![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিঠি লেখার প্রচলন আজকাল নেই। স্কুল লাইফএ ক্লাস এইট / নাইন এ পড়ার সময় পাশের বাড়ির এক মহিলাকে চিঠি লিখে দিতাম। তার হাসব্যান্ড বাহিরে থাকত তাকে। সাধারনত আমার খালা লিখে দিত। খালা না থাকলে আমি দিতাম। সে আমার কাছে সব বলতে পছন্দ করত। সে কি লিখবে সব শুনে তারপর নিজের মতো করে লিখতাম।
স্কুল লাইফ এর এই সময়টায় আমি আমার বড় ভাইয়ার বন্ধুর কাছ থেকে দুইটা প্রেম পত্র পাই। প্রথমটা নানা/নানির হাতে পরে, ২য় টা খালার হাতে পরে। এর পর কলেজ লাইফ এ চিঠি পাই। সে চিঠি পড়া হয়নি কারন কয়েক পেজ দেখে পুরিয়ে ফেলি।
তিন/চার মাস আগে আমি আমার এক পুরানো ফাইল এর ভিতর আমার বাবার চিঠি পাই। চিঠিটা আমার বাবা লিখেছে আমার মেঝ খালুকে , খালুর অফিসের ঠিকানায়,যখন আমি ঢাকা খালার বাসায় ছিলাম।
প্রায় ১৫/১৬ দিন আগে হসপিটালে আমার মায়ের চিঠি পাই। পুরা দুই পেজ । বাবার চিঠিটা এক পেজ।
দুটো চিঠি কয়েকবার পড়েছি । আরও পরতে ইচ্ছে করে।
০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০৫
দয়িতা সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। ৯০% লিখা প্রকাশ , পাঠকের কাছ থেকে চিঠি পাওয়া সত্যই দারুন।
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: চিঠির আবেদন আজ ফুরিয়ে গেছে।
আমি একসময় প্রচুর চিঠি লিখতাম। অনেককে চিঠি লিখে দিতাম।
০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৬
দয়িতা সরকার বলেছেন: চিঠির আবেদন আজ ফুরিয়ে গেছে। যথার্থ বলেছেন।
আমি একসময় প্রচুর চিঠি লিখতাম। সুরভী আপাকে কী লিখতেন?
হসপিটালে দেখা করতে দিতনা। আম্মা এজন্য লিখেছেন।
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা হারিয়ে যাওয়া বিষয় নিয়ে সুন্দর পোস্ট লিখেছেন। বিদেশ থেকে চিঠি আসতে লাগতো ১০ থেকে ১৫ দিন। বিদেশ থেকে আসা চিঠির উপর থেকে ডাকটিকেট তুলে রাখা হত সংগ্রহের জন্য। চিঠি লেখার আলাদা লাল/ নীল রঙের প্যাড কিনতে পাওয়া যেত। চিঠি আপনি যেমন লিখে দিতেন তেমনি অনেকে পড়ে দিত। পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যক্তিদের চিঠি সাহিত্যের পর্যায়ে পরে। এগুলিকে সংগ্রহ করে রাখা হত। প্রাচীনকালে চিঠি বয়ে নিয়ে যেত কবুতর। এক রাজা আরেক রাজার কাছে চিঠি লিখে পাঠাতেন দূতের মাধ্যমে। সুকান্ত ভট্টাচার্য চিঠির বাহক নিয়ে কবিতা লিখেছেন 'রানার'। এই কবিতাকে গানে রূপ দিয়েছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় 'রানার ছুটেছে তাই ঝুম ঝুম ঘণ্টা বাজছে রাতে'। জগন্ময় মিত্র গান গেয়েছেন “চিঠি – তুমি আজ কত দূরে”। পঙ্কজ উধাস গজল গেয়েছেন 'চিঠি আয়িহে আয়িহে চিঠি আয়ি'। হাতে লেখা চিঠির যুগ আবার আসলে ভালো হত।
০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
দয়িতা সরকার বলেছেন: আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। চিঠি নিয়ে গান গুলো শুনলাম। দারুন।
পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যক্তিদের চিঠি সাহিত্যের পর্যায়ে পরে। হ্যাঁ । আব্রাহাম লিঙ্কন -উনার ছেলের টিচারএর কাছে চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিটা পড়া না থাকলে পরে দেখতে পারেন।
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৫
মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: চিঠি লেখার মাঝে যতোটা আবেগ ও ভালোবাসা জড়িয়ে থাকে ততটা আমার মনে হয় অন্যকোন ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে থাকেনা। ধন্যবাদ পুরনো স্মৃতিকে সামনে নিয়ে আসার জন্য।
২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫১
দয়িতা সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সাথে আমি সহমত।
৫| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১১:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ডিজিটাল যুগে এসে আজ চিঠি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। চিঠির স্থান দখল করেছে ক্ষুদেবার্তা আর ইমেইল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪৭
নিয়াজ সুমন বলেছেন: চিঠি নিয়ে আমার বেশ স্মৃতি আছে।
স্কুলে পড়ার সময় চিঠি লিখেছিলাম বিদেশে মামাদের কাছে। েএর পর নিয়মিত চিঠি পড়তাম ওনাদের পাঠানো চিঠিগুলো।
কলেজে এসে পত্র পত্রিকায় নানা লেখা পড়ে নিজের লেখা লেখির আগ্রহ সৃষ্টি হলো।
তারপর নিয়মিত ভাবে বিভিন্ন ম্যাগাজিন, দৈনিক , সাপ্তাহিক , মাসিক পত্রিকায় নিয়মিত সম্পাদকের বরাবর অসংখ্য হাতে লিখা গল্প, কবিতা, ফিচার পাঠিয়েছি খামে করে। ৯০% লিখায় ভাগ্য ভালো থাকায় আলোর মুখ দেখেছে। সেই দিনগুলির কথা মনে হলে অনেক ভালোলাগা কাজ করে ।
অথচ এখন কত সহজে কম্পিউটার এ টাইপ করে লিখা পাঠানো যায়। তাও এক মিনিটে পাঠানো যায় প্রাপকের কাছে।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো তখন কিছু কিছু ম্যাগাজিন এ লিখার নিচে ফোন নম্বর দেওয়া হতো লেখকের সেই সব লিখা প্রকাশিত হলে পাঠকদের ব্যাপক সাড়া পেতাম। এমনকি অনেক পাঠকের কাছ থেকে চিঠি ও পেয়েছি। দারুন সব অনুভব ।
ধন্যবাদ পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।