![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।
প্রচলিত মতে একজন নারীর কিংবা পুরুষের সম্মতি ব্যতিত জোড় জবরদস্তি মূলক যৌন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করা কিংবা স্থাপন করাই হল ধর্ষণ। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের আর টি সি (রেপ ট্রিটমেন্ট সেন্টার) এর মতে - যদিও একেক দেশে ধর্ষণের সংজ্ঞা একেক রকম, ধর্ষণ সাধারণত জোড় পূর্বক কিংবা সম্মতি ব্যতিত যে কোন যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে বুঝায়। তাঁদের সংজ্ঞাতে তাঁরা আরও বলেছে, ভয়, হুমকি এবং/অথবা শারীরিক শক্তি কিংবা ড্রাগ বা অন্য কোন নেশা জাতীয় দ্রব্য ব্যাবহার করে কোন ভিক্টিমের অনিচ্ছা কিংবা অজান্তে তাঁর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকেও ধর্ষণ বলে। যৌন হেনেস্তা সম্পর্কে তাঁদের বক্তব্য হল- যেকোনো অনিচ্ছা কৃত স্পর্শ কিংবা অযাচিত যৌনাচার কেই যৌন হেনেস্তা হিসেবে দেখা হবে।
এতো গেল তাঁদের দেয়া সংজ্ঞা। কোন নারী দেহ কে যৌন দৃষ্টি দিয়ে তাকানো থেকে শুরু করে খারাপ সকল মন্তব্যই ধর্ষণ হিসেবে গন্য হওয়া উচিৎ। যৌনাচার সৃষ্টির সকল প্রানির মধ্যেই রয়েছে। মানুষ ও এর বাইরে নয়। কিন্তু মানুষের যৌনাচারের কিছু নিয়ম রীতি সৃষ্টির আদিকাল থেকে চলে এসেছে। যেকোনো ধর্ম মতে একজন পুরুষের সাথে আরেকজন নারীর সামাজিক রীতি মেনে একত্রে বৈধ ভাবে সমাজে বসবাসকেই সুস্থ যৌনাচার বলা যাবে। এর বাইরে যা রয়েছে তা সবই ধর্ষণের বিভিন্ন রূপ।
উপরে সংজ্ঞা মতে যে ধর্ষণ বুঝায় তাঁকে আমরা ধর্ষণের প্রকারে ভেদের মধ্যে ২ নম্বরে রাখতে পারি। তাহলে ১ নম্বর টি কি? এক নম্বরের ধর্ষণ হল, একটি অসহায় মেয়ের অসহায়ত্ব এর সুযোগ কিংবা তাঁকে মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে দিনের পর দিন তাঁর সাথে যৌনাচার করা (তখন দুজনের সম্মতিতেও হতে পারে) কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে সেই সম্পর্ক কে অস্বীকার করা কিংবা মেয়েটি যখন এই সম্পর্কের স্বীকৃতি চায় তখন তাঁকে হত্যা করা অথবা অন্য ভাবে তাঁকে হেনস্তা করে সম্পর্কের ইতি টানা। হ্যাঁ এটাই সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট ধর্ষণ। আমাদের সমাজের আনাচে কানাচে হওয়া এই নির্মম ধর্ষণ নিয়ে কেউ কখনো কোন কথা বলেন না। হয়ত এই মাপের ধর্ষকদের অনেকেই প্রথম শ্রেণীর নাগরিক যার ফলে সমাজের নিম্ন স্তরের কারো সাথে এই ধরনেই অনৈতিক আচরণের জন্য তাদের জবাবদিহি করার মত উপযুক্ত পরিবেশ আমাদের সমাজে গড়ে উঠে নি কিংবা উঠতে দেয়া হয় নি। কোন নারীর সাথে প্রেমের অভিনয় করে তাঁর দেহ ভোগ করাও এক ধরণের ধর্ষণ যা অ্যামেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ সেন্টারের মতে মিউচুয়াল যৌন সম্পর্ক কিন্তু আমাদের দেশের সমাজ ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে এটাও ধর্ষণ।
পরকীয়া কিংবা বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক এখন বাংলাদেশের টক অফ দা টাউন। এ ধরনের সম্পর্কে জড়াতে পারলে অনেকেই নিজেদের ব্যতিক্রম কিছু ভাবে। আচ্ছা যে মিঃ পারফেক্ট অন্যের বউ কিংবা বোন কে নিয়ে এই গোপন অভিসারে লিপ্ত হল তার যদি একটি বউ থাকে কিংবা ভবিষ্যতে হয় তাহলে সে কি প্রতিবার তার বউয়ের বিশ্বাস কে ধর্ষণ করছে না? অথবা যে মিস পারফেক্ট অন্য কারো স্বামীকে নিজের শয্যা সঙ্গী করে এক অসুস্থ তৃপ্তিতে আছেন তিনি কি প্রতি নিয়ত তার স্বামীর (বর্তমান কিংবা হবু) বিশ্বাস কে ধর্ষণ করছেন না?
এবার আসি কিছু সূক্ষ্ম ধর্ষণে যাকে আমাদের ধর্ষণ কামী দোপেয়ে প্রানিগুলো (পুরুষ বাচক শব্দ) সমাজে ছড়িয়ে রেখেছে কিন্তু আমরা না বুঝে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছি। আর যখন বুঝতে পারছি তখন ধর্ষিত হওয়ার জন্য বিচারও দাবী করতে পারছি না। মিডিয়া গুলোর মাধ্যমে আপনাকে বুঝানো হচ্ছে আপনি যত ছোট কাপড় পরবেন আপনি ততই স্বাধীন। এর পরে আপনার দেহের বিভিন্ন অংশের বর্ণনা করে আপনাকে যে প্রশংসা করছে তার দৃষ্টি কি আপনাকে ধর্ষণ করছে না? আপনার হয়ত দ্বিমত থাকতে পারে কিন্তু ভালো করে জেনে দেখুন ঐ প্রশংসার আড়ালে কি লুকিয়ে আছে। এভাবে বিশ্লেষণ করলে হাজারো ধরনের ধর্ষণ আপনার সামনে আসবে যা সহজাত প্রক্রিয়া বলে আপনাকে মানিয়ে নিতে বাধ্য করছে সমাজ।
ছোট বেলা হতে আমরা একটি লাইন সবাই পড়েছি আর তা হল “If you lose your character you lost everything in your life” অর্থাৎ যদি তুমি তোমার চরিত্র হারাও তাহলে তুমি তোমার সর্বস্ব হারালে। ধূর্ত ধর্ষণ কামী দোপেয়ে প্রানি গুলো এর মানে হিসেবে আমাদের মাথাতে সেট করে দিয়েছে একজন নারী যদি লাঞ্ছিত হয় তাহলে তাঁর সব শেষ। অথচ ঘটনা হওয়া উচিত উল্টো। যে নারী ধর্ষিত হয়েছে হয়ত সে শারীরিক ভাবে কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু যে ধর্ষক ধর্ষণ করল তার তো চরিত্র গেল। অর্থাৎ তাকে সমাজে সকলে ঘৃণা করবে, তার সাথে কেউ কোন সম্পর্ক রাখবে না। তাকে দেখলে সকলে মিটি মিটি করে হেসে বুঝাবে তুই চরিত্র হীন কুলাঙ্গার। বাস্তবে কি হয়? ধর্ষণ মামালার সাজা শেষে এই ধর্ষক বীরদর্পে আরেকজন নারীকে নিয়ে সংসার করে।আপরদিকে ঐ ধর্ষিত নারীকে সমাজ সংসার সকলের কটু কথা শুনতে হয়। অর্থাৎ আমরা সামাজিক ভাবেই ধর্ষক কে সাধুবাদ দিচ্ছি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে কুখ্যাত ধর্ষক হল সেঞ্চুরিয়ান মাণিক। যে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা তে ১০১ টি ধর্ষণ করে তা উদযাপন ও করেছিল। কিন্তু আমরা তার বিচার করতে পারি নি। এই কুলাঙ্গার হয়ত আজো কোন নারীকে বিয়ে করে তাঁকে নিয়ে সংসার করছে কিন্তু সেই ১০১ জন নারীর কি হয়েছে কেউ খোঁজ নিয়ে ছিলেন? কোথায় আপনাদের মানবিকতা কিংবা মানবাধিকার?
কুমিল্লা সেনানিবাস এর তনু কিংবা ন্যাম গার্ডেন এর মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের যুগ্ম সচিব আহসান হাবিব সাহেবের বাসার কাজের লোক ফুল্ বানুর মেয়ে জানিয়া এদের ধর্ষণ কোন বিচ্ছিন্ন নয় নিরবিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা। মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ১৪৭১২ জন (গড়ে প্রতি দিনে ৪০ জন ) নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আর ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ১৬১০২ জন (গড়ে প্রতি দিনে ৪৪ জন) নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এতো গেল যেসকল ঘটনাতে পুলিশ কেস হয়েছে সেগুলোর হিসাব এর বাইরে প্রতিদিন কত শত নারী ধর্ষিত হচ্ছে পরিসংখ্যানের বিষয়। বিচার হীনতা এবং সামাজিক ভাবে ধর্ষক কে দায় মুক্তি দেয়ার প্রবণতাই ধর্ষণের এই ভয়াবহ রুপের অন্যতম কারন। তাই ধর্ষকই হোক ঘৃণার পাত্র ধর্ষিতা নয়।
আমরা বাংলাদেশীরা এই ঘৃণিত কাজটি নিয়েও ব্যাবসা করে বেড়াই। তনুর ধর্ষণ নিয়ে খুব আবেগি একটি স্ট্যাটাস পড়লাম ফেসবুকে কিন্তু স্ট্যাটাসের নিচে লেখা একটি প্রতিষ্ঠানের নাম এবং সেখানে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি চলছে। সেই সাথে ভর্তির জন্য যোগাযোগের ফোন নম্বর। অর্থাৎ এই ব্যক্তি তনুর জন্য আমাদের মনে যে ভালবাসা সৃষ্টি হয়েছে সেটাকে পুঁজি করে নিজের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে দিলেন। হুম হুজুগে বাংলাদেশীরা সেই পোষ্ট কয়েকশো শেয়ার দিয়ে ঐ ব্যক্তির বিজ্ঞাপনের খরচ বাঁচিয়ে তার ব্যাবসার জন্য সহায়ক হলেন।
আরেক দল শুরু করলেন তনুর হিজাবি মুখ খানা নিয়ে ব্যবসা তাদের কথার সারমর্ম হল এমন যে “কোন এক বক্তব্যে কোন এক হুজুর বলেছিলেন নারীর ধর্ষিত হবার কারন তাঁর পোশাক। তাহলে তনু কেন ধর্ষিত হল”। এখন তনুর এই হিজাবি মুখ খানা ব্যাবহার শুরু করলেন কেউ কেউ ইসলাম সম্পর্কে বাজে কথা ছড়ানোর জন্য। অনেকে ব্লগ কিংবা সামাজিক মাধ্যমে ইসলামের বিরুদ্ধে লেখার ঐ হুজুরের উক্তি এবং এই ঘটনাটিকে বেছে নিলেন মোক্ষম উপকরণ হিসেবে। ফলাফল তিনি দিন শেষে অনেক ইসলাম বিদ্বেষ ছড়াতে সক্ষম হলেন। অথচ তিনি যদি কষ্ট করে পবিত্র কুরআনের সূরা আন নুরের ৩০ নম্বর আয়াতের অর্থ খানা জানতেন তাহলে তিনি সহজেই বুঝে যেতেন ঐ হুজুর যদি এমন বলে থাকে তাহলে তা তার মনগড়া কথা। এটা ইসলামের কথা না। ঐ আয়াতে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন বলেন “মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের গুপ্তাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য মঙ্গল আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত আছেন।” (২৪:৩০) কোন নারী যেকোনো বসনেই থাকুক না কেন মুমিন সেই ব্যক্তি যার দৃষ্টি এবং হাত থেকে ঐ নারী হেফাজতে থাকবে। তাই বলে কি নারীদের ইসলাম খোলা মেলা পোশাক পড়তে বলেছে, না তা বলে নি। নারীদের পোশাক এবং তাঁদের কীভাবে থাকতে হবে তা এর পরের আয়াতে অর্থাৎ ৩১ নম্বর আয়াতেই আল্লাহ্ স্পষ্ট বলে দিয়েছেন। তাহলে এই কথা বলে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানোর উদ্দেশ্য কি? উদ্দেশ্য হল ইসলামের অবশ্য পালনীয় কাজ পর্দা যা নারী পুরুষ উভয়ের জন্য ফরয তা পালন না করতে মুসলমানদের উৎসাহিত করা। কারন স্কলার দের মতে কেউ যদি পর্দা বা এ ধরণের কোন ফরজ কাজকে অস্বীকার করে তাহলে সে একটি কুফর করার সমান গুনাহের কাজ করবে। যে হুজুর বলেছে পোশাকের জন্য নারীরা ধর্ষিত হয় সে যেমন পুরুষ জাতীকে তাদের কৃত এই জঘন্য কাজটি থেকে দায় মুক্তি দিতে চেয়েছে তেমনি যারা ঐ হুজুরে রেফারেন্স দিয়ে আপনাকে বুঝাতে চাচ্ছে ইসলাম খারাপ তারাও ধর্ষণের মত একটি জঘন্য কাজকে নিজেদের মতবাদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য ব্যবসায়ী মনোভাব নিয়ে ব্যবহার করছে।
ধর্ষণ বন্ধ করতে সময় লাগলেও তা মূলোৎপাটন এর অযোগ্য অপরাধ এটা বিবেচনা করা ভুল। ধর্ষণের মূলোৎপাটন করতে সর্ব প্রথম যা প্রয়োজন তা হল ধর্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি। সমাজ থেকে ধর্ষককে বহিষ্কার। ধর্ষণের শিকার মানুষটিকে সকলে মিলে আবার নতুন করে বাঁচতে স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করা। এই প্রসঙ্গে অনেকেই বলতে চাচ্ছেন অবৈধ যৌন সম্পর্ক একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং ধর্ষণ একটি অপরাধ। অথচ এই দুটোই অপরাধ। অনেকেই যুক্তি দেখাতে চাচ্ছেন যে “অবৈধ যৌনক্রিয়া মানব সভ্যতার বিকাশে সাহায্য করে” কোথায় পেলেন এই যুক্তি? আবার, অনেকে বলতে চাচ্ছেন দেশে অবৈধ সম্পর্ক কে বৈধ করে দিলে অর্থাৎ নারী পুরুষের অবাধ মিলন কে বৈধতা দিলেই ধর্ষণ কমে আসবে। আশ্চর্য জনক ভাবে এই ধর্ষণ কামী দোপেয়ে প্রানি গুলোর এই ধূর্ত ফাঁদে অনেকেই পা দিয়ে তাদের সমর্থন ও দিয়ে লেখা লেখি করছেন! অথচ অবৈধ যৌনাচারের স্বর্গ ভুমি মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রে ২০১৪ সালে ৯৭,৩৩৬ (গড়ে প্রতি দিনে ২৬৭ টি) টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তাই ধর্ষণ ঠেকাতে হাজার বছরের বাঙ্গালী সুস্থ যৌনাচারের বিকল্প আছে বলে জানা নাই।
অনেকে বলতে চাচ্ছেন বিবাহ বহির্ভূত যৌনাচার একটি স্বাভাবিক ঘটনা। হুম এটা স্বাভাবিক পশু সমাজে। তবে পশু সমাজ দোপেয়ে প্রানিদের চেয়ে অনেক সভ্য কেননা তারা কখনো ধর্ষণ করে না। অতএব আপনি যদি শুধু ধর্ষণ ঠেকাতে পারেন তাহলে দোপেয়ে এই প্রানিদের আপনি বড় জোর পশুদের দলভুক্ত কোন প্রানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। যদি এই পশু সমাজ থেকে মানব সমাজে আসতে চান তাহলে দেখবেন একমাত্র মানব সমাজেই বিবাহ রয়েছে। অর্থাৎ অবৈধ যৌনাচার কারী পশুদের থেকে যৌন জীবনে মানুষে রূপান্তরের মাধ্যম হল ধর্মীয় কিংবা সামাজিকতার মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সুস্থ যৌন জীবনের মাধ্যমে সভ্যতার ক্রম বিকাশে সহায়তা করা।
বিবাহ বহির্ভূত সকল যৌনাচারকে যেদিন আমরা ধর্ষণ হিসেবে দাড়া করাতে পারব সেদিন থেকেই বাংলাদেশে ধর্ষণের হার কমে যাবে এবং এক সময় তা শূন্যের কোটাতে নেমে আসবে।
ধর্মীয় কিংবা সামাজিক রীতি বহির্ভূত যৌনাচার কে না বলুন। আর যদি তা না পারেন অন্তত ধর্ষণ বন্ধ করে পশু সমাজে বসবাসের যোগ্য হয়ে উঠুন। ধীরে ধীরে না হয় মানুষ হওয়ার চেষ্টা করবেন। মানুষ হতে হলে অবশ্যই আপনাকে সুস্থ অর্থাৎ বিবাহের পরের যৌন জীবনে বিশ্বাসী হতে হবে।
পরিশেষে বলব, ধর্ষণ করার পূর্বে চিন্তা করুন ধর্ষিতা যদি আপনার মা, বোন, মেয়ে কিংবা বউ হত তাহলে আপনি কীভাবে দেখতেন ব্যাপার টিকে। ১৯৭১ সালের যে স্মৃতি আজও আমাদের কাছে দুঃ সহ হয়ে আছে তা হল পাক হানাদার এবং তাদের দোষর দের কৃত পাশবিক নির্যাতন। ভাবতে অবাক লাগে সেই দেশেই আজ দিনে অর্ধ শতাধিক পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। স্বাধীন বাংলাদেশে বিশ্বাসী কোন পুরুষ ধর্ষণ করতে পারার কথা না। দুঃখের সাথে বলতে হয় সেই দেশেই ১০১ টি ধর্ষণ করে উদযাপন করার পরেও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হয় না।
আসুন শুধু মুখে নয় স্বাধীনতাকে বুকেও ধারণ করি। ধর্ষণ কে স্বাধীন বাংলাতে অগ্রহণযোগ্য এক অপরাধে পরিণত করি। যেকোনো প্রকারের ধর্ষক কে বাংলার মাটিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করি।
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫
জুয়াড়ি বলেছেন: ধর্ষকদের ফাসি দেয়া উচিত ।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: উচিত কিন্তু কে দিবে?
সেঞ্চুরিয়ান মানিকের ই ফাসি হয় নাই আর অন্য গুলো তো খবরই নাই
৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: ধন্যবাদ
দরকার কিন্তু করব কিনা কে জানে?
৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: একটা হিসেব মিলিয়ে দেখা উচিত! বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কতটা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং কতটা ফাঁসি হয়েছে/শাস্তি হয়েছে!!!
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: হুম
এটা নিয়ে কেউ কোন কথা বলে না। কিছুদিন পর্যন্ত আস্ফালন এর পরে যেই সেই
৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪
কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: “If you lose your character you lost everything in your life” অর্থাৎ যদি তুমি তোমার চরিত্র হারাও তাহলে তুমি তোমার সর্বস্ব হারালে।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৫৯
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: হুম
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫২
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা দরকার।