![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্ন দেখি , কার্টুন আকিঁ আর বিশ্বাস করি আমার দেশের সব সম্ভবনা শেষ হয়ে যায়নি
রাগারাগির জন্য কিন্তু রাগ জন্মায় না। মানসিক আর সামাজিক চাপ আমাদের রেগে যেতে সহায়তা করে। অপছন্দ থেকেই বিরক্তি, আর বিরক্তি যখন সহ্যের চরম সীমা ছাড়ায় তখন জন্ম দেয় রাগের। মানুষ মাত্রই রাগ হয়, আর কিছু কিছু রাগ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলে জন্ম দেয় ক্রোধের। আর এ ‘ক্রোধ প্রবণ’রাই বদরাগীর উপাধি পেয়ে যায়। জীবন যন্ত্রণায় জর্জরিত আমরা একটু একটু করে বদরাগী হয়ে উঠছি। যা জমে জমে বাড়ছে প্রতিহিংসা আর আরও বেশি মাত্রায় হলে জিঘাংসা। কাজের দুনিয়ায় যার মারাÍক রকম ভয়ংকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। কাজের চাপ আর সহকর্মী বা সহপাঠীর সুড়সুড়ি কিংবা স্যার অথবা বসের ছোট্ট বকা এগুলোকে মুহূর্তে ভয়ানক করে তোলে। এছাড়া আড়াল থাকে নানা পারিবারিক অথবা সামাজিক সমস্যার চাপ। তাই রাগকে এড়িয়ে যাওয়ার একমাত্র মূলমন্ত্র অনুরাগী হয়ে ওঠা। রাগ হতে শুরু করলেই মুহূর্তে চিন্তা করতে থাকতে হবে আমাদের অনুরাগী বিষয়গুলোকে। তাতেও না কমলে মনে করতে হবে সব সম্ভবের দুনিয়ায় সবই সম্ভব।
আমাদের চারপাশে এমন অনেক কিছুই ঘটে থাকে বা আমাদের পছন্দ হয় না। আবার সেসব কারণে রাগ প্রকাশ করেও কোনও লাভ হয় না। তবে সবার স্বভাব সমান হয় না। একজন মানুষ হয়তো সামান্য কারণেই রেগে যায়, আবার কেউ একটু অন্যরকম। রাগ আমাদের সবারই হয়। তফাতটা তখনই দেখা যায় যখন আমাদের মধ্যে কেউ কেউ রাগটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এ রাগ যে শুধু আমাদের ক্ষতি করছে তা নয়, আমাদের পরিবার, একান্ত প্রিয়জন, প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব এমনকি কর্মক্ষেত্রেও তার প্রভাব পড়ে। কোনও মানুষ যদি দিনের বেশিরভাগ সময় রেগে থাকেন, বা এমন বিষয়ে অতিরিক্ত রেগে যান যে বিষয়ের কোনও গুরুত্ব নেই তার জীবনে বা সামান্য কারণে অধৈর্য হয়ে গেলে ধরে নিতে হবে, তার রাগটা ক্রনিক ক্রোধে পরিণত হয়েছে। একটা বিষয়ে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে রাগকে সাইলেন্ট কিলার বলা হয়। রাগ হলে আমাদের শরীরে এক ধরনের টনিক নিঃসৃত হয়, যা রক্তের সঙ্গে মিশে আমাদের শরীরের ক্ষতি করে থাকে। ক্রনিক অ্যাঙ্গার থেকে নানা ধরনের অসুখও হতে পারে, যেমন হাই ব্লাড প্রেসার, হাই কলস্টেরল লেভেল, ও কোনও কোনও ক্ষেত্রে স্ট্রোকও হতে পারে। তাই হঠাৎ করে যাদের রেগে যাওয়ার প্রবণতা আছে, তাদের এ বিষয়ে সময় থাকতে চিন্তাভাবনা করা উচিত।
যখন কোনও বিষয়ের বা ব্যক্তির ওপর রাগ হবে, তখন চেষ্টা করুন সেখান থেকে সরে যেতে। যদি ঘরে যেতে না পারেন তাহলে ব্যাক কাউন্টিংও করতে পারেন, এতে রাগ কমে। এছাড়া প্রতিদিন নিয়ম করে ধর্মীয় প্রার্থনা ও মেডিটেশন করুন। চেষ্টা করুন এভাবেই এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে। ক্ষণিকের রাগ অনেক উটকো ঝামেলা নিয়ে আসে। তাই প্রথম থেকেই রাগের কারণগুলো জন্মানোর আগে তাকে ঝেড়ে ফেলতে শিখতে হবে। যেমন কারও ওপর রাগ হচ্ছে, তাকে মুহূর্তে এড়িয়ে চলুন। আবার গায়ে পড়ে খোঁচাখুঁচি করলে হয় উদাসী কথা বলবেন অথবা হাস্যকর ব্যাপার করে বিষয়টাকে হাওয়ায় উড়িয়ে দিন। সিনিয়র হলে একদম হাসিয়ে ছেড়ে দিন। আর ঘটনার চাপকে কখনও মাথায় স্থান দেওয়া যাবে না। এ বিষয়গুলো মেনে চললে দেখবেন, রাগ থাকবে আপনার বশে আর ‘রাগের বশবর্তী হয়ে’ দুর্ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা নেমে যাবে শূন্যে।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
শামস্ বিশ্বাস বলেছেন: ছবিটা নেট থেকে পাওয়া
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১২
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি, হচ্ছে না।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
শামস্ বিশ্বাস বলেছেন: রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ব্যর্থ হলে আবার রেগে যেয়েন না
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
স্বাধীনচেতা মানবী বলেছেন: আমার রাগ সমস্যা প্রকট এবং এটা দিন দিন বেড়েই চলছে । নিয়ন্ত্রন করতে চাইলেও পারিনা বরং হিতে বিপরীত হচ্ছে ।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
শামস্ বিশ্বাস বলেছেন: চেষ্টা করতে থাকুন অবশ্যই সফল হবেন
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
দুরন্ত সাহসী বলেছেন: রাগ নিয়ন্ত্রণ করা একদম সহজ।
যখন রাগ হবার মুহুর্ত আসে ঠিক তখনি যেভাবেই হোক মুখ দিয়ে বের করুন আমি রাগবোনা।পারলে একটা মুসকি হাসি দিন,দেখবেন আপনার রাগ নেই,মাথায় বাড়ি দিলেও নেই।
আমার কিছু রাগ না হবার ঘটনা বলি-
একদিন গাড়িতে বসা,মৌচাক মোড়ে পিছন দিয়ে একটা বাস মেরে দিলো,আমি গাড়ি থেকে বের হবার সময় মনে মনে এটা বলছি যে যত ক্ষতি হোক আমি রেগে যাবোনা,হলো তাই,বের হয়ে বাসের ড্রাইভারকে প্রশ্ন করলাম-কিরে ব্রেক কোথায়,বলে হুট করে ব্রেক কাজ করলোনা,এই বলে দুই হাত জোর করে বসে আছে করুন চেহারায়।আমি মুসকি হাসি দিয়ে বললাম,আচ্ছা যাও।
টেবিলে ল্যপটপ চার্জ অবস্থায় কাজ করছিলাম,তারের সাথে পিওনের পা লেগে ল্যপটপ নিছে,যা হবার হলো,পিওন কাননা করে দেবার অবস্থা,মনে মনে বললাম আমি শান্ত থাকবো।পেরেছি।
মোবাইলের একটা ইনকামিং টোনে আছে,এক জন লোক রিং দিচ্ছে বার বার,আমি রিসিভ করতেই বিরক্ত সুরে বললো ভাই ফোনটা রিসিভ করবেননা,গানটা ভালো লাগছে খুব,বললাম আমার সমস্যা হয় এইভাবে কল দিলে,আপনি কতবার শুনতে চান,বলে দুইবার, বললাম আচ্ছা আমি দুইবার রিসিভ করবোনা এরপর আর এমন করবেননা,সে দুইবারের জায়গায় চার বার কল দিলো,পঞ্চম বার আমি নিজে কল করলাম,মনে মনে বললাম আমি রাগ করবোনা ,পেরেছিও,তাকে বললাম আমি এই লোক, এই কাজের মানুষ,আমাকে সারাদিন প্রচুর কল রিসিভ করতে হয়,তার উপর আপনার এই ধরণের কল বুঝতে পারছেন আমার কত সমস্যা হয়।সে সরি বলে রেখে দিলো আর কখনো কল দেয়নি।
ভাস্তিকে কে নিয়ে হেটে যাচ্ছি আমার বাসার সামনে দিয়েই,একজন ছেলে এসে বললো ভাইয়া রাগ করবেননা একটা কথা বলি এই মোবাইল নাম্বারটা ওনাকে দিবেন যদি আপনার মর্জি হয়,আর ওনার মর্জি হলে আমাকে কল দিবে,আমি দাতের উপর দাঁত চেপে মনে মনে বললাম রাগ করবোনা,নাম্বারটা নিয়ে আমার ভাস্তিকে দিলাম,ভাস্তি না্ম্বার নিয়ে ঐ ছেলের উদ্দেশ্যে বললো -হাই ,আমি নাম্বার রাখলাম, সুযোগ হলে কল দেব,বাই।
ভাস্তি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝলো আমি আগুন হয়ে আছি,আমাকে বললো চাচ্চু কুল।যদিও ছেলেটিকে একটা চটকনা দিলে আধা ঘন্টায় নিজেকে আবিষ্কার করতে পারবেনা তবুও তার সৎ সাহস কে সন্মান করলাম।
এইভাবে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখি,আমি সফল হই,আপনারাও চেষ্টা করে দেখেন পারবেনা আশা রাখি।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
শামস্ বিশ্বাস বলেছেন: আসলেই আপনি KOOL
৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬
এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: লিখাতে ++ ।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
শামস্ বিশ্বাস বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৯
স্বাধীনচেতা মানবী বলেছেন: দুরন্ত সাহসী ভাই এর কথাগুলো আসলেই কাজে লাগবে মনে হচ্ছে ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
শামস্ বিশ্বাস বলেছেন: আমি আপনার সাথে সম্পুর্ণ একমত
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৯
অথৈ সাগর বলেছেন: পোস্ট ভাল লাগল । তবে ছবিটা কার ?
এঙ্গার ম্যানেজমেন্ট ? রাগ কমানোর বিভিন্ন উপায় ?