![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সিনেমা, নাটক কোনটাই দেখিনি। বাংলা ট্রিবিউন ২৩জুন ২০২৩ থেকে তুলে দিলামঃ
গ্যাসলাইটিং এই শব্দটি পরিচিত পায় ১৯৩৮ সালে 'গ্যাস লাইট' নামের একটি মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে। এরপর গল্পের কাহিনী অনেকটা ঠিক(প্রায় কাছাকাছি) রেখে ১৯৪০, ১৯৪৪ সালে চলচ্চিত্র নির্মিত হয় এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
গ্যাসলাইটিং আসলে কী?
এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক ম্যানিপুলেশন বলা হয় এই পরিস্থতিকে। অন্য পক্ষের নিয়ন্ত্রণের কারণে নিজের বাস্তব ভাবনার উপর নিজেরই সন্দেহ তৈরি হয় এতে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক পেজ সুইট বলছেন, কাউকে পাগল প্রমাণ করার চেষ্টাকেই গ্যাসলাইটিংয়ের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। সম্পর্ক এবং কর্মক্ষেত্রে গ্যাসলাইটিং নিয়ে নিয়মিত পড়াশোনা করছেন এই অধ্যাপক। গ্যাসলাইটাররা বাস্তবতাকে বিকৃত করে এবং তাদের নিজস্ব বিচার এবং অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করে। অন্য ব্যক্তির উপর ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণ অর্জন করতেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়। এক ধরনের মানসিক শোষণ এবং নির্যাতন বলা হয় গ্যাসলাইটিংকে। এটি পারিবারিক বা কর্মক্ষেত্রের সম্পর্কের পাশাপাশি দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যেও ঘটতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন আপনি গ্যাসলাইটিংয়ের শিকার?
১। কারোর সঙ্গে কথা বললে আপনি বিভ্রান্ত হচ্ছেন বার বার।
২। কেউ মিথ্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। যেটা হয়নি সেটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে।
৩। আপনাকে বারবার মানসিক রোগগ্রস্ত হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
৪। এক পর্যায়ে আপনি নিজেই মনে করছেন যে আপনার মানসিক ভারসাম্য প্রশ্নবিদ্ধ।
৫। আপনি হতাশ হতে শুরু করেছেন।
৬। আপনাকে মিথ্যাবাদী প্রমাণ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে কোনও পক্ষ বা ব্যক্তি। তবে যে মিথ্যার কথা বলা হচ্ছে, সেটা আপনি বলেননি।
৭। তুমি সবসময় ভুলে যাও, নিশ্চয় এমনটি ঘটেনি- এই ধরনের বাক্য প্রয়োগের কারণে আপনার নিজেরই মনে হচ্ছে যে আপনার ভুলে যাওয়ার রোগ আছে।
কিছু উদাহরণঃ
গ্যাসলাইটিং মানে যে কেবল অন্যকে ‘পাগল’ হিসেবে প্রমাণ করা সেটা নয়। অনেক সময় নানাভাবে অন্যকে অপমান করা এবং নিজের ভাবনা অন্যের উপর তার অজান্তে চাপিয়ে দেওয়াও হতে পারে। যেমন ধরুন বন্ধুদের আড্ডায় এক বন্ধু আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলল অমুক অঞ্চলের লোকজন তো মানুষ হিসেবে অনেক খারাপ। আপনি প্রবাদ করলে আরও হাস্যরস করে সে বলল, আপনি ফান বুঝতে পারছেন না। আবার অতীতে কোনও কিছু করে বা বলে পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে তা অস্বীকার করাও গ্যাসলাইটারদের কাজ। ধরুন আপনাকে সে একটি মেসেজ দিয়েছে। মেসেজটি আপনি হারিয়ে ফেলেছেন। সে তার নিজের প্রয়োজনে বলতে পারে এমন মেসেজ সে কখনোই আপনাকে পাঠায়নি।
কাদের মধ্যে গ্যাসলাইটার হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়?
১। নার্সিসিস্ট পারসোনালিটি যাদের, তাদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দেয়।
২। ছোটবেলায় কেউ শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হলেও পরবর্তীতে তার মধ্যে এই ধরনের ব্যক্তিত্ব দেখা যেতে পারে।
৩। মিথ্যা বলার প্রবণতা বেশি থাকলে গ্যাসলাইটার হওয়া তাদের জন্য সহজ।
৪। সঙ্গীকে নিয়ে সন্দেহ কাজ করলে এই আচরণ করে অনেকে।
কারা ভিকটিম?
১। নার্সিসিস্ট পারসোনালিটি যাদের, তাদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দেয়।
অথচ উপরের বিবরণ গুলোতে বলা হচ্ছে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে কাউকে পাগল বা মানুষিক অসুস্থ প্রমাণ করা। গুগল করে নার্সিসিস্ট পারসোনালিটি বলতে যা বোঝানো হয়েছে সেটাতেও মিল নেই। যদি কেউ নার্সিসিস্ট পারসোনালিটি হয়েও থাকে তো অপর পক্ষের কেন এত জেলাস হয়। তোমরা তোমাদের মতো থাকো। সেতো বাধা দিচ্ছে না। আমার তো মনে হয় যারা পাগল সাঁজায় তারাই আসল পাগল, হিংসুটে।
২। ছোটবেলায় কেউ শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হলেও পরবর্তীতে তার মধ্যে এই ধরনের ব্যক্তিত্ব দেখা যেতে পারে।
কে ছোটবেলায় শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হল সেটা সবাই জানবে কি করে?
কারা কারা জানবে? প্রথমতঃ যারা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে নির্যাতন করেছে তারা জানবে।
দ্বিতীয়ত ঃ যারা ভিকটিম ।
বাকি দুটো পয়েন্ট প্রয়োজনীয় নয়।
ছবি ক্রেডিট ঃ গুগল
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৪৭
চেয়ারম্যান সাব বলেছেন:

খুবই গুরুত্বপূর্ণ লিখা, যদিও প্রথম পাতায় আসেনি