নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যুদ্ধ এবং শান্তি পাশাপাশি থাকতে পারে না।

দয়িতা সরকার

একজন সাধারণ মানুষ।

দয়িতা সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কথোপকথন

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

মিসেস চৌধুরী ও তার দুই সন্তান প্রীতি , সুমনার কথোপকথন।
মিসেস চৌধুরী ঃ আজ তোমাদের এমন জায়গায় নিয়ে যাব , যেখানে আগে কখনো যাও নি।
প্রীতিঃ আর কোথায়? কোনো বিখ্যাত অথবা দর্শনীয় স্থানে।
মাঃ হ্যাঁ, তবে এমন স্থানে যাবো,যেখানে তোমাদের পূর্বপুরুষরা ঘুমিয়ে আছেন। যাদেরকে তোমরা কখনো দেখনি, তবে তাদের
জানো, একটা নির্দিষ্ট তারিখে তাদের স্মরণ করি, শ্রদ্ধা জানাই। বলতে পারবে তারিখটা ?
সুমনাঃ ১৪ ডিসেম্বর।
মাঃ হ্যাঁ, এই দিন সম্পর্কে তোমরা কী কী জানো?
প্রীতিঃ স্কুলে আমাদের বাংলা ও বিজিএস টিচার ১৪ ডিসেম্বর সম্পর্কে বলেছেন। ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
সুমনাঃ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ঢাকায় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, বুদ্ধিজীবী কবরস্থান স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ডাক বিভাগ
বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে একটি স্মারক ডাক টিকিটের সিরিজ বের করে।
প্রীতিঃ মা আমরা আজ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এ যাচ্ছি।
মাঃ হ্যাঁ, চল আমরা বের হই। এটা আমাদের বাসার কাছেই।
প্রীতিঃ মা আমাদের এখানে নিয়ে আসার কারণ কী? এটা সম্পর্কে আমরা স্কুলেই জেনেছি। এটার নকশা করেছেন স্থপতি ফরিদ
উদ্দিন আহমেদ ও জামি আল শাফি। কিন্তু সৌধটি এখানে নির্মাণ করার কারণটি জানিনা।
মাঃ পাকিস্তানি ও তার দোসর আলবদর, আলশামস, রাজাকাররা যখন তাদের পরাজয় নিশ্চিত , তখন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য
করতে প্রায় ২০,০০০ বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা করে। এর পর তারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা, গুম করতে থাকে। যাদের
অধিকাংশই ছিলেন বিভিন্ন ভার্সিটির অধ্যাপক, সাংবাদিক, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও বিভিন্ন পেশাজীবীর
বুদ্ধিজীবী।এদের বেশিরভাগরই কবর এখানে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে এখানেই শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা
হয়। এটা ২য় স্মৃতিসৌধ(রায়েরবাজার), ১ম টা মিরপুরে অবস্তিত।


স্কুল এ বাচ্ছাদের জন্য লিখা

তথ্যঃ গুগল






















মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.