নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হলাম ইচ্ছে ঘুড়ি। মা ডাকেন, যাদুর কাঠি। বাবা ডাকেন, মণি বুড়ি।

ফারহানা শারমিন

আমি হলাম ইচ্ছে ঘুড়ি মা ডাকেন যাদুর কাঠি বাবা ডাকেন মণি বুড়ি

ফারহানা শারমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমায় কি করে ভুলি? রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি?

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

বছর ঘুরে আবার এল ফেব্রুয়ারি মাস।ভাষার মাস,শহীদদের স্মরণের মাস।সারা বছর অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা শহীদ মিনারগুলিকে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে চলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ।
পুরো ফেব্রুয়ারি মাস ঘিরেই অবশ্য নানা উৎসব আয়োজন চলতে থাকে। ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়।একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম প্রহরে সবাই খালি পায়ে দলে দলে ফুল দিতে যায়।
কবিতা আবৃত্তি হয়।"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি,আমি কি ভুলিতে পারি"
এই মধুর গানটি ছাড়াও ভাষাকে ঘিরে আরও অনেক গানই শোনার সৌভাগ্য হয় পুরো মাসব্যাপী।কত আলোচনা অনুষ্ঠান হয়,কত সমালোচনা হয়, কত প্রতিজ্ঞা হয়!এখন থেকে এমন করা হবে তেমন করা হবে।তারপর ফেব্রুয়ারি শেষ হলেই সব যেন কোথায় মিলিয়ে যায়।
আমার বাসা চিটাগাং এর এক বিখ্যাত পর্যটন স্থানের কাছে।ছুটির দিনে বা বিশেষ দিনগুলিতে এখানে তিল ঠাইয়ের ও জায়গা হয় না। ঔদিকে আমার তিন বছরের ছেলে ঘুম থেকে উঠেই বায়না ধরে তাকে নিয়ে হাঁটতে বের হতে হবে।আজও ছেলেকে নিয়ে বের হতেই দেখলাম দলে দলে মানুষ আসছে।ছুটির দিন তাই অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বের হয়েছেন একটু ঘুরাঘুরি করবেন। অনেক ভিনদেশিকে ও দেখলাম। তরুণ-তরুণীদের দেখলাম সাদা-কালো জামা কাপড় পড়ে ঘুরে বেড়াতে। সবকিছু দেখে যা মনে হল একুশে ফেব্রুয়ারি কি এবং কেন, তা এই তরুণ প্রজন্মের অনেকেই জানে না।
মানুষের কাছে যেসব বিষয় তার প্রাণের চেয়েও প্রিয়,নিঃসন্দেহে মাতৃভাষা তার অন্যতম।
এই ভাষা আমাদের গৌরব,আমাদের অহঙ্কার।
তাই প্রতি বছরের মত এই বছরও প্রার্থনা করছি যেন, একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনা ছড়িয়ে যায় সবার মধ্যে।ভাষার উৎসব যেন শুধু একটি দিন,কিংবা মাসব্যাপী না হয়ে, সারাটি বছরই যেন আমাদের মাতৃভাষার চর্চা হয়।
শহীদ মিনারগুলি সারা বছরই যেন এমন সযত্নে,ভালবাসায় সিক্ত থাকে।
সবার জন্যে শুভ কামনা রইল।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

রিএ্যাক্ট বিডি বলেছেন: MOBILE CHOR || NEW BANGLA SHORT FILM 2018[Emotional] |
Link:- http://bit.ly/MobileChor

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ময়না পাখীর মত, শেখানো কথা বলছেন?

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

ফারহানা শারমিন বলেছেন: যা দেখি, অনুভব করি তাই লিখি।শুধু লিখি না নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু একটা করার ও চেষ্টা করি। এরমধ্যে বেচারা ময়না পাখিকে টানলেন কেন বুঝলাম না। শুভ কামনা রইল

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালী বাংলায় পড়তে জানেন না, আমরা শুধু ফুল দিতেছি, ফুল দিতেছি, কাজ হচ্ছে না

৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমরা শুধু সবকিছুকেই খুব করে উদযাপন করতে শিখেছি। রঙ চোঙ মেখে। ৭৫% এর অধিক লোকেরা বাংলা শুদ্ধরুপে উচ্চারণ করতে পারে না। কবিতা বলছে ভুল উচ্চারণে, প্রবন্ধ পাঠ করছে ভুল উচ্চারণে আর লিখে যাচ্ছে ভুল বানান। বাংলা ভাষা শেখার পরিবেশ যেন বেগবান হয় সেদিকে দায়ীত্বশীলদের মাথা ঘামাতে হবে।

যতদিন সব বাঙালি পড়তে ও লিখতে পারবেনা, ততদিন শহীদ মিনারে যাওয়া বন্ধ থাকুক। এমনটি হলে কেমন হয়?

যারা বাংলায় কবিতা লিখেন, বই লেখেন, বাংলার প্রফেসরেরা শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দেয়, মুল দেয়; যারা বাংলা পড়তে পারেন না, তাদের জন্য কিছুই করেন না, ওখানে গিয়ে ওদের ম্যাঁওপ্যাঁও বক্তৃতা শুনে কি হবে জাতির?

লোক দেখানো ফুল না দিয়ে দোয়া ও শহীদ পরিবারের জন্য অবদান রাখলে ভালো হতো। ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার হচ্ছে, বস্তির ছেলে বস্তিতে থেকে যাচ্ছে; অথচ জাতির কাছে সম্পদ আছে, ক্যাশ টাকা আছে! কে যাবে শহীদ মিনারে তাদের বস্তাপঁচা বাণী শুনতে?

শতকরা কজন শহীদ মিনারে সেলফি তুলতে যায় আর কজন ভালোবেসে যায়, সেটাও প্রশ্ন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.