নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হলাম ইচ্ছে ঘুড়ি। মা ডাকেন, যাদুর কাঠি। বাবা ডাকেন, মণি বুড়ি।

ফারহানা শারমিন

আমি হলাম ইচ্ছে ঘুড়ি মা ডাকেন যাদুর কাঠি বাবা ডাকেন মণি বুড়ি

ফারহানা শারমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি খুঁজছেন? কি দেখছেন?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

## পত্রিকায় কি খুঁজছেন?
রাশিফল?রাশিফলে কি খুঁজছেন? হঠাৎ কোন শনির দসা ভর করল কি না? এমন শান্ত শিষ্ট বউটা যে ঘরে ঢুকতেই কেমন ব্যতিব্যস্ত হয়ে যেত, কি বানিয়ে দেবে, কি গুছিয়ে দেবে,সারাদিনের খবরাখবর নিতো, মিষ্টি একখানা হাসি দিয়ে আপনার সারাদিনের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিতো, কি চমৎকার এক কাপ চা বানিয়ে দিতো, তার দিন কে দিন একি অধোপতন! চা তো দূরে থাক একটু মুচকি হসিও দেয় না! সারাদিনের এত এত জমা কথা, শোনার মানুষ নাই। গাল ফুলিয়ে থাকে। নিশ্চয়ই শনি বৃহস্পতির কারসাজি।
সমস্যা গুরুতর। কিন্তু এতে শনি, বৃহস্পতি, রাহু, কেতুর কোন হাত নেই।
হাত আপনার। শুধু হাত না আপাদমস্তক আপনিই দায়ী। কিভাবে?
পত্রিকাখান হাত থেকে নামান। বলছি।
ঐ যে কি যেন বলছিলাম, অফিস থেকে আসলে, এটা সেটা আরও কত কী? তাইতো? তা সোনা চাঁদ আপনি যেন কি করেন,
অফিস থেকে এসে? সারাদিনের কাজের হিসাব নেন, ঘরের কোন কাজে কোন ত্রুটি আছে বের করেন, আত্মীয় স্বজনের সাথে সারা বছর তো দূরে থাক ঈদে চাঁদেও দেখা করতে দেন না।
না চাকরি করতে দেন, না হাত খরচ দেন। আপনার মা কে যে মেয়ে রাত দিন সেবা দিয়ে যাচ্ছে, সে মেয়ে বাপের বাড়িতে দুই দিনের জায়গায় তিন দিন থাকলে আপনি একদম রেগে মেগে অগ্নিশর্মা হয়ে যান। আপনি পরিবারের বড় ছেলে আপনার কাঁধে অনেক দায়িত্ব।খুব ভালো কথা। শপিং এ গেলে ভাগিনা ভাগিনি থেকে শুরু করে সবার জন্যে দেধারছে কেনেন। শুধু বউটার বেলায় আপনার পকেট ফুরিয়ে যায়।
আপনি এইসব ছেঁচরামি গুলি করে যান, কারণ দুইটা। আপনার বাপ দাদারা এইসব ছেঁচরামি করে গেছেন। আপনি একটা ভালো শিক্ষিত পরিবার থেকে আসেন নি যেখানে স্ত্রীকে তার মর্যাদা দেয়া হয়। আপনার অবচেতন মনে আপনার বাপ দাদারা একটা ভুল তথ্য রেখে গেছেন, যে এমন ছেঁচরামি করলে বউ কন্ট্রোলে থাকে। আরও বেশি বেশি সেবা দেয়।
কিন্তু দেখেন হচ্ছে তার বিপরীত।
মেয়েটার কোথাও কোন দূর্বলতা আছে।তা না হলে আপনার মতো বদহজমের বড়ি কে হজম করতে যায় কোন দুঃখে?
দূর্বলতা হোক আর যে করণেই হোক এখন এই যে অফিস থেকে এসে হাল্কা হাল্কা ডোজ পড়ছে। পরে যখন বউ তার নিজের দূর্বলতা বা যে কোন কারণে আপনার এইসব ছেঁচরামি সহ্য করছে তা যদি কাটিয়ে উঠতে পারে। একবার যদি স্বাবলম্বি হয়( দোয়া করি যাতে হয়) তখন কিন্তু কড়া ডোজ চলবে। অতএব, সময় থাকতে সাধু সাবধান।

## কি দেখছেন? শিউলি ফুলটা ফুটতে আর কয়দিন? ফুটলে কি করবেন? বসে বসে ঘ্রাণ নিবেন? নাকি ফুল তুলে পাশের বাড়ির ভাবিকে, ঐ যে দুই ঘর পরে যে থাকে, মোতালেব চাচাকে আরও নাম না জানা অমানুষদের দিবেন উপহার হিসেবে? যাদের কথার ভয়ে মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন নি। দিনের পর দিন আপনার মেয়ে আপনাকে ফোন করে কেঁদেছে। বাবা আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাও। ও অনেক মারে বলে কত হাজার বার কেঁদেছে। আপনি নির্বিকার থেকেছেন। মেয়েকে ীটমানিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। ভয় পেতেন, মেয়ে ফেরত আসলে এলাকায় মুখ দেখাতে পারবেন না। অমুকে কি বলবে তমুকে কি বলবে ভেবে ভেবে মেয়েটাকে ঐ পাশানের হাত থেকে বাঁচান নি।
যাক বাবা মেয়েটা শেষমেশ মরলো। নিজেও বাঁচলো। আপনাকেও বাঁচিয়ে দিয়ে গেলো।আপনার তো খুশি হওয়ার কথা। খুশি না হয়ে এখন কাঁদছেন?কবরে শিউলি গাছ লাগিয়েছেন। কার জন্যে? মেয়ে শিউলি ফুল ভালোবাসতো বলে? মেয়ে তো জীবনটাকেও ভালোবাসতো। সুন্দর করে বাঁচতে চাইতো। কই তাকে তো তার জীবনটা উপহার দিলেন না?
অথচ আপনি চাইলেই মেয়েটার পাশে দাঁড়াতে পারতেন। বুক ফুলিয়ে বলতে পারতেন আর কেউ থাক না থাক, যে যা বলার বলুক আমি তোর পাশে আছি। এমন অমানুষের সাথে থাকার তোর কোন দরকার নেই। তাকে জানোয়ারটার হাত থেকে বাঁচিয়ে এনে একটা নতুন জীবন উপহার দিতে পারতেন। তা যখন করেন নি এমন ন্যাকা কান্নার এখন আর কি মানে? এখন বরং বাসায় গিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমান।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: জীবন নানা যায়গায় নানা রকম। বৈচিত্রময়তার কারণেই আপনি আজ একজন ব্লগার। লিখছেন সুন্দর। ওরা জেগে ওঠুক। সবাই শান্তিতে থাকুক।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৫

ফারহানা শারমিন বলেছেন: সত্যি মন থেকে চাই ওরা জেগে উঠুক।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩৭

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: এটা মুদ্রার এক পিঠ। অন্য পিঠও কিন্তু আছে। যেটা আপনি লেখেননি। আমি ভাবছিলাম লেখার দ্বিতীয়াংশে আপনি পুরুষতান্ত্রিক আচরণের ভারসাম্য হিসেবে, নারীদের স্বেচ্ছাচারীতা নিয়েও কিছু লিখবেন। কিন্তু আপনার দৃষ্টিভংগীও বড্ড একপেশে।
দেশে নারী নির্যাতনের মাত্রা আশঙ্কাজনক, কিন্তু পুরুষ নির্যাতনও কম নয় কিন্তু। পুরুষের কান্না, বুকের হাহাকার কেউ দেখে না।

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫০

ফারহানা শারমিন বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। লোকে বলে পুরুষ মানুষ কাঁদবে কেন? হুংকার দেবে। আমিও একই কথা বলি। তবে পুরুষ শব্দ টা বাদ দিয়ে বলি। মানুষ মাত্রই এই ফর্মুলা প্রযোজ্য।বাবার কাছে একই কথা শোনে শোনে বড় হয়েছি, বড় মাছ ছোট মাছকে গিলে খাবে। দূর্বল পেলেই সবল অত্যাচার করবে। "Survival of the fittest". মর্মার্থ মা মারা যাওয়ার পর বুঝেছি। এই গেলো একটা।
লেখাটা লিখেছি চোখের সামনে কিছু ঘটনা প্রায়শই ঘটতে থাকে। কিছু তো বলতে পারিনা। অন্তত লিখে হলেও প্রতিবাদ জানালাম।
এমন অনেক কুলাঙ্গার আছে বউ বাচ্চার পিছে লাখ টাকা নষ্ট করে ফেলে কিন্তু মা বাবা ভাই বোনের হকটা আদায় করে না। আবার এমন অনেক ছোটলোক আছে মা বাপ ভাই বোনের পিছে লাখ টাকা নষ্ট করতে পারে, বউ এর বেলায় একটা একশো টাকার নোট দিলেও হাজার বার হিসেব করে। বউ এর খরচা শ্বশুরের উপর চাপিয়ে দেয়।
অনেক মা বাবারা আছে মেয়ের অনেক আকুতি মিনতির পরও মেয়েকে ফিরিয়ে নেন না। মানিয়ে চলার পরামর্শ দেন।
পাছে লোকে কিছু বলে এই ভয়ে। পরে যখন মেয়ের লাশটা বাড়িতে আসে আহ্! সে কি কান্না!
আরেকটা বললেন আমার দৃষ্টি ভঙ্গি একপেশে। দূঃ খিত। মানতে পারলাম না। একা নারীর সচ্ছ চারীতা বা পুরুষের সেচ্ছাচারীতার কথা লিখতে গেলে এক পোস্টে এত কিছু লেখা সম্ভব না। আর আমি এক পোস্টে সব লিখতে যাবো কেন মশাই?
আমার৷ পোস্টের সংখ্যার এমনিতেই যে দুরবস্থা!

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৮

বিটপি বলেছেন: একটা মেয়ে কতটা অসহায় হতে পারে, তা আপনার লেখায় ফুটে উঠল। আমার মেয়েকে নিয়ে আমি খুব চিন্তায় থাকি। বিয়ে তো দিতে হবে। কিন্তু কোন একদিন যদি ফোন দেয়, "বাবা ওর সাথে একদিনও নয়, আমাকে এসে নিয়ে যাও"! তাহলে কি করব? নিয়ে আসব?

আমার এক কাজিনের সংসার এভাবে প্রায় ভেঙ্গে যেতে বসেছিল। আমার বাবা প্রথমে আপুকে অনেক ধমকা ধামকি করল, তারপর ওকে নিয়ে তার বরের বাসায় গিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে এল। এখন তাদের মত সুখী সংসার আর কোথাও দেখিনা। তারা একজন আরেকজনের দিকে যেভাবে তাকায়, দেখলে হিংসা লাগে, আমার বউ কেন আমার দিকে এভাবে তাকায় না!

৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

ফারহানা শারমিন বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। মেয়ে ছেলে বলে কথা না। যাদের ভুল একটা ধারণায় বড় করা হয় যে ভালো মানুষ মানে মেনে নেয়া, প্রতিবাদ না করা, অথবা স্বাবলম্বী না হলে তখন মানুষ অসহায় হয়ে যায়।
ভাবিকে জিজ্ঞেস করেন কেন তিনি আপনার দিকে ওভাবে তাকান না। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন।

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৭

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: পুরুষতান্ত্রিক বা নারীতান্ত্রিক - না চাই মানুষ হিসাবে বাঁচতে।
একে অপর কে সম্মান করতে না পারলে- সেই সম্পর্কের কোনো মাধুর্য থাকে না।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ফারহানা শারমিন বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.