নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
চট্টগ্রামের এক শিক্ষকের ছাত্র পেটানোর ভিডিও নিয়ে খুব হইচই হচ্ছে। মাদ্রাসার শিক্ষক বলেই বোধ হয় হইচইটা একটু বেশি হচ্ছে । শিক্ষক মানুষ, ছাত্র পেটাবেন কেন? কয় টাকা সে বেতন পায় ? সমাজে তার অবস্থান কি ? কতো বড় সাহস যে, সে ছাত্র পেটায়। ঠিক আছে, পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে । আচ্ছা করে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিক । তবেই বুঝবে পিটানোর মজা । তাই না ? এমনটাই হয়তো অনেকে ভাবছেন ।
আচ্ছা, এই যে ঘটনাটা ঘটল এর ফলে সমাজের সকলের কাছে কি ম্যাসেজ গেলো ? ওই হুজুর বেচে থাকতে আর কোনদিন কোন ছাত্রকে পড়ার জন্য পেটাবেন না । তাতে যদি ওনার কোন ছাত্র হাফেজ নাও হয় তাতেও ওনার কিছু যাবে আসবে না । অবশ্য এই ঘটনার পরেও যদি উনি এই শিক্ষকতা পেশায় থাকেন । এখন থেকে উনি মাসে মাসে বেতন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবেন । আরাম করবেন , মাদ্রাসা ফেলে সরকারী প্রাইমারী শিক্ষকদের মতো স্কুল টাইমে বাসা, বাড়িতে গিয়ে বাজার সদাই করবেন। ক্ষেত খামারী দেখবেন । ছাত্রছাত্রী গোল্লায় গেলে কার কি ?
আচ্ছা, এই ঘটনায় ওই ছাত্র কি ম্যাসেজ পেলো ? সে তো এরপর থেকে ধরেই নিবে, সে যাই করুক না কেন কেউ আর তার শরীরে হাত তুলতে পারবে না । তাই সেই রাজা । ইচ্ছে হলে পড়বে ইচ্ছে না হলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আড্ডা দিবে না । কার বাপের পোলার এতো সাহস যে তারে পেটায়?
পিতা মাতা, বন্ধুবান্ধব বেয়াদব হলে সন্তানের বেয়াদবি কোনদিন বন্ধ করা যায় না । সে ক্ষেত্রে বেতের বিকল্প নেই । প্রতিদিন চারপাশে এই যে এতো এতো ঘটনা ঘটছে আর আমরা শুনে শুনে চুকচাক শব্দ করছি । এর জন্য কি আমরা দায়ী নই ? তারাও তো কোন না বাবা মায়ের সন্তান। কোন না শিক্ষকের ছাত্রছাত্রী । স্কুলে স্কুলে এখন ছেলেদের গ্যাং হয়, মাস্তানি করে , ইভ টিজিং করে । ক্লাস সিক্স, সেভেন থেকে প্রেম ভালবাসা শুরু করে দেয়। কিছু বললে শিক্ষকের চোখ রেখে কথা বলে । উল্টো হুমকি দেয় । এর জন্য দায় কাদের ? শিক্ষকের,পিতা মাতার না রাস্ট্রের না সমাজের, না স্কুলের?
স্কুলগুলোতেও ওই একই অবস্থা । ছাত্রদের পেটানো যায় না, কঠিন ভাষায় বকাও দেওয়া যায়না । কিন্তু তবুও খুব ভাল রেজাল্ট হতে হবে । আদব কায়দা শেখাতে হবে এই সবের দায় ভার সব শিক্ষকদের। আদব কায়দা পরিবার থেকে শেখানো হবে না। তবুও আমরা চাইবো স্কুল, মাদ্রাসা থেকে সে আদব কায়দা শিখে আসবে । বাবা মা শুধু মাসে মাসে টাকা দিয়ে ফল ভোগ করবে । আগে ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতো লেখাপড়া শিখতে এখন যায় আড্ডা দিতে।
আমার ছোট বেলার স্কুলে ভর্তির দিনটির কথা খুব মনে আছে , ভর্তির সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে ক্লাসে বসিয়ে দিয়ে আসার সময় মা ক্লাসের শিক্ষককের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, স্যার, ওর চামড়া, মাংস আপনার হাড়গুলো শুধু আমার । হাড় থাকলে মাংস হবেই । শুধু খেয়াল রাখবেন যেনো মানুষের মতো মানুষ হয় । মানুষ হয়েছি কিনা জানিনা, তবে অমানুষ যে হইনি সেটা বেশ বুঝতে পারি, কারো মাথায় বারি দিয়ে খাইনা, দুর্নীতি করিনা। সৎ পথে খাই শান্তিতে ঘুমাই।
শিক্ষক, শিক্ষিকারা হচ্ছেন, পিতা মাতার ই আরেক রুপ। তারা প্রয়োজনে কখনো শাসন করবেন আবার কখনো মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করবেন ।
চারা গাছের শুধু যত্ন করলে হয় না প্রয়োজন তার আগাছা,ডাল পালাগুলোও ছেটে দিতে হয় , তবেই তাতে ফসল ফলে।
বাদশা আলমগীর চেয়েছিলেন তার সন্তান শুধু পানি ঢেলে নয় শিক্ষকের পা নিজ হাতে ধুয়ে দিয়ে শিক্ষকের প্রতি তার শ্রদ্ধা প্রদর্শণ করবে আর এই যুগের পিতা মাতা চাইছে , শিক্ষক তাদের সন্তানকে মাথায় তুলে রাখবে,মাথায় তুলে নাচবে তারা শুধু অর্থ দিয়েই খাল্লাস।
১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: কাউকে পিটাইলে বা শাসন করলেই যদি শিক্ষকের মানসিকতা পশুর মতো হয়ে যেতো তাহলে আজকে যারা সচিব, ব্যারিস্টার, ক্যাডার হয়ে দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা ভানিস হয়ে যেতেন । শিক্ষকদের কাছে ছাত্র ছাত্রীরা সন্তানের মতো একবার শাসন করবেন আবার আদর করবেন । আপনার পিতা মাতা কি আপনাকে কখনো মারে নাই ? তাই বলে কি তাদের মানসিকতা পশুর মতো হিংস্র হয়ে গেছে ? আজ কাল ভক্তি শ্রদ্ধা উঠে গেছে , শিক্ষকের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে ছাত্ররা ভয় পায় না । সমাজের উন্নতিটা আশা করবেন কি ভাবে ?
২| ১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০৮
নতুন বলেছেন: জুল ভার্ন বলেছেন: আমি যদি আপনার লেখার মূল বক্তব্য বুঝতে ভুল নাকরি তাহলে আপনার লেখার সারমর্ম হচ্ছে- শিক্ষক ছাত্রদের পেটাবে, সেটা যত নির্মভাবেই হোক! যদি তাই হয় তাহলে আমি আপনার পোস্টের সম্পুর্ণ বিপক্ষে।
৩| ১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪১
গফুর ভাই বলেছেন: লেখক ভাই আপনার কাছে মতামত জানতে চাই তা হল জাপানে বা কানাডা স্কুলে বেতের ব্যবহার করা হয় নাহ তাপরেও তাদের স্কুলে ভালো ফলাফল , শিষ্টাচার আমাদের দেশের তুলনায় অনেক ভাল হয় কিভাবে?
১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: লেখাটা ভাল করে পড়ুন ভাই । দেখুন কি বলেছি । পরিবার ই জন্য সকলের প্রথম স্কুল সেই পরিবার নামক স্কুলের শিক্ষকদের ও ভাল হতে হবে । খারাপ ভাল সব দেশেই আছে । জাপানের সবাই ভাল না তা কিন্তু নয় সেখানেও বিখাউজ পোলাপান আছে, বিখাউজ মানুষ আছে । জাপানে ছাত্রছাত্রীদের যে কঠিন অবস্থা ভেতর দিয়ে যেতে হয় তা এখানে চালু করলে তো আপনি স্কুলে আগুন লাগিয়ে দেবেন । ধরুন আপনার সন্তান একদিন স্কুলে ময়লা ফেললো, তার শাস্তি স্বরূপ তাকে বলা হলো, পুরু ক্লাসরুম ছুটির পরে ঝাড়ু দিতে । কি রাজি হবেন ? না বাবাকে বলে শিক্ষকের চাকরী খেয়ে ফেলবেন ? জাপানে ছেলে ছেলে মেয়েরা স্কুলের টয়লেট থেকে শুরু করে সব কিছু নিজের হাতে পরিষ্কার পরি ছন্ন রাখে । শিক্ষকদের মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে না । আর এই শিক্ষাটা তারা পরিবার থেকেই শিখে আসে ।
৪| ১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: মারলেই পশুর মতো মারা হয়না সত্য। কিন্তু মেরে রক্তাক্ত করে দেওয়া পশুর মতোই মারা। উন্নত দেশে পশুকে মারাও আইনের চোখে অপরাধ।
ভাই, আমার জন্মের সময় মাকে হারিয়েছি-তাই মায়ের হাতে মার খাওয়ার সুযোগ আল্লাহ আমাকে দেননি। বাবার হাতে মৃদু মার খেয়েছি। কিন্তু সেটা ছোট খাটো চড় কিম্বা কান ধরার চাইতে বেশী কিছু নয়। মোদ্দাকথা, মার না খেয়েও লেখাপড়া শিখতে পেরেছি। আমি যথাক্রমে সেন্ট জোসেফ স্কুল, ক্যাডেট কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশী একটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী অর্জন করেছি-কোথাও মারামারির প্রচলন ছিলনা।
ধন্যবাদ।
৫| ১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৪
রিফাত হোসেন বলেছেন: শাসন করবেন তবে এইভাবে নয়। পুরনো দিনে আমাদের উপর যা করা হত তা অন্যায়। শাস্তি হিসেবে স্কুলে ঝাড়ু দিলে সমস্যা দেখি না। এটা আগেও প্রচলিত ছিল আপনার আমার দাদার দাদার আমলে। আপনার বক্তব্যে একমত না।
৬| ১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২৪
সোনালি কাবিন বলেছেন: জুল ভার্ন বলেছেন: নতুন বলেছেন: : আমি যদি আপনার লেখার মূল বক্তব্য বুঝতে ভুল নাকরি তাহলে আপনার লেখার সারমর্ম হচ্ছে- শিক্ষক ছাত্রদের পেটাবে, সেটা যত নির্মভাবেই হোক! যদি তাই হয় তাহলে আমি আপনার পোস্টের সম্পুর্ণ বিপক্ষে।
তবে ছাত্রদের মৃদু শাসন করা যেতেই পারে- তাই বলে মেরে রক্তাক্ত করে ফেলবে সেটা মানা যায়না। যে শিক্ষকের মানসিকতা পশুরমতো হিংস্র তার শিক্ষকতা পেশায় না আসাই শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণকর। আমি যদি আপনার লেখার মূল বক্তব্য বুঝতে ভুল নাকরি তাহলে আপনার লেখার সারমর্ম হচ্ছে- শিক্ষক ছাত্রদের পেটাবে, সেটা যত নির্মভাবেই হোক! যদি তাই হয় তাহলে আমি আপনার পোস্টের সম্পুর্ণ বিপক্ষে।
তবে ছাত্রদের মৃদু শাসন করা যেতেই পারে- তাই বলে মেরে রক্তাক্ত করে ফেলবে সেটা মানা যায়না। যে শিক্ষকের মানসিকতা পশুরমতো হিংস্র তার শিক্ষকতা পেশায় না আসাই শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণকর।
৭| ১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৩০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: শিশুটার পিতামাতাই দাই। লিখিত দিয়ে মাফ করেছে ওই জানোয়ার কে
৮| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: মেরে যদি কাউকে আদব শেখানো লাগে তাহলে যে মারে তার আদবের ঘাটতি আছে। আপনার এই ধরনের চিন্তা ভাবনা থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক, আমিন।
১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এখন আর মারলেও আদব কায়দা শেখানো যাবে না , উল্টো শিক্ষকদের আদব কায়দা শিখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে ।কেননা শিক্ষকদের অবস্থান সমাজের তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে ।
৯| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২
রেজওয়ান ইসলাম বলেছেন: আপনার ভয়াবহ পোস্ট পড়ে ভয়ের আবহ অনুভূত হচ্ছে।
১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০৭
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভয় পেলে নিজের সন্তানকে আদব কায়দাটা ভাল করে শেখাবেন ভাই , তাহলে আর তাকে স্কুলে মার খেতে হবে না । পড়াশুনা করে মানুষ হবে ।পাড়ার মাস্তান না ।
১০| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:১৩
জাহিদ হাসান বলেছেন: কওমী মাদরাসা বন্ধ করা হোক। আলিয়া মাদ্রাসাই যথেষ্ট। আবার কওমী কেন?
১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০৮
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: তাহলে স্কুল করেজ ও বন্ধ করে দিন । শুধু কাওমী বলতেই জ্বলবে কেন ভাই ?
১১| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৩৭
শাহ আজিজ বলেছেন: পোস্ট পড়ে মর্মাহত ।
১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সমাজে শিক্ষকদের অবস্থান দেখে আমি আপনার চেয়েও বেশি মর্মাহত । শিক্ষক আর ছাত্রের সর্ম্পকটাকে অর্থের পাল্লায় তুলে দিলে গোল্লা ছাড়া আর কিছুই মিলবে না ।
১২| ১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: দায়টা দরিদ্র পিতামাতার। দায়টা সরকারের। দায়টা আপনার।
১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৩
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: হ্যা , দায়টা আমাদের । দায়টা সিস্টেমের । শিক্ষার নামে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য হয় অথচ শিক্ষকেরা থাকেন অধাপেটে ।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি যদি আপনার লেখার মূল বক্তব্য বুঝতে ভুল নাকরি তাহলে আপনার লেখার সারমর্ম হচ্ছে- শিক্ষক ছাত্রদের পেটাবে, সেটা যত নির্মভাবেই হোক! যদি তাই হয় তাহলে আমি আপনার পোস্টের সম্পুর্ণ বিপক্ষে।
তবে ছাত্রদের মৃদু শাসন করা যেতেই পারে- তাই বলে মেরে রক্তাক্ত করে ফেলবে সেটা মানা যায়না। যে শিক্ষকের মানসিকতা পশুরমতো হিংস্র তার শিক্ষকতা পেশায় না আসাই শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণকর।