নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী কিংবা নিউক্লিয়াস এক্সপার্টদের যদি প্রশ্ন করেন , "আপনারা কি পুরো পৃথিবীকে ধ্বংস করে ফেলতে পারবেন ।? তাহলে তারা বেশ ভাব নিয়ে গর্বের সাথে এক বাক্যে বলবে , হ্যাঁ পারবো । এইডা কোন ব্যাপার ই না । " কিন্তু তাদের যদি আবার প্রশ্ন করেন, "আপনারা কি পুরো মহাবিশ্বকে ধ্বংস করে ফেলতে পারবেন ? " তাহলে তাদের মাথায় বাজ পড়বে । মুখ পাংশে যাবে । মাথা নেড়ে বলবে , না সেটা সম্ভব নয় । "মহাবিশ্ব" তো আর মায়ের হাতের মোয়া নয় যে, ইচ্ছে হলেই কেড়ে নিয়ে ধ্বংস করে ফেললাম । "
মূলত মহাবিশ্ব ধ্বংস করা সম্ভব নয় তার প্রকাণ্ডতার জন্য । কিন্তু তা অসম্ভব নয় । মহাবিশ্বকেও ধ্বংস করে ফেলা সম্ভব । তবে, এহেন কর্মের জন্য আপনাকে বেশ শক্তিশালী কোন উপাত্ত বা অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে । এখন মনে প্রশ্ন জাগবে, কি এমন শক্তিশালী অস্ত্র সেটা ? আসছি সে প্রসঙ্গে । তার আগে , ভাবুন , প্রশ্ন করুণ , প্রশ্ন না করলে জানবেন কি ভাবে ?
একটি তিমির কাছে একটা কুচো চিংড়ি যেমন অদৃশ্যমান ঠিক তেমনি মহাবিশ্বের কাছে মানুষ বা তাদের গ্রহটিও অদৃশ্যমান ।
কথায় কথায় আমরা আক্ষেপ করে বলি , মানুষ সময়ের কাছে হেরে যায় । অথচ মজার ব্যাপার হচ্ছে । সময় বলে কিছু নেই । মানুষসহ প্রাণীকুল মূলত গতির কাছে হেরে যায় । তাদের গঠন শৈলী ই তাদের সব চেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা । এ প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠা কিছুতেই সম্ভব নয় । আবার ধরুন আপনি, প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে পারলেন এবং গতির বেগে চলার শক্তি অর্জন ও করলেন কিন্তু তবুও আপনি গতিকে অতিক্রম করতে পারবেন না । বায়ুমণ্ডলের প্রতিবন্ধকতার জন্য । একটি নিদিষ্ট গতি প্রাপ্তির পর আপনার শরীরে আগুন লেগে যাবে । কারণ মানুষকে এবং প্রাণী জগতকে গতির অধীন করে সৃষ্টি করা হয়েছে , এ কারণে পবিত্র কুরআনে সুরা আর রহমানে , এমনটা বলা হয়েছে যে , "চাইলেও তোমরা একটি নিদিষ্ট সীমার বাহিরে যেতে পারবে না । পারলে গিয়ে দেখাও । " মহান আল্লাহ্ চ্যালেঞ্জ করতে ভালবাসেন , কারণ তিনি জানেন তিনি কি বলেন ।
মহা জগতকে জয় করতে হলে, তাদের গতিকে জয় করতে হবে । উসেইন সেন্ট লিও বোল্ট যখন দৌড় শুরু করেন কিংবা একটি চিতা যখন তীব্র গতিতে শিকারের উপর ঝাঁপিয়ে পরে অথবা আমার যখন সাধারণ ভাবে হাটা চলা করি এ সব একটি ক্ষণস্থায়ী একশন বা প্রক্রিয়া যা নিদিষ্ট একটি কার্যপদ্ধতি সম্পূর্ণ করে সমাপ্তি লাভ করে । ফলে গতি এগিয়ে যায় অন্য সব কিছু পিছিয়ে পরে ।
কিন্তু মহাজাগতিক গতির কোন শেষ বা অন্ত নেই, তা চলমান । এই গতি বা ফোর্স ঈশ্বরিক । একে আটকে ফেলতে পারলে পৃথিবী এবং বিশ্ব ভ্রমান্ড ধ্বংস করে ফেলা সম্ভব । কিন্তু তা মানুষের আয়ত্তের বাহিরে । কোন নিউক্লিয়াস আক্রমণেও তা সম্ভব নায় । একমাত্র সম্ভবপর হতে পারে যদি গতিকে জয় করা যায় । যেহেতু গতি ও শব্দ একে অপরের পরিপূরক সেহেতু শব্দ দিয়েই গতিকে জয় করা অথবা থামিয়ে দেয়া সম্ভব ।
চলুন একটি বাবুনিও পরীক্ষা চালাই,
"একটি বদ্ধ হাড়ি বা পাতিলের ভেতর যদি প্রচন্ড রকমের শব্দের ব্যবস্থা করেন, তার ফলে যে তরঙ্গ বা কম্পন সৃষ্টি হয়ে তার মোমেনর্টাম পাতিলের বাহিরের মোমেনটাম এর সাথে মিলবে না । অবশ্য এ পরীক্ষাটি করার জন্য আপনাকে মহাশূন্যে যেতে হবে । তা না হলে ভালো রেজাল্ট পাবেন না । "
বিগ ব্যাং এর কথা সবাই জানেন । যা হকিং সাহেব বলে গেছেন । কিন্তু বিগ ব্যাং এর পূর্বে কি ছিল সেটা কি ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন ছিলো না? ছিলো। হকিং এর বিগ ব্যাংক তত্ত একটি চুরি করা তত্ব। উনি যা বলেছেন,তা কুরআনে বহু আগেই পরিস্কার ভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু সেটা স্বীকার করলে ইজ্জত চলে যাবে বলে বিজ্ঞানিরা সেটা স্বীকার করেন না।
আচ্ছা ধরে নিলাম, বিগ ব্যাং সত্য, তাহলেও বলতে হয় এর শুরুটা হয়েছে শব্দের মাধ্যমে এবং তা গতিতে রূপান্তরিত হয়ে ছড়িয়ে পরেছে । এটা ইসলামের দেওয়া তথ্যের সাথে সাংঘষিক নয় । ঠিক তেমনি বিগ ব্যাং এর মতো একটা ঘটনার পরিপেক্ষিতেই বিশ্বভ্রমান্ড ধ্বংস প্রাপ্ত হবে । এটাও ইসলামের তথ্য থেকেই নিয়ে বলা । ইসরাফিল যেদিন শিঙ্গায় ফুঁৎকার দিবেন , সেদিন মহাজাগতিক গতি থেমে যাবে । আর গতি থেমে গেলেই মহাবিশ্ব ধ্বংস হয়ে যাবে ।
যারা কেয়ামত বলতে, শুধু পৃথিবীর ধ্বংস কে বুঝে থাকেন । তাদের জন্য বলছি , ইসরাফিলের শিঙ্গায় ফুঁৎকারে শুধু পৃথিবী নয় পুরো মহাবিশ্বই ধ্বংস প্রাপ্ত হবে । " এবং তখন শুধু তিনি ই থাকবেন । একা থাকবেন। "
এবং আর একটি শব্দ এবং তার তরঙ্গে সৃষ্টি হাশরের ময়দান সৃষ্টি হবে । বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে সেদিন হবে শুধুই পুরস্কার ও শাস্তির পাবার দিন । তখন বিগ ব্যাং তত্ব দিয়ে ক্রেডিট নেওয়ার মতো কেউ থাকবে না ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৩
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ , কিন্তু আরো ভালো হতো , যদি লেখাটা পড়ে কোন বির্তকমূলক প্রশ্ন উত্থাপন করতেন ।
২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৮
সোনাগাজী বলেছেন:
ইসরাফিল কত বড়, শিংগা কত বড়, আর ইউনিভার্স কত বড়?
১০ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৭
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এ জন্যই তো বলেছি , ভাবুন,চিন্তা করুন প্রশ্ন করুণ , প্রশ্ন না করলে জানবেন কি ভাবে ?
ইসরাফিল কত বড়, ইসরাফিল কত বড়, শিঙ্গা কত বড়, আর ইউনিভার্স কত বড় - অবশ্যই এটা চিন্তার বিষয় ।
যিনি এসব তৈরি করেছেন এবং নিয়ন্ত্রণ ও করছেন তিনি কত বড় সেটা ভেবে ভেবে আমি বিচলিত হয়ে উঠি ।
৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৩৩
সোনাগাজী বলেছেন:
শিংগার আওয়াজ শুনেছেন, মনে হয়!
১০ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৪
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: শিঙ্গা কত বড় হবে সেটা বিষয় না । বিষয় হচ্ছে, শিঙ্গা থেকে নির্গত শব্দের ফলে উৎপন্ন তরঙ্গ কোথায় কোথায় পৌঁছচ্ছে সেটা ।
ধরুন আপনি কিউব একতলা একটি দেওয়াল তৈরি করেছেন , এখন একটি কিউবে ধাক্কা দিলেই পুরো কিউবগুলো পড়ে যাবে । এটাই বিজ্ঞান । অথবা এক গোডাউন বোঝাই তুলার জন্য যেমন একটা ম্যাচের কাঠিই যথেষ্ট । ঠিক তেমনি শিঙ্গার ফুঁৎকারে ধ্বংসটা শুরু হয়ে গুলেই সেটা সব গ্রাস করে নিবে ।
দারুণ দুটি প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ , প্রশ্ন না করলে জানবেন কি ভাবে ?
বাই দ্যা ওয়ে, চাঁদগাজী ভাই ক্যামন আছেন কিছু কি জানেন ?
৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। বিশ্বাসীদের জন্য এই লেখায় অবিশ্বাসীরা উপহাস করবে..... +
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৫৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ, কারো অবিশ্বাসী হবার কোন সুযোগ নাই যদি জ্ঞানী হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: বিজ্ঞান আমি কম বুঝি। এজন্য এরকম পোষ্ট থেকে দূরে থাকি। কিন্তু আপনি সহজ করে লিখেন। পড়তে বেগ পেতে হয় না।