![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের ভাল লাগা থেকে লিখতে পছন্দ করি। আপনার ভাল লাগবে_এই উদেশ্যে লিখি না।
আমার স্টুডেন্ট লাইফ থেকে ছোট্ট একটা উদাহরণ দিচ্ছি।
খুব আফসোস আর নিজের প্রতি ব্যর্থতার চোখে থাকাই । খুব অসহায় মনে করি। ইউনিভার্সিটির কোন অনুষ্ঠানে স্পন্সরশীপ আসাটা স্বাভাবিক ব্যাপার। শুধুই স্বাভাবিক ব্যাপার না অতি নগন্য একটা ব্যপার। যা অহরহ হচ্ছে। কিন্তু এই অতি নগন্য কাজটি সব ইউনিভার্সিটির জন্যে যায় না। আর যাবেই বা কি করে? যদি স্পন্সরশীপ পাওয়ার জন্যে ভাল পারফর্ম না করতে পারি? এখন প্রশ্ন হল, পারফর্ম করতে না পারার জন্যে দায়ি কারা? এর উত্তর আপনারা পেয়ে যাবেন আশাকরি।
যদি বলি এই স্পন্সরশীপ আনার জন্যে প্রতিটা ভার্সিটির বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন এর স্টুডেন্ট সবচেয়ে বেশি দায়ি। হ্যাঁ, তাদের দায়ী হবার কথাই বেশি। অনেক কারনেই ব্যর্থ হয় তারা।
*প্রথমত, ভাল রেজাল্ট করার জন্যে আমরা এতো পরিমানে পড়ি, যে ওয়াসরুমে যাবার দরকার হলেও যতে চাই না। কিন্তু আসলেই কি আজকের কম্পেটেটিভ মার্কেটে ভাল রেজাল্ট করাই কি সব?
উত্তর এই কম্পেটেটিভ মার্কেট এ রেজাল্ট এর সাথে কারিকুলাম কার্যক্রম ব্যতীত সফল হওয়া অনেকটা গগনচুম্বীর মতই। হ্যাঁ, মানছি মাইনরিটি ভাগ পাচ্ছে। কিন্তু বাকি স্টুডেন্ট গুলো? আর মাইনরিটি ভাগ জব লাইফে কেমন উন্নতি করছে?
*দ্বিতৃয়ত, যাদের ইচ্ছা আছে, তারা কি পর্যাপ্ত পরিমানে সাপোর্ট পাচ্ছে??? পর্যাপ্ত পরিমানের সাপোর্ট এর ছোট একটা উদাহরণ দিচ্ছি।
চট্টগ্রামে সর্ববৃহৎ বিজনেস কম্পিটিশন এ দেখলাম, প্রাইভেট ভার্সিটির এক শিক্ষক তাদের স্টুডেন্টদেরকে নানান ভাবে উৎসাহ দিচ্ছেন, এমনকি আমরা যারা যারা অংশগ্রহণ করেছিলাম, তার মধ্যে ওদের পারফরমেন্সই বেশি খারাপ ছিল। কিন্তু তবুও স্যার একটু পরিমানেও বিরক্ত হন নি। বরং ওই সময়টিতেও স্যার একাই করতালির মাধ্যমে তাদের সংবর্ধনা জানিয়ে যাচ্ছিলেন।
হ্যাঁ, আশাকরি ধরতে পেরেছেন। আমি কি রকম সাপোর্টের কথা বলছি। সামান্যতম এই সাপোর্টটুকু যে কান স্টুডেন্ট কে ভাল অবস্থানে নেবার জন্যে যথেষ্ট।
কি করে ভাল অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে তার একটা ছোট উদাহরণ দিচ্ছি, মনে করুন IBA Brandwitz কিংবা Unilever অথবা অন্য কোন নাম করা কম্পেটিশন এ আপনার টিম ধারাবাহিক ভাবে ফাইনালিস্ট, রানার্স আপ, কিংবা চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসছে। এই অবস্থায় অটমেটিক্যালি কর্পোরেট দের নজরে পরতে আপনি বাধ্য। তখন এইসব কর্পোরেট বিজনেজ টিম গুলো দেখবে, আসলেই এই university স্টুডেন্টস দের মধ্যে কিছু একটা আছে। ওদের এই বিশ্বাস টি স্পন্সরশীপ আনতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে।
শুধু স্পন্সরশীপ আনার জন্যেই নয়। জব লাইফে যাবার আগেই অনেক কর্পোরেট ব্যক্তিদের সাথে কমিউনিকেশন পাওয়ার হবে খুব শক্তিশালী। যা অবশ্যই অবশ্যই আপনার জন্যে + ভার্সিটির জন্যে পজেটিভ পয়েন্টে।
কিন্তু এই সব কম্পেটিশনে ফাইনালিস্ট, রানার্স আপ, চ্যাম্পিয়ন হবার জন্যে সাপোর্ট দরকার, দরকার উৎসাহ। এই সাপোর্ট, উৎসাহকে কাজে লাগিয়ে যে কোন স্টুডেন্ট তার যোগ্যতা প্রমান করতে পারবে। দেখাতে পারবে, সে পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে কি জন্যে টিকে আছে।
দিন শেষে সাপোর্ট লাগবেই। সেটা বড় সাপোর্ট হোক, কিংবা ছোট সাপোর্ট। হয়তো অনেকেই সাপোর্ট দেবার চেষ্টা করেন। কিন্তু এই সাপোর্ট যথেষ্ট নয়। সত্যি যথেষ্ট নয়।
না পাওয়ার কষ্ট বুঝতে পারবেন, যখন স্পন্সরশীপ এর জন্যে ভাল ভাবে কম্পেটিশন আয়োজন কিংবা কোন ইন্টারন্যাশনাল কম্পেটিশনে এ যেতে পারবেন না। ডানা ভাঙ্গা স্বপ্ন নিয়ে এগুনো যায়, কিন্তু তাতে অনেক কষ্ট। এভাবেই দেখে যাচ্ছি।
এবার আপনারাই ধরে নেন, কে দায়ী।
দুটো উদেশ্য নিয়ে লিখছি
প্রথমত, যেখানেই আছেন না কেন, যেই অবস্থায় থাকছেন না কেন, যদি লেখাটা পড়ে থাকেন, তবে আপনার কাছে থাকা রিসোর্সের সর্বচ্চ ব্যবহারের চেষ্টা করুন।
দ্বিতৃয়ত, যাদের কাছে কারিশমাটিক শক্তি থাকে যার মাধ্যমে অন্যদের পরিবর্তিত করা সম্ভব, দয়া করে আপনারা আপনাদের রোল একটু হলে পালন করবেন।
ধন্যবাদ।