নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হলাম ইচ্ছে ঘুড়ি মা ডাকেন যাদুর কাঠি বাবা ডাকেন মণি বুড়ি
কি বিচ্ছিরি রকম কোলাহল
আজ আমার বাড়ির আঙিনা জুড়ে।
বন্ধু, সহকর্মী, সহধর্মিণী,
সকলেই আছেন সেখানে ।
আমার সেই ন্যাংটা কালের বন্ধু
ফরিদ ও আছে এখানে।
আমার ঘুড়ি, নাটাই নাকি
রেখে দিয়েছিলো স্বযতনে।
আজ ছত্রিশ বছর পর
তার সেকথা পরেছে মনে।
তাই নিয়ে সে ছুটে এসেছে।
বলছে আমার কানে,
তার একটাই আবদার
ছোট্টবেলার দুই বন্ধু যেনো
আকাশে উড়াই ঘুড়ি আবার।
আমার আঠাশ বছর বয়সি
ছেলে মুখ গোমড়া করে
বাঁশের খুঁটি ধরে দাঁড়িয়ে।
তার মনের ভেতরে কি চলছে
তা বুঝার সাধ্যি আমার কোনকালেই ছিলো না।
আজও নেই।
হ্যাঁ। আমি বরাবরই একজন ব্যার্থ
বাবা, একজন ব্যর্থ স্বামী।
চিরকালই একজন ভবঘুরে, বৈরাগী।
তাই আমার পরিবারের সকলের যত অভিযোগ আমি মাথা পেতে নিই।
কিন্তু?
আমার সহকর্মী,
আমার বন্ধু সকল?
যাদের সাথে আমার এতো
বছরের আড্ডা, কোলাহল?
এই তো সেদিনের সেই ছেলে।
বলেছিলো, কি যে হতো ভাই
আপনি না থাকলে!
শুনেছি আজ কুড়িটা বছর সে ইন্ডাস্ট্রি দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে।
আচ্ছা? তার কি একবারও
মনে পরেছে আমাকে?
ইস! কি বিচ্ছিরি কোলাহল
আমার বাড়ির আঙিনা জুড়ে।
সবার মুখে সেই একই কথা
কেন চলে গেলি?
আমাদের অন্ধকারে ফেলে?
আহ্! কি আদিখ্যেতা!
কি আহ্লাদ!
দেখে মনে হয়,
হাজারটা বছর কাটিয়ে দিই
এদের সাথে।
আমার কবিতা নিয়ে নাকি
কবিতার আসর বসবে,
আমার পান্ডুলিপি নিয়ে নাটক হবে।
অথচ এই কয়েকটা বছর যে
আমি একলা বিরহে, অনাহারে
কাটিয়েছি।
তার খবর কতজন রেখেছে?
আমি কত করে চাইতাম, কেউ আমার কবিতার দুটি লাইন শুনুক।
আমার পান্ডুলিপিটা নিয়ে একটু নড়াচড়া করুক।
নাটক না হয়, না ই বানালো
এই বুড়োটাকে শেষ সময়ে
দুটি মূহুর্ত ভিক দিয়ে গেলো।
আগের মতো চায়ের কাপে
ঝড় না উঠুক।
নিরবেই না হয়
কেউ একজন আমার পাশে
খানিকটা সময় থাকুক।
সেই সকল চাওয়া পাওয়ার
অবসান হয়েছে গতকাল।
ঘড়িতে তখন কটা বাজে জানি
না।
হবে হয়তো অনেক রাত।
হঠাৎ! মনে হলো গলাটা
শুকিয়ে কাঠ!
মনে হলো কেউ একজন যদি
আদর করে একটু
পানি খাইয়ে দিতো।
মাথার চামড়াটা জ্বলে পুড়ে
ছাই।
মনে হলো কেউ যদি বলতো
আমি একটু হাত বুলাই?
পেটে কী ভিষণ রকম ক্ষুধা!
কেউ যদি স্বযত্নে খাইয়ে দিতো
গরম ভাত, আর গোস্তো, সাথে কাঁচা মরিচের ভর্তা!
অথচ! তেমন কিছুই হলো না জানেন?
কেউ একজন ঠিকই ঢুকেছে
আমার ঘরে।
খুবই চুপিসারে।
আমার সকল অভিযোগ, অভিমান, গ্লানি
সব এক নিমিষেই গেছে চলে।
আহ! কি শান্তির ঘুম
আমার চোখে!
না জানি কত বছর পরে!
সবকিছুই কত সুন্দর! নির্মল!
অভিযোগ শুধু একটাই।
কেন এত বছরের এত একাকিত্বের পরে
এমন বিচ্ছিরি কোলাহল
আমার আঙিনা জুড়ে!
( লাইনগুলি হয়তো এলোমেলো। আমাকে ঘুমোতে দিচ্ছিলনো। লিখে ফেললাম। হয়তো এখন ঘুমাতে পারবো)
২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৩৮
ফারহানা শারমিন বলেছেন: চোখের উপর প্রেসার দিতে ইচ্ছে করে না। ঐইটুকু লিখতেও অনেক কষ্ট হয়।
২| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বিরাট কাব্য।
যাই এক জগ পানি খেয়ে আসি
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:২১
ফারহানা শারমিন বলেছেন: পানি খাইতে ক্যামন টেস লাগলো ভাই?
৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: প্রথম ক'লাইন পড়ে বুঝে গিয়েছিলাম মৃত্যু নিয়ে একটা কবিতা পড়তে যাচ্ছি !
কী নির্মম আবেগ দিয়ে লিখলেন আপা !
আমার এলোমেলো মনে হয়নি একটুও । অলংকরণ না থাকলেও কী কবিতায় অনুভূতি থাকতে পারে না ? অনুচ্চারিত কথাগুলোকে কী বোঝা যায় না ?
আপনি লিখে যান আপা !!
কিছু শব্দ আসলেই ঘুমোতে দেয় না । আপনার এই বয়সে এই চিন্তা কেন ঘুরপাক খাচ্ছে আপা ?
অনে গম আছোন্না আফা ??
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:২০
ফারহানা শারমিন বলেছেন: গম আছি ভাই।অনেক চিটাইঙ্গা না??
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: বড্ড অগোছালো।