নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হলাম ইচ্ছে ঘুড়ি। মা ডাকেন, যাদুর কাঠি। বাবা ডাকেন, মণি বুড়ি।

ফারহানা শারমিন

আমি হলাম ইচ্ছে ঘুড়ি মা ডাকেন যাদুর কাঠি বাবা ডাকেন মণি বুড়ি

ফারহানা শারমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারণ আমি তুমি এবং আমরা শব্দ খাই

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫৯

কদিন আগে গ্রামের একজন জিজ্ঞেস করলো, আপনি এমন কেন?
কেমন?
এই সারাদিন বই না হলে লেখা লেখি না হলে স্কুল। এর বাইরে কিছু ভাবতে পারেন না?
ভাবি তো বাচ্চাদের কথা ভাবি, সবার কথাইতো ভাবি।
না তারপরেও। মানে আপনার মধ্যে মায়েইল্লা জিনিস কম।
কথোপকথনটা পুরাটা দিতে গেলে বেদরকারি কথায় পোস্ট ভরে যাবে। কাজের কথায় আসা যাবে না।
একইধরনের কথা প্রায়ই শুনি যার উত্তর একটাই।
আপনি এত বই পড়েন কেন?
তুমি এত খাও কেন?
কোথায় এত খেতে দেখলেন?
আমাকেই বা কখন এত পড়তে দেখলে?
না যা ই পড়েন। তা-ই বা কেন?
তুমি যা ই খা-ও তা-ই বা কেন?
ওমা না খেলে বাঁচবো? তাই খাই।
আমিও না খেলে বাঁচবো না। তাই খাই।
বুঝিনি!?
ঐ যে খাবার যেমন খাই, তারপর মুরব্বিরা কি বলে? ইক্কিনি রোদে ব। রোদ খাই আ। রোদে বসো না রোদ খাওয়ার জন্যে? তেমনি শব্দও আমরা খাই। আমি, তুমি, আমরা সবাই শব্দ খাই। কেউ বুঝে খায় কেউ না বুঝে খায়। মাঝে মাঝে কারো কথা ভালো না লাগলে কোনমতে গিলি। পরে সেই কথাগুলি বদহজম হয়ে আমাদের শরীরের যেমন ক্ষতি করে। মনেরও তেমন ক্ষতি করে। তারপর আমরাই আবার অন্যের বদহজমের কারণ হই।
তাই ভালো ভাবে বাঁচতে নিজের আশেপাশের মানুষদের ভালো রাখতে আমাদের মনটাকে ভালো রাখতে হয়। মন ভালো রাখতে সুস্থ বিনোদনের বিকল্প নেই। তাই বই পড়া, লেখালেখি, ব্লগিং, স্কুল সবই আমার কাছে মনের খাবার।
অমুকের হাতের রান্না! কি অমৃত!! এখনো মুখে লেগে আছে! মতন অনেকের মিষ্টি ব্যবহার মনে আজীবন সুখ স্মৃতি হিসেবে রয়ে যায়।
আবার অনেকের মুখের থেকে নির্গত দুর্গন্ধযুক্ত, বিষাক্ত শব্দ মনের কোন না কোন স্থানে দাগ কেটে স্থায়ীভাবে থেকে যায়। কারো বলা একটা কথায় কারো জীবন আদ্যোপান্ত পাল্টে যায়।
তোমাকে দিয়েই হবে। তুমিই পারবে।
অথবা তোমারে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।
একটা মানুষের জীবন ভাঙা বা গড়ার জন্যে যথেষ্ট।
আমার হাতে সময় কম। তাই গ্যাসলাইটিং নিয়ে আপাতত লিখছি না। আপনার হাতে সময় থাকলে এই বিষয় নিয়ে পড়তে পারেন।
নিজে কারো গ্যাসলাইটিং এর শিকার বা অন্যকে শিকার বানিয়েছেন কি না ভেবে দেখবেন।
আমি ছোটবেলা থেকে নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক বিভিন্ন কথা শুনতে শুনতেই বড় হয়েছি। এমনকি আয়নায় নিজেকে দেখে ভাবতাম ছিঃ আমি এতো বিদঘুটে!
অথবা আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না।
২০১১/ বা ১২ তে সাবনিমিনাল ম্যাস্যাজ সম্পর্কে জানতে পারি।
এবং নিজের সম্পর্কে ভালো ভালো কথা লিখে দরজায় লাগিয়ে দিতাম। যাতে ঘুম থেকে উঠেই বা ঘুমোতে যাওয়ার আগে যাতে বাক্যগুলি আমার চোখে পড়ে, এবং আমার মনে এর ভালো প্রভাব পরে। আলহামদুলিল্লাহ! তাই হয়েছে।
এবং আমি আজকে ছোটখাটো যা-ই হয়েছি। তার পেছনে অনেক বড় অবদান হচ্ছে, জানেন ভাবি?/আপা? ইত্যাদি,
আচ্ছা আপা?/ ভাবি ইত্যাদি আপনি নাকি? আপনার নাকি? ঘটনাকি সত্যি? অমুকের খবর জানেন? অমুকে আপনার নামে কি বলে জানেন?
এদের থেকে দশ হাত দূরে থাকা। যারা মার্জিত ব্যবহার করতে জানে না। শব্দ ব্যবহারে অজ্ঞ, একইসাথে বিষাক্ত শব্দ উদগীরণে সিদ্ধ হস্ত। তাদের থেকে নিজেকে দশ হাত দূরে রাখা। আপনিও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আট হাত না বারো হাত গ্যাপ রাখবেন সেটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।
ভালো থাকবেন, আশেপাশের মানুষদেরও ভালো রাখার চেষ্টা করবেন। মন ভালো রাখতে ভালো ভালো বই পড়বেন। । (বানান ভুল থাকতে পারে। চোখে অনেক ঝাপসা দেখি)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.