নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
সৃষ্টি জীব সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ কোথায় ছিলেন ? আল্লাহ সর্বপ্রথম কি সৃষ্টি করেছেন? নেট দুনিয়ায় এ প্রশ্নটা খুব ঘুরপাক খায় । এসব প্রশ্ন করে আস্তিক নাস্তিক অনেকে বির্তকে জড়ায় ।
আমার মতে , মহান আল্লাহতালা সম্পর্কে এসব চিন্তা ভাবনা করা বা ভিডিও বানিয়ে ছাড়া পুরোটাই অবান্তর । আল্লাহ কিভাবে সৃষ্টি , কোথায় ছিলেন ? কাকে আগে সৃষ্টি করেছেন ? এসব নয় চিন্তা করতে হবে আল্লাহর সৃষ্টি ও তার মহত্ব ও বিশালতা নিয়ে । যদিও তার সৃষ্টির কৌশল ও বিশালতা মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব নয় । অনেকে এসব নিয়ে আলোচনার সময় বিভিন্ন হাদিসের উদাহরণ টানেন । তাদের মনে রাখা উচিত, রসুল সা: আমাদের মতোই একজন মানুষ ছিলেন । তার পক্ষেও আল্লাহ সম্পর্কে আমাদের চাইতে বেশি জানাটা অসম্ভব ছিলো , যতোটুকু না আল্লাহতালা তাকে জানিয়েছেন সেটুকু ছাড়া ।
মানুষের কল্যাণের জন্য আল্লাহ ওনাকে মনোনীত করেছেন । তাই আলেমদের উচিত এসব বিষয়ে বিতর্কে না যাওয়া । এসব বিষয়ে তর্কে রাসুলকে টেনে না আনা । কারণ তার হাদিসের ভুল ব্যাখ্যাও অন্যায় ও পাপ । বিভিন্ন ঘটনার পরিপেক্ষিতে তিনি বিভিন্ন উপদেশ ও মন্তব্য দিয়েছে । নিজে না জানলে ওহীর জন্য অপেক্ষা করেছেন ।
যতোটুকু আমরা পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে জানতে পেয়েছি সেটুকুই চুড়ান্ত সত্য । ওহী ছাড়া, রসুলের কথাও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বুঝে নিতে হবে । এক্ষেত্র ছোট একটি উদাহরণ দিচ্ছি , একবার একদল লোক এসে রসুল সা: কে জানালেন , "হে রসুল , পঙ্গপাল ও পোকামাকড়ের আক্রমণে আমাদের আমাদের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমরা এখন কি করবো ? রসুল সা: বললেন, তোমরা ফসল ঢেকে দাও ।"
লোকজন তাই করলো । কিন্তু দেখা গেলো সে বছর ফসল আগের বছরের তুলনায় আরো কম হয়েছে । লোকজন আবার তার কাছে আসলে তিনি বললেন, আল্লাহ্ র ওহী ছাড়া আমিও তোমাদের মতো একজন সাধারণ মানুষ । তোমরা ফসল উন্মুক্ত রাখো তাতেই আল্লাহ মঙ্গল রেখেছেন । আশা করি সবাই ব্যাপারটা বুঝতে পারেছেন ।
সৃস্টির শুরুতে আল্লাহ আরস যদি পানির উপর হয়ে থাকে , তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই ধরে নেওয়া যায় আল্লাহ্ পানি আগে সৃষ্টি করেছেন । পানি তো আর এমনি এমনি হয় না পানির রয়েছে অনেক মৌলিক উপাদান । তাই বলা চলে পানি সৃষ্টির আগে আল্লাহ পানির সেসব মৌলিক উপাদান সৃষ্টি করেছেন । আবার বলা যায় , পানি তো এমনি এমনি থাকে না , পানি রাখার জন্য পাত্র বা নদী নালা পুকুর সমুদ্রের প্রয়োজন তাহলে আল্লাহ আগে পানি রাখার জন্য পাত্র বা নদী নালা পুকুর সমুদ্রের সৃষ্টি করেছেন । আবার বলতে পাবেন, নদী নালা পুকুর সমুদ্রের সৃষ্টি র আল্লাহ তালা এসব সৃষ্টির উপাদান সৃষ্টি করেছেন । আবার হাদিসে বলা হয়েছে, তখন আল্লাহ্ ছিলেন মেঘের ভেতর - তাহলে বলা যায় আল্লাহ্ সবার আগে মেঘ সৃষ্টি করেছেন । অনুরুপ ভাবে বলা যায় আল্লাহ , মেঘে সৃষ্টির আগে মেঘের উপাদান সৃষ্টি করেছে । আবার যদি বলি আল্লাহ্ পানি ও মেঘ সৃষ্টির আগে , তার আরশ ও কুরশি সৃষ্টি করেছেন তাহলে কি ফেলে দিতে পারবেন ? তাই এসব আলোচনা একেবারে অবান্তর । মূর্খরাই এসব নিয়ে তর্কে জড়ায় ও মতামত দেয় ।
আল্লাহ তার নিজ সর্ম্পকে পবিত্র কুরআনে যতোটুকু জানিয়েছেন সেটুকু নিয়েই সন্তুষ্ঠ থাকতে হবে । কারণ অন্যাথায় মানুষের বিভ্রান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে । তাই আল্লাহ্ নয় আল্লাহর সৃষ্টি সর্ম্পকে বেশি বেশি ভাবতে ও চিন্তা করতে হবে । কারণ আল্লাহ বলেছেন , সকল সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে আল্লাহর নির্দশন । আল্লাহ সন্তুষ্ট হলে তিনিই সকল প্রশ্নের উত্তর আমাদের আন্তরে দান করবেন ।
পরিশেষ : "আল্লাহ! তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি স্বাধীন ও নিত্য নতুন ধারক, সব কিছুর ধারক। তন্দ্রা ও নিদ্রা তাঁকে স্পর্শ করেনা। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু রয়েছে সবই তাঁর। কে আছে এমন, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে? সম্মুখের অথবা পশ্চাতের সবই তিনি অবগত আছেন। একমাত্র তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত, তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারেনা। তাঁর আসন আসমান ও যমীন ব্যাপী হয়ে আছে এবং এতদুভয়ের সংরক্ষণে তাঁকে বিব্রত হতে হয়না। তিনিই সর্বোচ্চ, মহীয়ান। (আয়াতুল কুরসী)"
সাখাওয়াত বাবন
০১।০৮।২০২২
০১ লা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫২
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনি আমার লেখা বুঝতে পারেন নাই । আবার পড়ুন । ইসলাম আবেগে চলে না । মূর্খদের জন্য ইসলাম নয় ।
২| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩৭
অগ্নিবেশ বলেছেন: ভুল বুঝে থাকলে ঠিক করে দিয়েন, আপনি বোঝাতে চেয়েছেন, আল্লাহর কেরামতি বোঝার মত বুদ্ধি আমাদের নেই, বিধায় মেনে নিতে হবে। এখানে কোনো যুক্তি তর্ক খাটবে না।
খুবই ভালো কথা, একই ভাবে হিন্দুরা বলে ভগবানের কেরামতি বোঝার মত বুদ্ধি আমাদের নেই, বিধায় মেনে নিতে হবে। এখানে কোনো যুক্তি তর্ক খাটবে না।
খ্রিষ্টানরা বলে গডের কেরামতি বোঝার মত বুদ্ধি আমাদের নেই, বিধায় মেনে নিতে হবে। এখানে কোনো যুক্তি তর্ক খাটবে না।
তাহলে একই সাথে আল্লাহ-ভগবান-গড সবই ঠিক? বা তাহারা সমকক্ষ?? নাউজুবিল্লাহ।
০১ লা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আল্লাহর কেরামতি বোঝার মত বুদ্ধি আমাদের আসলেই নেই থাকলে সহজেই বুঝতে পারতেন আর এ জন্য আল্লাহ্ সৃষ্টি নিয়ে গভীর ধ্যানমগ্ন হতে হবে, ভাবতে হবে । তাতে যদি কিছুটা হলেও অন্ডরদৃষ্টি খুলে যায় । ভাল থাকুন
৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪২
অগ্নিবেশ বলেছেন: অবশেষে বুঝলাম,
আল্লাহর কেরামতি বোঝার মত বুদ্ধি আমাদের আসলেই নেই থাকলে সহজেই বুঝতে পারতাম আর এ জন্য আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে গভীর ধ্যানমগ্ন হতে হবে, ভাবতে হবে । তাতে যদি কিছুটা হলেও অন্ডরদৃষ্টি খুলে যায় ।
ভগবানের কেরামতি বোঝার মত বুদ্ধি আমাদের আসলেই নেই থাকলে সহজেই বুঝতে পারতাম আর এ জন্য ভগবানের সৃষ্টি নিয়ে গভীর ধ্যানমগ্ন হতে হবে, ভাবতে হবে । তাতে যদি কিছুটা হলেও অন্ডরদৃষ্টি খুলে যায় ।
গডের কেরামতি বোঝার মত বুদ্ধি আমাদের আসলেই নেই থাকলে সহজেই বুঝতে পারতাম আর এ জন্য গডের সৃষ্টি নিয়ে গভীর ধ্যানমগ্ন হতে হবে, ভাবতে হবে । তাতে যদি কিছুটা হলেও অন্ডরদৃষ্টি খুলে যায় ।
এই রকম আরো ২ হাজার ভগবানেশ্বরেআল্লার কেরামতি বোঝার মত বুদ্ধি আমাদের আসলেই নেই ---- ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা
চক্ষু খুলে দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
০২ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনার সাথে বির্তক যেতে চাই না । কারণে এটা নিষেধ আছে । তবুও বলবো ,
আল্লাহ কাফেরদের চ্যালেন্জ করেছিলেন পারতে কুরআনের আয়াতের সমতুল্য একটা আয়াত রচনা করে নিয়ে আসে আমি আপনাকে বলছি, আপনার ভগবান ও গড'কে আল্লাহর সৃষ্টিতত্বের সাথে তুলনা করতে চাইলে তাদের পাঠানো দলিল পত্র নিয়ে আসুন । তারপরে তর্ক করা যাবে ।
৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১৬
কামাল৮০ বলেছেন: সর্বপ্রথম আল্লাহ নিজেকে সৃষ্টি করেন।
০২ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: উনি ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫১
জ্যাকেল বলেছেন: In the beginning God created the heavens and the earth.
Now the earth was formless and empty, darkness was over the surface of the deep, and the Spirit of God was hovering over the waters.
বুক অফ Genesis থেকে এইটা পাওয়া যায়।
(সম্ভবত) আল্লাহ প্রথমে সৃষ্টি করেছিলেন তাঁর নূর, এরপর কলম। এরপর আরশ, তারপরে জান্নাত, তারপরে মহাবিশ্ব।
তবে সৃষ্টিজগতের শুরুতে পানি (তরংগ) সৃষ্টি করাটা লজিক্যাল, এই পানির ওপরে আজো সমগ্র মহাবিশ্ব, আরশ ও জান্নাত সবই স্থাপিত আছে বলেই আমি বিশ্বাস করি।
০২ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: খুব ভালো , আপনি কুরআন এবং হাদিসের আলোকে মন্তব্য করেছেন । এ প্রশ্নের উত্তর স্বয়ং আল্লাহই ভালো জানেন ।
৬| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩
রানার ব্লগ বলেছেন: যে ব্যাপারে তাবধ মানুষের কোন আইডিয়া নাই সেই ব্যাপারে কামড়া কামড়ি না করাই উত্তম !!!
০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪৪
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: যথার্থ বলেছেন । কিন্তু ইবলিস সেটা হতে দেবে কেন ?
৭| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১৬
অগ্নিবেশ বলেছেন: কুরআনের আয়াতের সমতুল্য একটা আয়াত রচনা করে আনলে কোনটা বেটার আয়াত সেটা কে ঠিক করবে?
সূরা আল-আনফাল-এর ৫৫ নং আয়াত
8:55
اِنَّ شَرَّ الدَّوَآبِّ عِنۡدَ اللّٰہِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا فَہُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿ۖۚ۵۵﴾
English – Sahih International
Indeed, the worst of living creatures in the sight of Allah are those who have disbelieved, and they will not (ever) believe –
Bengali – Bayaan Foundation
নিশ্চয় আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী তারা, যারা কুফরী করে, অতঃপর ঈমান আনে না।
Bengali – Mujibur Rahman
নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট নিকৃষ্ট জীব তারাই যারা কুফরী করে এবং যারা ঈমান আনেনা।
------------------------------------------------------------
আমার লেখা আয়াত,
যারা মুর্তি পুজা করে তারাও আল্লাহর সৃষ্টি, আল্লাহর সৃষ্টি কাউকেই ঘৃণা করবে না।
------------------------------------------------------------
উপরের কোন আয়াতটা বেটার?
০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪২
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মানসিক ভাবে অসুস্থ নাকি ? দয়া করে চিকিৎসা করান ।
৮| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭
অগ্নিবেশ বলেছেন: পয়েন্ট টু পয়েন্ট উত্তর দেবেন প্লিজ। পিছলাবেন না।
আপনি বলেছেন, আপনার ভগবান ও গড'কে আল্লাহর সৃষ্টিতত্বের সাথে তুলনা করতে চাইলে তাদের পাঠানো দলিল পত্র নিয়ে আসুন । তারপরে তর্ক করা যাবে । দলিল দিলাম। কোনটা ঠিক প্রমান করেন।
ーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーー
হিন্দু ধর্মের যে এক ও অদ্বিতীয় সত্তা, তার নাম হলো ব্রহ্ম। ঈশ উপনিষদের ব্রহ্মের প্রকৃতি হিসাবে বলা হয়েছে-
ওঁ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাত্ পূর্ণমুদচ্যতে।
পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে
সরলার্থ : উহা (পরব্রহ্ম) পূর্ণ, ইহা (নামরূপে স্থিত ব্রহ্ম) পূর্ণ; এই সকল সূক্ষ্ম ও স্থূল পদার্থ পরিপূর্ণ ব্রহ্ম হইতে উদগত বা অভিব্যক্ত হইয়াছে। আর সেই পূর্ণস্বভাব ব্রহ্ম হইতে পূর্ণত্ব গ্রহণ করিলেও পূর্ণই অর্থাৎ পরব্রহ্মই অবশিষ্ট থাকেন। ত্রিবিধ বিঘ্নের (আধ্যাত্মিক, আধিদৈবিক ও আধিভৌতিক) শান্তি হোক। ঈশ উপনিষদ। শান্তিপাঠ। [অতুলচন্দ্র সেন, সীতানাথ তত্ত্বভূষণ, মহেশচন্দ্র কর্তৃক অনূদিত ও সম্পাদিত- উপনিষদের অখণ্ড সংস্করণ থেকে উদ্ধৃত করা হলো।]
উপনিষদে বর্ণিত ব্রহ্ম অদ্বিতীয় সত্তা। ইনি সূক্ষ্ম ও স্থূল সকল কিছূরই উত্স। এই উত্স থেকে জগতের বিভিন্ন উপকরণের সৃষ্টি হয়। এর সমর্থন পাওয়া যায় অন্যান্য হিন্দু ধর্মগ্রন্থে। যেমন- মার্কেণ্ডয় পুরাণে আছে-
যা অব্যক্ত এবং ঋষিরা যাকে প্রকৃতি বলে থাকেন, যা ক্ষয় বা জীর্ণ হয় না, রূপ রস গন্ধ শব্দ ও স্পর্শহীন, যার আদি অন্ত নেই, যেখান থেকে জগতের উদ্ভব হয়েছে, যা চিরকাল আছে এবং যার বিনাশ নেই, যার স্বরূপ জানা যায় না, সেই ব্রহ্ম সবার আগে বিরাজমান থাকেন। মার্কেণ্ডয় পুরাণ/শ্রীসুবোধকুমার চক্রবর্তৗ।
উপনিষদ ও মার্কেণ্ডয় পুরাণ অনুসারে- দেখা যাচ্ছে, সৃষ্টির আদিতে পরমব্রহ্ম বিরাজ করেন। এবং সেই পরমব্রহ্ম থেকেই জগতের সব কিছু সৃষ্টি হয়।
ーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーーー
বাইবেলের মতে- সৃষ্টিতত্ত্ব
বাইবেলের পুরাতন নিয়মের আদিপুস্তক অধ্যায় শুরু হয়েছে জগত্সৃষ্টির বিবরণের মাধ্যমে। এই বিবরণটি নিম্নরূপ-
১ আদিতে ঈশ্বর আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করিলেন।
২ পৃথিবী ঘোর ও শূন্য ছিল, এবং অন্ধকার জলধির উপরে ছিল, আর ঈশ্বরের আত্মা জলের উপর অবস্থিতি
৩ করিতেছিলেন। পরে ঈশ্বর কহিলেন, দীপ্তি হউক, তাহাতে দীপ্তি হইল।
৪ তখন ঈশ্বর দীপ্তি উত্তম দেখিলেন, এবং ঈশ্বর অন্ধকার হইতে দীপ্তি পৃথক
৫ করিলেন। আর ঈশ্বর দীপ্তির নাম দিবস ও অন্ধকারের নাম রাত্রি রাখিলেন। আর সন্ধ্যা ও প্রাতঃকাল হইলে প্রথম দিবস হইল।
৬ পরে ঈশ্বর কহিলেন, জলের মধ্যে বিতান হউক, ও জলকে দুই ভাগে
৭ পৃথক করুক। ঈশ্বর এইরূপে বিতান করিয়া বিতানের উদ্ধস্থিত জল হইতে বিতানের অধঃস্থিত জল পৃথক করিলেন;
৮ তাহাতে সেইরূপ হইল। পরে ঈশ্বর বিতানের নাম আকাশমণ্ডল রাখিলেন। আর সন্ধ্যা ও প্রাতঃকাল হইলে দ্বিতীয় দিবস হইল।
৯ পরে ঈশ্বর কহিলেন, আকাশমণ্ডলের নীচস্থ সমস্ত জল এক স্থানে সংগৃহীত হউক ও স্থল সপ্রকাশ হউক, তাহাতে
১০ সেইরূপ হইল। তখন ঈশ্বর স্থলের নাম ভূমি, ও জলরাশির নাম সমুদ্র রাখিলেন; আর ঈশ্বর দেখিলেন যে,
১১ তাহা উত্তম। পরে ঈশ্বর কহিলেন, ভূমি তৃণ, বীজোত্পাদক ওষধি, ও সবীজ স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী ফলের উত্পাদক ফলবৃক্ষ, ভূমির উপরে উত্পন্ন করুক;
১২ তাহাতে সেইরূপ হইল। ফলতঃ ভূমি তৃণ, স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী বীজোত্পাদক ওষধি, ও স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী সবীজ ফলের উত্পাদক বৃক্ষ, উত্পন্ন করিল; আর ঈশ্বর দেখিলেন যে, সে সকল
১৩ উত্তম। আর সন্ধ্যা ও প্রাতঃকাল হইলে তৃতীয় দিবস হইল।
১৪ পরে ঈশ্বর কহিলেন, রাত্রি হইতে দিবসকে বিভিন্ন করণার্থে আকাশমণ্ডলের বিতানে জ্যোতির্গণ হউক; সে সমস্ত চিহ্নের জন্য, ঋতুর জন্য এবং দিবসের ও
১৫ বত্সরের জন্য হউক; এবং পৃথিবীতে দীপ্তি দিবার জন্য দীপ বলিয়া আকাশ-মণ্ডলের বিতান থাকুক; তাহাতে সেই
১৬ রূপ হইল। ফলতঃ ঈশ্বর দিনের উপর কর্ত্তৃত্ব করিতে এক মহাজ্যোতিঃ, ও রাত্রির উপরে কর্ত্তৃত্ব করিতে তদপেক্ষা এক জ্যোতিঃ, এই দুই বৃহৎ জ্যোতিঃ, এবং নক্ষত্রসমূহ নির্ম্মাণ করিলেন।
১৭ আর পৃথিবীতে দীপ্ত দিবার জন্য, এবং দিবস ও রাত্রির উপরে কর্ত্তৃত্ব
১৮ করণার্থে, এবং দীপ্তি হইতে অন্ধকার বিভিন্ন করণার্থে ঈশ্বর ঐ জ্যোতিঃসমূহকে আকাশমণ্ডলের বিতানে স্থাপন করিলেন, এবং ঈশ্বর দেখিলেন যে, সে
১৯ সকল উত্তম। আর সন্ধ্যা ও প্রাতঃকাল হইলে চতুর্থ দিবস হইল।
পবিত্র বাইবেল /পুরাতন ও নূতন নিয়ম/বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটি, ঢাকা
০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪২
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন:
৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৪
অগ্নিবেশ বলেছেন:
১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৭
অগ্নিবেশ বলেছেন: যুক্তিতে না পারলে শেষে গালাগালি, চাপাতি এই সব আর কি? বেশ বেশ, উন্মত যেমন, চ্যালাও তেমন। মারহাবা!
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪৭
তানভির জুমার বলেছেন: পবিত্র কোরআন এবং সাথে হাদিস, ইজমা যোগ হবে। ইসলাম শুধু কোরআন নয়। আপনি মহান আল্লাহ আরশ, সৃষ্টি নিয়ে যে সব কথা বলেছেন এইসবগুলোর ডিটেইলস ব্যাখা আছে নিজ দায়িত্বে খুজে পড়ে দেখেন আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন। সহি সনদে উল্লেখ করা কোন হাদিস যদি কোন মুসলমান অস্বীকার করে তাহলে তার ঈমান নিয়েই প্রশ্ন উঠে।