![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্ন দেখি , কার্টুন আকিঁ আর বিশ্বাস করি আমার দেশের সব সম্ভবনা শেষ হয়ে যায়নি
ঠিক কোন কোন নিয়ম মাথায় রাখতে হবে? কেমন হবে ছবির গল্প, কেমনই বা তার রাজনীতি? অস্কারে বাজিমাত করার রহস্য সন্ধানে।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ৮৫ তম অস্কার অনুষ্ঠানে কার ভাগ্যে জুটবে ‘সেরা ছবি ’র পুরস্কার তা নিয়ে জল্পনা এখন তুঙ্গে।
ইতিমধ্যেই নমিনেশন পাওয়া সেরা ন’টি ছবির তালিকা প্রকাশিত। এই তালিকায় রয়েছে মাইকেল হ্যানেকে-র ‘আম্যুর’, বেন জেইটলিন পরিচালিত ‘বিস্টস অফ দ্য সাদার্ন ওয়াইল্ড’, অ্যাং লি’র ‘লাইফ অফ পাই’, স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘লিঙ্কন’, ডেভিড ও’ রাসেল পরিচালিত ‘সিলভার লাইনিংস প্লেবুক’, কোয়েনতিন তারান্তিনো-র ‘জ্যাঙ্গো আনচেইনড’, টম হুপার-এর ‘লা মিজারেবল’, ক্যাথরিন বিগেলো-র ‘জিরো ডার্ক থার্টি’ এবং বেন অ্যাফ্লেক -এর ‘আরগো’।
এবার কোন ছবি অস্কার জিতবে সেই ভবিষ্যদ্বাণীতে না গিয়ে দেখে নেওয়া যাক বিগত সাত বছরে কোন কোন ছবি অস্কার পেয়েছে এবং সেখান থেকে এমন কি কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, অস্কার কমিটির সেরা ছবি বাছার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি আছে? ২০০৬ সালে অস্কার পেয়েছিল পল হ্যাগিস পরিচালিত ‘ক্র্যাশ’। এমন অনেকগুলো গল্প জুড়ে এই ছবিটা তৈরি হয়েছিল, যেখানে মূল বক্তব্য হল কোনও আমেরিকানই মানুষ হিসেবে খারাপ নয়। তারা কোনও খারাপ কাজ যদি করেও ফেলে, তাহলে সেটা করে চাপে পড়ে। নিতান্তই বাধ্য হয়ে। ঠিক একইভাবে ক্যাথরিন বিগেলো-র ‘দ্য হার্টলকার’-এর বিষয়ও ভালো আমেরিকান। তৃতীয় বিশ্বের অসভ্য মানুষদের প্রাণের বাজি রেখে সভ্য করে তোলাই আমেরিকানদের ধ্যান–জ্ঞান। ‘দ্য হার্টলকার ’ সেরা ছবির অস্কার জিতেছিল ২০১০ সালে। ‘ভালো আমেরিকান’দের পাশাপাশি মার্জিনাল বা ‘প্রান্তিক’ মানুষও অস্কার কমিটির নেক নজরে এসেছেন বেশ কয়েকবার। যেমন ২০১১ সালে সেরা ছবির পুরস্কার পেয়েছিল ‘দ্য কিংস স্পিচ’। এক ভালো রাজার গল্প। কিন্তু এই রাজা হলেন ব্যতিক্রমী রাজা। এই রাজা তোতলা। অথচ , তাঁকে বক্তৃতা দিতে হবে। কথা বলতে না পারার এই প্রতিকূলতা অতিক্রম করার গল্পই বলে এই ছবি। ২০১২ সালে অস্কার পেয়েছিল ‘দ্য আর্টিস্ট’। এই সাদা -কালো ছবির কেন্দ্রে রয়েছেন নির্বাক যুগের চলচ্চিত্রের এক অভিনেতা। এই অভিনেতাই মার্জিনালাইজড হয়ে পড়ছেন যখন ছবিতে শব্দ আসছে। সবাক ছবির দুনিয়ায় নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারা নির্বাক যুগের এক অভিনেতা এই ছবিতে হয়ে উঠছেন প্রান্তিক এক চরিত্র। ‘ভালো আমেরিকান’দের মতো ‘প্রান্তিক’ মানুষও কিন্তু সহানুভূতি আদায় করে নেয় প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে তাদের নিরন্তর লড়াইয়ের মাধ্যমে। ঠিক এইভাবেই ড্যানি বয়েল-এর ‘স্লামডগ মিলিওনেয়র’ অস্কার জিতেছিল ২০০৯ সালে। এই ছবির চরিত্ররা প্রত্যেকেই তৃতীয় বিশ্বের। মুখ্য চরিত্র এক বস্তির ভারতীয় কিশোর। তার বান্ধবীও নিষিদ্ধ এলাকার কিশোরী। এই ভাবেই তারা হয়ে ওঠে ‘প্রান্তিক’ চরিত্র। ছবির প্রধান চরিত্রের প্রতিকূলতার প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আসাই এই ছবির কাহিনি। ২০০৮ সালে অস্কার পেয়েছিল প্রতিকূলতা অতিক্রম করার গল্পই বলে।
কোয়েন ব্রাদার্স পরিচালিত ‘নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন ’ এবং ২০০৭ সালে অস্কার পেয়েছিল মার্টিন স্করসেসি-র ছবি ‘দ্য ডিপার্টেড’। এই দুটির কেন্দ্রেই রয়েছে মাফিয়া লড়াই। ‘দ্য ডিপার্টেড ’ ছবির এক্কেবারে শেষে যেমন পাওয়া যায় এক ভালো আমেরিকান পুলিশকে , তেমনই ‘নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন ’-এও তাই খারাপ পুলিশের পাশাপাশি ভালো পুলিশ। যদিও এই দু’টি ছবিতেই ভালো পুলিশেরা কেন্দ্রিয় চরিত্র নয় , বরং মূল চরিত্ররা সবাই খারাপ। তবু শেষ পর্যন্ত কোনও খারাপ মানুষই বেঁচে থাকে না, বেঁচে থাকে ‘ভালো ফেমিএভখ।
আমেরিকান’রাই।
এই যদি হিসেব হয়, তাহলে গৃহযুদ্ধে ব্যতিব্যস্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিংবা নৌকোয় বাঘের সঙ্গে সমুদ্রে বিপর্যস্ত ভারতীয় কিশোর পাই-এরই এবার অস্কার জেতার সম্ভাবনা। কারণ একজন ‘ভালো আমেরিকান’, অন্যজন ‘প্রান্তিক’।।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
শামস্ বিশ্বাস বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: লিঙ্কন ই প্রাইজ পাবে