নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হলাম ইচ্ছে ঘুড়ি। মা ডাকেন, যাদুর কাঠি। বাবা ডাকেন, মণি বুড়ি।

ফারহানা শারমিন

আমি হলাম ইচ্ছে ঘুড়ি মা ডাকেন যাদুর কাঠি বাবা ডাকেন মণি বুড়ি

ফারহানা শারমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাকে কি কোনভাবে সাহায্য করা যায়?

০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৩


আমার ঘর থেকে বের হওয়ার বা কারো সাথে কথা বলার তেমন সুযোগ নেই। তা ও লুকিয়ে লুকিয়েই দুইবার শিশুতোষ গল্প প্রকাশ করেছি।
যার মধ্যে দুইবারই দুই প্রকাশক আমাকে ঠকিয়েছে।
গুনি পরিচালক শিহাব শাহীন ভাই কে একবার স্ক্রিপ্ট লিখে দিয়েছিলাম। শুটিং এর সময় নায়ক মুসফিক আর ফারহান অসুস্থ হয়ে যাওয়াতে
আমার নাটকটা পরিচালক আর করেন নি।
আরেক বার আরেক পরিচালক কাজ করার আশ্বাস দিলেও তিনি নিজে বিভিন্ন সমস্যায় ফেঁসে যাওয়াতে উনার সাথে আর আমার যোগাযোগ হয়নি।
পরে নিজের উদ্যোগে নিজের খরচে নাটক করার সিদ্ধান্ত নিই। আমার একটা বিশ মিনিটের শর্ট ফিল্ম তৈরি।
আর একটা ভালোবাসা দিবসের নাটকের শুটিং কাল, পরশুর মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।
পরিচালক আর একজন অভিনেতা যার মাধ্যমে উনার সাথে পরিচায় এবআগে বলেছিলেন নাটক বানানো, বিক্রি উনার দায়িত্ব। এখন বলছেন, উনি চ্যানেলে অন এয়ার করিয়ে দিবেন। স্পন্সরের দায়িত্ব আমার।
খুব বিশ্রি ভাবে ফেঁসে আছি।
গয়না গাটি বন্ধক দিয়ে টাকাগুলি ম্যানেজ করেছিলাম।
স্পন্সরের ব্যাপারে কি কোন আপু ভাইয়ারা হেল্প করতে পারবেন?
প্রপোজাল লেটার রেডি আছে।
আমি এ ব্যাপারে জাদিদ ভাইকেও ব্যক্তিগতভাবে জানিয়ে রেখেছি।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আপনি বারবার পরাজিত হওয়া মানুষ, জাদিদ ভাই কি বলেছে?

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫৪

ফারহানা শারমিন বলেছেন: কথা সত্য! সেই শৈশব থেকে যুদ্ধ করে যাচ্ছি। জাদিদ ভাই দেখছেন বললেন।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনি কি উনাকে কোন টাকা দিয়েছেন??
আপনি যাকে টাকা দিয়েছেন তিনি কি ইতিমধ্যে কোন ভালো নাটক বানিয়েছেন??
আপনার কি কোন চুক্তিপত্র আছে?
ব্লগ থেকে কোনো স্পন্সর পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫৭

ফারহানা শারমিন বলেছেন: সম্পুর্ণ নাটকের খরচ আমি দিয়েছি।উনি চুক্তিপত্র করে দিবেন বলেছেন। নাটকের কাজও মানসম্মত হচ্ছে। উনার এখন পর্যন্ত পঞ্চাশটার মতো নাটক টিভিতে অন এয়ার হয়েছে।

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এসব বিষয়ে তো আগে স্পন্সরের ব্যবস্থা করে তারপর কাজে হাত দিতে হয়। আপনি এখন স্পন্সর পেলেও তারা আপনাকে ঠকাবে।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০১

ফারহানা শারমিন বলেছেন: আমাকে প্রথমে নিশ্চিত করা হয়েছিলো যে টাকা সব উঠে আসবে।

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


চট্রগ্রামের মিডিয়ায় কাজ করা একজন ব্লগারের সাথে আপনার আলাপে উনি যে পরামর্শ দিয়েছিলো,আমার মনে হয় সেই অনুযায়ী কাজ করলে আপনি উপকৃত হবেন।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০৪

ফারহানা শারমিন বলেছেন: ভাইয়ার পরামর্শ ঠিক আছে। কিন্তু আমি কারো ক্ষতি করতে চাই না। যে অভিনেতার মাধ্যমে আমার পরিচালকের সাথে পরিচয় হয়েছে ঐভাবে এগুলে বেচারা পরে না খেয়ে মরবেন।

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৫

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অন্যর ভরসায় কোন কাজে হাত দেওয়া বোকামী ।
............................................................................
মিডিয়া লাইনে একে অপরকে ঠকানো বা ল্যাং মারাটা
এক ধরনের আর্ট,
তাই এর থেকে দুরে থাকাই শ্রেয় ।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০৫

ফারহানা শারমিন বলেছেন: আমি সত্যিই অনেক বোকা! পুরো বাংলাদেশ জুড়েই এই অবস্থা! আমি একজন সুনাগরিক হয়ে উঠতে পারিনি।

৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৪

শায়মা বলেছেন: ১। আপুনি তুমি নিজ উদ্যোগে নাটক বানাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলে। সে সময় কি পরিচালক বা অভিনেতাকে যে টাকা দিয়েছিলে সে সম্পর্কে রিটেন ডকুমেন্ট বা রিসিট রেখেছিলে?


২। রিটেন ডকুমেন্টস ছাড়া কোনো অর্থনৈতিক লেন দেন কখনও করা উচিৎ না যখন সেটা বড় এমাউন্ট হয় তখন আরও উচিৎ না। কাজেই প্রথমেই বোকামী হয়েছে।


৩। অভিনেতা পরিচালক বলছে অন এয়ার করে দেবে কিন্তু প্রথমে বলেছিলো বিক্রি আর বানানোর দায়িত্ব তার আর এখন তোমাকেই স্পনসার যোগাড় করতে হবে তাই তো??

তুমি বলো তুমি স্পনসার যোগাড় করতে পারবে না। তোমার টাকা দিয়ে দিক। নাটক অন এয়ারের দরকারই নেই। এটাই সবচাইতে বড় স্যলুশান মনে হয় আমার।


নয়ত জাদিদ ভাইয়া আর অন্য যে সব ব্লগারের সাথে কথা বলেছো তাদের কথা বা পরামর্শগুলিও ভেবে দেখো।

আর এইভাবে না জেনে না শুনে কেউ তো স্পনসর করবে না। :(


অনেক খারাপ লাগছে তোমার দূর্দশার কথা শুনে। :(

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১০

ফারহানা শারমিন বলেছেন: আপু আমি নিজেই যেই লুকোচুরির অবস্থায় থাকি। চুক্তিপত্রের কথা লজ্জায় বলতে পারিনা একবারও।
পরিচালক বলেছেন, উনার অনেক দিয়ে টাকা খরচ হয়ে গেছে।
দোয়া করলেও সেটা কম না আপু। অনেক ভালোবাসা।

৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার সাথে সম্ভবত চট্টগ্রামের ব্লগার গোফরান ভাইয়ের সাথে এ বিষয়ে আলাপ হয়েছিল। উনি এই সেক্টরে অভিজ্ঞ, উনার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে পারতেন। এরপরেও উনি আপনাকে যে পরামর্শ গুলো দিয়েছিল সেগুলি ফলো করলে হয়তো সমস্যা সমাধান হতো।
আমার মনে হয় এখন আপনি স্পনসরের পিছনে না ঘুরে যত দ্রুত সম্ভব উনার কাছ থেকে টাকা গুলো আদায় করার জন্য প্রেসার ক্রিয়েট করুন।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১২

ফারহানা শারমিন বলেছেন: প্রেসার ক্রিয়েট করে লাভ নেই। তাই করছি না। টাকা অলরেডি খরচ হয়ে গেছে। প্রি প্রোডাকশন এর কাজ শুরু। শুটিং দু এক দিনের মধ্যে শুরু।

৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আপু, একটা ভালো পরামর্শ দেই, প্লিজ?

আপনার নাটকটি কোন টিভি চ্যানেলে না দিয়ে নিজে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে তাতে আপলোড দিয়ে ভালো করে ডিজিটাল মার্কেটিং করেন। নাটক ভালো হয়ে থাকলে টাকা উঠে আসবেই।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১৫

ফারহানা শারমিন বলেছেন: পথিক ভাই আমি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি।মনিটাইজেশন করা নেই।পরিচালক বলছেন, নাটকটা ইউটিউবে গেলে মনিটাইজেশন এমনিতেই হয়ে যাবে। অনেক ভালো ভিউ পাবে। যেহেতু নাটকের কাহিনি অনেক ভালো। কিন্তু ইউটিউবে কি পাঁচ লাখ উঠবে?

৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: একা একা এত পাকনামি করা ঠিক হয়নি। দুনিয়া সহজ নয়।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১৮

ফারহানা শারমিন বলেছেন: পাঁকা বয়েস তো তাই পাকনামি করে ফেলেছি। কাউকে সাথে পাইনি তাই একা করেছি। কেউ সাথে থাকলে দুকা বা তিনকা করতাম।

১০| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪০

স্প্যানকড বলেছেন: আপনার নামার আগে যারা জানে তাদের সাথে আলাপ করা উচিত ছিল। ইউটিউবে উঠবে কি না জানা নেই। খুব পরিচত কেউ কি আছে যিনি যেকোনো টিভি চ্যানেলে কাজ করে? থাকলে আলাপ করে দেখুন। ভালো থাকবেন।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:২৩

ফারহানা শারমিন বলেছেন: নিয়মিত প্রায় প্রতিটি টিভি নাটকে, ওটিটিতে, সিনেমায় কাজ করেন এমব মানুষই আমাকে পরিচালকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। গুণী অভিনেতা, অভিনেত্রী, গুণী নির্মাতা অনেকের সাথেই কথা হয়। সবই লুকিয়ে লুকিয়ে। ঐ লুকিয়ে লুকিয়ে কাজ করাটাই আমার জন্যে কাল হয়ে দাঁড়ায়।

১১| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭

ফেনা বলেছেন: বই গো আমার এই ব্যপারে অভিজ্ঞতা বেশি রকমের খারাপ। জিন্দেগি তামা হয়ে যাবে।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

ফারহানা শারমিন বলেছেন: আমার জিন্দেগি প্রথম থেকেই তামা।

১২| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫

ফেনা বলেছেন: "কিন্তু ইউটিউবে কি পাঁচ লাখ উঠবে?" !!!!!!!!!!!!!!! আপনি কি পাগল। কাদের নিয়ে নাটক বানাচ্ছেন!!!! পরিচালকটা কে??? এত টাকা হলে ত ভাল মানের টেলিফ্লিমই হয়ে যায়। নাকি ছোট খাট কোন ক্ল্যাসিক মুভি বানাচ্ছেন???
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে খুব ইচ্ছা করছে।
(আমি একটা মোবাইল নাম্বার দিবনে। একবার কথা বলে দেখেন। আশা করি ভাল হ্যাল্প পেতে পারেন।)

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১১

ফারহানা শারমিন বলেছেন: মোবাইল নাম্বার দিয়েন।গল্পটা টেলিফিল্মের মতোই।

১৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: পাঁচ লাখ টাকা খরচ করেছেন একটা নাটক বানাতে গিয়ে???
তারপরে এই অভিনেতা অভিনেত্রী ( মানে নয় মার্কেটের চাহিদার কথা বলছি)
আমার ধারনা আপনি পুরো ডুবেছেন। কে আপনাকে এই কু-বুদ্ধি দিয়েছিল? ওই অভিনেতার নাটক আপনি দেড় লাখেও বেঁচতে পারবেন কি না সন্দেহ আছে।
আপনার মেইল এড্রেসটা দিন; একটা ফোন নম্বর পাঠাচ্ছি। সগীর মোস্তফা- আমার বন্ধু। তার প্রডাকশন হাউস আছে। খুব ভাল মানুষ। সে কোন উপকার করতে পারবে কি না জানি না। তবে সম্ভবত ভাল পরামর্শ পাবেন।
ফোন দেবার আগে জানাবেন- আমি বলে রাখব।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

ফারহানা শারমিন বলেছেন: এইটা আমার শর্ট ফিল্মের ছবি। এটা আমাদের দখিনা প্রোডাকশন এর ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড দেয়ার জন্যে বানিয়েছি। এর তেমন খরচ হয়নি।আমার একটা প্রজেক্ট ছিলো বানু।খুব ভালো স্ক্রিপ্ট। প্রথমে নাটকের বাজেট ছিলো দুই, আড়াই লাখ। নায়ক বিভিন্ন নায়িকার নাম বললেও আমার মনে হয়নি উনারা পারবেন। পরে আমি আমার একজন খুবই প্রিয় একজন গুণী অভিনেত্রীর নাম সাজেস্ট করি। পরিচালক বলেন, আপনি যদি উনাকে ম্যানেজ করতে পারেন করেন। নায়িকা তখন কলকাতায় খুবই জনপ্রিয় একটা সিনেমার সিরিজে অভিনয়ে ব্যস্ত। তা ও উনি আমাকে সময় দিলেন। গল্পটা পড়লেন, উনার গল্প অনেক পছন্দ হয়েছে জানালেন। পরিচালকের নাম আমার কাছ থেকে জেনে নিলেন। ঢকায় আসলে কাজ করার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন। আমি খুব কষ্ট করে পঞ্চাশ হাজার টাকা যোগাড় করে পরিচালককে পাঠাই। বারবার তাগাদা দিই যাতে নায়িকার এবং অন্য যারা ব্যস্ত অভিনেতা, অভিনেত্রী আছেন তাদের শিডিউলটা লক করা হয়। উনি প্রতিদিনই আশ্বাস দেন সব কাজ চলছে। আপুর সাথে কথা হইছে। পরে একটা নির্দিষ্ট ডেইট ও ঠিক করা হয় শুটিং এর জন্যে। পরিচালক জানান আপু আমাদের কাজ শুরু করতে হবে। আপনি টাকা না পাঠালে আমরা কাজ শুরু করতে পারবো না। আমি উনাকে আবার যে অভিনেতার মাধ্যমে উনার সাথে পরিচয় হয়েছে তাকেও জিজ্ঞেস করি। আমি অনেক বড়ো রিক্স নিচ্ছি। যদি টাকা ব্যাক আসার গ্যারান্টি থাকে। তাহলে আমি পাঠাবো। আমি যেদিন টাকা পাঠিয়েছিলাম। সেদিনও পরিচালককে বারবার ফোন দিচ্ছিলাম, যাতে নায়িকা সহ অন্যদের ডেইট লক করা হয়। শুটিং এর দুইদিন আগে জানতে পারি। উনি কারো ডেইটই লক করেন নি। নায়িকা ফ্লাইটের টিকেট কেটে ফেলেছেন।
উনি অন্য নায়িকা দিয়ে কাজ সারতে বলেন, আমি রাজি হয়নি। আপুর জন্যে অপেক্ষা করবো বলি।
পরিচালক অনেক মনে কষ্ট পান। বলেন, আপু এক দুই মাস ধরে আপনার প্রজেক্টের পিছে আমরা সময় দিয়েছি। আমাদের লস হয়ে যাবে শুটিং শুরু না হলে। আমি অন্য আরেকটা স্ক্রিপ্ট দিই। যেটা শিহাব শাহীন ভাই কে লিখে দিয়েছিলাম।
পরিচালক বিভিন্ন নামি দামি নায়ক নায়িকার নাম সাজেস্ট করেন। উনাদের সাথে নিয়মিত কথা বলেন। কিন্তু কারো ডেইটই ডিসেম্বরের আগে খালি নেই।আমার টাকাটা ব্যাক পাওয়ার তাড়া ছিলো। উনিও বললেন, আপনার যেহেতু তাড়া আছে নতুনদের মধ্যে এই দুইজন ভালো অভিনয় করছেন। ডেইট ও খালি আছে। ভিউ ভালো হয়। টাকা রিটার্ন পাওয়ার গ্যারান্টিও আছে।
আমি সম্মতি দিই। ভাবলাম যে এই দুইজন হলে আমার আর খরচ পাঠাতে হবে না। কদিন আগে পরিচালক আবার ফোন দেন, বলেন শুটিং সামনে আর এক লাখ ত্রিশ না দিলে কাজ শুরু করতে পারছেন না। আর আগের প্রজেক্ট থেকে নাকি পোস্টার বাবদ আট হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর যে অভিনেতার মাধ্যমে উনার সাথে আমার পরিচয় হয়েছে উনি দশ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে নিয়েছেন। বানুর কাজ শুরু হলে উনাকে আর টাকা দিতে হবে না।
গতকাল আরো ষাট হাজার টাকা পাঠিয়েছি। আর যাদের থেকে গয়না দিয়ে টাকা ধার নিয়েছি। ওদের আবার দশ হাজার পাঠাতে হয়েছে। প্রতি মাসেই এভাবে দশ করে পাঠাতে হবে যতদিন না পুরো টাকাটা রিটার্ন দিতে পারছি।
আর পরিচালক, অভিনেতা দুইজনই এখন বলছেন। নাটক অন এয়ার হবে ভালোবাসা দিবসে। অনেক ভিউ পাবে। এটা নিয়ে চিন্তা নেই। কিন্তু স্পন্সরের ব্যাপারটা আমাকেই দেখতে হবে। না হলে টাকা ব্যাক পাবো না।
আমার যথেষ্ট কাজের প্রস্তাব আসে। কিছুদিন আগে জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কার প্রাপ্ত একজন খুবই নামকরা পরিচালক আমার সাথে কাজ করার আগ্রহ দেখান। কিন্তু আমার সমস্যা হয়ে যায়, আমি বাসা থেকে বের হতে পারিনা। কারো কল সময় মতো রিসিভ করতে পারি না। খুবই অস্বাভাবিক একটা জীবন কাটাচ্ছি। তাই যার সাথেই কাজে নামছি সেই এই দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে।

১৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপু,
আমি পারিবারিক সমস্যা ও ঝামেলার কারণে দীর্ঘদিন ব্লগে আসিনা। ব্লগে শেষ কবে লিখছি মন্তব্য করছি ভুলে গেসি। আপনার পোস্টটা ও মন্তব্যের জবাব গুলো পড়ে হতাশ হয়েই মন্তব্যটি করছি।

আপনার কথা গুলো খুবই কনফিউজিং। আপনি কি চাচ্ছেন কারোই বোধগম্য হচ্ছেনা।

ব্লগারদের বোঝার সুবিধার্থে আমি এতদিন ধরে আপনার বক্তব্য গুলো কোট করছি:

১) আপনি বলছেন ঐ পরিচালক প্রথমে বলছেন শুধু ইনভেস্ট করলে চ্যানেলে বিক্রি করে আপনাকে প্রফিট সহ পুরা মুলধন রিটার্ন দিবেন।

২)আপনি বলছেন উক্ত পরিচালক ৩ লাখ ৫০ হাজার নেয়ার পর পল্টি মেরে বলছেন উনি শুধু টিভিতে অন ইয়ার করবেন টাকা উঠিয়ে দিতে পারবেন না।

৩) আপনি বলছেন উনি আপনাকে বলছেন আপনি কেবল মাত্র ৫ লক্ষ টাকার স্পন্সর জোগাড় করে দিলেই তিনি আপনাকে রিটার্ন দিতে পারবেন অথচ প্রথমে বলছিলেন শুধু ইনভেস্ট করলে হবে।

৪) আপনি বলছেন যে নায়ক নায়িকাদের শ্যুটিং এর জন্য ইনভলভ করার কথা বলে সাড়ে ৩ লক্ষ নিয়েছেন উনি, তাদের কাউকেই নেয়া হয়নি অভিনয়ের জন্য। নিয়েছে কতগুলো ইউটউবার। যেন ভিউ হয়।

৫) আপনাকে বলা হয়ে আপনার উক্ত প্রিয় অভিনেত্রী থেকে সিডিউল পায়নি, অথচ উক্ত অভিনেত্রী আমি এবং আপনি যখন কনফারেন্সে কথা বলছি সে(আপনার প্রিয় অভিনেত্রী) আপনাকে যে পরামর্শ দিয়েছেন তা না করে উল্টো পথে আগাচ্ছেন।

৬) আপনার ১০ ভরি গোল্ড বন্ধক রেখে টাকা গুলো মেনেজ করেছেন ফলে মাস প্রতি ১০ হাজার ইন্টারেস্ট দিতে হচ্ছে।


এখন যে পরিচালক আপনাকে শুরু থেকে দুই নাম্বারি করছেন, বিভিন্ন রকম কথা বলছেন তা থেকে অনুমেয় আপনাকে ঠকানো হচ্ছে। দেখুন জাদিদ ভাই এবং আপনার উক্ত প্রিয় অভিনেত্রী আপনাকে যে পরামর্শ দিয়েছেন সেভাবে কাজ করুন। এখনো লাখ খানিক টাকা লস দিয়ে আপনার ১১ ভরি গোল্ড ও বাকি ২.৫ লাখ উদ্ধার করা সম্ভব।

কথা শোনলে শুনুন না শোনলে আপনার গোল্ড টাকা সব হারানোর মানসিক প্রস্তুতি নিন। আপনাকে সবাই হেল্প করবে। নাটকও হবে, ইনভেস্ট ও উঠবে, লাভও হবে। কিন্তু আপনি যদি সিস্টেমে না হেটে উল্টো পথে যান তবে এটা নিশ্চিত আপনি গোল্ড টাকা নাটক বানানো ৩ টাই যাবে।


আর কিছু বলার নেই। আপনাকে বুঝাতে বুঝাতে সবাই ক্লান্ত ও রীতিমতো বিরক্ত।

১৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: বাসা থেকে বের হতে পারেন না তাই এই অবস্থা বের হতে পারলে কি যে হইত!! আপনি তো হলিউডে গিয়ে সিনেমা বানিয়ে ফেলতেন মনে হয়।
সিনেমা নাটকের দুনিয়ায় বড় অংশ ধড়িবাজ/ বাটপার- হোক সেই ব্যাটা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত।

আপনি @ গোফরানের পরামর্শ শুনে দেখেন। আমার ধারনা আপনি যে লেভেলে বুঝেন- কারো পরামর্শই নিবেন না।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

ফারহানা শারমিন বলেছেন: শেরজা তপন বলেছেন: বাসা থেকে বের হতে পারেন না তাই এই অবস্থা বের হতে পারলে কি যে হইত!! আপনি তো হলিউডে গিয়ে সিনেমা বানিয়ে ফেলতেন মনে হয়।
হলেও হতে পারে। আমার একটা গল্প আছে। সেটাও পুরো পৃথিবীর মানুষকে জানানোর ইচ্ছে আছে। যাতে দোজখের আগুনে পুরেও কেউ বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে। কখনো হার না মানে। অন্তত আত্মাহত্যার পথ যাতে বেছে না নেয়।
আমার লেখালেখির শুরুটা সামু দিয়ে। সবাই তখনো বলতো এই পাগলামির মানে কি?
আমি এই পাগলামির ফল এখন ভোগ করছি।
এই পাগলামি গুলি আমাকে অক্সিজেনের খোরাক করে দেয়। আমি গুফরান ভাই এর কথা ধরছি না। সবাই বিরক্ত।
আমার উপর ছোটবেলা থেকেই মানুষ বিরক্ত। আমাকে কেউ আগুনে পুড়াতে গিয়ে তার হাত জ্বলে গেলে তাকে আমি মলম লাগাই। একবার না একি ঘটনা একশোবার হলে একশোবারই আমি একই কাজ করি।
আমি ছেলেকে ঠেঙানোর অপশন ছাড়া অন্য অপশন খুঁজছিলাম। কেউ স্পন্সর এর সাথে ডিল করিয়ে দিতে পারবে নাকি সেটা জানতে চেয়েছিলাম। আর কিছু না।

১৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনি ধ্রুব টিভি'র সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। ওরা কন্টেন্ট ভালো মনে করলে স্পন্সর করতে পারবে।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩

ফারহানা শারমিন বলেছেন: আপনার কি ওখানে কেউ পরিচিত আছে? এমনি এমনি ম্যাসেজ পাঠালে তো কেউ দেখে না। কন্টেন্ট অনেক ভালো। পরিচালকও অপূর্ব, তিশাদের মতো গুণি অভিনেতাদের সাথে কাজ করে। ওর কাজের মান ভালো।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪১

ফারহানা শারমিন বলেছেন: ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনি ধ্রুব টিভি'র সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। ওরা কন্টেন্ট ভালো মনে করলে স্পন্সর করতে পারবে।
ফোন দিয়েছিলাম। ওরা বিস্তারিত লিখে হোয়াটস এ ্যাপে পাঠাতে বলেছে। আমি পাঠিয়েছি।কিন্তু কেউ দেখেনি এখনো।

১৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনি নিজেই ভালো করে অবগত আছেন আপনি কি করতে চাচ্ছেন। আমাদের কাছে সাহায্যে চেয়েছেন মাত্র আমাদেরকে বুঝানোর জন্য আপনি একাজগুলো করতে পারেন। সহব্লগার হিসেবে আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৮

ফারহানা শারমিন বলেছেন: আমি শুধু ভালো লিখতে পারি রে ভাই। এইটা নিয়ে আত্মবিশ্বাস আছে। আমি স্পন্সরের ব্যাপারে সাহায্য চেয়েছিলাম। আর কিছু না। কাউকে শাস্তি দেয়া আমার কাজ না। উপরে একজন আছে। আমি শুধু আমার দৃষ্টিশক্তি হারানোর আতংকে থাকি। তাই আমার লেখাগুলি আর আমার স্কুলটা একটু গুছিয়ে আনতে চাইছিলাম।

১৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: বুঝলাম- আপনি মুষ্টিমেয় কিছু ব্যতিক্রমী পাগলের দলে পড়েন। যে সোনাটুকু বন্ধক দিয়েছেন তার অংশ থেকে কিছুটা বিক্রি করে লোনের টাকা শোধ করে বাকি সোনা ফেরত নিয়ে আসেন না হলে সুদ শোধ দিতে গিয়ে ড্রাগ এডিক্টেটের অবস্থা হবে!
বাকি সোনা রেখে দিন পরের নাটক বা ফিল্ম বানাতে কাজে লাগবে!

একটা নাটকের পাঁচ লাখ টাকার স্পন্সর যোগাড় করতে পারলে যে কেউ যে কোন চ্যানেলে নাটক অন-এয়ার করতে পারবে আপনার পরিচালকের হেল্পের কোন দরকার নেই।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮

ফারহানা শারমিন বলেছেন: বুঝার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।পরামর্শের জন্যেও ধন্যবাদ।

১৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ইদের সময় নাটক সিনেমার ভিউ বেশি হয়। তখন আপনি সহজেই স্পন্দর পেয়ে যাবেন। এছাড়া প্রতিটা টিভি চ্যানেলে যান সরাসরি। ওদের সাথে কথা বললে একটা কিছু ব্যবস্থা হবে।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩

ফারহানা শারমিন বলেছেন: হ্যাঁ ভাই। ভালোবাসা দিবসের জন্যে করা হয়েছে। ভিউ ও অনেক ভালো হবে। কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু ততদিনে ঐ যে মাসে দশ হাজার করে দিতে দিতে আমার অবস্থা কেরোসিন হয়ে যাবে।

২০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: মিডিয়া লাইন সম্পর্কে তেমন কিছু জানা না থাকায় আপনার সমস্যাটা ঠিক বুঝতে পারিনি। তবে এটা বলতে পারি যে, হাতে বারতি টাকা থাকলেই কেবল কোন ব্যবসায় নামা উচিত। বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে, জমিজমা বিক্রি বা গয়না বন্ধক দিয়ে ব্যবসা করতে যারা নামে দিনশেষে তারাই বেশি লস খায় । আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

২১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ফোন দিয়েছিলাম। ওরা বিস্তারিত লিখে হোয়াটস এ ্যাপে পাঠাতে বলেছে। আমি পাঠিয়েছি।কিন্তু কেউ দেখেনি এখনো।

আপু আসলে আমার সাথে কারো পার্সোনালি যোগাযোগ নেই ।
আমি নিজেই এই জগতে আসতে আগ্রহী অনেকদিন ধরে । কয়েক বছর আগে ২/৪ জনের পিছে ঘুরেও কোন কুল কিনারা করতে পারি নি।

২২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: প্রযোজনা নিয়ে বুসানফেরত দুই তরুণের অন্যরকম সংগ্রাম
এটা পড়ে দেখুন

২৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০২

ডার্ক ম্যান বলেছেন: প্রযোজনা নিয়ে বুসানফেরত দুই তরুণের অন্যরকম সংগ্রাম
সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রযোজকের দায়িত্ব কতটা? কী কাজগুলো তাঁকে করতে হয়। দেশের প্রেক্ষাপটে সেই প্রশ্নের উত্তর মানে অর্থ লগ্নি করা। পরবর্তী সময়ে প্রযোজক হয়ে যাওয়া। কিন্তু প্রকৃত চিত্র ভিন্ন। একটি সিনেমা নির্মাণের পেছনে প্রযোজক অনেক বড় দায়িত্ব পালন করেন। সেগুলো শিখতে বুসান এশিয়া ফিল্ম স্কুলে প্রযোজনা নিয়ে পড়াশোনা শেষ করলেন দেশের দুই তরুণ তানভীর হোসেন ও ফজলে হাসান শিশির। তাঁরা গত মার্চ মাসে বৃত্তি নিয়ে প্রযোজনার ওপর পড়াশোনা করতে গিয়েছেন। সম্প্রতি অভিজ্ঞতা শেষে দেশে ফিরেছেন।

শৈশব থেকে সিনেমা ও নাটকের ভক্ত ছিলেন তানভীর হোসেন। সেসব নাটক বা সিনেমা শেষ হলেও তিনি বসে থাকতেন। শেষে নামের টাইটেলে তাঁর চোখ থাকত। সেখানে কে ক্যামেরায় ছিলেন, কে সম্পাদনা করছেন, কে প্রযোজক—এগুলো খুঁটিয়ে পড়তেন। অভিনয় ছাপিয়ে সেখানে নিজের নাম দেখতে চান। সেই থেকে মিডিয়ায় কাজের আগ্রহ জন্মে। পরবর্তী সময়ে ২০০২ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এর মধ্যে পরিচয় হয় পরিচালক কামার আহমাদ সায়মনের সঙ্গে। সেই সময় এই পরিচালকের নির্দেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলে চলচ্চিত্রবিষয়ক একটি কর্মশালায় যোগ দেন তানভীর। সেখানে সিনেমা নির্মাণপ্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা নেন।

তানভীর বলেন, ‘সাইমন ভাই ও সারা ভাবির সঙ্গে পরিচয় ও তাঁদের একটি তথ্যচিত্রে কাজ করতে গিয়ে আমার সিনেমা নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে থাকে। বিশ্ব সিনেমা, সিনেমা নির্মাণ, টেকনিক্যাল নানা বিষয়ে জানার সুযোগ হয়। নতুন করে চলচ্চিত্র নির্মাণ দেখতে থাকি। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে আমি পরবর্তী সময়ে কাজ শুরু করি।’
এরপর চলতে থাকে নাটক–বিজ্ঞাপনের টিমের সঙ্গে কাজ করা। ২০০৯ সাল–পরবর্তী বিবিসি অ্যাকশনের প্রযোজনায় ‘বিশ্বাস’ নামের একটি ধারাবাহিকের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। একসময় প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজের সুযোগ পান তানভীর। সেখানে বিদেশের অনেক কলাকুশলীর সঙ্গে কাজ করে সিনেমা নিয়ে নতুন অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয়।


সেই সময় সিনেমা পরিচালনা নিয়ে বেশি ভাবতেন তানভীর। এর মধ্যে শুরু করেন ‘ক্যাম্প’সহ তিনটি সিনেমার কাজ। কিন্তু কোনো সিনেমা সম্পন্ন হয়নি। ভেঙে পড়েন। শুটিং থেকেও কিছুদিনের জন্য নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন। এবার ভাবতে থাকেন, প্রযোজনা ভালো করে জানার দরকার।
তানভীর বলেন, ‘আমি যখন বিবিসিতে কাজ করি, তখন ও পরবর্তী সময়ে আফসানা মিমি আপা আমাকে বলেছিলেন প্রযোজনার কাজ ভালো করে আয়ত্ত করতে। আমি তখন অনেক নাটকের প্রযোজক হিসেবে কাজ শুরু করি। এটা নিয়ে অনেকে তুচ্ছ–তাচ্ছিল্য করছিলেন। কিন্তু আমি দীর্ঘ সময় নাটকে কাজ করতে গিয়ে শিখতে থাকি। প্রক্রিয়াটা আমার কাছে ভালো লাগতে থাকে। এখান থেকে মনে হয়, প্রযোজনা আরও ভালো করে শিখতে চাই। কারণ, দেশে সেই অর্থে শেখার সুযোগ কম। তখন বৃত্তি নিয়ে কোরিয়া চলে আসি। এখন আমি আমার এই অভিজ্ঞতা দেশে কাজে লাগতে চাই।’

সম্প্রতি বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে নিউক্যারেন্টস অ্যাওয়ার্ডজয়ী ‘বলি’ সিনেমার নির্বাহী প্রযোজক তানভীর। দেশ–বিদেশের আরও বেশ কিছু সিনেমা নিয়ে এগোচ্ছেন।
কোরিয়ার বুসান ফিল্ম স্কুলের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, তারা শুধু প্রযোজনার ওপরে পড়াশোনা করায়। এটাকে বলা হয় প্রযোজনা শেখার ওপর বিশ্বের অন্যতম একটি স্কুল। এখানে শুধু প্রযোজনার ওপর শিক্ষা দেওয়া হয়। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ও অভিজ্ঞ প্রযোজনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এখানে হাতে–কলমে পাঠদান করেন। এ কারণে স্কুলটি দিনদিন সিনেমাপ্রেমীদের পছন্দের হয়ে উঠছে। বেশ কয়েক বছর আগে এই স্কুলের খোঁজ পান দেশের আরেক তরুণ ফজলে হাসান শিশির। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। সেখান থেকে তাঁর ইচ্ছা হয় সিনেমা নিয়ে কাজ করবেন। শুরুতে চাইতেন পরিচালক হবেন। ছাত্র থাকা অবস্থায় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মোমেন্টোস প্যারালেলোস’ বানিয়েছিলেন। এটি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের আয়োজন ‘সেলিব্রিটি লাইফ’–এ পুরস্কার জিতেছিল। পরে সিনেমা নিয়ে তাঁর আগ্রহ বাড়ে। অনুধাবন করেন প্রযোজনার কৌশল আয়ত্ত করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

যথাযথভাবে সিনেমা নির্মাণপ্রক্রিয়া নিয়ে তাঁর জানার আগ্রহ বাড়ে। পরে তিনি ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্টের ওপর পড়াশোনা করতে যান। পাশাপাশি তাঁর প্রযোজনায় আগ্রহ বাড়তে থাকে। শর্টফিল্ম, তথ্যচিত্রের কাজ করতে থাকেন। শিশির বলেন, ‘বিজ্ঞাপনমুখী কমার্শিয়াল কাজগুলোর পাশাপাশি প্রডিউসিং নিয়ে অনেক আগ্রহী হই। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট গল্পগুলো নিয়ে কাজ করার সুযোগ কম ছিল। বেশির ভাগ কাজ করপোরেট–নির্ভর। এখানে স্বাধীন ঘরানার সিনেমা বানানো কঠিন। তখন নিজেই প্রযোজনা শিখতে কোরিয়ায় আসি। এটা আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ।’

মার্চ থেকে সাত মাস চলে তাঁদের প্রযোজনা নিয়ে পড়াশোনা। সারা বিশ্বের সিনেমাগুলো কীভাবে প্রযোজনা করা হয়, সেগুলো নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত প্রযোজকের সঙ্গে একধরনের মেলবন্ধন তৈরি হয়। শিশির বলেন, ‘একটি ফিল্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রডিউসিং সম্পর্কে জানা। এ সুযোগ যেমন এশিয়ান ফিল্ম স্কুল করে দেয়, তেমনি নেটওয়ার্কিং বাড়াতে সহযোগিতা করে। বিভিন্ন দেশের প্রযোজকদের মধ্যে একটা মেলবন্ধন তৈরি হয়।’

শিশির আরও বলেন, ‘এখানে প্রথমে একটি চিত্রনাট্য জমা দিতে হয়। বাছাইতে টিকে গেলে মেলে ফেলোশিপ। সেই সিনেমাটি কীভাবে বানানো হবে, সেই প্রক্রিয়া হাতে–কলমে শেখানো হয় এশিয়ান ফিল্ম স্কুলে। আমি প্রযোজক হিসেবে ‘তুলসিমালা’ সিনেমার চিত্রনাট্য জমা দিয়েছিলাম। সেটা নিয়ে এখন এগোচ্ছি।’ ‘সুরাইয়া’ চলতি বছর এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেটে স্থান পেয়েছে। ‘সুরাইয়া’ প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হয়েছে শিশির। এটি পরিচালনা করবেন রবিউল আলম রবি। এটি লিখেছেন শিবব্রত বর্মণ। তিনি সহপ্রযোজক হিসেবে সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত আছেন। ‘ঝিরিপথ পেরিয়ে’ নামে অনুদানের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বানিয়েছেন শিশির।

শৈশবে টেলিভিশন নাটক দেখে বড় হয়েছেন শিশির। পরে ইরানি সিনেমার প্রেমে পড়েন। কেন ফিল্ম স্কুল গুরুত্বপূর্ণ জানতে চাইলে এই তরুণ বলেন, ‘এখানে টিউশনি ফি লাগে না। বাড়তি কোনো খরচ নেই। বিভিন্ন দেশের প্রযোজকেরা এখানে আসেন। তেমনি বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা আসেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হয়। চলচ্চিত্র উৎসগুলোতেও একটা আলাদা গুরুত্ব থাকে। এই সময়ে এশিয়ার অনেক তরুণের শুরুটা কোরিয়ান ফিল্ম স্কুলের মাধ্যমে। সাউথ এশিয়ান নির্মাতা হিসেবে এই সুযোগ তরুণদের কাজে লাগানো উচিত।’

সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রযোজকের দায়িত্ব কতটা? কী কাজগুলো তাঁকে করতে হয়। দেশের প্রেক্ষাপটে সেই প্রশ্নের উত্তর মানে অর্থ লগ্নি করা। পরবর্তী সময়ে প্রযোজক হয়ে যাওয়া। কিন্তু প্রকৃত চিত্র ভিন্ন। একটি সিনেমা নির্মাণের পেছনে প্রযোজক অনেক বড় দায়িত্ব পালন করেন। সেগুলো শিখতে বুসান এশিয়া ফিল্ম স্কুলে প্রযোজনা নিয়ে পড়াশোনা শেষ করলেন দেশের দুই তরুণ তানভীর হোসেন ও ফজলে হাসান শিশির। তাঁরা গত মার্চ মাসে বৃত্তি নিয়ে প্রযোজনার ওপর পড়াশোনা করতে গিয়েছেন। সম্প্রতি অভিজ্ঞতা শেষে দেশে ফিরেছেন।

শৈশব থেকে সিনেমা ও নাটকের ভক্ত ছিলেন তানভীর হোসেন। সেসব নাটক বা সিনেমা শেষ হলেও তিনি বসে থাকতেন। শেষে নামের টাইটেলে তাঁর চোখ থাকত। সেখানে কে ক্যামেরায় ছিলেন, কে সম্পাদনা করছেন, কে প্রযোজক—এগুলো খুঁটিয়ে পড়তেন। অভিনয় ছাপিয়ে সেখানে নিজের নাম দেখতে চান। সেই থেকে মিডিয়ায় কাজের আগ্রহ জন্মে। পরবর্তী সময়ে ২০০২ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এর মধ্যে পরিচয় হয় পরিচালক কামার আহমাদ সায়মনের সঙ্গে। সেই সময় এই পরিচালকের নির্দেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলে চলচ্চিত্রবিষয়ক একটি কর্মশালায় যোগ দেন তানভীর। সেখানে সিনেমা নির্মাণপ্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা নেন।

তানভীর বলেন, ‘সাইমন ভাই ও সারা ভাবির সঙ্গে পরিচয় ও তাঁদের একটি তথ্যচিত্রে কাজ করতে গিয়ে আমার সিনেমা নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে থাকে। বিশ্ব সিনেমা, সিনেমা নির্মাণ, টেকনিক্যাল নানা বিষয়ে জানার সুযোগ হয়। নতুন করে চলচ্চিত্র নির্মাণ দেখতে থাকি। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে আমি পরবর্তী সময়ে কাজ শুরু করি।’
এরপর চলতে থাকে নাটক–বিজ্ঞাপনের টিমের সঙ্গে কাজ করা। ২০০৯ সাল–পরবর্তী বিবিসি অ্যাকশনের প্রযোজনায় ‘বিশ্বাস’ নামের একটি ধারাবাহিকের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। একসময় প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজের সুযোগ পান তানভীর। সেখানে বিদেশের অনেক কলাকুশলীর সঙ্গে কাজ করে সিনেমা নিয়ে নতুন অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয়।


সেই সময় সিনেমা পরিচালনা নিয়ে বেশি ভাবতেন তানভীর। এর মধ্যে শুরু করেন ‘ক্যাম্প’সহ তিনটি সিনেমার কাজ। কিন্তু কোনো সিনেমা সম্পন্ন হয়নি। ভেঙে পড়েন। শুটিং থেকেও কিছুদিনের জন্য নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন। এবার ভাবতে থাকেন, প্রযোজনা ভালো করে জানার দরকার।
তানভীর বলেন, ‘আমি যখন বিবিসিতে কাজ করি, তখন ও পরবর্তী সময়ে আফসানা মিমি আপা আমাকে বলেছিলেন প্রযোজনার কাজ ভালো করে আয়ত্ত করতে। আমি তখন অনেক নাটকের প্রযোজক হিসেবে কাজ শুরু করি। এটা নিয়ে অনেকে তুচ্ছ–তাচ্ছিল্য করছিলেন। কিন্তু আমি দীর্ঘ সময় নাটকে কাজ করতে গিয়ে শিখতে থাকি। প্রক্রিয়াটা আমার কাছে ভালো লাগতে থাকে। এখান থেকে মনে হয়, প্রযোজনা আরও ভালো করে শিখতে চাই। কারণ, দেশে সেই অর্থে শেখার সুযোগ কম। তখন বৃত্তি নিয়ে কোরিয়া চলে আসি। এখন আমি আমার এই অভিজ্ঞতা দেশে কাজে লাগতে চাই।’

সম্প্রতি বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে নিউক্যারেন্টস অ্যাওয়ার্ডজয়ী ‘বলি’ সিনেমার নির্বাহী প্রযোজক তানভীর। দেশ–বিদেশের আরও বেশ কিছু সিনেমা নিয়ে এগোচ্ছেন।
কোরিয়ার বুসান ফিল্ম স্কুলের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, তারা শুধু প্রযোজনার ওপরে পড়াশোনা করায়। এটাকে বলা হয় প্রযোজনা শেখার ওপর বিশ্বের অন্যতম একটি স্কুল। এখানে শুধু প্রযোজনার ওপর শিক্ষা দেওয়া হয়। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ও অভিজ্ঞ প্রযোজনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এখানে হাতে–কলমে পাঠদান করেন। এ কারণে স্কুলটি দিনদিন সিনেমাপ্রেমীদের পছন্দের হয়ে উঠছে। বেশ কয়েক বছর আগে এই স্কুলের খোঁজ পান দেশের আরেক তরুণ ফজলে হাসান শিশির। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। সেখান থেকে তাঁর ইচ্ছা হয় সিনেমা নিয়ে কাজ করবেন। শুরুতে চাইতেন পরিচালক হবেন। ছাত্র থাকা অবস্থায় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মোমেন্টোস প্যারালেলোস’ বানিয়েছিলেন। এটি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের আয়োজন ‘সেলিব্রিটি লাইফ’–এ পুরস্কার জিতেছিল। পরে সিনেমা নিয়ে তাঁর আগ্রহ বাড়ে। অনুধাবন করেন প্রযোজনার কৌশল আয়ত্ত করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

যথাযথভাবে সিনেমা নির্মাণপ্রক্রিয়া নিয়ে তাঁর জানার আগ্রহ বাড়ে। পরে তিনি ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্টের ওপর পড়াশোনা করতে যান। পাশাপাশি তাঁর প্রযোজনায় আগ্রহ বাড়তে থাকে। শর্টফিল্ম, তথ্যচিত্রের কাজ করতে থাকেন। শিশির বলেন, ‘বিজ্ঞাপনমুখী কমার্শিয়াল কাজগুলোর পাশাপাশি প্রডিউসিং নিয়ে অনেক আগ্রহী হই। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট গল্পগুলো নিয়ে কাজ করার সুযোগ কম ছিল। বেশির ভাগ কাজ করপোরেট–নির্ভর। এখানে স্বাধীন ঘরানার সিনেমা বানানো কঠিন। তখন নিজেই প্রযোজনা শিখতে কোরিয়ায় আসি। এটা আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ।’

মার্চ থেকে সাত মাস চলে তাঁদের প্রযোজনা নিয়ে পড়াশোনা। সারা বিশ্বের সিনেমাগুলো কীভাবে প্রযোজনা করা হয়, সেগুলো নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত প্রযোজকের সঙ্গে একধরনের মেলবন্ধন তৈরি হয়। শিশির বলেন, ‘একটি ফিল্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রডিউসিং সম্পর্কে জানা। এ সুযোগ যেমন এশিয়ান ফিল্ম স্কুল করে দেয়, তেমনি নেটওয়ার্কিং বাড়াতে সহযোগিতা করে। বিভিন্ন দেশের প্রযোজকদের মধ্যে একটা মেলবন্ধন তৈরি হয়।’

শিশির আরও বলেন, ‘এখানে প্রথমে একটি চিত্রনাট্য জমা দিতে হয়। বাছাইতে টিকে গেলে মেলে ফেলোশিপ। সেই সিনেমাটি কীভাবে বানানো হবে, সেই প্রক্রিয়া হাতে–কলমে শেখানো হয় এশিয়ান ফিল্ম স্কুলে। আমি প্রযোজক হিসেবে ‘তুলসিমালা’ সিনেমার চিত্রনাট্য জমা দিয়েছিলাম। সেটা নিয়ে এখন এগোচ্ছি।’ ‘সুরাইয়া’ চলতি বছর এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেটে স্থান পেয়েছে। ‘সুরাইয়া’ প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হয়েছে শিশির। এটি পরিচালনা করবেন রবিউল আলম রবি। এটি লিখেছেন শিবব্রত বর্মণ। তিনি সহপ্রযোজক হিসেবে সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত আছেন। ‘ঝিরিপথ পেরিয়ে’ নামে অনুদানের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বানিয়েছেন শিশির।

শৈশবে টেলিভিশন নাটক দেখে বড় হয়েছেন শিশির। পরে ইরানি সিনেমার প্রেমে পড়েন। কেন ফিল্ম স্কুল গুরুত্বপূর্ণ জানতে চাইলে এই তরুণ বলেন, ‘এখানে টিউশনি ফি লাগে না। বাড়তি কোনো খরচ নেই। বিভিন্ন দেশের প্রযোজকেরা এখানে আসেন। তেমনি বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা আসেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হয়। চলচ্চিত্র উৎসগুলোতেও একটা আলাদা গুরুত্ব থাকে। এই সময়ে এশিয়ার অনেক তরুণের শুরুটা কোরিয়ান ফিল্ম স্কুলের মাধ্যমে। সাউথ এশিয়ান নির্মাতা হিসেবে এই সুযোগ তরুণদের কাজে লাগানো উচিত।’

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.