নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কথা বলিতে অঙ্গ মোর দায়......

আমি ভালবাসতে পারি পৃথিবীর যেকোনো নারীকে। আমি ঘৃণাও করতে পারি পৃথিবীর যেকোনো নারীকে। আর সেই ভালোবাসা আর ঘৃণার মিশ্রণ ঘটিয়ে সেইখানে একটা নিষ্পাপ কবিতার জন্ম দিতে পারি!! তাইতো আমি কবি!!

শাওন সারথি০০৭

যে কথা বলিব না তবু কেন????

শাওন সারথি০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা এ কোন সমাজে বসবাস করছি??

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

মানুষের মধ্যে যখন মনুষ্যত্ব বিলুপ্ত হয়, তখন আর তাকে আর যাই হোক মানুষ বলা যায় না। পশুগুলি বোবা বলে নাহয়ত তারাও প্রতিবাদ করত অন্তত কিছু অমানুষের সাথে তাদের তুলনা করায়। আমাদের সমাজ ব্যাবস্থার এতোটাই অধঃপতন, এতোটাই নিম্নগামী যে আমরা এখন আর সত্য কে সত্য বলে চিনি না। আমাদের কাছে অন্যায়কেই এখন ন্যায় মনে হয়। মানুষ অসত্য বলবে, অপকর্ম করবে যেন এইটাই এখন বাস্তবতা। এখন কেউ সত্য বললে বা কোনও সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলে সেইটা প্রত্রিকায় আসে। এখন সাদা মনের মানুষ খোঁজার প্রতিযোগিতা হয়। অথচ এইটাই কি ঠিক উল্টা হওয়া উচিত ছিল না।

কিছু দিন আগে এক পতিতালয় উচ্ছেদ করায় আমাদের কতিপয় সুশীল সমাজের সে কি কান্না। তারা নাকি পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করে। তারাও নাকি আমাদের অর্থনীতির একটা অংশ!!!! তাদের এই কর্ম কে যদি কাজ বলি তাহলে একজন চোর, ডাকাত কিংবা ঘুষখোর এর কাজ কেও কাজ বলতে হবে।

আমাদের চিন্তা চেতনা কিংবা বিশ্বাসের এতটাই পচন ধরছে যে আমরা এখন সাদা কালোর পার্থক্য করতে জানি না। না হলে প্রভাদের মত অভিনেতারা এখনও টেলিভিশন খুললে দেখতে পাই। এখনও তারা আমাদের আদর্শ। আমাদের মা-বাবারা সানি লিওনের জামা উপহার হিসেবে দেয়। যেই জামা পরে আমরা ইদুল ফিতর উদযাপন করি।

ঐশীর মত একটা মেয়ে যে তার নিজের বাবা-মাকে মেরে ফেলে তার জন্য আবার মানবাধিকারের প্রশ্ন উঠে!!! একবার শুনছিলাম পুরুষেরা মৃত্যুর স্বাদ পায় একবার আর মহিলারা পায় দুইবার। একবার পায় তার সন্তান জন্ম দানের সময়। যেই মা এত কষ্ট করে ঐশীর জন্ম দিল সেই মাকে যখন কুপিয়ে মারল তখন আবার কিসের মানবাধিকার???

অভিনেতা এ,টি,এম সামসুজ্জামান এর এক ছেলে আরেক ছেলেকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে।কিংবা বেশ কিছু বছর আগে এক মা তার সন্তানকে জানালা দিয়ে রাস্তায় ফেলে মেরে ফেলেছে তার পরকীয়ায় একমাত্র সাক্ষী বলে!৫ বছরের একটা মেয়ে ধর্ষিত হয় ২৬ বছরের এক কুলাঙ্গারের কাছে।এই ভাবে বলতে থাকলে চলতেই থাকবে।

সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে বিষ। সমাজ কাঠামোর পুরোটাই ভেঙ্গে টুকরো টুকরো। এতটাই বিশ্বাস হীনতায় আমাদের বসবাস যে আমরা এখন মা-বাবা সন্তান কিংবা স্বামী-স্ত্রী কাউকেই বিশ্বাস করিনা। এই ঐশী একজন পরিপূর্ণ সদ্যোজাত বেশেই কিন্তু জন্ম নিয়েছিল। কিন্তু আমাদের এই গলিত আর অর্ধ-মৃত সমাজই তাকে এতটা হিংস্র বানায়।

এর জন্য দায়ী কে??? হয় আমার মা-বাবা নিজেও বুঝেনা তাই আমাদেরকেও বুঝাইতে পারে না অথবা আমরাই বুঝতে চাইনা তাই আমরাও বুঝতে পারিনা। হয় আমাদের সমাজের আমাদের কাছে কোনও চাওয়া-পাওয়া নাই তাই আমরাও নিজেদেরকে স্বাধীন ভেবে সমাজ সংসারকে উপেক্ষা করি বারবার।



............শাওন সারথি২.৯৬৫'............

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.