহরের মসজিদ আমার কাছে স্রেফ অপচয় মনে হয়, কারন
১। যা স্ট্রাকচার বানায়ে রাখা হয়েছে তা শুধু শুক্রবারের দু ঘন্টার জন্য সপ্তাহের বাকী সময়টাতে কোন ব্যবহার নেই
২। মসজিদ আবাদ করার কথা যেটা বলা হয় সেটা বেশির ভাগ মসজিদে সম্পুর্ন অনুপস্থিত, মসজিদে শুধুমাত্র ৫ অয়াক্ত নামাজ হয়
৩। মসজিদের কোন সোশাল একটিভিটিস নাই, যেটা একমাত্র মসজিদই ভালো পারতো
৪। মসজিদের আচরন ব্যাক্তি আচরনের মত স্বার্থপরতায় পুর্ণ, কারন মসজিদ কমিটিতে যারা থাকেন তারা শুধু ইমাম নির্বাচন আর এসি লাগানোর ফান্ড যোগাড় করা ছাড়া কোন কাজ করেন না।
৫। অনেক মসজিদ আছে যার ইমাম আলেম নন।
ইত্যাদি ইত্যাদি
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫
আহলান বলেছেন: ৯০ শতাংশ মুসলমানের বাস বাংলাদেশে। ঢাকার জনসংখ্যানুযায়ী মসজিদ দরকার আছে বৈকি। ঢাকা শহরের ভেতরে এমন মসজিদ নাই যেখানে ওয়াক্তিয় নামাজে দুই কাতার হয় মাত্র। নামাজ রোজার সাথে সম্পৃক্ত থাকাই ইমানের একটি বড় প্রকাশ।
এর সাথে যে দূর্নীতি গুলো মিলে মিশে যায় আপনি তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারেন, তাই বলে ঢালাও ভাবে সব মসজিদ এর পিছনে লাগতে পারেন না।
যেমন গ্যাঞ্জাম ফ্যাসাদ করে নতুন কোন মসজিদ তৈরী করলে সেই মসজিদ হলো মসজিদে জেরার। সেখানে নামাজ পড়লেও নামাজ আদায় হবে না। হুজুর যদি আল্লাহর চেয়ে সমজিদের সভাপতিকে বেশী ভয় আর শ্রদ্ধা করে, তবে তার পিছনেও নামাজ দুরস্ত হয় না। যদি কেও মনে করে কোটি কোটি কালো ট্যাকা মসজিদে দিলেই সে সাদা ফকফকা হয়ে যাবে, তার আর কোন হিসাব নিকাশ পরকালে দিতে হবে না, তবে সে বেকুবের হদ্দ .....