নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যুদ্ধ এবং শান্তি পাশাপাশি থাকতে পারে না।

দয়িতা সরকার

একজন সাধারণ মানুষ।

দয়িতা সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পড়শী নানু

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৩



আজ থেকে কয়েক যুগ আগে সবার বাড়িতে টিভি ছিল না। যাদের ছিল বেশির ভাগই ছিল সাদা-কালো। টিভি দেখতে ঘর ভর্তি হতো মানুষ দিয়ে। আমাদের বাড়িতে ছিল কালার টিভি, উঠোন ভরে যেত। আমার এক খালা, তার প্রতিবেশী বান্ধবী সহ গেছেন এক বাড়িতে টি ভি দেখতে( বাড়িতে পারমিশন নিয়ে)। যে সময় বলেছে সে সময় হয় ,তবু মেয়ে আসে না। দেরি হচ্ছে দেখে প্রতিবেশী নানু (বান্ধবীর মা)গেছেন মেয়েকে আনতে । তখন টি ভি তে সংবাদ প্রচার হচ্ছিল। নানু টি ভি দেখতে বসে সবার সাথে, কিছুক্ষন পর মাথার ঘোমটা বার বার টানে । কারন কী জানতে চাইলে বলে, লোকটা কী বার বার আমার দিকে তাকায়, যে দিকে যাই সেদিকেই তাকায়।

এই প্রতিবেশী নানু একমাত্র বউ। অনেক জমি-জমা। কোনো অভাব নেই। মেঝো ছেলেকে মাত্র বিয়ে করিয়েছে। একদিন উঠোনে অনেক ধান, ছেলের বউ নানুকে বলল মা আমি একটু রেস্ট নিয়ে আসি। বৃষ্টি এসে ধান ভিজে যায় ছেলের বউ আসেনা। নানু তাকে দেখতে ঘরে যান , দেখেন শুয়ে আছেন। নানু বলেন ,ও বউমা তুমি বললা রেস্ট নিবে, তা তুমি শুয়ে আছ কেন?





ছবিঃ গুগল

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নানু ঠিকই বলেছিলেন, রেস্ট নেয়া আর শোয়া কি এক হলো? :) নানুদের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম রইল

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৩

দয়িতা সরকার বলেছেন: এই নানু ছিল সহজ সরল। উনাদের বাড়িতে পেয়ারা গাছ ছিল। আমরা যখন নানা বাড়িতে যেতাম পড়শি ওই নানুকে অনেক বিরক্ত করতাম পেয়ারা পেরে দিতে। পরে নানু বলতো টাকা নিয়ে আয়। এর পর আমরা টাকা নিতাম। এক টাকায় এক হালি। তার পর দুটাকায় এক হালি।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ মজার স্মৃতি। নানুদের বুক ভরা আদর ভালবাসা থাকে, নাতি নাতনি পেলে তা উজাড় করে ঢেলে দেয়।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৩৫

দয়িতা সরকার বলেছেন: হ্যাঁ, পড়শী নানু হলেও অনেক আদর, ভালবাসত। এখন তিনি বেঁচে নেই। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুক।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৮

ওমেরা বলেছেন: আগের দিনের নানুরা অনেক সহজ সরল এখনকার নানুরাও চালাক হয়ে গিয়েছেন ।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪০

দয়িতা সরকার বলেছেন: আপু, তিনি সহজ সরল হলেও বোকা ছিলেন না। মারা যাবার আগে নিজেই বিরাট করে প্রোগ্রাম করে লোকজনকে খাইয়ে ছিলেন। সব আত্মীয় , পাড়া -পড়শী কেও বাদ যায়নি।

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমার নানীজান আমাকে অনেক ভালোবাসতেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪৩

দয়িতা সরকার বলেছেন: আপনি সৌভাগ্যবান । আপনার নানীজান আপনাকে অনেক ভালবাসতেন।

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন:
আমি পড়াশোনা করেছি নানির কাছে অনেক স্মৃতি আছে

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪৭

দয়িতা সরকার বলেছেন: স্মৃতি গুলো শেয়ার করুন।

৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪

জুন বলেছেন: আপনার প্রতিবেশী নানুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো। এখন আর প্রতিবেশীদের সাথে দেখা সাক্ষাৎই হয় না, নানু ডাকা তো দুর অস্ত।
ভালোলাগা রইলো।
+

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১১

দয়িতা সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। ওই নানু গৃহস্থালি কাজ করলেও সব নিয়ম মেনে চলতেন। আল্লাহ উনাকে জান্নাত দান করুন।

৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শৈশবের এসব ছোট্ট গল্প অনেক আনন্দের হয়।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৫

দয়িতা সরকার বলেছেন: জী আপু। আমার আনন্দের সময়টাই শৈশব-কৈশোরের । অনেক সৃতি আছে। আপনাদের মতো সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারিনা বলে লেখা হয় না। ভাল থাকবেন আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.