![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা আছে আমার সকলি কবেনিজ হাতে তুমি তুলিয়া লবে।সব ছেড়ে সব পাব তোমায়মনে মনে মন তোমারে চায়।
ছবি- গুগুল
১।
-শোন তমা, বিয়ের পর আমাদের বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে তোর চিন্তা ভাবনা কি?
- মানে?
- মানে হল আমার ইচ্ছা তিনটা নেয়ার।
-ওমা কি বলিস? বাচ্চা কি তোর পেটে ধরবি নাকি? হিহিহি
- দেখ ভালো হচ্ছেনা। বলনা তোর কি ইচ্ছে?
- আমিতো ভাবছিলাম দশটা নিব।
- তমা কি বলিস এসব? তোর মাথা ঠিক আছেতো?
- কেন দশটা হলেতো ভালই হবে ক্রিকেট টিম হয়ে যাবে।
রাগত চোখে তাকায় তমা শিশিরের দিকে। শিশির বুঝে গেছে তমা তিন বাচ্চার কথা শুনে এমন কথা বলছে
- আমি জানি তমা তুই রাগ করে বলছিস।
- এই শিশির কাছে আয়
- না আসব না
- আসো না কাছে
শিশিরের চোখে ভেসে উঠে তার কান দুটি হাতির মত বড় হয়ে গেছে, তাকে চারপাশের মানুষ চিড়িয়াখানার প্রানীর মত দেখছে ।
-শিশির চিৎকার করতে লাগল না না না
- এই শিশির কি হইছে তোর? চিৎকার করছিস কেন?
শিশিরের ঘোর কাটে।
- আয় কাছে আয়
- দেখ তমা একদম ভালো হচ্ছেনা। তুই সবসময় আমাকে মারিস, কেন? আমার কান দুটি নিশ্চিত একদিন হাতির কানের মত হয়ে যাবে।
তমা কাছে যেতে থাকে শিশিরের আর শিশির ভয়ে দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায় আর এই দৃশ্য দেখে তমা অনেক্ষন হাসল।
শিশির ভাবে নাহ এই মেয়ের সাথে প্রেম করে জীবনটাই ঝালা পালা করে দিছে। কিছুই বলা যায় না। শুধু রাগ করে আর আমার কান ধরে সেকি টান দেয়। ওহ! কানে একটু হাত বুলিয়ে নেয় আর নিজেই নিজেকে বলে আহা বেচারা। পুড়া কপাল তোর।
২.
- তমা শোন
- হুম বল, শুনছিত
- বিয়ের পর আমরা কিন্তু তুমি করে বলব।
- তুমি কেন? আপনি করে বলব। একদম সেকেলে মানুষের মত। অনেক মজা হবে। হিহিহি
- তোর সাথে কোন সিরিয়াস কথাই বলা যায় না। মেজাজটাই খারাপ লাগে। সবকিছুতেই তোর ফাজলামো।
- ওমা! এই তুই এভাবে কথা বলছিস কেন? সাতদিন কথা বলব না বলে দিলাম।
- এটা কেমন কথা? এভাবে আমাকে শাস্তি দিতে পারিস না।
- পারি একশবার পারি।
- ও ভালত আমি তোকে বাসি তুই আমাকে বাসিস না।
- কি আমি তোকে ভালবাসিনা? এই বলেই তমা শিশিরকে কিল ঘুষি দিতে থাকে।
শিশির জানে তমা শিশিরকে কতটা ভালোবাসে। তারপরও তমাকে ক্ষেপাতে খুব ভালো লাগে শিশিরের। ওর নরম হাতের কিল ঘুষি খেতে মজাই লাগে। শিশিরের মনে পড়ে একদিন রাগ করে বলেছিল তমা কে যে তুই আমাকে ভালবাসিস না। সেদিন ছিল বৃষ্টিময় একটা দিন। সারাদিন মুষুলধারে বৃষ্টি হল। তমা অনেক কাঁদল আর ছাদে উঠে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টিতে ভিজল। আর সেই রাতেই তমা ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ল। শিশির খবর পেয়ে হাসপাতালে যায়। শিশিরকে দেখেই তমা খুব কেঁদেছিল। শিশিরত ওর কান্না দেখে খুবই অবাক হয় , কারন যেই মেয়ে সবসময় ওকে বকা দেয়, ধমক দেয় সেযে এভাবে কাঁদতে জানে ভাবতেই পারেনি। ভুল ভাঙ্গে শিশিরের।
৩.
বেঁচে থেকেও মাঝে মাঝে মৃত মনে হয় শিশিরের। তমার ছবির দিকে ঘৃণার চোখে তাকিয়ে আছে শিশির । আজ সবকিছু মনে পড়ছে শিশিরের। পরিষ্কার চোখের সামনে সেই দিনগুলো যেন ভাসছে। যে তমাকে এত ভালবেসেছিল সে এভাবে চলে যাবে ভাবেনি। ভাবেনি এত একা হয়ে যাবে শিশির। গায়ে হলুদের দিন, বিয়ের দিন, ভার্সিটিতে কাটানো দিনগুলো সবকিছু কেমন স্পষ্ট মনে পড়ছে।
লজ্জা, ঘৃনা নিয়ে মরে যেতে চেয়েছিল শিশির। আবার ভাবল আমি কেন মারা যাব, আমিত অন্যায় করিনি। মাথা উঁচু করেই বেঁচে থাকব সারাজীবন।
তমার সাথে শিশিরের পাঁচ বছরের সংসার। বাচ্চা ছিলনা তাদের। সারাদিন অফিসে থাকত শিশির আর তমা ছিল গৃহিণী। পাশের ফ্যাটের একটা ছেলের সাথে বেশ ভাব হয়েছিল তমার। ভাব বললে ভুল হবে প্রেম হয়েছিল, গভীর প্রেম। না প্রেম ও বলা চলেনা। একে বলে বেহায়াপনা।
শিশিরকে ছেড়ে চলে গিয়েছে তমা, অন্য একজনের হাত ধরে।
শিশিরের কেবলি মনে হয় ভালোবাসার কি এই প্রতিদান ছিল? আমার প্রতি তার ভালোবাসা সেটাও কি শুধু দেখানো ভালোবাসা ছিল?
শিশিরের বুক জুড়ে হাহাকার। শূন্যতার মাঝেই বসবাস তার।
শুধুই শুন্যতা ঘিরে আছে তার চারপাশে।
একা আমি চলেছি এই পথে
শূন্যতা ভর করেছে
আজ আমারি মাঝে.........।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩
আমি স্বর্নলতা বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
এটা আসলে গল্প বাস্তব নয় তবে বাস্তবের সাথে হয়ত মিলেও যেতে পারে।
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬
মোঃ মামুনুর রশিদ বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পটা পড়ে।
এই রকম ভালো একটা গল্প লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৬
আমি স্বর্নলতা বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭
সুমন কর বলেছেন: ভাল লাগল। অারো গুছিয়ে লেখা যেত। অনেক দিন পর অাপনার পোস্ট/ গল্প পেলাম।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৮
আমি স্বর্নলতা বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ সুমন ভাই। কাঁচা হাতের লেখাত তাই গুছানো না।
ব্যস্ততার জন্য ব্লগে আসা হয়না।
শুভকামনা রইল।
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
সকাল হাসান বলেছেন: গল্পটা পড়ে লাগল! প্রথম দিকটা একটু পরিচিত কি না আমার!
তবে শেষটা পড়ে ভাল লাগল না!
ভাল লিখেছেন! তবে আরেকটু গুছানো যেত মনে হয়!
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১১
আমি স্বর্নলতা বলেছেন:
আমার লেখার কিছু কথা আপনার সাথে মিলেছে দেখে মজা পেলাম খুব।
১ আর ২ লিখেছিলাম ৬ মাস আগে আর ৩ লিখেছে যেদিন পোস্ট দিয়েছি সেদিন। কিভাবে ভাল হবে বলেন?
সময়ের অভাবে গুছিয়ে লেখা হয়নি ।
আন্তরিক ধন্যবাদ।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সুন্দর লিখেছেন। +++
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৪
আমি স্বর্নলতা বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালোবাসার মায়েরে বাপ!
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৫
আমি স্বর্নলতা বলেছেন:
গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ হাসান ভাই।
৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫
অতঃপর জাহিদ বলেছেন: ভালবাসার সুন্দর সমাপ্তি হয় না মেনে নিলাম, কিন্তু গল্পতে সম্ভব। এতো ভালো লাগলো শুরুতে। শেষটা পড়ে মনে হলো না আসলেই ওরা ভালবাসে না যা করে অভিনয়।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৬
আমি স্বর্নলতা বলেছেন: জাহিদ ভাই গল্প পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৭
কলমের কালি শেষ বলেছেন: হুম । গভীর ক্ষত । গল্পে ++
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৭
আমি স্বর্নলতা বলেছেন: প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৪
ভূতের কেচ্ছা বলেছেন:
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৭
আমি স্বর্নলতা বলেছেন:
ভূতের কেচ্ছাকে গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
মাহবু১৫৪ বলেছেন: হ ম ম
বুঝলাম ।
+++++
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৮
আমি স্বর্নলতা বলেছেন: ভালো না মন্দ বুঝলেন?
ধন্যবাদ গল্প পড়ার জন্য।
১১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৭
সোহেল আহমেদ পরান বলেছেন: সুন্দর গুছিয়ে লেখা কষ্টের গল্প।
একটা হাহাকার যেনো আমিও টের পেলাম।
এটাই বোধহয় গল্পকারের স্বারথকতা।
শুভেচ্ছা জানবেন
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
আমি স্বর্নলতা বলেছেন:
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইল।
১২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৬
তুষার কাব্য বলেছেন: কষ্ঠের গল্প ভালো লাগেনা...
বাট...ভালো লিখেছেন...
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩
আমি স্বর্নলতা বলেছেন:
আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০০
লেখোয়াড় বলেছেন:
গল্পটা ছোট হলেও ভাল লাগছিল। তবে একটু তাড়াহুড়ো হয়েছে, গল্পটির পিছনে আরো একটু সময় দিতে পারতেন।
আপনি অনেক কম লিখেন, আরো বেশি আশা করছি।
ভাল থাকেন, শুভ সকাল।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭
আমি স্বর্নলতা বলেছেন: ঠিক ধরেছেন , তাড়াহুড়োই করেছি। কিছু করার নেই আমি কেন জানি এমনি।
প্রথমে খুব মনোযোগ দিয়ে লিখি তারপর তাড়াহুড়ো করি। এটা মোটেও উচিত না জানি। কিন্তু কেন জানি নিজেকে পরিবর্তন করতে পারিনা। আর সেই সাথে সময়ের স্বল্পতাও একটা কারন।
লেখোয়াড় ভাইকে স্বাগতম আমার ব্লগে।
মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: মোটামুটি লেগেছে, যদিও আরও ভালো হওয়ার সুযোগ ছিল। আপনার লেখার স্টাইল অনেক সাবলিল।। শুধু কাহিনী, প্লটে একটু নতুনত্ব আনতে পারলেই হবে। অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
মোবাইল থেকে কমেন্ট করেছি তাই ছোট করে বললাম। পরের গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯
আমি স্বর্নলতা বলেছেন:
স্বাগতম আমার ব্লগে।
খুব সুন্দর করে বললেন, ভালো লাগল।
অনেক ধন্যবাদ।
চেষ্টা করব পরের গল্প দিতে।
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৯
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: ভাল গল্প। যদি বাস্তব হয়ে থাকে তবে কথা আছে।
শিশিরে উচিৎ ছিল তমাকে সময় দেয়ার। একটা মানুষ কি করে একা থাকতে পারে ? তবে তমা যেটা করেছে সেটাও খুব খারাপ কাজ করেছে।