নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
এক বন্ধু ৮৯০০০ হাজার টাকা দিয়া একখান ফোন কিইনা আইন্না আমার রুমে আইসা খুব এ্ষ্টাইল মাইরা টেবিলের উপর ফোনটা রাইখা কইলো , দেখ তো ক্যামন হইলো ? রবি শপ থেইক্কা গরম গরম কিনলাম । একদম লেটেস্ট মোবাইল ২০১৯ .......।
সকাল বেলা বউয়ের জারি খাইয়া বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ই মেজাজটা খিচচ্চা ছিলো ...রাস্তায় রিকশাওয়ালা গো চৌদ্দ গোষ্ঠীরে গালি দিতে দিতে অফিসে পৌঁছে কফির মগে চুমুক দিতে দিতে মেজাজ ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করছিলাম । সেই সময় এই উৎপাত আর সহ্য হইলো না । মেজাজের গিয়ার আবার ১২০ পৌঁছে গেল। নিজেরে তার ছিঁড়া মনে হইলো। শালায় সকাল থেইকা সন্ধ্যা পর্যন্ত খাইটা একটা দামী লুঙ্গি কিন্না পরতে পারি না, আর এই শালারা মাসে মাসে ফোন বদলায় । আমি ফোনডা না ধইরাই কইলাম, এই বা.ডা দিয়া কি কথা কওন যায়?
ও নির্বিকার ভাবে হাই্সা, ব্রু নাচাইয়া কইলো, কথা তো কওন যায় ই আরো অনেক কিছুও করা যায় । তারপর একবার ফোনটার দিকে চোখ বুলাইয়া কইলো, ঘটনা কি ? ফকির মিসকিন গো মতো সকাল সকাল মেজাজটারে খিচ্চচা রাখছস ক্যান ? ভাবি প্যাদাইছে নাকি ? আমার এই ধনী বন্ধু তো আর জানে না যে, গরীবের বউয়েরা সব সময় ই প্যাদায় । আদরের সময় প্যাদায়, সোহাগের সময় প্যাদায় ,বাচ্চা কাচ্চা নিয়া প্যাদায়, বাজার সদাই নিয়া প্যাদায়, প্রতিবেশীদের নিয়া প্যাদায়, শশুর শাশুড়ি নিয়া প্যাদায় । সব শেষ প্রাক্তন নিয়া সকাল সন্ধ্যা প্যাদায় । প্যাদাইতে প্যাদাইতে ত্যানা ত্যানা কইরা ফেলে ।
আমি কইলাম, তোর ফোন দেইখা মেজাজটা খিচ্চচা গেছে । এতো দাম দিয়া ফোন কিননের কোন মানে আছে ? শুধু শুধু অপচয় ।
ও হেসে বলল, সখ দোস্ত ! সখের তোলা লাখ টাকা । আমি মুখে কিছু কইলাম না কিন্তু মনে মনে গালি দিতে লাগলাম। ও জাকিয়ে বসছে দেখে শেষমেশ বলেই ফেললাম যা এখন । কাজ করতে দে । হাতে অনেক কাজ ।
ও ফোনটা টেবিল থেকে তুইলা নিয়ে যাওনের সময় সুর করে গাইতে গাইতে গেল , হিংসা হিংসা ... তোমাদের হিংসা ....... আমি জানি, জানি তোমাদের হিংসা হয়। সন্ধ্যায় পার্টি দিছি আসিস আসিস ......।
মেজাজটা আবার খারাপ হয়ে গেলো । জোরে জোরে গালি দিতে পারলে ভাল হতো । কিন্তু পেটের দায়ে হোক আর টানেই হোক সেটা পারছি না । অফিসে গালাগালি শোভন নয় । তাই দাতে দাত চেপে রইলাম । আজকাল শুরু হয়েছে এই এক নতুন এক যন্ত্রণা। অল্পতেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায় । তখন মনে মনে গালাগালি শুরু করি । বিশেষ করে রাস্তায় বের হলো সেটা আরো বেড়ে যায় । লাখ লাখ রিকশা শহরের অলি গলি দখল করে আছে । দশ টাকার ভাড়া চাচ্ছে পঞ্চাশ টাকা । গেলে যাও না গেলে না যাও । যেনো বাপের রাজত্ব । স্কুল গামী, বাসায় ফেরত মহিলা, বাচ্চা দেখলে তো আর কথাই নাই । ভাড়ার পারদ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে । নিউ মার্কেট থেকে পুরাণ ঢাকা যাইতে ভাড়া চায় তিনশ টাকা । যেনো টাকা বলদের গো. দিয়া বের হয় । এই রিকসাওয়ালা গো আবার কিছু কওন যাইব না । কিছু কইতে গেলেই কিছু কিছু জন দরদি হারাম খোরের দল রিকশাওয়ালা গো পক্ষে দাড়িয়ে যায় । মজা নেয় । তাদের পক্ষ নিয়া ঝগড়া করে। ঝগড়ার দৃশ্য হাতাহাতির দৃশ্য মোবাইলে রেকর্ডিং কইরা ফেসবুকে পোস্ট দিয়া তা ভাইরাল করে । মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে এই হারামখোরদের পোলা মাইয়া গো লগে রিকশাওয়ালা গো বিয়া দিয়া দেই । এরপর গলাগলি করে থাক । তখন দেখি এতো মায়া কুনখান দিয়া বাইর হয় । এই হারামখোর তো আর টাকার মায়া নাই। দশ টাকার ভাড়া পঞ্চাশ টাকা চাইলেও লাফ দিয়া উইঠা পরে । অবৈধ পথে কোটি কোটি টাকা কামাইতাছে । ওরা তো আর জানে না একটা টাকা কামাইতে একজন সৎ মানুষের কতোটা কষ্ট করতে হয় ।
সরকার, সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বাড়াইল ১০০% । ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুর মূল্য হুর হুর করে বেড়ে বেড়ে গেল কিন্তু বেসরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বেতন বাড়ানের জন্য কোন কিছুই করলো না। বলি এই মধ্যবিত্ত বিশাল শ্রেনীটা কোথায় যাবে ?
আজ দেখলাম ভিআইপি রোডে ও রিকশা চলছে । দেখার কেউ নাই । গোদের উপর বিষ ফোড়ার মতো ইদানীং আবার শুরু হইছে নতুন আরেক যন্ত্রণা । উবার, পাঠাও, ও ভাই , এই সব বা. ছাল নামের মোটরসাইকেলগুলো রাস্তায় দল বেধে যাত্রী শিকারের জন্য ওত পেতে থাকে । রাস্তায় দীর্ঘ জ্যাম ঠেলে এক ঘণ্টার রাস্তা যাইতে তিন ঘণ্টা লাগে । সেই সময় ভিআইপি'রা যখন রাস্তা বন্ধ করে সাইরেন বাজাতে বাজাতে চলাচল করে তখন আর নিজেরে কন্ট্রোলে রাখতে পারি না। মুখ দিয়া অনর্গল গালি বের হতে থাকে ।
মাঝে মাঝে মনে হয় যেন কয়েক শো বছর আগের কোন রাজতন্ত্রে বাস করছি । হাতির বহর, ঘোড়ার বহর নিয়া রাস্তা দিয়া রাজা যাবে, রানি যাবে তাদের পুত্র কন্যারা যাবে,অন্ত্রি যাবে, মন্ত্রী যাবে চ্যাটের বালেরা যাবে আর আমরা প্রজারা শুধুই রাস্তার দু'পাশে দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া বা. ছিঁড়মু ।
লেখাটা ভাল না লাগলে আপনারা ও ছিঁড়তে শুরু করতে পারেন ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সেই দিন কি আসরে ভাই , আসবে না ......মধ্যবিত্তরা কখনোই বিত্ত থেকে বের হতে পারে না ....
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
নত হতে হতে প্রভু
মাটিতে ঠেকেছে মাথা
এবারতো দ্রোহের মন্ত্র দাও
মাথা উঁচু করে বলবার -
রাজা তুই ন্যাংটো!
রাজা তুই মিথ্যুক!
রাজা বা. ছিড়বার
রাজা তুই স্বৈরাচার!
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: রাজা তুই ন্যাংটো!
রাজা তুই মিথ্যুক!
রাজা বা. ছিড়বার
রাজা তুই স্বৈরাচার!
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গল্পের নাম স্বার্থক হয়নি।
এটাতো ঘটনা।
একবার খেলার মাঠে এক পোলা কিশোরদের বলছে -
যা এখান থেকে চলে যা । যন্ত্রনা করবিনা। তাইলে কিন্তু রাজা বা. দেখায় দিমু............
শুনে আমারতো টাসকি খাওয়ার জোগাড়!!!!
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: গল্পের নাম স্বার্থক করনের ইচ্ছা থাকলে তো আর বা. ছাল নাম রাখতাম না ।
খেলার মাঠের ওই পোলার রাজা বা. আছিলো দেইখাই সে খেতাইতে পারছে । আমাদের নাই তাই আমরা দেখাইতে পারি না । শুধু কইতে পারি
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: কিছুই মিথ্যা লিখনে নি।
সব সত্য।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: গরীবের দু:খটাই সব চাইতে বেশি সত্য ভাই ...................
৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গরীব হয়ে থাকাটাও যেনো একটা শিল্প।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এইটা ভাল বলেছেন , আমার মনে হয় , পৃথিবীর সবাই গরীব । কেউ মনের দিক দিয়া আবার কেউ অর্থের দিক দিয়া । গরীবি কিন্তু পিছু ছাড়ে না ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভালো লাগছে
বা .............ছিড়েলে........আমারই ব্যাথা লাগে
শুধু শুধু কষ্ট পাইয়া কি লাভ?
পারলে ওদের বা...............ছিড়বো, তখন বুঝবে !!