নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
আপনি কে? আপনার পরিচয় কি? ভারতীয় না পাকিস্তানি? নাকি বাংলাদেশি? এটা এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। দেশের স্বার্থে কিছু বলতে গিয়ে তা যদি ভারতের পক্ষে যায় তাহলে একদল আপনাকে রাতারাতি ভারতীয় দালাল বানাবে আবার যদি পাকিস্তানের স্বার্থে কোন কথাবার্তা যায় তাহলে রাতারাতি আপনি পাকিস্তানি রাজাকার হয়ে যাবেন। ভাইরে, থুতু উপরে ছিটালে মুখেই পরে রাস্তায় নয়।
ভারত কিংবা পাকিস্তান এই দুইয়ের চাপে পরে কখন যে, আপনার বাংলাদেশী পরিচয়টি ফুরুৎ করে ঘায়েব হয়ে যাবে নয়তো গালি,খিস্তি,তপ্তবানে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যা করবে তা টেরও পাবেন না।
কথায় আছে, ব্যক্তির চেয়ে দল বড় দলের চেয়ে দেশ বড়। এখন চলছে, উল্টোটা, দেশের চেয়ে দল বড় আর দলের চেয়ে বক্তিস্বাথ বড়। রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে প্রজার হালুয়া টাইট আমরা কারো প্রজা হয়ে থাকতে চাই না। আমাদের প্রজা বানায় এমন রাজাও পৃথিবীতে নেই৷ এটাই হোক বিশ্বাস।
কিছু মানুষ আছে, যাদের কোন দল নাই যাদের কোন ব্যক্তি স্বার্থ নাই। যেখানে অন্যায় সেখানেই তারা প্রতিবাদ মূখর।
সুযোগের অভাবে সাধু সেজা কোন কাজের কথা নয়, সুযোগ পেয়েও দুনীতিবাজদের দলে বিড়ে না যাওয়াই আসল কথা। এদেশে এখনো এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম না৷
বেশ্যার ও একটা নীতি আছে,দায় আছে। তারা পেটের দায়ে শরীর বিক্রি করে কিন্তু দুনীতিবাজদের কোন নীতি নাই ব্যক্তির স্বার্থের জন্য নিজের আত্মা বিক্রি করে দেয়। মেকি চেতনার দোহাই দিয়ে রাতারাতি রাজাকার বা দালাল তকমা জুড়ে দেয়।
প্রকৃত দেশ প্রেমিকের কাছে দেশের স্বার্থ ই সবার আগে। দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে দলের সিদ্ধান্ত তারা মেনে নেয় না। প্রয়োজনে তারা দল, পদ মুহুর্তে ছাড়তে পারে কিন্তু এমন নেতা এখন কোথায়? সকলে রাজনীতি করে নিজ স্বার্থে, পদ ও ক্ষমতার মোহে।
এ মোহ থেকে মুক্ত হতে না পারলে প্রকৃত নেতা বা কর্মী হওয়া সম্ভব নয়। মনে, রাখতে হবে, রাজনীতি কোন পেশা নয়। রাজনীতি হচ্ছে,সেবা। কিন্তু এখন রাজনীতি হয়ে গেছে পেশা। যে পেশায় সব হয়।
দেশের দ্রব্য মুল্য বাড়লে কোন নেতা প্রতিবাদ করে না। কেউ ধর্ষিতা হলে প্রতিবাদ করে না। মিছিল বের করে না। অথচ চেতনার নামে, হত্যা করতেও কুন্ঠা বোধ করে না।
একজন মানুষের ক্ষুধা কতটুকু? কতটুকুই বা সে খেতে পারে? অথচ দুনীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করা যে তারা দুনীতির করে বিদেশে পাচার করে। এমন ও তো হয় পাচার সেই টাকা ভোগ করার আগেই সে মরে গেছে। তাহলে আত্মা বিক্রি করে পাওয়া এই টকা কার জন্যে রেখে যাবে? হারাম তো আরম দেয় না। শুনলাম,আমেরিকায় টাকা পাচারকারীরা নাকি আমেরিকা নাকি টাকা তাদের পাচার করা টাকা বাজেয়াপ্ত করতে পারে তাই তারা খুব টেনশনে আছে।
আসুন সাময়িক চেতনাখোর না হয়ে, প্রকৃত দেশ প্রেমিক হই। অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। গঠনমূলক সমালোচনা করি। দেশটা সকলের কারো ব্যক্তিগত সম্পদ নয়৷ দিন শেষে সবাই বাংলাদেশি তাই বিদেশি ইন্ধনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পরায়ণ না হই।। তাতে কিন্তু আলু পোড়া অন্যে খাবে আপনার ভাগ্যে কিছু ঝুটবে না। তাই দল কানা নয় চাই দেশ কানা। দল কানা হলে চোখে জ্যোতি থাকবে না আর দেশে কানা হয়ে মারা গেলেও জ্যোতির অভাব হবে না।
ভারত মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা দিয়েছে বলে মাথা নত করে থাকার কিছু নেই আবার পাকিস্তান ৭১ রে নির্যাতন করে বলে এখনো শক্রুতা বজায় রাখার কিছু নেই। তাদের নির্যাতনের জবাব এদেশে মানুষ দিয়েছে। যে শিক্ষা তারা পেয়েছে, সেটা ভুলে যাওয়া তাদের পক্ষে ও কোনদিন সম্ভব নয়৷
বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে কোন দেশ ই বন্ধু না আবার কোন দেশ ই শক্রু না। দেশের স্বার্থ যেখানে আঘাত লাগবে সেখানেই অবস্থান নিতে হবে৷ পাওনা আদায় করে নিতে হবে। কারন দেশে দেশে সম্পর্ক ব্যক্তি সম্পর্ক নয় যে, ছাড় দেওয়া যাবে। রঙ্গ তামাশা চলবে।
বি.দ্র. মোবাইলে টাইপ করেছি তাই বানান ভুল থাকা অস্বাভাবিক কিছু না।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ঠিক তাই দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে বন্ধু দেশ শক্রু হলে চিন্তার কিছু নাই
২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০১
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ঘৃনা ছড়ানোর টুলস এইটা । প্রতিবাদী নির্বিবাদী সব ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার হয় ।
দুই দেশের পতাকায় সবুজ থাকলেও রক্ত ঝরিয়েছি বলেই বাংলার পতাকা লাল সবুজে স্বতন্ত্র ।
দেশপ্রেম ব্যাপারটার পরিচর্যা হয়নি আমরা করতেও চাইনা কারণ চেতনায় প্রবলেম তৈরিকারী শাসকেরা ।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন। দোষ টা আমাদের নিজেদের ই। সেই কথাই বলেছি। ভাল থাকুন
৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি দেশ-প্রেমিক?
৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের আশাবাদী হতে হবে।
৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৮
সোবুজ বলেছেন: আমি বাংলাদেশী মুসলমান।
৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৩
বিটপি বলেছেন: আমার দাদা ছিল ভারতীয়, আমার বাবা ছিল পাকিস্তানী, আমি বাংলাদেশী।
৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫২
জ্যাকেল বলেছেন: আমাদের বাস্তবতা অস্বীকার করলে ক্রমাগতই পিছু হটতে হবে। মানে ভারত/চীন/আম্রিকা যেই আসুক তার সাথে বন্ধুত্বের নামে পদানত হয়ে থাকতে হবে।
বাস্তবতা হইল- আমরা ভৌগিলিকভাবে মোটামুটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছি। বিশেষত সেভেন সিস্টারস, যা ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কনসার্ন। আমরা যদি ভারত চীন এর মত স্বাধীন/সার্বভৌম হয়ে পড়ি তাহলে আমরা সিদ্বান্ত নিতে পারব আসাম, ত্রিপুরা, ইত্যাদি স্বাধীন হইতে পারবে কি-না। এইদিকে ভারতে হিন্দুত্ববাদী শক্তি অখন্ড ভারত এমনকি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান সব একত্র করে ষোলকলা পূর্ণ করতে চায়।
এইধরণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি বিবেচনা নিয়ে পররাস্ট্র/আন্তর্জাতিক সিদ্বান্ত নেবার মত কুটনৈতিক দক্ষতা বাংলাদেশের আছে। তবে এক্সিকিউট করার মত শক্তি কি আছে? নাই।
এই শক্তি অর্জন করে নিতে হবে। তবে আমি দেখতে পাচ্ছি না ইহা সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা হইতেছে ইহা সম্ভব করে সাধারণ মানুষের কি লাভ?
তার চেয়ে সাধারণ মানুষকে বিশ্বনাগরিক হইতে উদ্বুদ্ধ করাই কি সঠিক না? তাহলে এইরকম কঠিন রাজনীতি/কুটনীতি নিয়ে সুস্থ সবল মানুষ হত্যার গেইম খেলা লাগবে না। রাষ্ট্রগুলোর সরকারের দায়/জবাবদিহিতার তুলনায় ক্ষমতা খুবই বেশি হয়ে গেছে, এটাই মানবতার সংকটের আসল কারণ।
এই যে পাকিস্তানি, আমেরিকান, ভারতীয়, চায়নিজ পরিচয় এর চেয়ে বড় পরিচয় হওয়া উচিত আমরা মানুষ।
৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৩
রায়হান চৌঃ বলেছেন: ১৯৭১ এ ভারত মুক্তিযুদ্বে সাহায্য করেছিল !! ? না কি ১৯৭১ এ ভারত তার পেট থেকে একটা নিওক্লিয়ার বোমা অপারেশন করিয়েছিল............. আমি জাষ্ট কন্ফিউজ্ড
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিশ্বায়নের যুগে কোন দেশই স্থায়ী শত্রু না বা বন্ধু না। আমাদের কূটনীতিতে আরও দক্ষ হতে হবে।