![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য-এই শ্লোগানটি আমি লালন করি
বিপ্লব মানে হচ্ছে সমাজ-ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। সমাজ-ব্যবস্থার সকল স্তর, দিক ও বিভাগে ইসলামের বিধি-বিধান কার্যকর হওয়ার নাম ইসলামী বিপ্লব। ‘ইকামাতুদ্ দ্বীন’, ‘ইযহারু দীনিল হাক’, ‘খিলাফাত প্রতিষ্ঠা’ ইত্যাদি পরিভাষা ‘ইসলামী বিপ্লব’ পরিভাষার সমার্থক। আর এই ইসলামী বিপ্লবের দুইটি শর্ত পূরণ হওয়া অত্যাবশ্যক। শর্ত দুইটি হচ্ছে :
ক. একদল যোগ্য ইসলামী ব্যক্তিত্বের উদ্ভব। খ. ইসলামী গণ-ভিত্তি সৃষ্টি।
ইসলামী চিন্তা-চেতনা, ইসলামী মন-মানসিকতা ও ইসলামী চরিত্রসম্পন্ন ব্যক্তিকেই বলা হয় ইসলামী ব্যক্তিত্ব। একজন ইসলামী নৈতিকতাসম্পন্ন ব্যক্তি যদি মৌলিক মানবীয় গুণেও সমৃদ্ধ হন, তিনি হন যোগ্য ইসলামী ব্যক্তিত্ব। ইসলামী বিপ্লব সাধনের জন্য এই ধরনের বহু সংখ্যক ব্যক্তির বিদ্যমানতা অত্যাবশ্যক। কোন ভূ-খণ্ডের জনগোষ্ঠীর বিরাট অংশের ইসলামী চিন্তা-চেতনা, ইসলামী মন-মানসিকতা ও ইসলামী চরিত্রসম্পন্ন রূপে গড়ে ওঠার নাম ইসলামী গণ-ভিত্তি। এই গণ-ভিত্তি গড়ে না ওঠা পর্যন্ত কোন ভূ-খণ্ডে ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত হওয়া স্বাভাবিক নয়।
==============================================
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরিচালিত আন্দোলনের ক্রমবিকাশ ও প্রতিষ্ঠা লাভের চারটি স্তরের কথা উল্লেখ রয়েছে। যথা :
১. অংকুর বের করা, ২. শক্তি সঞ্চয় করা,
৩. মোটা-তাজা হওয়া, ৪. কাণ্ডের ওপর দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে যাওয়া।
‘অংকুর বের করা’র অর্থ হচ্ছে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের সূচনাকরণ। ‘শক্তি সঞ্চয় করা’র অর্থ হচ্ছে আহ্বানে সাড়া দানকারী ব্যক্তিদেরকে সংঘবদ্ধ ও সংশোধিত করে সাংগঠনিক শক্তি অর্জন। ‘মোটা-তাজা হওয়া’র অর্থ হচ্ছে কর্ম-এলাকার সর্বত্র প্রভাব সৃষ্টি ও গণ-মানুষের সমর্থন লাভ। আর গণ-মানুষের সমর্থন লাভেরই আরেক নাম গণ-ভিত্তি অর্জন। ‘কাণ্ডের ওপর দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে যাওয়া’র অর্থ হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অর্জন।
প্রকৃতপক্ষে, এটাই হচ্ছে ইসলামী সমাজ বিপ্লবের স্বাভাবিক পদ্ধতি। মুখে বিপ্লব বিপ্লব বলে ফেনা কেটে কোনো লাভ হবেনা।
©somewhere in net ltd.