![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য-এই শ্লোগানটি আমি লালন করি
বর্তমান মুসলিম সমাজে প্রচলিত ধারণা হলো সকল কাজের ভাগ্য আল্লাহ কর্তৃক পূর্বনির্ধারিত। মানুষের পক্ষে কোনভাবে ঐ ভাগ্য পরিবর্তন করার কোন ক্ষমতা নেই। এ ধারণার উৎপত্তিস্থল হলো-ঈমানে মুফাসসালে থাকা তাকদীর বা কদরে বিশ্বাস কথাটি, কুরআনের কিছু আয়াত যেমন সূরা কদর/৯৭ : ১, কামার/৫৪ : ৪৯, ফুরকান/২৫ : ২ ইত্যাদি এবং এবং কিছু সহীহ হাদীসের অসতর্ক ব্যাখ্যা ।
কিন্তু আল-কুরআনের সূরা নাজম/৫৩ : ৩৯, কাহাফ/১৮ : ২৯, রা’দ/১৩ : ১১, রুম/৩০ :৪১, নিসা/৪ : ৭৯ ইত্যাদি, অনেক শক্তিশালী সহীহ হাদীস এবং Common sense-এর আলোকে নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে- কোন কাজের পরিণতি নির্ণয়ে মানুষের ইচ্ছা ও কর্মপ্রচেষ্টার বিরাট মূল্য আছে।
অন্যদিকে সূরা নিসা/৪ : ৮২ আল্লাহ বলেছেন যে, কুরআনে পরস্পর বিরোধী কোন বক্তব্য নেই। তাই ঈমানে মুফাসসালে থাকা তাকদীর বা কদরে বিশ্বাস কথাটি এবং অসতর্কভাবে ব্যাখ্যা করা কুরআনের আয়াত ও সহীহ হাদীসগুলোর এমন ব্যাখ্যা করতে হবে যেন তা শেষে উল্লেখ করা কুরআনের আয়াতগুলোর সম্পূরক হয় এবং বিরোধী না হয়।
এটি খুবই সম্ভব যদি জানা থাকে যে, কদর বা তাকদীর শব্দের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ হচ্ছে আইন (নীতিমালা বা প্রোগ্রাম) এবং ভাগ্য। যদি কদর বা তাকদীর শব্দের অর্থটি ভাগ্য না ধরে আল্লাহর তৈরী আইন তথা প্রাকৃতিক আইন ধরা হয় তবে সমস্যাটির সমাধান হয়ে যায়। এটি ধরলে যে সকল স্থানে বলা হয়েছে কদর বা তাকদীর পূর্বনির্ধারিত সেখানকার অর্থ হবে আল্লাহর তৈরী প্রাকৃতিক আইন পূর্বনির্ধারিত। ঐ আইন অনুসরণ করে মানুষকে সকল কাজ করতে হবে। মানুষের ঐ আইন পরিবর্তন করার কোন ক্ষমতা নেই তবে মহান আল্লাহ চাইলে তা পরিবর্তন করতে পারেন।
©somewhere in net ltd.