নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Allergy effected eyes

Shams

শামস্ বিশ্বাস

স্বপ্ন দেখি , কার্টুন আকিঁ আর বিশ্বাস করি আমার দেশের সব সম্ভবনা শেষ হয়ে যায়নি

শামস্ বিশ্বাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছ কী

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭





স্কুলজীবনে কয়েক দফায় বাংলা-ইংরেজিতে মুখস্থ রচনা লেখা হয়েছে ‘জীবনের লক্ষ্য’ নিয়ে। জীবনের লক্ষ্য কী? প্রশ্ন শুনে অনেকে মাথা চুলকে ভাবতে বসবে সত্যিই এটা তো কোনওদিন ভাবা হয়নি। কেউ আবার বলতে পারে, দূর ওসব বলে কিছু নেই। জীবন যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে, দেখা যাক কত দূর যাওয়া যায়। জীবনের ‘লক্ষ্য’ নির্ধারণ করে বাড়তি চাপ নেয়ার দরকার কী। ‘লক্ষ্য’ জিনিসটা মহাপুরুষদের কিংবা বড় বড় মানুষের থাকে। সাধারণের ওসব ঝামেলার মধ্যে যাওয়ার দরকার কী?



এমন প্রশ্নের কারণ আসলে ‘লক্ষ্য’ সম্পর্কে আমাদের অস্পষ্ট ধারণা। জীবনের লক্ষ্য ঠিক করা মানে বাড়তি চাপ নেয়া, তেমন কিন্তু নয়। লক্ষ্যের উল্টো পিঠে যা আছে তা হল, জীবন দর্শন। প্রতিটি মানুষের জীবনযাপনের মধ্যেই একটা দর্শন কাজ করে। কখনও সেটা অবচেতনভাবে, আবার সচেতনভাবে। মুশকিল হল, অবচেতনভাবে তুমি যে জীবনযাপন করে যাচ্ছ, তার মধ্যে নিজের কোনও হাত নেই। তাতে অন্যের দর্শনকেই মেনে নেয়া। আর যখন তুমি সচেতনভাবে জীবন চালাতে চাও। তখন তোমার নিজের বেছে নেয়া দর্শনেই জীবন চলবে_ অন্যের প্রভাব যদিও থাকে। তবে তুমি তা বেছে নেবে। আর এটিকে এক কথায় বলা যেতে পারে ‘লক্ষ্য’।



বর্তমানের এই র‌্যাট রেসের সময়ে দৌড়ানোর জন্য একটা সুনির্দিষ্ট দর্শন থাকা দরকার। সেই দর্শনের ওপর দাঁড়িয়ে ঠিক করে নিতে হবে তোমার জীবনের লক্ষ্য। এরপর যেটা থাকতে হবে সেটা হল, লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য প্রবল ইচ্ছাশক্তি। অল্প আগুনে যেমন কম উত্তাপ হয়, তেমনই দুর্বল ইচ্ছাশক্তিতে ফল মেলাও দায় হয়ে যায়। লক্ষ্য থেকে যায় অধরা। কীভাবে তুমি লক্ষ্যে পৌঁছবে, তার একটা ছক কষে নাও। ছকটা মাথায় রাখ অথবা ডায়েরির পাতায় লিখে ফেল। এক লাফে যেমন ছাদে ওঠা যায় না, তেমনই ধাপে ধাপে সিঁড়ি ভেঙেই লক্ষ্যে পৌঁছতে হয়। তাই পরিকল্পনার সময় ধাপগুলো পার হওয়ার জন্য ‘বড় লক্ষ্যের’ অধীনে ‘ছোট লক্ষ্য’ স্থির কর। মাঝে মাঝে যাচাই কর, কতটা এগুলে। খাতা-কলম নিয়ে এর হিসাব-নিকাশ কষলেও মন্দ হয় না। যে পথ বেছে নিয়েছ, সে পথ থেকে কতটা সরে এসেছ তা বুঝে নিয়ে এগিয়ে চল। পারলে নিয়মিত এটা কর।



শেষ কথা হল, তোমার লক্ষ্যের ছবিটা মাঝে মাঝে মনের সামনে তুলে ধর। দেখবে লক্ষ্যপূরণের পথে দৌড়াতে দৌড়াতে মনটাও তৈরি হয়ে গেছে। আর এই ভাবে চললে সৌভাগ্যক্রমে নয়, লড়ে বীরের মতো লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.