![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য-এই শ্লোগানটি আমি লালন করি
================================================
যেহেতু কুরআন কোনো জাতির জন্য নির্ধারিত নয় তাই কুরআন গবেষণার অধিকারও কারও জন্য নির্দৃষ্ট নয়। মুসলিম অমুসলিম সবার জন্যই কুরআন গবেষণার দ্বার উন্মুক্ত। তবে মুসলিমরা যেহেতু কুরআনে বিশ্বাসী তাই তাদের জন্য কুরআন গবেষণা দায়িত্ব ও কর্তব্য। কুরআনের প্রথম সম্বোধন তাদের জন্য। তাই তারা এ দায়িত্ব পালনে বাধ্য। অন্যদিকে অমুসলিমরাও কুরআন গবেষণার অধিকার রাখেন।
>>>>>>>>কুরআন গবেষণার শর্তাবলী
===============================================
১. সহি আকিদা : একজন মুসলিম হিসেবে গবেষকের আকিদা-বিশ্বাস হতে হবে নির্ভেজাল।
২. ইখলাস : সব ইবাদত কবুলের জন্য প্রধান শর্ত হলো ইখলাস বা একনিষ্ঠা।
৩. কুরআনকে কুরআন দিয়ে বুঝতে হবে : কুরআনকে কুরআন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। কোনো একটি বিষয় এক স্থানে অস্পষ্ট বা সংক্ষিপ্ত হলে অন্য জায়গায় তা স্পষ্ট ও বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে।
৪. কুরআনকে বুঝতে হবে হাদিস দিয়ে
৫. সাহাবিগণের তাফসির সামনে থাকতে হবে
৬. কুরআন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো জানা থাকতে হবে : যেমন,
এক. আরবি ভাষা ও সাহিত্যে পারদর্শিতা
দুই. ইলমুল লুগাত
তিন. ইলমুল হাদিস বা সংক্রান্ত জ্ঞান।
চার. ইলমুন নাসিখ ওয়াল মানসুখ।
পাঁচ. উলুমুল কুরআনের অন্যান্য বিষয়াবলি। যেমন, নুজুলে কুরআনের ইতিহাস, মক্কি ও মাদানি সুরার পরিচিতি, আসবাবুন নুজুল, সুরা বা আয়াত নাজিলের প্রেক্ষাপট বা শানে নুজুল মুহকাম ও মুতাশাবিহসহ অন্যান্য বিষয়।
ছয়. ইলমুস সিয়ার : রাসুলুল্লাহ সা.সহ নবী-রাসুলদের জীবনী না জানলে কুরআন বোঝা ও গবেষণা ফলপ্রসু হবে না।
সাত. ইতিহাস : ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে কুরআন অনুধাবন সহজবোধ্য হবে না। বিশ্বস্ত সূত্র হিসেবে কুরআনের কোই বিকল্প নেই।
আট. বিষয় ভিত্তিক গবেষণায় বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান থাকতে হবে। যেমন ফিকহ বিষয়ক গবেষণা হলে ফিকহ ও উসুলে ফিকহ সম্পর্কে জানা থাকতে হবে।
নয়. ইজতিহাদ ও উদ্ভাবনি শক্তি থাকতে হবে।
দশ. পূর্ব সিদ্ধান্তমুক্ত হতে হবে। যিনি যে বিষয়েই গবেষণা করুন বিশেষ করে যদি তা হয় ধর্মীয় কোনো বিষয় তাহলে অবশ্যই তাকে কোনো পূর্ব সিদ্ধান্ত থেকে মুক্ত থাকতে হবে। তবেই নিরপেক্ষ কোনো ফলাফল আশা করা যায়।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>কুরআন গবেষণায় চাই জ্ঞানের সমন্বয়
=============================================
এক. আলিম গবেষক : ধর্মীয় শিক্ষার আলিমগণ তাদের প্রয়োজনে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে জড়িত অনেক বিষয় রয়েছে। এগুলো অসম্ভব। অনুরূপ অর্থনীতির অনেক নিয়ম রয়েছে যেগুলো অর্থনীতিবিদরাই ভালো বলতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়-বাণিজ্যের নিত্য-নতুন অনেক বিষয় আছে যেগুলো না জেনে শরিয়তের সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়া কঠিন। শরিয়তের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হলে এক্ষেত্রে অবশ্যই মুফতি, ফকিহ ও আলিমগণকে বিষয় বিশেষজ্ঞগণের শরণাপন্ন হতে হবে।
দুই. আধুনিক শিক্ষিত গবেষক : অপর দিকে যারা আধুনিক বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে চান তাদের মাঝে যদি সরাসরি কুরআন গবেষণার মতো যোগ্যতা থাকে তাহলে তিনি হবেন প্রকৃত কুরআন গবেষক। তবে এমন সংখ্যা নাই বল্লেই চলে। এমনকি কুরআন আরবি ভাষায় হওয়া সত্বেও আরবরাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে। তাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ের গবেষককে অবশ্যই কোনো বিশেষজ্ঞ আলিমের সহায়তা গ্রহণ করতে হবে যিনি গবেষণায় তাকে সহায়তা দেবেন। কুরআনের মূল শব্দ, অর্থ, তাফসির সম্পর্কে ধারণা দেবেন যাতে করে গবেষক তার কাংক্ষিত গবেষণায় এগিয়ে যেতে পারেন।
আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দিন-আমীন
©somewhere in net ltd.