নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবিত কিংবা মৃত মুহাম্মদ সা:, মুসলিম ও ইসলামের বিরুদ্ধে ইহুদি চক্রান্ত কিন্তু থেমে নেই।এ চক্রান্তে মুসলিম নামের কিছু লেবাসধারীও জড়িত হয়ে পরেছে।

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০০

হযরত ঈসা ও মুসা আঃ উপর নাজিল কৃত আসমানি কিতাব ইঞ্জিল ও তাওরাতে মহান আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সা: আগমনের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। হযরত মুহাম্মদ সঃ দেখতে ক্যামন হবেন, তার আকৃতি ক্যামন হবে, তার পিতা মাতার নাম কি হবে সব কিছু ই খুব ভাল ভাবে উল্লেখ ছিলো উক্ত দুটি আসমানি কিতাবে।
ফলে খৃষ্টান ও বনি ইসরাইলের ধর্মীয় গুরুরা মনে মনে ধরেই নিয়ে ছিলেন যে, হযরত মুহাম্মদ সা: ও তাদের কাওমেই জন্ম গ্রহণ করবেন।
কিন্তু তাদের সে ইচ্ছেয় পানি ঢেলে দিয়ে হযরত মুহাম্মদ জন্ম গ্রহণ করলেন মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশে।
তার জন্ম গ্রহণ এর পর থেকে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের পরিবর্তন দুধ মাতার গৃহে গমনের পর ফেরেশতাদের নানা কর্ম কাণ্ডে ছোট বেলাতেই প্রকাশ পাচ্ছিল যে এই বালক কোন সাধারণ বালক নন। আল্লাহ তার বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ওনাকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন।
জন্মের পূর্বেই পিতা এবং মাত্র ছয় বছর বয়সে তিনি তার মাতাকে হারান। এরপর তার দায়িত্ব নেন পিতামহ। কিন্তু মাত্র ৮ বছর বয়সে সেই দাদাকেও হারাতে হয়। এ যেনো ছিলো এক শোকের মাতম। আল্লাহ যাকে রক্ষা করেন তার জন্য কোন আশ্রয়ের প্রয়োজন হয় না। আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট।
এরপর মুহাম্মদ সা: চাচা আবু তালিব এর স্নেহ, ভালবাসায় ও ছায়ায় বড় হতে থাকেন রহমাতুল্লিল আলামীন।
মুহাম্মদ খুব ছোট বেলা থেকেই চারিত্রিক গুণাবলির জন্য সকলের দৃষ্টি কাড়েন। বিশেষ করে তার মধ্যে সত্যবাদিতা ও সৎ কর্মের যে গুণাবলি ও বুদ্ধিমত্তা দেখা দেয় তা অন্য কারো মধ্যেই দেখা যায়নি। এভাবে আর আট দশটা শিশুর মতোই মুহাম্মদ সা: বড় হচ্ছিলেন।
মুহাম্মদ সা: তার চাচার কাজে সাহায্য করতেন। কখনো মেষ চড়াতেন আবার কখনো বাণিজ্যিক কাজে চাচার সাথে শাম দেশে সফরে যেতেন। একবার এমনই এক সফরের পর মুহাম্মদ সা: এর জীবন অমূল পালটে যায়।
উক্ত সফরে বাজারে শিশু মুহাম্মদ সা: কে দেখে বনি ইসরাইলের এক বুজুর্গ ব্যক্তি থমকে দাঁড়ান। তাওরাত কিতাবে বনিত সেই শিশুর সাথে এই শিশুর সকল বৈশিষ্ট্য মিলে গেলে তিনি চিন্তিত ও অস্থির হয়ে পরেন। কারণ তারা পূর্বেই বুঝে ছিলেন মুহাম্মদ সা: এর আগমন ঘটেছে দুনিয়ায়। কিন্তু তিনি যে মক্কায় জন্মাবেন তা তাদের ধারনায় ও ছিলো না। নিজেকে সামলে নিয়ে তিনি শিশু মুহাম্মদের চাচাকে খুঁজে বের করেন। শিশু মুহাম্মদের পিতা, মাতার নাম শুনার পর তার আর সন্দেহের কোন অবকাশ থাকে না যে, এই শিশুই তাদের ধর্ম গ্রন্থে বর্ণিত শেষ নবী, মুহাম্মদ সা: ।

এখানে উল্লেখ্য যে, মুহাম্মদ এর পিঠে নবুওয়াত্বের চিহৃ স্বরুপ তারকা আকৃতির একটি ছোট চিহৃ ছিলো । খুব সম্ভবত তিনি সেটিও পরখ করে দেখেন । এরপর তিনি মুহাম্মদের চাচা আবু তালিবকে তাদের কিতাবের বিস্তারিত খুলে বলেন।, "তিনি বলেন, আপনার এই ভাতিজাই হচ্ছেন, শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সা:। আফসোস তিনি আমাদের গোত্রে, আমাদের কওমে জন্ম গ্রহণ করননি।

তিনি সর্তক করে আরো বলেন যে, হে কুরাইশ বংশের আবু তালিব।, "আপনারা সৌভাগ্যবান যে, আল্লাহর মনোনীত ব্যক্তি আপনাদের বংশে জন্ম গ্রহণ করেছেন। তাকে সামলে রাখুন। তার হেফাজত করুন। আমার (ইহুদি ) ও মসিহের অনুসারীদের কাছ থেকে।" তারা যদি জানতে পারে যে, "এই শিশু আপনাদের কওমে জন্ম গ্রহণ করেছে, তাহলে তারা তাকে হত্যার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করবে এবং কেয়ামতের পর্যন্ত সে চেষ্টা জারি থাকবে। তাই এই শিশুর পরিচয় গোপন রাখুন ও তার নিরাপত্তার ব্যাপারে সর্তক থাকুন সর্বাবস্থায়।"

এই ঘটনার পর শিশু মুহাম্মদ সা: কে ওনার চাচা আর তার কাছ ছাড়া করতেন না। সব সময় নিজের সাথে সাথে রাখতেন। চোখে চোখে আগলে রাখতেন। পর পর ক্রমশ ই রাসুলের বৈশিষ্ঠগুলো ফুটে উঠতে থাকে ।

বন্ধুরা এখানে খেয়াল করুন, মুহাম্মদ সা: কে হত্যা বা তা ক্ষতি করার ইচ্ছে ইহুদিদের চক্রান্ত কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। সেই চক্রান্ত কেয়ামত পর্যন্ত চলবে।
আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন, মুহাম্মদ সা: তো নেই তাই তাকে নিয়ে আর চক্রান্তের কি আছে? একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন।
ইসলাম প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ইহুদিদের প্রথম চক্রান্ত ছিলো মুসলমানদের বিভক্ত করে দেওয়া। তারা সেটা সফল ভাবে করেছে। শুনলে অবাক হবেন। হয়তো আপনাদের অনেকের চিন্তাতেও সেটা ছিলো না। শিয়া সুন্নি ইস্যুতে মুসলিমদের মধ্যে প্রথম বিভক্তি ঢুকে পরে। সে এক রক্তাক্ত ইতিহাস ।

এখানে ইহুদিরা চূড়ান্ত ভাবে সফল হয়। রসুল কে হত্যা করতে না পারলেও তার বংশধরদের (আলী,হাসান,হোসেন,কাসেম) কে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। সে ঘটনা আপনাদের সবার জানা।

এখন চলে আসবো ইতিহাস থেকে সমসাময়িক ঘটনায়। তাকান বর্তমান সৌদি আরবের দিকে, তাকান এশিয়া, ফ্রান্সসহ ইউরোপ, আমেরিকার দিকে।
কি দেখতে পাচ্ছেন? সমগ্র বিশ্ব জুড়েই আজ মুসলিম বিরোধী এক চক্রান্ত ধীরে ধীরে দানা বেধে বড় হচ্ছে।
এটা কিন্তু এখন শুরু হয়নি । সেই , শিশু মুহাম্মদ সা: যখন বাজারে খেলছিলেন তখন থেকেই শুরু হয়েছিলো । কিন্তু দু:খের বিষয় হচ্ছে , এই চক্রান্তে মুসলিমরাও জড়িত হয়ে পরেছে অনেক পূর্ব থেকেই ।
প্রথমেই বলি, দেখুন সৌদি আরবকে। কি চলছে সেখানে ? ইসলামে রাজতন্ত্রের কোন জায়গা ইসলামে না থাকলেও বছরের পর বছর সৌদিতে সেই রাজতন্ত্রই চলে আসছে। ইসলামি রাষ্ট্র হয়েও যারা মেতে আছে, মদ জুয়া আর নারীতে।

হজ্বে যে যাচ্ছেন, আল্লাহর হুকুমে। এই হজ্ব হচ্ছে, সৌদিদের জন্য ব্যবসা আর টাকা কামাইয়ের একটা ব্যবস্থা ছাড়া আর কিছু ই না। মক্কার চার পাশের হোটেলগুলোর দিকে তাকান সেগুলো ধর্ম কর্মের জন্য নয় ব্যবসার জন্য গড়ে তুলা হয়েছে। আর এখন তো সিনামা হল,হালাল বার সব কিছুই আছে।

এসব হচ্ছে, কারণ ইহুদিদের প্রধান টার্গেট ছিলো সৌদিকে কব্জা করা। কারণ এ কাজটি করে ফেলতে পারলে, তাদের অনেক কাজ ই সহজ হয়ে যাবে। সে কাজটিও তারা করে ফেলেছে। সম্প্রতি সৌদি যুবরাজ সালমান (প্রকাশ্য ইহুদিদের সাথে যোগ দিয়েছেন। মুসলিম বিরোধী চক্রান্তে। ) মধ্যপ্রাচ্যের অনেক রাস্ট্র ধীরে ধীরে সে কাতারে শামিল হচ্ছে ।
গত কয়েক বছরে সৌদির সব ন্যায় পরায়ণ ও সত্যবাদী আলেমদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা কেউ জানে না। অনেককেই হত্যা করা হয়েছে না হয় বন্ধী রাখা হয়েছে। গোপন কোন জায়গায় ।

এখন যারা হজ পরিচালনা করছেন তারা সব সালমানের পোষা আলেম। সালমানের ইচ্ছাতেই খুতবা দিচ্ছে। রাতকে দিন বানাচ্ছে দিনকে রাত বানাচ্ছে।
এরাই রসুলের ইজ্জত নিয়ে খেলছে। এরাই মদিনা থেকে হযরত মুহাম্মদ সা: এর কবর সরিয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিলো বছর দুয়েক আগেও। কিন্তু বিশ্বব্যাপী প্রবল প্রতিরোধের কারণে তা সম্ভব হয়নি বা তারা সে সাহস করেনি। তবে এ চেষ্টা আবার করা হবে কারণ চক্রান্ত কিন্তু থেমে থাকেনি।থাকবে না । কিন্তু সে কাজটি করার আগে তারা রাসুলের জনপ্রিয়তা কমিয়ে আনার চেষ্টা করবে । এরপর কবরে হাত দেবে ।

যেহেতু রসুল সা: নেই। সেহেতু রসুল সা: সম্পর্কে মুসলিমদের বিভ্রান্ত করাই হচ্ছে এই ইহুদিদের একমাত্র মূল চক্রান্ত। সেটার অংশ হিসাবেই শুরু হয়েছে, মুহাম্মদ সা: জন্ম তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো। রসুল সা: কে সাধারণ মানুষের কাতারে নামিয়ে আনার দৃষ্টান্ত ও সাহস দেখাচ্ছে ইহুদি নাসারারা। মুসলমানদের বিভক্তির কারণেই এ সাহস দেখাচ্ছে তারা ।

এই চক্রান্তে সৌদি ও এদেশের আলেম নামে মূর্খরাও জড়িত হয়ে পরেছে। তারা ওয়াজের নামে, জুম্মার খুতবার নামে রসুলের জন্ম তারিখ সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
ঠাণ্ডা মাথায় একবার চিন্তা করুন তো, যে রসুলের জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি ঘটনা লিপিবদ্ধ, তার ই কিনা জন্ম তারিখের কোন ঠিক নেই। এটা কি হতে পারে? ভাবুন একবার এরা মূর্খ, নির্বোধ, গাফেল আর জাহান্নামি। এদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। কারণ এরা ধর্ম কে বেছে নিয়েছে প্রফেশন হিসাবে। আহার করছে অগ্নি। ধর্ম কখনো প্রফেশনের বিষয় বস্তু হতে পারে না। কারণ প্রফেশনে মিথ্যা বলতে হয়,অন্যায়কে মানতে হয়। সৌদির সেই আলেম সমাজ সব মেনে নিলে তারা গ্রেফতার হতেন না। জেলেও যেতেন না।
রসুল সা: ১২ ই রবিউল আউয়াল,রোজ সোমবার জন্ম গ্রহণ করেছেন। এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। তাই বিভ্রান্ত হবেন না ও বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। রসুলের সাফায়ত ছাড়া কিন্তু জান্নাত মিলবে না। তাই খুব সাবধান।
ভবিষ্যতে রসুল সম্পর্কে আরও অনেক নতুন নতুন চক্রান্ত প্রকাশ পাবে। তাই সর্তক থাকুন। কুরআন হাদিস আঁকড়ে ধরে থাকুন। তাহলে বিপথগামী হবেন না।
ইসলাম কিন্তু সৌদি আরব কেন্দ্রিক ধর্ম নয়। এ কথা রসুলের শেষ বক্তব্যে উল্লেখ আছে। কিন্তু এ দেশের অনেক আলেম সৌদির গোলামী করে আল্লাহর নয়। এ জন্যই এদের মধ্যে এতো বিভক্তি,এতো ঝগড়া, বিবাধ। মুসলিম হয়েও এরা গীবতে ডুবে আছে। প্রতিদিন, মৃত ভাইয়ের মাংস ভক্ষণ করছে। তাই এদের কাজ থেকে দূরে থাকুন।
নামাজের কোন কাফফারা হয় না, তাই নামাজ আদায় করুন। কাজা নামাজের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। গরীব আত্মীয় স্বজনকে বেশি বেশি দান করুন। মসজিদের ভিক্ষুকদের নয়। প্রকৃত আলেমগন কখনো ভিক্ষা,করেন না। নামাজের কোন বিনিময় মূল্য হয় না।
ইসলাম রসুল ও মুসলিম এখন ঘরে বাহিরে ত্রিমুখী আক্রমণের শিকার। তবে এরা যতোই চক্রান্ত করুক না কেন,আল্লাহ হচ্ছেন, সবচেয়ে বড় কৌসুলি। এরা ইসলাম,মুসলিম ও মুহাম্মদ সা: এর কোন ক্ষতি বা বদনাম ই করতে পারবে না।
"আস সালামু আলাইকুম ইয়া রসুল আল্লাহ, আস সালামু আলাইকুম ইয়া হাবীব আল্লাহ।

সাখাওয়াত বাবনের ব্লগ থেকে।
৩১.১০.২০২০

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার পুরো লেখাটা ঠিক ছিল শুধু একজায়গায় এসে আপনি ভুল তথ্য দিয়েছেন।
বাসূলে পাক সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর জন্মবার সোমবার সেটা উনি নিজেই বলেছেন। তবে কোন মাসে এবং কোন তারিখে সেটা কোথায় উল্লেখ নেই। কারণ আল্লাহর ইচ্ছে তাই। হস্তীবছর বলে বেশ কয়েক জায়গায় দেয়া থাকলেও সেটা গ্রহনযোগ্য কোন সূত্র পাওয়া যায় নি। মহানবীর জন্ম তারিখ কোনভাবেই প্রমানিত হয় নি। মৃত্যুদিন ঠিক আছে। যারা ঈদে মিলাদুন নবী পালন করে তারা উনার ওফাত দিবসে ঈদের আনন্দফুর্তি করে, নাউজুবিল্লাহ।

নবম হিজরী শতকের অন্যতম আলেম ও ঐতিহাসিক আল্লামা ইবনে হাজর আল-আসকালানী (মৃত্যু: ৮৫২হি: ১৪৪৯খ্রি:) লিখেছেন: ‘‘মাওলিদ পালন মূলত: বিদ‘আত। ইসলামের সম্মানিত প্রথম তিন শতাব্দীর সালফে সালেহীনদের কোন একজনও এ কাজ করেন নি”।

নবম শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধের প্রখ্যাত মুদাদ্দিস ও ঐতিহাসিক আল্লামা আবুল খাইর মুহাম্মাদ ইবন আব্দুর রহমান আস-সাখাবী (মৃত্যু: ৯০২হি: ১৪৯৭খ্রি:) লিখেছেন:
‘‘ইসলামের সম্মানিত প্রথম তিন যুগের সালফে সালেহীনদের (সাহাবী, তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীদের) কোন একজন থেকেও মাওলিদ পালনের কোন ঘটনা খুজে পাওয়া যায় না। মাওলিদ পালন বা উদযাপন পরবর্তী যুগে উদ্ভাবিত হয়েছে"।

আপনাকে আমি এই বিষয়ে আরো বিস্তারিতভাবে পড়ার অনুরোধ করছি। তাহলেই সমস্ত কনফিউশন কেটে যাবে। নেটেই পাবেন সব কিছু।
ধন্যবাদ আপনাকে।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ মূল্যবান মতামতের জন্য । আপনার সাথে আমি একমত যে, ইসলামে মাওলিদ পালনের কোন নিদেশনা নেই । এমনকি হাদিসেও এ ব্যাপারে কোন উল্লেখ নেই । আচ্ছা বলুন তো হারাম, হালালের ডেফিনেশন কী ? সহজ কথায় আল্লাহ্ যা বাতিল করেছেন তাই হারাম যা বাতিল করেননি তা হালাল । তাই না ?

আচ্ছা যদি সরাসরি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে, হারাম হালালের ডেফিনেশন খুজি , তাহলে কি পাই ?

যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর তা হারাম যা ক্ষতিকর নয় তা হালাল । এই নয় কি ? এটাই তো হওয়া উচিত । যদি মদ খেয়ে মানুষ মাতাল না হতো তাহলে মদ হারাম হতো না । কারণ মদের মধ্যে অনেক ভাল গুন ও রয়েছে । আবার শুকোরের মাংসে যদি ক্ষতিকর জীবানু না থাকতো তাহলে সেটাও হারাম হতো না । তাই না, কারণ শুকোরের মানুষ নাকি সুস্বাদু । এ ছাড়া ও মাত্রাতিরিক্ত কোন কিছুই ইসলাম সমর্থন করে না । সেটা যাই ই হোক না কেন কারণ সেটা কারো জন্যই মঙ্গল কর নয় ।

এবার আসুন মুল বিষয়ে, এমন অনেক কিছুই আছে যা সরাসরি হাদিস, কুরআনে নেই কিন্তু সেটা নিষিদ্ধ নয় । এ জন্যই আল্লাহ মানুষকে বিবেক দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, তা না হলে তো আল্লাহ রোবট বানালেই তো পারতেন । যেমন পাগলের জন্য কোন কিছুই অন্যায় নয় আবার কোন কিছুই ন্যায় নয় । এ কারণেই পাগল খুন করলেও তার শাস্তি হয় না । কিন্তু সুস্থ মানুষের জন্য এই আইন অচল ।

রাসুলে পাক সা: এর জন্মদিনে , মুসলিমরা যদি মিছিল করে । ইসলামী আলোচনা করে সভা করে । খাবার বিতরণ করে তাহলে সেটা দোষের কেন হবে ? আপনি আমি যদি আমাদের সন্তানের বা পিতা মাতার জন্ম ও মৃত্যু দিনে তাদের উদ্দেশ্যে গরিবকে খাবার বিতরণ করি তাহলে সেটা দোষের কেন হবে । কারন এই উসিলায় তো , অনেকে রিজিকের ব্যবস্থা হচ্ছে ।

বির্তক ফ্যাসাদ করলে অনেক কিছু নিয়েই করা যায় ।এটা তারাই করছে যারা ধর্ম বিক্রি করে খায় । কারণ এতে তাদের কোন ফায়দা নাই বা হয় না । আবার যদি নিয়ম চালু করেন রাসুলের জন্ম দিনে, মসজিদে অর্থ দেওয়া হবে তাহলে দেখবেন হুজুরেরা আর দ্বিমত করবে না । সব হচ্ছে, ব্যক্তি স্বার্থ আর কিছুই না ।
তবে হ্যা , ঈদে মিলাদুন নবী নামে কোন বাড়াবাড়ি করা যাবে না কারণ তা ইসলাম সমর্থন করে না ।

আল্লাহ আমাদের বোঝার তৌফিক দান করুক ।



২| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: ফ্রান্স তার অবস্থানে সঠিক আছে। তাদের বক্তব্য পরিষ্কার। ডিসপ্লেতে নবীকে কিছুই বলা হয় নি। তাদের কথা পৃথিবীর সবাই দেখুক, সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

ইসলাম শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম- এই কথা শুনতে শুনতে কান পচে গেল। আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারবে কেন? বর্বরতাপূর্ণ ঘৃণ্য কাজের সাথে ইসলাম ধর্মের নীতি আদর্শের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা এসব কাজ করেছেন তারা ইসলামের আদর্শ বিচ্যুত?

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনারা তিন ভাই কি এক ই চরিত্রের ? না তিনজন ভিন্ন চরিত্রের অধিকারী ? সেটাই স্বাভাবিক ।
অনেক না বুঝ আছে , যারা না বুঝেই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে । ইসলাম শান্তির ধর্ম তাতে কোন সন্দেহ নেই । এবং ইসলাম কোন কিছু নিয়েই বাড়াবাড়ি পছন্দ করে না ।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৪

জিকোব্লগ বলেছেন:




সবই ইহুদি-নাসারাদের ষড়যন্ত্র।
আসেন কম্পিউটার, মোবাইল, গাড়ি, প্লেন
সব ইহুদি-নাসারাদের পন্য বয়কট করি।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: তাহলে যে সৃষ্টিকর্তা আপনাকে জ্ঞান দিয়ে সেই জ্ঞানটা ফেলে দিন ............।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আলোকে প্রকাশ করতে যেমন আঁধার দরকার
তেমনি সত্যখে প্রকাশ করতেও চাই প্রতিক্রিয়াশীল ঐ সকল শক্তি!
এটা প্রকৃতিরই খেলা।
তবে সত্য জিতবেই ইনশাল্লাহ

তাদের সকল ষড়যন্ত্রতো মাকড়শা জালের ন্যায - তারা শত বৎসরে গুছীয়ে আনে আল্লাহ এক ফুৎকারে উড়িয়ে দেন!

বালাগাল উলা বেকামালিহি
কাশাফাদ্দোজা বেজামালিহি
হাসুনাত জামিও খেসালিহি
সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহি ।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সত্য জিতবেই ইনশাল্লাহ

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



সব কিতাব মানুষ লিখেছেন; ইহুদী ধর্মের সব বই নবী মুসা লিখেছেন, ও সংকলন করেছেন। বাইবেল লিখেছেন ঈশা নবীর সাগরেদরা।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে ধর্মীয় গ্রন্ধ পড়ার সুযোগ দিক

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

জিকোব্লগ বলেছেন:



@চাঁদগাজী, বলেছেন আল্লাহ, লিখেছেন মানুষ।
আর এই বিষয়ে নবীর সাগরেদরা সবাই সাক্ষী আছেন।
আল্লাহকে ভয় করেন। রোজা নামাজ পড়া শুরু করেন।
আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুন । আমিন।

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৩৪

স্থিতধী বলেছেন: ইঞ্জিল ও তাওরাতে যে নবীজির মাতা-পিতার নামও ভালোভাবে উল্লেখ করা ছিলো সেটা ইঞ্জিল ও তাওরাত থেকে স্পষ্ট রেফারেন্স দিয়ে বলতে পারলে ভালো হতো।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধব্যনাদ আপনাকে , সময়ের অভাবে ব্যস্ততার কারণে আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারি নাই - এখনে বিভিন্ন গ্রন্থে মুহাম্মদ সা : সর্ম্পকে যা বলা হয়েছে তা উল্লেখ করা হলো - হযরত ঈসা আলাইহিস-সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম যে সুসংবাদ দিয়েছিলেন তা ইঞ্জিল কিতাবেও রয়েছে। মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন। “স্মরণ কর, যখন মরিয়ম এর পুত্র ঈসা (আলাইসিস-সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম) বললো, হে বনী ইসরাঈল! আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর রাসূল রূপে আগমন করেছি। আমার পূর্বে যে তাওরাত আবতীর্ণ হয়েছিলো আমি তা সত্য বলে বিশ্বাস করি এবং আমার পর ‘আহম্মদ’ নামে একজন রাসূল আগমন করবেন আমি তার সুসংবাদ দিচ্ছি। (সুরা ছফঃ ৬)
হাজার হাজার বছর ধরে অসংখ্য নবী-রাসূলের মুখে এ কথাই উচ্চারিত হয়ে আচ্ছিল, সর্বশেষ একজন নবী আসবেন যিনি হবেন বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম।
তাওরাতে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম
বর্তমানে তাওরাতের যে সকল কপি পাওয়া যায় তার মধ্যে ‘আশয়ীয়া নবীর’ কিতাবে সামান্য শাব্দিক পরিবর্তনসহ আজও সেই ভবিষ্যদ্বাণী পাওয় যায়। তা হলো-
১। তিনি আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
২। তিনি আল্লাহর মনোনীত ব্যক্তি।
৩। তার প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্ট।
৪। তিনি চিৎকার করবেন না । উচ্চস্বরে কথা বলবেন না এবং বাজারে কোলাহল করবেন না।
৫। তিনি গরীব, কাঙ্গাল ও দুর্বলদের উপর অত্যাচার করবেন না, তিনি সদাশয় এবং চরিত্রবান হবেন।
৬। তিনি চিরস্থায়ী ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবেন। ন্যায় প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তার মৃত্যু হবে না।
৭। তার সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমিই আপনার সহায় হয়ে আপনাকে রক্ষা করবো।
৮। তিনি পূর্ণ তৌহিদ প্রচার করবেন এবং পৌত্তলিক ও মুশরিকদেরকে পরাজিত করে পৌত্তলিকতা ধ্বংস করবেন। তিনি বীরবেশে আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন।
৯। মরুভূমিতে লোকালয়ে এবং কীদারের আবাদকৃত গ্রাম সমূহে নিজের গুরুগম্ভীর আহ্বান উচ্চ করবেন।
বাইবেলে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া-সাল্লাম
বাইবেলে উল্লেখ আছে, “তোমাদেরকে বলার আমার আরো অনেক কথা আছে কিন্তু তোমরা এখন সে সকল সহ্য করতে পারবো না। পরন্ত সে সত্যের আত্মা যখন আসবেন তখন তিনি তোমাদেরকে সত্যের সন্ধান দিবেন। কারণ তিনি নিজ থেকে কিছু বলবেন না, যা যা শুনবেন তাই বলবেন এবং ভবিষ্যতের ঘটনাও জানাবেন।” (যাহনঃ অধ্যায় ১৪)
“বাইবেলে বর্ণিত বাক্যগুলোতে হযরত ঈসা আলাইহিস-সালাওয়াতুওয়া সাল্লাম বার বার প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম এর আগমনের সংবাদ দিয়েছেন। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম কে তিনি ‘ফারাক্লিত’ (PARACLETE) বলে অভিহিত করেছেন। এ শব্দটি ইবরানি অথবা সুরইয়ানি ভাষার। এর আরবি অনুবাদ মুহাম্মদ এবং আহম্মদ অর্থাৎ প্রশংসিত, পরম প্রশংসাকারী অথবা পরম প্রশংসিত। প্রাচীন ইউনানি (গ্রিক) ভাষায় এর অনুবাদ করা হয়েছে, ‘পাইরিকিলইউটাস’। এর অর্থ অত্যন্ত প্রশংসাকারী বা প্রশংসিত। (আহমদ)
(এ অংশটুকু ইন্টার নেট থেকে হুবুহু সংগ্রহীত )

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৯

নীল আকাশ বলেছেন: এবার আসুন মুল বিষয়ে, এমন অনেক কিছুই আছে যা সরাসরি হাদিস, কুরআনে নেই কিন্তু সেটা নিষিদ্ধ নয় । এ জন্যই আল্লাহ মানুষকে বিবেক দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, তা না হলে তো আল্লাহ রোবট বানালেই তো পারতেন । যেমন পাগলের জন্য কোন কিছুই অন্যায় নয় আবার কোন কিছুই ন্যায় নয় । এ কারণেই পাগল খুন করলেও তার শাস্তি হয় না । কিন্তু সুস্থ মানুষের জন্য এই আইন অচল। রাসুলে পাক সা: এর জন্মদিনে , মুসলিমরা যদি মিছিল করে । ইসলামী আলোচনা করে সভা করে । খাবার বিতরণ করে তাহলে সেটা দোষের কেন হবে ? আপনি আমি যদি আমাদের সন্তানের বা পিতা মাতার জন্ম ও মৃত্যু দিনে তাদের উদ্দেশ্যে গরিবকে খাবার বিতরণ করি তাহলে সেটা দোষের কেন হবে । কারন এই উসিলায় তো , অনেকে রিজিকের ব্যবস্থা হচ্ছে ।

আল্লাহর রাসূল উনার সাহাবীদের একনিষ্ঠ ভাবে অনুসরণ করতে বলেছেন। এটা সহী হাদিসে আছে।
যেটা সাহাবীরা করেনি সেটা আপনি কেন করবেন?
এটা যদি ভাল কাজ হতো তাহলে তো সাহাবীরা অবশ্যই করতো।
উনারা যেটাকে ভাল মনে করেন নি, সেটা আপনি ভাল মনে করছেন কিভাবে?
ইসলাম নিয়ে জ্ঞান কি সাহাবীদের চেয়েও এই মৌলিদ পালনকারীদের বেশি?

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সাহাবীদের নিয়ে কোন বির্তক করবো না । করাও যাবে না । কারণ সেটা নিষিদ্ধ ।

যুগে যুগে আল্লাহ্ মানুষকে যুগ উপযোগী করে সৃস্টি করেন । যা পালনে নিজের, সমাজের, রাস্ট্রের, পরিবেশের, আবহাওয়ার, জলবায়ূর কোন ক্ষতি নেই তা পালন করতে কোন দোষ নেই । রাসুল প্রেম জাগ্রত না হলে স্রষ্টা প্রেমের নামে যা থাকবে সেটা ভন্ডামী ।এ করণেই রাসুলের সাফায়াতের প্রয়োজন হবে ভাই ।কারণ তিনি মাধ্যম ।

৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৩

স্থিতধী বলেছেন: আপনার উত্তরের জন্য ধন্যবাদ । তবে আমি মুলত জানতে চাচ্ছিলাম যে ইঞ্জিল ও তাওরাতে যে নবীজির মাতা-পিতার নামও উল্লেখ করা ছিলো (যেমনটা লেখার শুরুতে বলেছেন) তাঁর প্রমাণ রূপে ইঞ্জিল ও তাওরাত থেকে স্পষ্ট রেফারেন্স আছে কিনা?

১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৬

নতুন বলেছেন: আপনি বেশ কিছু দাবি করেছেন ব্লগে কিন্তু প্রমান দিতে পারবেন কি?

হযরত ঈসা ও মুসা আঃ উপর নাজিল কৃত আসমানি কিতাব ইঞ্জিল ও তাওরাতে মহান আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সা: আগমনের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। হযরত মুহাম্মদ সঃ দেখতে ক্যামন হবেন, তার আকৃতি ক্যামন হবে, তার পিতা মাতার নাম কি হবে সব কিছু ই খুব ভাল ভাবে উল্লেখ ছিলো উক্ত দুটি আসমানি কিতাবে।

যেহেতু দুই কিতাবে খুব ভাল ভাবে উল্লেখ আছে সেটা একটু দেখাতে পারবেন কি আমাদের?




ঠাণ্ডা মাথায় একবার চিন্তা করুন তো, যে রসুলের জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি ঘটনা লিপিবদ্ধ, তার ই কিনা জন্ম তারিখের কোন ঠিক নেই। এটা কি হতে পারে? ভাবুন একবার এরা মূর্খ, নির্বোধ, গাফেল আর জাহান্নামি। এদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। কারণ এরা ধর্ম কে বেছে নিয়েছে প্রফেশন হিসাবে। আহার করছে অগ্নি। ধর্ম কখনো প্রফেশনের বিষয় বস্তু হতে পারে না। কারণ প্রফেশনে মিথ্যা বলতে হয়,অন্যায়কে মানতে হয়। সৌদির সেই আলেম সমাজ সব মেনে নিলে তারা গ্রেফতার হতেন না। জেলেও যেতেন না।
রসুল সা: ১২ ই রবিউল আউয়াল,রোজ সোমবার জন্ম গ্রহণ করেছেন। এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। তাই বিভ্রান্ত হবেন না ও বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। রসুলের সাফায়ত ছাড়া কিন্তু জান্নাত মিলবে না। তাই খুব সাবধান।


রাসুল সা: এর বাবা মারা গিয়েছেলেন এবং তিনি বড় হওয়ার আগ পযন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেউ ছিলেন না। তাই তার জন্মতারিখ লেখে না রাখাই সাভাবিক। সেই সময়ে কেউই জন্মদিন পালন করতো না।

ইদেমিলাদুন্নবি পালন শুধুই পীরের টাকা কামাউিয়ের ধান্দা এটা যদি এখনো বুঝে না থাকেন তবে একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন।

যারা এই অনুস্ঠান পালনের পক্ষে তারা বড় অনুস্ঠান করতে চায় এবং টাকা কোথা থেকে আসে? আসে মুরিদের পকেট থেকে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৩

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: পড়ুন পড়ুন এবং পড়ুন তর্কের জন্য অনেক পড়তে হয় :)

১১| ৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:২২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: পড়ুন পড়ুন এবং পড়ুন তর্কের জন্য অনেক পড়তে হয়

ভাই চায়ের টং এর ডায়লোগ ব্লগে দিলে কি চলে?

আপনি একটু দেখান না

হযরত ঈসা ও মুসা আঃ উপর নাজিল কৃত আসমানি কিতাব ইঞ্জিল ও তাওরাতে মহান আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সা: আগমনের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। হযরত মুহাম্মদ সঃ দেখতে ক্যামন হবেন, তার আকৃতি ক্যামন হবে, তার পিতা মাতার নাম কি হবে সব কিছু ই খুব ভাল ভাবে উল্লেখ ছিলো উক্ত দুটি আসমানি কিতাবে।

রসুল সা: ১২ ই রবিউল আউয়াল,রোজ সোমবার জন্ম গ্রহণ করেছেন। এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। তাই বিভ্রান্ত হবেন না ও বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.