![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্ন দেখি , কার্টুন আকিঁ আর বিশ্বাস করি আমার দেশের সব সম্ভবনা শেষ হয়ে যায়নি
অন্যের মনের মধ্যে চিন্তার কী প্যাঁচ চলছে তা বোঝার ইচ্ছা হয় সবার। সেই মগজ পড়ার যন্ত্রের কৌশল আয়ত্ত করে ফেলেছেন বৈজ্ঞানিকেরা। নেহাত শিশুসুলভ ভাবনা হিসেবে ব্যাপারটাকে হেলাফেলা করলেও, বিষয়টাকে ছোট করে দেখেননি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জ্যাক গ্যালান্ট। দীর্ঘ দিন পরিশ্রমের পর তারা এমন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন, যার মাধ্যমে তারা মস্তিষ্কের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ভাবনাগুলোকে চাক্ষুষ করতে পারবেন। এখন এই যন্ত্রটির প্রয়োগ আপাতত ল্যাবরেটরির চার দেয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এর মাধ্যমে হয়তো পক্ষাঘাতে আক্রান্ত বাকশক্তিহীন রোগীদের সাথে কথা বলা সম্ভব হবে। ২০০৮ সাল থেকে খ্যাতনামা স্নায়ু বিজ্ঞানী জ্যাক গ্যালান্ট ও তার দল শুরু করেছিল এই প্রজেক্ট। ২০১২ এসে তারা যে যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছেন, তার নাম ফাংশনাল ম্যাগনেটিক রেজনেন্স ইমেজিং বা এফএমআরআই (FMRI)। এই কম্পিউটারচালিত যন্ত্রটি মস্তিষ্কের ভাবনাগুলোর ছবি তোলে। এবার এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে, ভাবনার আবার ছবি কীসের?
স্নায়ু বিজ্ঞানীরা বলেন, যেকোনো সংবেদে আমাদের মস্তিষ্কে আলাদা আলাদা বৈদ্যুতিক তরঙ্গের (খুব ক্ষীণ অবশ্য) সৃষ্টি হয়। সেই ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর সংবেদের অস্তিত্ব ধরা পড়ে এফএমআরআইয়ের মনিটরে। বিজ্ঞানীরা হিসাব কষে দেখেছেন, প্রতিটি সংবেদের ছবি পরস্পরের থেকে আলাদা। অর্থাৎ ‘আমি আইসক্রিম খেতে চাই’ এটা বলা বা ভাবার সময়, যে ধরনের ‘গ্রাফ’ মনিটরে পাওয়া যাবে, ‘একটু ঘুমাতে পারলে বেশ হতো’ ভাবা বা বলার সময় মনিটরে তৈরি হওয়া গ্রাফের ছবি হবে সম্পূর্ণ আলাদা। ইতোমধ্যেই দৈনন্দিন জীবনে আমরা সাধারণত যে কথাবার্তা বা চিন্তা-ভাবনাগুলোর ব্যবহার করে থাকি, তার একটা ডাটাবেজ বানিয়ে ফেলেছেন গ্যালান্টের সহকর্মীরা। ফলে মুখে একটা শব্দ ব্যবহার না করেও মগজে কী চলছে, তা অন্যদের জানিয়ে দিতে পারছেন তারা। এর জন্য শুধু দরকার হচ্ছে কিছু একটা ভাবা, আর সেই ভাবনার ফলে কী ধরনের গ্রাফ মনিটরে উঠে আসছে তা ওই গ্রাফ ডাটাবেজের সাথে মিলিয়ে দেখা। গ্যালান্টের দাবি মতে, ৯০ শতাংশ সময় এই যন্ত্র ঠিক বলছে।
তবে গ্যালান্ট এবং তার দল কিন্তু কয়েকটা ব্যাপারে বড্ড গোঁড়া। তারা কোনোভাবেই এই যন্ত্রটা অনুমতি ছাড়া ব্যবহারিক প্রয়োগ করতে দিতে নারাজ। এই যন্ত্র দিয়ে গোয়েন্দাগিরি করা অনেক দূরের ভাবনা।গ্যালান্ট এবং তার পুরো দলেরই ধারণা যে, এই গ্রাফগুলোই পরে ব্রেন ড্যামেজ হওয়া রোগীদের কথা বলতে সাহায্য করবে। কিংবা হয়তো আমাদের স্বপ্নের স্মৃতি ধরে রেখে সেগুলো আমাদের আবার দেখতে সাহায্য করবে। এভাবে আমরা হয়তো স্বপ্নের অনেক অজানা রহস্যকে ভেদ করে ফেলতে পারব।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
শামস্ বিশ্বাস বলেছেন: সামনে অবশ্যই সুযোগ পাবেন নিশ্চয়
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪২
শের শায়রী বলেছেন: ভাল একটা বিষয় নিয়ে আসছেন। অভিনন্দন
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৫
শামস্ বিশ্বাস বলেছেন: Tnx
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩
বিকেল বলেছেন: আমরা এদেশের মানুষ রা শুধু কল্পনা করতে পারি কিন্তু কল্পনা কে বাস্তবে রূপ দেয়া এদেশে সম্ভব হয় না । আমি আন্ডার গ্রাজুয়েট থিসিসে এই রকম একটা কিছু করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমার সুপারভাইসার সাপোর্ট দেন নি
